আমরা করব জয় একদিন
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 863বার পড়া হয়েছে।
ষষ্ঠ পর্ব
আজকের আকাশটা একটু পর পর পরিবর্তিত হচ্ছে।সৌরজগতের সব গ্রহ গুলিকে রঙধনুর বিভিন্ন রঙে দেখতে সমর্থ হয় নোয়া তার এই সর্বাধুনিক সিলিকন কোটেড টেলিস্কোপ দিয়ে।তার এই উদ্ভাবন টি জ্যোতির্বিদ্যায় এক যুগান্তকারী প্রদক্ষেপ আনতে সমর্থ হয়েছে।আবহাওয়া দপ্তর এর আবহাওয়ার নির্ভূল তথ্য পরিবেশনা এবং জ্যোতিষীদের গননাকার্য কে আরও সঠিক নির্ভূল ভাবে করা সম্ভব হচ্ছে নোয়ার এই টেলিস্কাপটির মাধ্যমে। ভবিষ্যতকে দেখতে পাওয়া জ্যোতির্বিদরা এই আশা করছে অদূর ভবিষ্যতে মানুষ নিজে তার ভাগ্য গননা করতে পারবে দেখতে পারবে পরিবর্তন ও করতে পারবে গ্রহনক্ষত্রের গতিপথকে পরিবর্তীত করতে সমর্থ হবে মানুষ গ্রহমন্ডলীয় গবেষনাদপ্তর এর এই অভিমত।
নোয়ার টেলিষ্কোপে আজ ধরা পড়ল এক অভাবনীয় দৃশ্য ফ্লাইং সসারে উড়ন্ত মানব।আগ্রহ কৌতুহলে সে ঝুকে এল মেশিনটির আরও কাছে।
শূন্যে উড্ডয়নরত অবস্থায় এখন ও আরিয়ান।তাকে ধাওয়া করে আসছে মঙ্গলগ্রহের সবচেয়ে নিষ্ঠুর সাইবর্গ সাইকোসিস এর কিলার কমান্ডো গ্রপ।নোয়ার মেশিনে দুইপক্ষের প্রতিটি গতিবিধি নিখূতভাবে মূভির মত দৃশ্যমান হচ্ছে।তার মেশিনে মেসেজ ট্রান্সমিট হচ্ছে এইভাবে
সেভ দা হেল্পলেস। ইস ইন ডেনজার।
মনে মনে বলতে থাকে এ আমার প্রথম এক্সপেরিমেন্ট।দেখা যাক এর নক্ষত্র বা ভাগ্যাকাশের গতি পরিবর্তন করা যায় কিনা?মেশিন আর নক্ষত্রের গতিবিধিতে দেখা যাচ্ছে সামনে ব্যাক্তিটির জীবনকাল আছে আর মাত্র পয়তাল্লিশ মিনিট।দেখা যাক এই মেশিন এই হতভাগ্যের দূর্ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারে কিনা।তার সামনে মনিটরে একের পর এক পৃ্ঠায় এই লোকটির পূর্ণ বায়োডাটা জীবনবৃত্তান্ত স্লাইডে দেখা যাচ্ছে।স্লো মোশনে এই লোকটির আদ্যোপান্ত জীবন দেখে নিল মাত্র পাচ মিনিটে।সে একাত্মতা অনুভব করল এই উড়ন্ত মানবটির প্রতি।ভিতরে বেশ ব্যাকূলতা অনুভব করল মানবটিকে বাচানোর জন্য।
এই টেলিষ্কাপটির একপ্রকোষ্ঠ থেকে আলোকের বিচ্ছুরন করতে পারে আাকাশের সপ্তম স্তর পর্যন্ত। মানবটির পিছনে ধাবমান মেশিনগুলির বায়োগ্রাফীতে জানতে পারল তাদের মিশন এবং তার কারন ।সামনের মানবটিকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত তারা এভাবে পশ্চাতে ধাওয়া করতে থাকবে।প্রয়োজন মনে করলে এই মানবটিকে ধ্বংস করতে তারা পুরো সৌরমন্ডলী নিশ্চিহ্ন করে দিবে এই ভাবে তারা আদেশ প্রাপ্ত।
তাৎক্ষনিকভাবে নোয়া প্রবল আলোর বিচ্ছুরন ঘটাল তার টেলিষ্কোপ থেকে এই কমান্ডো কিলারদের মহাশূন্যযানের সামনে।পলকে তারা দিকভ্রান্ত হয়ে গেল।তারা মনে করল আরিয়ান তাদের দিকভ্রান্ত করে অন্যপথে পালাচ্ছে।তারা যানের গতি পরিবর্তন করে সম্পূর্ন উল্টাপথে আলোর বিচ্ছুরনকে অনুসরন করে চলতে লাগল।এক পর্যায়ে আরিয়ান সম্পূর্নভাবে কিলার কমান্ডোদের দৃষ্টিসীমার আড়ালে চলে গেল।
নীচে পৃথিবীতে খুশীতে আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠল নোয়া ।
আমি সফল হয়েছি।একমানবের জীবন রক্ষা করেছি।তার ভাগ্য নুতুন করে লিখতে সমর্থ হয়েছি।
আরিয়ান তার টাইম মেশিন অন করে দিল।মেশিনটির ডানা দুইটিকে পাখীর ডানার মত। তার ফ্লাইং মেশিনে সংযোজন করে দিল।সে আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে বহু যুগ আগে ধ্বংসপ্রাপ্ত পৃথিবীতে।আস্তে আস্তে স্ক্রীনে ভেসে উঠল এক মানব মানবীর মুখ ।তারা পরস্পর পরস্পরকে দেখছে আবেগে।শেষ মানবসভ্যতার শেষ মানব মানবী।আমার যন্ত্রে আর কোন তথ্য কেন নাই।সে ব্যকূল হয়ে ফরোয়ার্ড কি তে চাপতে লাগল।মনে হচ্ছে এটাই শেষ স্লাইড।
মনে মনে বলতে লাগল এই দুইজন মানব মানবী কে? আমার জানতে হবে এরা এখন কোথায় আছে?
তখনই তার স্ক্রীনে একঅদ্ভুত মেসেজ দেখা গেল।
কেও একজন তাকে মেসেজ দিয়ে যাচ্ছে
হাই আই অ্যাম নোয়া ফ্রম আর্থ তুমি এখন বিপদমূক্ত ।নীচে নেমে আসতে পার আমার কাছে ।তোমার ডিভাইসে প্রেস করলে আমার লোকেশন পাবে।
আরিয়ান উত্তেজিত হয়ে পড়ল এই ভেবে কেও একজন তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছে পৃথিবী থেকে এবং সে একজন মানুষ।তাহলে পৃথিবী এখনও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি।
ডিভাইসের ঠিকানায় সে নেমে আসল নোয়ার কাছে।
দুইজনে দুইজনের দিকে অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে রইল।এ যেন একে অপরের প্রতিবিম্ব।দুইজন দেখতে হুবহু একরকম।এমনকি দুইজন ভাবছে একইভাবে।দুইজন দুইজনের মনের ভিতরটা দেখতে পেল একইভাবে।
(চলবে)
৯৬৪ বার পড়া হয়েছে
আপা এত কঠিন জিনিস মাথায় আসে কিভাবে। আমারও লিখতে মন চায়।
ভাল লাগল লেখা
কঠিন জিনিসতো মাথায় আসেনা।আমি তো ইজিভাবে লিখি।তবে তূলনামূলকভাবে অন্য লেখার তুলনায় বিজ্ঞান কাহিনী লেখাটা কঠিন ।কেন না বিজ্ঞানকাহিনী লেখার জন্য বিজ্ঞান আবহ তৈয়ারী করতে হয় বিজ্ঞান কাহিনী হতে হবে তথ্যভিত্তিক বিজ্ঞানের টার্মের থাকতে হবে নিখূত বর্ননা।সেই হিসাবে ধরতে গেলে আমার কাহিনীটা প্রপার হচ্ছেনা ।কেননা পড়াশোনার সাথে সম্পর্ক চুকে গেছে।সব বিজ্ঞান ভূলে গিয়েছি।তবু চেষ্টা করে যাচ্ছি।আপনারা পড়লে পছন্দ করলে তো আমি খুশী মনে করব স্বার্থক।
আপনি চেষ্টা করুন আমার মত।হয়ে যাবে একদিন।মানুষের অসাধ্য কি কিছু আছে?আমদের বিজ্ঞান তো তাই বলে।
ধন্যবাদ এই মেঘ এই রৌদুর আপা ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য।ভাল থাকবেন কেমন।
আমরা করব জয় একদিন—– ভাল লাগল।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।ভাল থাকবেন।
বিজ্ঞান কল্প কাহিনী লিখতে বিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞান থাকা দরকার । তাই এই বিষয়ে লেখা লেখি করার দুস্বাহস করি না । লেখা খুব ভাল লাগছে । শুভ কামনা । ভাল থাকুন ।
দুঃসাহসের কিছু নাই।সাহস করে শুরু করে দিলে হয়ে যায়।ধন্যবাদ আমার লিখা পড়ার জন্য।শুভ কামনা ।আপনিও ভাল থাকুন ।
দারুণ লাগলো আপু , কেমন আছো ?
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।।ভাল
আপনার লেখাতে পরিপক্কতা আসা শুরু করেছে। আপনি বেশ কিছু বিজ্ঞান ঢুকিয়েছেন বলে বলছি না। গল্পের বিন্যাসের জন্য বলছি। ভাল হয়েছে। তবে আমার মনে হচ্ছিল আপনি তাড়াহুড়া করছেন। তাই মাঝে মাঝে ফ্রেমের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর একটা কথা, আমার মনে হচ্ছে আপনি লেখার আগে প্ল্যান করেন নাই। আমারও কিছু লেখার সময় প্ল্যান থাকে না। আমি ভাসিয়ে দেই। কাহিনী যেখানে গিয়ে দাঁড়ায়! এ ক্ষেত্রে একটা সেট করা লক্ষ্য থাকে। কাহিনী সেদিকেই এগিয়ে যায়। আপনারও সেরকম কিছু লক্ষ্য আছে, আমরা তার অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকুন।
আপনি ঠিক বুজেছেন আমি পরিকল্পনা বিহীন চলি।গল্পের কাহিনীগুলিকে ভাসিয়ে দেই আবগে।
লিখার আগে ও জানা থাকেনা কি লিখব।.আমি উদ্দ্যেশ্যবিহীন অগোছলো মানুষ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার লেখা কিন্তু গোছানো এবং আপনি একজন জ্ঞানী মানুষ আপনার কমেন্টস তাই বলে।