এই সময়ে
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1502বার পড়া হয়েছে।
আজ সকালে ঘুম ভেঙ্গে গেল অনেকদিন পর। জানালা র পর্দা সরাতে ঘরটা আলোতে ভরে গেল। সকালের আলো টা মনে দেহে আলোর পরশ বুলিয়ে দিল যুথী র। পাশে স্বামী আর মেয়ে গভীর ঘুমে অচেতন। ঘুমের মধ্যে দুজনে হাসছে। কি সপ্ন দেখছে কে জানে। তার জানতে ইচ্ছে হচ্ছে। বাবা মেয়ে দুজনের ঘুমের ধরন এক।
নাস্তা বানানো খাওয়া চা দেওয়া হাসান এর লাঞ্চ বক্স রেডি করা মেয়ের লাঞ্চ বক্স রেডি করা পরের দুইঘন্টা নিশ্বাস বন্দ করে কাজ করতে করতে একপর্যায়ে লোকটির কথা বেমালুম ভুলে গেল সে। হাসান কে বিদায় দিয়ে মেয়ে কে ঘুম থেকে উঠালো। মেয়ে কে নাস্তা খাইয়ে রেডি করিয়ে তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বের হতে এবার একেবারে লোকটির মুখোমুখি।
লোকটির চেহারা একেবারে উলুঝুলো উদ্ভ্রান্তের মত । দেখে মনে হয় ঘুম খাওয়া দাওয়া এসব মানবিক ব্যাপার থেকে সে বঞ্চিত। চেহারা দেখে চমকে যেতে হয়।
প্লিস প্লিস বলে কিছু বলার চেষ্টা করলো লোকটি। যুথী তাকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ট্যাক্সিতে উঠে বসলো।স্কুল এ যেতে যেতে সে স্বামীকে ফোন করলো। আর সে পারলনা টেনশন ধরে রাখতে।
শিগ্রী পুলিশ এ ইনফর্ম কর। অনেক দ্বিধা দ্বন্ধ এ শেষ পর্যন্ত পুলিশ এ ইনফর্ম করলো। দুপুরে স্কুল এ থেকে আসার পর পুলিশ স্টেশন থেকে অসংখ ফোন । তাড়াতাড়ি কাছের স্টেশন এ পৌছল স্বামী সহ .
সেই লোকটি বসে আছে। তাকে দেখিয়ে বলল
পুলিশ এর জিজ্ঞাসা এই কি সেই ব্যক্তি যে অনুসরণ করছে আপনাকে ?
যুথী মাথা নাড়াতে লোকটি বলল আমি আসলে ওনাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে গত কয়েক দিন অনুসরণ করছি। আমি একজন ব্লাইন্ড মানুষ।
যুথী সহ পুলিশ এর লোক ও চমকে গেল অন্ধ শুনে।
আমার পরিচিত স্মৃতি জড়িত একটা জিনিস স্মেল পাওয়া তে অনুসরণ করছি।
ওনার হাতে কি কোনো ব্রেসলেট আছে ?
যুথী অবাক হয়ে দেখায়। এটা একট বহুমূল্যের সংগ্রহ। এক স্প্যানিশ মহিলা তাকে দুইবছর আগে হোটেল কাজ করার সময় চেক আউট এর সময় গিফট দিয়েছিল।
ও আমার গার্ল ফ্রেন্ড ছিল। এই ব্রেসলেট ওর জন্মদিনে আমি ওকে । একটা ঘটনায় আমরা দুজনে বিছিন্ন হয়ে গিয়েছিলাম। আমি এখন ও ওকে খুজছি।
তুমি কি বলতে পার ও কোথায় আছে ? কিছু লজ্জায় বেদনায় সে বিবর্ণ হয়ে যায় লোকটির কথা না শুনে তাকে ভয়ংকর লোক মনে করাতে।
ওই ভদ্র মহিলা গেস্ট এর কথা সে প্রায় ভুলে গিয়েছে। ওই হোটেল এর জব ছেড়ে এসেছে দুবছর হলো।
লোকটিকে হোটেল ম্যানেজার এর ফোন নাম্বার দিয়ে কেস টা উইথড্র করে নিয়েছে।শুভকামনা জানিয়ে বিদায় নিয়ে আসল।
ছয় মাস পরের ঘটনা। এক দুপুর বেলা। দরজায় নক। দরজা খুলতে দেখা গেল পোস্ট অফিস এর লোক হাতে বিশাল পার্সেল। কোথা থেকে এলো বিশাল পার্সেল ভাবছে আর খুলছে প্রেরক এনরিচ ব্ল্যাক। কিছু মূল্যবান গিফট সামগ্রী এক গিফট সপ এর দলিল যা তার প্রিয়তমা জিনিস গচ্ছিত রাখতে চায়। চিঠিতে ছোট নোট সহ –
“যদি দয়া করে প্রাপক এর হাতে জিনিস গুলি পৌছাতে পার ” কৃতজ্ঞ থাকব।
এই ভদ্র মহিলার দেখা আর পায়নি। অনন্যোপায় হয়ে হোটেল এর মিউজিউম এ রেখে দিল সংগ্রহ হিসাবে ঠিকানা সহ। যদি কখনো ভদ্র মহিলা আসে সে যেন সংগ্রহ করে নিতে পারে।
মেয়েকে পিক করতে আজকে দেরী হয়ে গেল যুঁথীর।মেয়েকে পিক করে সামান্য রাস্তা মাঝে মাঝে হেটে আসে।তাদের মুখোমুখি এক কাপলকে যেতে দেখে চমকে উঠে।স্মৃতির পাতা হাতড়ে চিনতে পারে সেই ভদ্রমহিলা তার হোটেল গেষ্টকে।মহিলা টি অন্ধ তার সঙ্গী ও দেখা যাচ্ছে অন্ধ।দুইজনের হাতে ক্রাচ চোখে গ্লাস।
যুঁথী চমকে বলে উঠে হাউ আর ইউ মিস এমিলিয়া?ইউ রিকগনাইসড মি।
ওহ ইয়েস ইয়েস হাউ আই ফরগট ইয়োর লাভিং ভয়েস।আন্তরিকভাবে কর্মরদন করল যুঁথীর সামনে।যুঁথী ভদ্রমহিলাকে সব ঘটনার বিবরন সহ তার পার্সেল এর কথা বলল যেটা হোটেলে গচ্ছিত রাখা আছে।
সেই বছরে সামারে পিকনিকে তারা গিয়েছে ব্লাফারস পার্কে।তাদের সামনে এক কাপলকে দেখে চমকে উঠেছে যেমন আনন্দে মন ভরে গিয়েছে তেমনি।এই সেই দুই অন্ধ ভদ্রলোক ভদ্রমহিলা।পরস্পর পরস্পরকে খাইয়ে দিচ্ছে খুশী মুখে।দুজনের দৃষ্টি নাই কিন্তু মুখে তাদের স্বর্গীয় আনন্দ।যদিও ঠিক সে তেমন কিছু যে করেছে তাদের জন্য তা নয় তবু এই যে কোন না কোনভাবে এই দুজনের জীবনের সাথে একটা সংশ্লিষ্টতা হয়েছে তা ভাবতে ভাল লাগছিল যুঁথীর তাদের হাসিখুশী মাখা আনন্দিত মুখটা প্রানভরে দেখছিল এবং এইদুইজন যে পরস্পরের দেখা পেয়েছে তাতে আল্লাহর কাছে সে করজোরে কৃতজ্ঞতা জানায়।
১,৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
পাশে স্বামী আর মেয়ে গভীর ঘুমে অচেতন। ঘুমের মধ্যে দুজনে হাসছে। কি সপ্ন দেখছে কে জানে। তার জানতে ইচ্ছে হচ্ছে। বাবা মেয়ে দুজনের ঘুমের ধরন এক ———— অসাধারন অনুভব !!
গল্পের আইডিয়া দুর্দান্ত আপি —— ! আপনার মত লিখেতে ইচ্ছে করে ———– ।। শুভেচ্ছা নিরন্তর ।।
জসিম ভাই এমনভাবে দুর্দান্ত প্রশংসা করেন যে নড়ে চড়ে বসতে হয়। আমি চলন্তিকার জন্য আজকে অন্য গল্প লিখেছিলাম নুতুন। ভূল ক্রমে ওটা পোস্ট না করে এই গল্প টা এখানে পোস্ট করেছি। এই লিখা টা আগের কিছু ভুল ছিল। আজকে ইচ্ছে ছিল কিশোর সাহিত্য পোস্ট করব চলন্তিকায়। ঠিক আছে কালকে হয়তবা করব।
আমার ও আপনার মত কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে জসিম ভাই। দুর্দান্ত কবি আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্টসের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
একদিন অবশ্যই আমার চেয়ে ভাল কবিতা লিখবেন আপনি —— আর এই জন্য যা যা মশলা থাকার দরকার সব আছে আপনার উর্বর মনের ভিতর । শুধু নিয়মিত কবিতা পাঠ প্রয়োজন —–।। আমি নিরন্তর পথ চেয়ে আছি কবি আরজু মুনের ——– ।।
একদিন অবশ্যই আমার চেয়ে ভাল কবিতা লিখবেন আপনি ……সত্যি তাই মনে করছেন ? গ্রেট ফীল করছি।
যা যা মশলা থাকার দরকার সব আছে আমার উর্বর মনের ভিতর ++
হাআআআআআ
আমি নিরন্তর পথ চেয়ে আছি আমি কবি আরজু মুনের
হাআআআআআআআআআ
ধন্যবাদ জসিম ভাই উচ্বসিত প্রশংসার জন্য। শুভেচ্ছা পুনরায়।
হেসেই আমাকে উড়িয়ে দিলেন ———- !!!
নাগো
দেইনি গো
উড়িয়ে
তোমাকে।
এত শক্তি
সাহস
কোথা
থেকে
পাইবো ।
bah moon apu samotker anuvutir samahar tomar ai coto galpotir majhe ..seshtao sundor .. anek valo laga o antorikata roilo tomar jonno !
ধন্যবাদ বোন শাহানারা মন্তব্যের জন্য। অনেক খুশি হলাম। ভাল থাকবেন।
আপনার গল্প খুবই চমৎকার হয়। মাঝে মাঝে হিংসে হয় গল্প লিখতে পারি না বলে। শুভকামনা রইলো।
আপনার কবিতা খুবই চমৎকার হয়। মাঝে মাঝে হিংসে হয় কবিতা লিখতে পারি না বলে। শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ সাখাওয়াত ভাই কমেন্টসের জন্য। আপনি আপনার কবিতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যান। অনেক ভাল লিখেন।
হুমম মন্দ নয়। তবে আপনি এর চেয়ে ভাল লেখেন।
এই লেখা টা একটু কাচা হাতের হয়ে গেছে। আলমগীর ভাই ঠিক ই বুঝেছেন।
ধন্যবাদ ভাই কমেন্টসের জন্য
শুভকামনা রইলো।
আপনিতো দেখি সব্যসাচী; এতো লেখেন যে, কোনটা রাখি কোনটা পড়ি অবস্থা
লজ্জা পেয়ে গেলাম আপনার প্রশংসায় । সব্যসাচী আপনি আমি না. সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ আপনার অবাধ। আমার এখন অনেক শিখার আছে। কমেন্টস করে খুশি করে দিয়েছেন। আপনি শ্রদ্ধাভাজন। ভাল থাকবেন। কমেন্টসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।