এই সামান্য কাজটাই বা কজন করে?
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1353বার পড়া হয়েছে।
ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার মানসিকতা আমাদের সমাজে অনেকটাই বিরল। আর ওই কাজটিই তিনি করেছেন…..তিনি মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাংসদ সৈয়দ মহসিন আলী।তার অপরাধ তিনি জনসম্মুখে ধুমপান করেছেন……তাও আবার স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের সামনে!!!
তাঁর এই ভুলটা যতবড়ই হোক, আমরা তাকে ক্ষমা করতেই পারি…. কারণ তিনি আমাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে লজ্জিত হয়েছেন এবং ক্ষমা চেয়েছেন।ভুল স্বীকার করে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন…..বিবেকের তাড়নায় তিনি দায় স্বীকার করেছেন। ওই ভুল কর্মটি পুনরায় না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন……
মুখ ফসকে কত লাগামহীন কথাই তো বলে যাচ্ছেন আমাদের রাজনৈতিকরা….অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ থেকে শুরু করে আকাম কুকাম কী আর কম হচ্ছে জনসন্মুখে? কই, কাউ কে তো ক্ষমা চাইতে দেখিনা??? তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই…..এই সামান্য কাজটাই বা কজন করে??
স্যালুট সৈয়দ মহসিন আলী আপনাকে ….এই দুর্দিনে অপকর্ম করে তা স্বীকার করেছেন …… আপনার সহকর্মীদের জন্যে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছেন। রাজনীতিবিদদের এভাবে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া তো খুব একটা দেখা যায় না ….আপনি যে কাজটি করেছেন তা একটি সভ্য সমাজের রীতিনীতি অনুসরণ করেছেন……এই অপরাধবোধ টুকু সবার মধ্যে থাকবে আশা করছি।
১,৪৪২ বার পড়া হয়েছে
ভুল স্বীকার করার জন্য মন্ত্রীকে ধন্যবাদ । আপনাকে শুভ কামনা ।
ক্ষমা চাওয়ার পূর্বে ওনাকে একবার ভেবে দেখা উচিত ছিল যে ওনি একজন মন্ত্রী এবং পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বসা আছেন। এমন অবস্থায় ধূমপান করা উচিত নয়। কিন্তু সেটা তিনি করতে পারলেন না। যখন পত্রিকায় তার নামে সমালোচনার ঝড় উঠলো তখন তিনি ক্ষমা চাইলেন!তাই তাকে ধন্যবাদ দেওয়ার মত আমি কিছুই দেখছি না। বরং আমি এ ধরনের হিতাহিতজ্ঞানহীন লোকদেরকে তিরষ্কারই করব।
আমির ভাই জ্ঞান তো ঐটাই যিনি তার কান্ডজ্ঞানহীন কর্মটাকে পরে বুজতে পারে।এবং স্বীকার করে নেয়। হোকনা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পর? দেখিয়ে দেয়ার আগে বুজতে পারলে ভালো হত বৈকি।তবে আপনার সাথে আমিও একমত যে তাকে বুজতে পারা উচিত ছিল।কারণ তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন।আমির ভাই ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার ব্লগে গতকাল ভ্রমন করেছি। ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন আপনি।ভূল অন্যায় আমরা সাধারন মানুষ সবসময় করছি।এটা উপলব্দিতে আসা বড় ব্যাপার।তার জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাওয়াতে অবশ্যই কিছুটা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্যতা হয়েছে।ঠিক ই তো এই সামান্য কাজই বা কয়জন করতে পারে সাহসের সাথে অনুতাপের সাথে।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর লেখটির জন্য।ভাল থাকুন।
এই সামান্য কাজটাই বা কজন করে?………..প্রজেটিভ লেখা….লেখকের জন্য শুভকামনা
ক্ষমা চাওয়া একটি পজিটিভ লক্ষণ।কিন্তু ক্ষমতার দম্বে এরা যে কতটা বেপরোয়া হয়ে গেছে তার নমুনাও দেখলাম।
বাংলাদেশে থাকতে থাকতে আমরা, বিশেষ করে আমার মনটা ছোটই হয়ে গেছে । সবকিছুই বাকা চোখে দেখি । এই জন্যই আমার মনে হয়, লেখক ভুল করছেন অথবা কারনটি উহ্য রাখছেন ক্ষমা চাওয়ার ।
শাখ দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না, মাতাল মাস্তানরা মন্ত্রী হলে তো এমনই করবে , জন মতের চাপে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছে বলে তাকে ক্ষমা করতে হবে এমন নীতিতে আমি বিশ্বাসী নয়। ধরা খেলে কত চোর ডাকাত বাটপার পায়ে ধরে, তাদেরকে কি আমরা ক্ষমা করি?
তিনি আবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, এসব গাঁজাখোর, মদখোর মন্ত্রী সমাজের কি কল্যাণ করবে বলুন তো?
ভাই কাশেম, আপনার ভিন্ন মত থাকতেই পারে।তাতে আমার রাগ বা গোস্সা নেই।কিন্তু তিনি গাজাখোর কিনবা মদখোর কীনা তা আপনি জেনে থাকলে ভালো কথা।আমার জানা নেই। তবু আমি বলব সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।যতদূর জানি সৈয়দ মহসীন আলী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি রনাঙ্গনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন। জীবনের সব কিছু ত্যাগ করে দলের জন্য কাজ করে গেছেন সারাটি জীবন। তার কাছে যদি গভীর রাতে কোনো নেতা কর্মী যায়, এমনকি শুধু সিলেটের নয় দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে আসলেও তিনি সব সময় উঠে এসে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অতি সাধারণভাবে জীবন যাপন করেন তিনি। এই সবগুলো তথ্যই মিডিয়া থেকে জানা।তবু আপনাকে ধন্যবাদ, আলোচনায় অংশ গ্রহনের জন্যে।
মিন্টু ভাই, আজিম ভাই, নোমান ভাই আর বোন আরজু আপনাকেও ধন্যবাদ।
খুব ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য ভাই ।
খুব ভাল লাগল শুনে। মন্ত্রিকে ধন্যবাদ
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তবে ঘৃণ তারে তৃণ সমদাহে;
কেউ না জেনে অন্যায় করে ফেলে পরে ভুল বুঝে মাফ চাইলে তবে তাকে মাফ করা যায়, কিন্তু জেনে শুনে যে দম্ভ আর ঔদ্ধ্যাত্বের কারণে প্রকাশ্য জন সভায় এই কাজটা করলো তাকে কি ক্ষমা করা যায়?
একটা ঘটনা বলি , নিউ জার্সীর গভর্ণর অফিসে যাওয়ার পথে গাড়ী
দুর্ঘটনায় পড়ে , চালক ও গভর্ণর ২ জনই আহত হয় , তবে গভর্ণর
বেশী আহত হয়, তদন্তে ধরা পরে যে গভর্ণর সিট বেল্ট বাধেন নাই,
পুলিশ সাথে সাথে হাসপাতালে গিয়ে গভর্ণরকে প্রথমে স্যালুট দেন , তারপর ১০০ ডালারের ১টি টিকেট হাতে ধরাই দেন। বাংলাদেশে তো প্রকাশ্য ধুমপান করলে ৩০০ টাকা জরিমানা করার ১টা আইন আছে।
সভায় তো দেখলাম আশে পাশে পুলিশ বি ডি আর সবাই আছে, আর একজন মন্ত্রীর ও এটা জানা উচিৎ, তা ছাড়া কমন সেন্স বলে তো একটা কথা আছে, আছে না?
উনি মুক্তি যোদ্ধা , সন্মান করি অবশ্যই, তাই বলে আইনের উর্ধ্বে নন, নাকি সাত খুন মাফ?
ইউরোপ আমেরিকায় এরকম করলে কোন মন্ত্রীই পদত্যাগ ছাড়া পার পেতো না। কিন্তু বাংলাদেশে ভিন্ন কথা। আমি দল বা লীগ বুঝি না। তবে এমন একটা গর্হিত কাজকে কোন অবস্থাতে মেনে নিতে পারি না।
উদ্ধ্যত্ব, অহঙ্কার আর দম্ভের একটা সীমা পরিসীমা থাকা উচিৎ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
খুব ভালো বলেছেন কাশেম ভাই।আমি আপনার কথায় একমত।আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়।আর মন্ত্রীর এমনতর কাজের জন্যে তাকে আস্কারা দেয়া উচিত নয়।আমি বলছিলাম শুধু আমাদের এই দুষ্টু সমাজে আইন অমান্য করেও দাম্ভিকতা দেখিয়ে থাকে।আর রাজনীতিবিদরাই এটা বেশি বেশি প্রাকটিস করে। সেই ক্ষেত্রে এইটা একটা ব্যতিক্রম মনে হয়েছিল। তাই আমরা তাকে ক্ষমা করতেই পারি।আর ইউরোপ আমেরিকার কথা বলছেন।আমিও দীর্ঘ দিন যাবত ইউরোপ থাকি।প্রকাশ্যে আইন ভঙ্গ করলে এইখানে সাথে সাথে আইন ভঙ্গকারি ক্ষমা চেয়ে নেয়।যেই কাজটা আমাদের সমাজে কখনোই কেউ করতে চায় না। তারা করে, কারণ তারা সভ্য।আর হ্যা, তারা শাস্তিও পেয়ে যায়।সে যে কেউ হোকনা কেন।
প্রকাশ্য ধুমপানে মন্ত্রীর পদত্যাগ!! এমন হেডলাইন আপনি আশা করছেন কেন?? দেড়হাজার নারী শ্রমিকের কান্না কারো কর্ণ কুহরে প্রবেশ করিল না! কই মন্ত্রী তো পদত্যাগ করেনি। করবেনা। কারণ আমরা এখনো ইউরোপ আমেরিকা হইনি।তাই আমাদের সভ্যতা আমাদের এখনো ঐসব শিখায়নি।তাই বলে শিখবনা তা বলছিনা। সময় একদিন সয়ে যাবে যে!! ধন্যবাদ আপনাকে।
শওকাত আলী ভাই,
আশা করি আমার দুঃখ বুঝতে পারছেন,
এদের আমি আস্কারা দিতে চাই না, আস্কারা পেলে এরা জাতির সাথে মস্করা করে। হ্যাঁ ম খা আলমগীরের পাগলামীর কথা ও মনে আছে ,
এবং নিশ্চয় খবর পড়েছেন নিজের এলাকায় জুতা পিঠা খেয়েছেন।
আসলে বলতে গেলে আোনেক কথা ।তাই এখানেই ইতি।
ভাল থাকুন।