ওয়াও
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1396বার পড়া হয়েছে।
“আমাদের এবারের ব্যবসাটা ভালোই হয়েছে বলতে হয়” ইনেজ চেষ্ট করল অন্য সবাই কী ভাবছে।
“ভালো না ছাই।” যেন ইনেজের কথাগুলো সুহার পছন্দই হয়নি।
“শুধু শুধু এদিকটাতে আসাই ভুল হয়েছে। আমি যদি গিয়ে গ্লুটনের চামড়া না তুলছি…” হুত্রা মোটামুটি হাত মুঠ করে শূন্যে একটা ঘুষি পাকিয়ে দেখালো।
“আমি কিন্তু সেটা মনে করি না। দেখ আমরা অল্প কিছু কার্বন দিয়ে অনেক খানি অপরিবর্তন জ্বালানী পেয়েছি।” ইনেজ প্রতিবাদ করার চেষ্টা করল।
“হ্যাঁ পেয়েছি কিন্তু তুমি তার জন্য অল্পকিছু কার্বন বলতে পার না, আমরা দিয়েছি মুঠো ভরে আর ওরা দিয়েছে দুই আঙ্গুলের চিমটি দিয়ে।” সুহা বলল। ঠিক তখনই হুত্রা বলে উঠল, “গ্লুটন বলেছিল ওখানে গেলে বেশকিছু তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ পাব। তাও নাকি সস্তায়। ও ব্যাটা সস্তার মানে জানে?”
“তারপরও আমরা কিন্তু ভালোভাবে ফিরতে পেরেছি। আমাদের কাছে অনুমোদনের কাগজপত্র ছিল না। তারপরও ওরা আমাদের অপরিবর্তনীয় জ্বালানী দিয়েছে।” ইনেজ বাকী দু’জনকে বোঝাতে চাইল।
“সেটা বলতে পার, কিন্তু এমন অনুমোদনহীন কাজ কিন্তু অনেকেই করছে। আমরাও করেছি।” হুত্রা জবাব দিল।
“ধরা পড়িনি, অর্থে যদি বল যে ব্যবসাটা ভালো হয়েছে তাহলে মানা যায়।” সুহা হুত্রার সাথে যোগ করল।
ইনেজ সুহা আর হুত্রা একটি বিনিময় ভিত্তিক ব্যবসা করে ইলাক্স গ্রহানুপুঞ্জ থেকে ফিরছিল। বলা বাহুল্য যে তাদের সে ব্যবসার অনুমোদন ছিল না।
“আচ্ছা ওরা কার্বন দিয়ে কি করবে? আজকালতো কার্বন ভিত্তিক কারখানা ব্যবহারই হয় না।” ইনেজ অন্যদু’জনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করল।
“হ্যাঁ কার্বনের ব্যবহার নাই বললেই চলে। কার্বনের অপর্যাপ্ততা কিন্তু এর জন্য দায়ী।” সুহা একটা উত্তেজক পানীয়তে চুমুক দিতে দিতে বলল।
“তোমরা কার্বন নিয়ে ভাব। আমার অত সময় নাই। আমি ঘুমাতে যাব। আগামী একমাস তোমরা আমাকে ডাকবে না। আমি খুবই ক্লান্ত।” হুত্রা অলস ভঙ্গিতে এক টুকরো শক্ত খাবার মুখে দিয়ে হেলতে দুলতে চলে গেল।
সুহা কোন কথা না বলে পানীয়টা শেষ করল। তার চোখটাও আর জেগে থাকতে পারছে না।
খুব অল্প সময়ের মাঝেই ইনেজ একা হয়ে গেল। মাঝে মাঝেই তাকে একা থাকতে হয়। সে জানে সে ঠিক সুহা কিংবা হুত্রার মত না। সে কারও মতই না। সে অন্য সবার মত দেখতেও অত সুন্দর না। ল্যাবরেটরীতে তৈরী করা মানুষ সে। অবশ্য যদি তাকে মানুষ বলা যায়!
কোন এক বিজ্ঞানী খুব গবেষণা করে সিলিকনের বদলে কার্বন দিয়ে ভুল করে তাকে তৈরী করেছিল বহুবছর বহু শতাব্দী পূর্বে। সে সব তার এখনও মনে পড়ে। সময়ের ফেরে সেই বিজ্ঞানী অনেক আগেই হারিয়ে যায়। কোথায় আছে ইনেজ সেটা জানে না।
পানীয়তে চুমুক দিতে দিতে সে মহাকাশযানের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে। অন্য দু’জন যখন মাসের পর মাস ঘুমিয়ে কাটায় তখন সে সামান্য ঘুম দিয়েই আবার কাজ করতে পারে।
মহাকাশযান তখন প্রায় নি:সঙ্গ এলাকা পাড়ি দিচ্ছিল। হাজার কোটি কিলোমিটারের মাঝে কোন গ্রহ নেই নক্ষত্র নেই। নেই কোন গ্রহানু পর্যন্ত। চারদিকে যেন নীকষ কালো অন্ধকার। অন্ধকারের মাঝে প্রায় মীয়মান কিছু আলোক বিন্দু। ওরা সেদিকেই ছুটে চলেছে।
একসময় ইনেজ ঘুমিয়ে পড়ে। যখন ঘুম ভাঙ্গে তখনও দেখে সেই আলোক বিন্দু। হঠাৎই সে লক্ষ্য করে দূরের আলোকবিন্দুগুলো কখনও চারটা কখনও পাঁচটা। মাঝে মাঝে একটা আরেকটার মাঝে মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে। সে রহস্যটা ধরার চেষ্টা করছে। মহাকাশযানের টেলিস্কোপের সাহায্যে বুঝতে চাইল ব্যপারটা কি। মহাজাগতিক মানচিত্র অনুযায়ী ওখানে কয়েকটা গ্রহের কবর থাকার কথা।
আর সেটাও প্রায় দেড় হাজার কোটি কিলোমিটার দূরে।
হ্যাঁ গ্রহের কবরই।
প্রচলিত আছে, মাঝে মাঝে মৃত গ্রহ থেকে আলো বের হয় স্বাভাবিকের তুলনায় যখন বড় কোন গ্রহ মৃত হয়ে যায় যখন তাদের নক্ষত্র শ্বেতবামন হয়ে নিঃশেষ হয়ে যায় তখন সেই নক্ষত্রের গ্রহলোকে মৃত গ্রহ বলে। উদ্দেশ্যহীনভাবে সেইসব গ্রহ ছুটে চলে। সেসব গ্রহ থেকে সবাই নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে চলাচল করে।
অভিমুখ পরিবর্তন করে ইনেজ মহাকাশযানের গতিবেগ দ্বিগুণ করে দেয়। গতিবেগের বৃদ্ধির কারণে ইনেজ আর বসে থাকতে পারে না। সে বিশ্রাম কক্ষে দীর্ঘ নিদ্রায় চলে যায়।
যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন ইনেজের মনে হতে থাকে কোথায় যেন প্রলয়কান্ড ঘটে গেছে। মহাকাশযানের ভিতর বিকট শব্দে সাইরেন বাজছে। হুত্রা আর সুহা মহাকাশযানের নিয়ন্ত্রণ নেবার চেষ্টা করছে। ইনেজও দ্রুত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ছুটে গেল।
“আমরা ব্ল্যাকহোলের টানে পড়েছি।” হুত্রা মনিটরে বিভিন্ন সংখ্যার উঠানামা দেখতে দেখতে বলল।
তিনজন একদৃষ্টিতে দেখতে থাকে ধীরে ধীরে মহাকাশযানের নিজস্ব শক্তি ফুরাতে থাকে। জ্বালানীর গ্রাফটা আর মহাকাশযানের গতি দ্রুত শূন্যের দিকে যাচ্ছে।
“শেষ পর্যন্ত আমরা ব্ল্যাকহোলেই শেষ হয়ে গেলাম।” হতাশ হয়ে সুহা বসে পরে।
“বোধ হয় না।” বলেই ইনেজ দ্রুত বের হয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর যখন ইনেজ ফিরে আসে তখন ব্ল্যাকহোলের বহিরাবরণের প্রায় কাছে মহাকাশযান চলে আসে আর তখনই জ্বালানী সিগনাল সবুজ হয়ে আসে।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে মহাকাশযান ধীরে ধীরে ব্ল্যাকহোলের টান থেকে বের হতে থাকে।
“আমি অপরিবর্তনীয় জ্বালানীর পুরোটা জ্বালানী ট্যাংকে ঢেলে দিয়েছি।” ইনেজ বলল।
হুত্রা তখনও স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে ব্ল্যাকহোল আর মহাকাশযানের গতির যুদ্ধ দেখছিল।
“এবার মনে হচ্ছে ব্যবসাটা ভালো হয়েছিল।” সুহা হেসে উঠে ইনেজের পিঠ চাপড়ে দেয়।
“আমাদের হাতে সময় খুব কম।” হুত্রা বলল। “মহাকাশযান হয়তো ধীরে ধীরে ব্ল্যাকহোল থেকে বের হচ্ছে। কিন্তু ব্ল্যাকহোলের টান শেষ হলে ঐ জ্বালানীর প্রভাব কতটা পড়বে বুঝাতে পারছ? ”
সবার চোখ বিষ্ফোরিত হয়ে ওঠে। সামান্য কয়েকফোটা অপরিবর্তনীয় জ্বালানী যে কোন বড় ধরনের মহাকাশযানের শতবর্ষের বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটাতে পারে। একটা মাঝারি মানের মহাকাশযানের অর্ধশতাব্দীর জ্বালানীর প্রয়োজন মেটাতে পারে। আর সেখানে এই পরিমাধ! এটাতো মহাকাশযানকে আলোর গতিতে নিয়ে স্থান-কালকে অসীম বক্রতায় ফেলে দিবে। শক্তি বক্রতার যে সীমানায় গিয়ে শেষ হবে মহাকাশযানও সেখানে চলে যাবে। এ যেন হঠাৎই নিজ পরিচিত জগৎ থেকে হারিয়ে যাওয়া।
মহাকাশযান যখন আলোর গতিতে বক্রতার চলে আসে তখন যে বিপুল শক্তি তৈরি হয় তার ধকল সামলাতে না পেরে অভিযাত্রী তিনজনই জ্ঞান হারায়।
যখন জ্ঞান ফেরে তখন তারা আবার নিজেদের নক্ষত্রভরা মহাকাশে আবিষ্কাক করে। প্রথম তিনদিন লাগে শুধু অবস্থা বের করতে। মহাকাশযান চেনা জানা মহাবিশ্বের ঠিক উল্টো দিকে চলে এসেছে। আলোর গতিতে চলতে গিয়ে মহাকাশযান প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রধান জ্বালানী চেম্বার পুরোটাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
মহাকাশযানের ক্ষতি কতটা হয়েছে সেটা যখন বুঝতে পারে তখন দেখা যায় এর জ্বালানী প্রায় শূন্য।
“এবার মনে হয় বাঁচার আর কোন আশাই রইল না। ” হুত্রা হতাশ ভঙ্গিতে বলে।
অন্য দু’জন উত্তর দেয় না। হুত্রা অনুমান শতভাগ সত্যি।
ইনেজ তখনও মহাকাশের বিভিন্ন স্থানের নক্ষত্রের অবস্থানগত মিল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিল। হুত্রা সেটা দেখে বলে, “লাভ নেই। আমরা মহাবিশ্বের অপর পার্শ্বে।”
“হয়ত লাভ নেই কিন্তু দেখ বর্ণালী বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে এখানকার সকল গ্রহ উপগ্রহ কার্বন ভিত্তিক।” ইনেজ যেন সবচেয়ে অবাস্তব কথা বলল।
ইনেজ কী বুঝাতে চাইল সেটা অন্য দুজন বুঝতে পারল না।
“দেখ কার্বন আর সিলিকনের সুষম উপস্থাপন।” ইনেজ বলল।
এবার অন্য দু’জন যেন তড়িৎ গতিতে অবজারবেশন মনিটরে চোখ বুলাল।
“তারমানে এদিকটায় প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে।” হুত্রার চোখে যেন বিস্ময়।
“হতে পারে তবে গাঠনিক অবস্থা প্রাথমিক।” ইনেজ বলল।
“তাহলে আমরা এককাজ করতে পারি” সুহা বলে, “আমরা বিভিন্ন দিকে কিছু বেতার তরঙ্গ পাঠাতে পারি যদি কোন বুদ্ধিমান প্রাণী আমাদের তরঙ্গ ধরতে পারে তাহলে সাহায্য পেলেও হয়তো পেতে পারি।”
পরবর্তি কিছুদিন গেল যন্ত্রপাতি ঠিক করতে। অভিযাত্রীরা কেউই প্রকৃতঅর্থে মহাকাশযানের প্রযুক্তিগত ব্যাপারে অভিজ্ঞ না কিংবা তারা কেউই পরিপূর্ণ পদার্থবিদও না। তারপরও তারা কোনমতে চারদিকে চারটি বেতার তরঙ্গ পাঠাতে সমর্থ হয়। যদি কোন বৃদ্ধিমান প্রাণী এই তরঙ্গের মর্ম উদ্ধার করতে পারে তাহলে হয়তো কোন একদিন তারা উদ্ধার পেতে পারে।
এর কিছুদিন পর হুত্রা আর সুহা দীর্ঘ নিদ্রার চলে যায়। যাবার আগে শেষবারের মত সবাই এখানে কিছুটা সময় কাটায়। দীর্ঘ নিদ্রায় জ্বালানী অস্বাভাবিক কম খরচ হয়। টিকে থাকা যায় বহু শতাব্দী ধরে।
ইনেজ একা হয়ে পড়লেও সে এক গভীর টানে মহাকাশযানের জানালা দিয়ে মহাশূন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। এ যেন সবকিছু স্থির করে দিয়ে শেষ সীমানার জন্য অপেক্ষা করার মত। মানুষ যেদিন অমরত্ব আবিস্কার করেছিল সেদিন থেকেই মানুষ একা হয়ে যেতে থাকে। অমরত্বের ক্লান্তি যে কতটা ভয়াবহ ইনেজ সেটা বুঝতে পারে।
আর কতকাল তাকে অপেক্ষা করতে হবে কে জানে?
সে বারবার নিজেকে প্রশ্ন করে। উত্তর পায় না। কবে আসবে তাদের মুক্তিদাতা।
পরিশিষ্টঃ
অধ্যাপক জেরি আর এহমান ১৯৭৭ সালের ১৫ই আগস্টে বিগ এয়ার বেতার দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে সরু পরিসরের একটি বেতার সংকেত চিহ্নিত করে।
এটি ছিল শুধুমাত্র ‘ওয়াও’।
এই সংকেতটি সবার দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছিল কারণ এতে বর্হিজাগতিক প্রাণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। এই ধরণের সংকেত সৌরজগতের ভিতর থেকে আসার কথা নয়। এটি ৭২ সেকেন্ড বিরাজমান ছিল কিন্তু এরপর এই সংকেতটি আর পাওয়া যায়নি।
১,৪৩০ বার পড়া হয়েছে
ধন্যবাদ
বিজ্ঞান-কল্পকাহিনী চমত্কার হয়েছে । অনেক ভালো লাগা রইলো …
ওয়াও!
বাহ !এই গল্পটি আবার শুরু করেছেন দেখি। এই গল্প একপর্ব লিখে পরে কন্টিনিউ করেন নি। আমার অনেক পছন্দ হয়েছিল এই লিখাটা। আমি পড়া শুরু করলাম। শেষ করে আবার মন্তব্য। আপনার লিখা গুলি একবার দুইবার না বারবার পড়ার মত। আশা করছি এখন থেকে নিয়মিত লিখবেন। আমাদের আর বঞ্চিত করবেন না।
অনেক ধন্যবাদ চমত্কার লিখাটির জন্য। শুভকামনা রইল অনেক অনেক।
একসময় ইনেজ ঘুমিয়ে পড়ে। যখন ঘুম ভাঙ্গে তখনও দেখে সেই আলোক বিন্দু। হঠাৎই সে লক্ষ্য করে দূরের আলোকবিন্দুগুলো কখনও চারটা কখনও পাঁচটা। মাঝে মাঝে একটা আরেকটার মাঝে মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে। সে রহস্যটা ধরার চেষ্টা করছে। মহাকাশযানের টেলিস্কোপের সাহায্যে বুঝতে চাইল ব্যপারটা কি। মহাজাগতিক মানচিত্র অনুযায়ী ওখানে কয়েকটা গ্রহের কবর থাকার কথা।
আর সেটাও প্রায় দেড় হাজার কোটি কিলোমিটার দূরে।
হ্যাঁ গ্রহের কবরই।
প্রচলিত আছে, মাঝে মাঝে মৃত গ্রহ থেকে আলো বের হয় স্বাভাবিকের তুলনায় যখন বড় কোন গ্রহ মৃত হয়ে যায় যখন তাদের নক্ষত্র শ্বেতবামন হয়ে নিঃশেষ হয়ে যায় তখন সেই নক্ষত্রের গ্রহলোকে মৃত গ্রহ বলে। উদ্দেশ্যহীনভাবে সেইসব গ্রহ ছুটে চলে। সেসব গ্রহ থেকে সবাই নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে চলাচল করে। +++++++++++++++++++++++++++++
অসাধারণ এই অংশের বর্ণনা আনোয়ার ভাই। অনেক ভাল লাগা আপনার এই গল্পে। আপনার আর ও নুতুন নুতুন গল্পের অপেক্ষায় আছি। অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন। ভাল থাকবেন কেমন।
খুব ভাল লাগল প্রিয়।
খুবই ভালো লাগলো। চমৎকার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী।
Khub vhalo golpo . . . . . Onek vhalo . . . 3 bar porlam . . .
E rokom aro golpo pabo asa kori