খান ভবন হরর
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 808বার পড়া হয়েছে।
পঞ্চম পর্ব
ফাবি আইয়্য়ী আলায়ে রাব্বি কুমাতি কাজ্জিবান
হুজুর চোখ বন্দ করে তখন থেকে সুরা আর রহমান পড়ছেন
তবে তুমি আল্লাহ র কোন অনুগ্রহ কে অস্বীকার করবে ?
ভাই সাহেব রা আমারে কাগজ কলম দেনতো। হুজুর কাপতে কাপতে বলল।
দাড়ান এখন কোথায় যে কাগজ কলম আছে কে জানে। দেখছি ওয়েট।
কিছুক্ষণ পরে ওনার পকেট থেকে নোট প্যাড জাতীয় ছোট কাগজ পেলেন সেটাই দিলেন। জিজ্ঞাসা করলেন কি করবেন হুজুর ?
তাবিজ বানাবো ভাই। ঘরের চার কোনায় চার আয়াতুল কুরছি লাগাবো।
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হায়ুউল কাইয়ুম
লা তা খুজু হু ছিনা তু ওয়ালা নাউম।লিখে ঘরে চার কোনায় রাখতে যাবেন চিত্কার করে হুজুর আবার ছুটে এলেন।
ভাইজান আমারে জোরে আবার চপেটাঘাত করছে কোন পিশাচ জানি।
কি সব উদ্ভট কথা। এইসব আপনার কল্পনা মাউলানা ভাই । সামিয়ার এক বন্ধু হেসে বলে। যদিও এই বাড়ির কান্ডকারখানায় সেও রীতিমত ভয় পাচ্ছে মনে মনে। সামনা সামনি তা স্বীকার করছেনা।
রহমান সাহেব আক্ষরিক অর্থে হতাশ হয়ে পড়লেন। এদিকে বাহিরে এখন তুমুল ঝড়ের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। চাইলে ও এখন বের হওয়া যাবেনা। দুই পুলিশ এর অবস্থা ভয়াবহ। কুকুর এর কামড় জায়গায় ফুলে ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে। তাদের কে এক্ষনি হাসপাতাল এ না নিলে ওই জায়গা গ্যাংরিনের রূপ ধারণ করতে পারে।
অবশেষে এই সিদ্বান্ত নেওয়া হলো দুই পুলিশ এর সাথে আরো দুইপুলিশ সহ রহমান সাহেব কাছে র পরিবেশ একটু দেখে আসবে তার সাথে কাছে পিঠে হসপিটাল পেলে ক্ষত তা ব্যান্ডেজ করে আসবে।
ড্রাইভার প্রথমে একটু গাই গুই করছিল। এই বাজে হাওয়ায় কিভাবে যাইবেন আমি কিছু বুঝবার পারছিনা স্যার।
রহমান সাহেব তাদের সঙ্গে যাচ্ছেন দেখে স্ত্রী মেয়ে দুজনে কান্না শুরু করলেন। স্ত্রী কিছুতে যেতে দিবেন না। অনেক বুঝিয়ে তিনি ও বের হলেন এদের সঙ্গে।
ভাইজান সবাইকে দেখে রাখেন। হুজুর আল্লাহ র কালাম পড়েন।হুজুর কালাম পড়বেন। হুজুর কে মনে হচ্ছে অপ্রক্তিস্থের মত।
ভাইজান কি কালাম পড়ব। এ হচ্ছে শয়তান পিশাচের ঘর। আল্লাহ র পাক কালাম কোনো কিছু ই মানতেছেনা।
ওনারা বের হওয়া মাত্র খুব শক্ত করে দরজার ছিটকানি লাগিয়ে দেওয়া হলো।
তারা গাড়িতে উঠলো। প্রবল বাতাসের বেগ কে অগ্রাজ্য করে গাড়ি চালানো শুরু করলো।
গাড়ি চালানো মাত্র শুরু হতে উড়ে এসে লাফ দিয়ে সামনের মিরর এ কিছু একটা পড়ল।
সামনে র গ্লাস ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে গেল। ড্রাইভার লাফ দিয়ে শুয়ে পড়ল। আরেকটু হলে তার চোখে মুখে সব কাচ বিধে যেত। তার পর ও কাচের একটু আচড়ে গালের এক পাশে একটু কেটে গেল। ড্রাইভার হাউ মাউ করে চিত্কার করে উঠলো।
বললাম আপনাগো বাজে হাওয়া। এর মধ্যে আপনারা বাহির হইবেন।
না বাহির হই কি করবেন ড্রাইভার সাহেব। এই জায়গা তো আরো বিপদজনক। তাছাড়া ওনাদের নিয়ে তো হসপিটাল এ যেতে হবে। বললেন রহমান সাহেব।
অস্থির হয়েন না ড্রাইভার সাহেব আমরা সবাই বিপদে। এইসময় মাথা ঠান্ডা রাখেন।
এই সময় দেখা কিছু একটা ভয়ংকর ভাবে তাদের গাড়ির দিকে তড়া করে আসছে।
এটা কি ড্রাইভার চিত্কার করতে থাকেন
লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আজিম।
সত্য গাড়ির আলোয় তারা যা দেখল সবার আত্মা উড়ে গেল ।
অনেক গুলি অতিকায় বিকট দর্শন নেকড় তাদের গাড়ি র সামনে আসতে শুরু করলো।
পুলিশ এর সেন্ট্রি রা নিরুপায় হয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করলো।
(পরবর্তীতে)
৮৯৫ বার পড়া হয়েছে
খুবই সাবলীল ভাষায় লিখিত গল্প; আমার খুব ভাল লেগেছে । আগের পর্ব গুলি পড়িনি; সময় পেলেই পড়ে
নেব । আপনার সম্পর্কে আজ জানলাম । আপনার মন মনন অত্যন্ত উঁচু মানের । সালাম নিবেন । ভাল থাকবেন; অ-নে-ক ভা-ল —— ।
আপনার প্রশংসা তো অনেক উচ্চমানের হয়ে গেল। আমি খুব খুশি হয়েছি যদিও আমি অত্যন্ত সাধারণ মনের একটা মেয়ে। সবসময় লেখা পড়বেন প্রেরণা দিবেন । ভালো থাকবেন ।
আপি ভুত ভয় পাওনা। অনেক সুন্দর লিখে যাচ্ছ। অনেক ভাল লাগল…
ভয় যখন পাওয়ার তখন পাই বিশ্বাস করি আর না করি।মন দূর্বল হলে ভয় পাই।তারপরে ও লিখছি সবার আনন্দের জন্য।মানুষ ভয় পেতে ভূতের গল্প পড়তে ভালবাসে।ধন্যবাদ আপি কমেন্টসের জন্য।
চলতে থাকুক অবিরত….
লেখার স্টাইল ভালো আছে।
ধন্যবাদ জায়েদ ভাই।এই প্রথম আপনাকে আমার পেজে পেলাম।আশা করছি সামনে থেকে পাব।শুভকামনা রইল।
খুবই ভাল লাগল।
ধন্যবাদ আমির ভাই।
“ফাবি আইয়ি আলা ই-রাব্বিকুমা তুকাজ্জীবান” হবে বোন,
গল্প তো চমৎকার , অনেক ভাল লাগা।
শুভ কামনা।
তবে কাশেম ভাই আল্লাহর কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবেন।এত সুন্দর লেখার ক্ষমতা দিয়েছেন।ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।ভাল থাকবেন।
দারুন লাগছে ।
পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় রইলাম ।
অনেক শুভকামনা ।
ধন্যবাদ সুমন মন্তব্যের জন্য।
ভাল লাগছে লেখা । লিখে যান অবিরত । শুভ কামনা ।