দুইজন অমরাবতীর গল্প (বিজ্ঞান কল্পকাহিনী )
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 800বার পড়া হয়েছে।
দুইজন অমরাবতীর গল্প (বিজ্ঞান কল্পকাহিনী )
পূর্ব প্রকাশিতের পর
মোর বীনা উঠে কোন সুরে বাজে
অভিনব চঞ্চল ছন্দে ছন্দে
গানের সুমধুর সুরে ত্রিনিদাদ এর ঘুম ভেঙ্গে গেল
আহা গো কে গায় গো
এত সুন্দর করে
আশেপাশে তাকিয়ে শিল্পী কে খুঁজে পেলনা ত্রিনিদাদ
ওহ গ্রামাফোনে বাজছে শিল্পীর নামটা দেখি সে অবশ্যই তার আবিস্কার শিল্পীর নাম উত্সর্গ করবে
গ্রামাফোন এর কাছে রেকর্ড খুজতে গিয়ে দেখতে গিয়ে বন্ধ গ্রামাফোন
তবে কে গাচ্ছে ?
নীরা ? আশ্চজ্য
গানের শব্দ অনুসরণ করতে করতে ত্রিনিদাদ পৌছল ল্যাব এর পিছনে র খোলা প্যাসেজ এ
যা দেখল তাতে ত্রিনিদাদ এর নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার জোগাড় হলো
ঠিক যেন কোনো সিনেমার দৃশ্য
নীরা পরে আছে অপূর্ব মনে হচ্ছে নীল্ রঙের একটা রোব জাতীয় ড্রেস
দোলনাতে দোল খেতে খেতে অপুরূপ মহিমায় সে গান গাচ্ছে
মোর বীনা উঠে কোন সুরে বাজে
অভিনব চঞ্চল ছন্দে ছন্দে
মোর বিনা উঠে কোন সুরে বাজে
অভিনব চঞ্চল ছন্দে ছন্দে
সে ডিসিশন এ আসল আজকে সারাদিন এই অপুরূপ এর সাথে সময় কাটাবে ল্যাব এ ঢুকবেনা কি দরকার ল্যাব এ কঠিন বিজ্ঞান সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করার ?
কি সহজে মেয়েরা পুরুষ কে তার দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত করে ফেলে তার মোহনীয় রমনীয় সৌন্দর্জ এ অবাক হয়ে ভাবে ত্রিনিদাদ
ত্রিনিদাদ কাছে এসে অন্তরঙ্গ ভাবে দোলনায় নীরার পাশে বসে পড়ল এবং তা করলো জীবনে প্রথম বার এর মত গভীর আবেগ এ কোনো মেয়ের মস্তিস্ক তার বুকে স্থাপন করলো এরপর জিজ্ঞাসা করলো
নীরা আমার বুকে মাথা রেখে তোমার কি মনে হচ্ছে ?
আপনি অনেক আবেগতাড়িত কিন্তু কেন ? বললে ও নীরার চোখে আবার সেই সোনালী আলোর ঝিলিক দেখতে পেল
ত্রিনিদাদ জীবনে প্রথম বার এর মত কোনো মেয়েকে তার কাপড় এর আবরণ সরিয়ে দেখতে চাইল এবং দেখল এবং তীব্র আবেগ বোধ করলো সম্পূর্ণ রূপে মানবীয় এই শরীর এবং এই যন্ত্র মানবী টির প্রতি
সেটা সে সম্ভবত না করলে ই ভালো করত তাহলে অন্তত সে আরো কিছু দিন যেমন বেশি বাচত তেমনি পৃথিবীর মানুষকে দিতে পারত
উপহার এক যুগান্তকারী আবিষ্কার
কিন্তু তা আর হলনা প্রচন্ড শব্দে বিস্ফোরিত হলো ত্রিনিদাদ এর ল্যাব
সারা ল্যাব এ আগুন ধরে গেল খুব বড় একটা আগুনের গোল্লা এসে আঘাত করলো ত্রিনিদাদ এর বুকে যে বুকে কিছু ক্ষন আগে নীরা মাথা রেখে শুয়ে ছিল সঙ্গে সঙ্গে ত্রিনিদাদ এর সারাশরীরে আগুন ধরে গেল
কযেক সেকেন্ড এর সে একশ পার্সেন্ট বার্ন হয়ে গেল
শেষবারের মত তার প্রিযমানবী র দিকে তাকাতে তাকাতে প্রবল যন্ত্রনায় মৃত্যু বরণ করলো
বিজ্ঞান এর অবদান যেমন বলিয়া শেষ করা যায়না তেমনি বিধ্বংসী ভূমিকা কিছু কম নহে তা আমরা উপলব্ধি করতে পারি হিরোশিমা নাগাসাকি র দিকে তাকালে l
আমার এ পর্ব টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এ জাপান এর হিরোশিমা নাগাসাকি তে পারমানবিক বোমার বিস্ফোরণে যাদের মৃত্যু হয়েছিল তাদের উদ্দেশ্যে l
————————————————————————————————————
গ্যালাক্সি এর আপল অন্রইদ এ সকাল থেকে রাত অবধি ইমার্জেন্সি লাইট টি জ্বলছে আর নিভছে
প্রায় দশ হাজার নিরাপত্তা কর্মী এসে জায়গা টাকে বড় ফানেল এর কভার এ সিল করে আলাদা করে দিল যাতে হিলিয়াম এর বিষাক্ত প্রভাব এ এই গ্যালাক্সি এবং পৃথিবীতে আর কোনো বড় মানবেতর বিপর্যয় না হয় l
দুর্ঘটনার খবরে পাগলের মত ছুটে আসলেন এথেনা ত্রিনিদাদ এর পোড়া অঙ্গার দেহ দেখে পাগলের মত চিত্কার করে উঠলো
হায় আমার ত্রিনিদাদ এভাবে আমাদের ছেড়ে কিছুতে যেতে পারনা অপ্রকৃস্থিতের মত মাথা নাড়াচ্ছে আর এক কথা বারবার বলছে সে কিছুতে বিশ্বাস করতে তার এই প্রাণ প্রিয় ভাইটির সাথে আট ঘন্টা আগে কথা হয়েছে সে ছিল খুব প্রানোচ্ছল হাসি খুশি তার নুতুন আবিস্কার নিয়ে সে ছিল অনেক উত্তেজিত
এর মধ্যে সে বোন্ এর সাথে খুনসুটি ও করলো কিছু কিছু ক্ষন
এই আপা অমিত প্রেমে পড়ে গেছি এক বিশ্ব সুন্দরীর পটার ফাদার কে নিয়ে চলে এস সম্ভব হলে এক্ষনি বিয়ে করব
কে রে এথেনা উত্তেজিত কোথায় থাকে ?
এই মুহুর্তে আমার কোলে বসে আছে এখন আমি ওকে নিয়ে বিজি থাকব
তোমার সাথে পরে কথা হবে বাই বলে ফোন কেটে দিল
নীরার চুলের গন্ধ শুকতে শুকতে নীরার নারী দেহের নির্ঝাস নিতে নিতে বিস্ফোরণের আগুনে ত্রিনিদাদ এর মৃত্যু আমাদের সবার ই জানা
এথেনা র সৎ ভাই ছিল ত্রিনিদাদ তাতে ভালবাসতে কোনো অসুবিধা হয়নি
দুজনের বাবা এক মা আলাদা
জেরমিক্স সান্তনা দেওয়া র চেষ্টা করছে এথেনাকে
জেরমিক্স এই ল্যাব সাত নং প্রকোষ্ঠের সপ্তম তরুণ বিজ্ঞানী
তার কাজ হচ্ছে ক্লোন ও রোবট নিয়ে
ইরা এবং নীরা এই দুই রোবট তৈরিতে এথেনার সাথে তার প্রচেষ্টা ও ছিল সীমাহীন
হটাত তার মাথায় বিদ্যূত চমকের মত এই আইডিয়া খেলে গেল
তাইত আমাদের সর্বাধুনিক ক্লোন এ কেন ত্রিনিদাদ এর ব্রেন এবং হার্ট অন্য কারো থেকে নিয়ে দেখা যাক আমার প্রানপ্রিয় বন্ধু কে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় কিনা
দীর্ঘ পনর ঘন্টা পরে তার মুখে হাসি ফুটল l
(পরবর্তিতে)
৮৬৮ বার পড়া হয়েছে
বেশ তো লিখেছেন !
অনেক ভাল লাগল ।
ধন্যবাদ শান্ত
অনেক ভাল লাগা
অশেষ ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন সব সময়।
লাইন গুলো বেশী ফাক হওয়ায় পড়তে অসুবিধা হচ্ছে।