দুইজন অমরাবতীর গল্প
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 788বার পড়া হয়েছে।
ভূমিকা: দুইজন অমরাবতীর গল্প আমার প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী।পূর্বে এটা ধারাবাহিকভাবে চলন্তিকায় প্রকাশ হয়েছিল।এই গল্পটা অসমাপ্তভাবে শেষ করেছিলাম।এখন মনে হল আর ও কিছু লিখা উচিত।সবার সুবিধার জন্য পুরা লেখাকে একসঙ্গে এখানে পোষ্ট করলাম যাতে পরে লেখার ধারাবাহিকতা খুজে পায়।তো মুল লেখায় চলে যাচ্ছি এখন।ধন্যবাদ।
================================================================================================================
ইরা হচ্ছে সপ্তম গ্যালাক্সির চতুর্দশ কক্ষের এনারয়েড রোবট । আজকে তার জন্ম ঘড়িতে সময় এখন ২৪:৫০:৫৬।দশবিিজ্ঞানাগাারে আগে এই গ্যালাক্সির অত্যাধুনিক এ জন্ম হয়েছে তার আরেক সহোদরা নীরা একই প্রযুক্তি ব্যবহার এর মাধম্যে ।
তাদের দুইজনের বিশেষত্ব হচ্ছে তাদের যান্ত্রিক মস্তিস্কের কোষ এর সাথে এই প্রথম মানব এর ব্রেন এবং কৃত্তিম হার্ট সংযোজন করা হয়েছে।
তা করা হয়েছে গ্যালাক্সির পরিচালক ও সম্রাজ্ঞী এথেনা আর তার মেয়ে রিথিনার ইচ্ছেতে ।
সবাই বিরক্ত বোধ করতে সুরু করেছে সব যান্ত্রিক রোবট এর যান্ত্রিক কথায়
সবার মনের দাবি প্রানের দাবি মানবিক আবেগ সম্পন্ন রোবট চাই।
ইরা রোবট টি ভারী চমত্কার ভারী মানবিক । এই কয়দিনে এথেনা তাকে ভালোবেসে ফেলেছে ।
কাজ করতে করতে সে অবসাদগ্রস্থ ।সে ঠিক ই বুজে নিবে এথেনা ক্লান্ত । করবে ঠিক তাই যা এথেনার ক্লান্তি নিমিষে দূর করে দিবে ।
ম্যাডাম আপনাকে কিঞ্চিত ক্লান্ত মনে হচ্ছে । আমি কি করতে পারি আপনার ক্লান্তি নিরসনে ?
বলবে তার অপূর্ব সুরেলা মেয়েলি কন্ঠে । এটা তাদের সাম্প্রতিক সংযোজিত টেকনোলজি ।
এথেনার আবেগ চলে আসে তার নিজের শিল্পকর্মে . বলতে গেলে তার নিজের হাতে গড়া এই দুইটি রোবট ইরা নীরা দুই সহোদর ।
বলে এথেনা কি করতে চাও কর
আমি কি আপনার মাথায় তেল দিয়ে ম্যাসাজ করে দিতে পারি ? .আমার বিশ্বাস আপনি ভালো বোধ করবেন ।
তুমি পারবে ? দেখি করত
আমি বড় ক্লান্ত এবং হতাশাগ্রস্ত ইরা তোমার সাজেশন টা কি কিভাবে এই হতাশা দূর করা যায় ?
দূর হয়ে যাবে ম্যাম কাজ করতে করতে ।তবে আপনার ভালো পিচফুল ঘুম দরকার ।আপনি সম্ভবত ঘুমান না রাতের পর রাত ।
এথেনা মাথা নাড়ে ।
গ্রামাফোনে গান ছেড়ে দিল ইরা
একবিংশ শতাব্দীর সেই বিখ্যাত ইন্ডিয়ান শিল্পী লতা মঙ্গেশ গান তার অপূর্ব সুরেলা গলায় গাইছে
প্রেম একবার এসেছিল নিরবে
আমার ও দুয়ার ও প্রান্তে
এত হায়
মৃদু পায়
এসেছিল পারিনি কি জানতে
প্রেম একবার এসেছিল নিরবে
এসেছিল বাতাস তো বলেনি
গান শুনতে শুনতে হারিয়ে যায় তার কলেজ এর সেই মধুর জীবনে
আহ সেই সময় গুলি এখন কত দুরে
গালাক্সী এর এই অপলে মারকারি প্রতিষ্ঠান এর রোবট এর ব্যবসা সূচক ক্রমাগত নিচের দিকে নেমে আসছে ।
এই অবস্থা য় কি করা যায় সে জন্য মিটিং এ ডাকলো তার বাল্য বন্দু হলম তেলানকার কে ।
এথেনার বর্তমান হতাশার কারণ এটা ।
————————————————————————————————————
মানুষ যেন আর এই রোবট গুলি কে সহ্য করতে পারছেনা । বিশেষত নিরাপত্তা কর্মী রোবট গুলো হয়েছে মানুষের দুই চোখের বিষ ।নিরাপত্তা কর্মী রোবট গুলি মানুষের জীবন কে একেবারে অস্বাভাবিকতায় নিয়ে গিয়েছে ।নিরাপত্তার বদলে মানুষের এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা মানুষরা বলছে এই গর্দভ রোবট এর হাত থেকে পরিত্রান চায় । এমনকি মানুষ এখন তার নিরাপত্তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেনা ।
হয়তবা প্রেমিক প্রমিকা বসে আছে পার্ক এ প্রেমিক প্রেমিকার চুলে গুজে দিছে ফুল , কোথা থেকে নিরাপত্তা কর্মী রোবট এসে একটানে প্রিয়ার চুল সহ ছিড়ে ফুল নিয়ে ফেলে দিবে আর ধাতব যান্ত্রিক স্বরে বলতে থাকবে
ডেঞ্জার ডেঞ্জার সিস্টেম এলার্ট ক্লিয়ার ক্লিয়ার ।
তাকে বুজানো সম্ভব না যে ফুল প্রাকৃতিক সুন্দর জিনিস এটাতে কোনো বিপদজনক জিনিস নাই ।
যান্ত্রিক স্বরে ঘ্যান ঘ্যান করে বলতে থাকবে
মহাশয় আপনি যা করিতেছেন তাহা ঠিক না ।আপনার নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ ।এই বেকুব রোবট গুলি এর জন্য মানুষ এর অবস্থা হয়ে পড়েছে শোচনীয় ।
স্বামী স্ত্রী বিছানায় শুয়ে আছে পরস্পরকে আদর করতে যবে মূর্তিমান রস্ভঙ্গের মত দরজা ভেঙ্গে ঢুকে পড়বে এই রোবট এসে দাড়িয়ে পড়বে দুইজনের মাঝখানে ঝন ঝন ধাতব গলায় বলবে
মহাশয় এই শারীরিক ক্রিয়া আপনার জন্য হানিকারক ।
কোনো স্বামী ছুড়ে মারে ফুলদানি কেউ বা তার সাথে মল্লযুদ্দে অবতীর্ণ হয় ।
গোসল করা ওয়াশরুম সর্বক্ষণ তারা অনুসরণ করতে থাকে মানুষকে ।
এদের কে ফেরত দিলে ও তারা বাসা খুঁজে ঠিক চলে আসে ।দরজা তালা লাগানো থাকলে লাথি মেরে ভেঙ্গে ঢুকে পড়ে ঘরে ।
মানুষের অবস্থা পাগল এর মত হয়ে গিয়েছে । গালাচ্টিক সমাজে খুব বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে ।মানুষের মনে আনন্দ নাই প্রেম ভালো বাসা স্বাধীনতা নাই প্রাইভেসী নাই ।
সার্ভে তে এসব তথ্য দেখে যারপর নাই এথেনা খুব হতাশ এই রোবট গুলি ধংশ করা ছাড়া উপায় নাই সামাজিক শৃখলা ফিরিয়ে আনতে ।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রান এর জন্য সে ত্রিনিদাদ এর সাহায্য চাইল ।
==========================================================================================================================================
নীরার জব হয়েছে এই গালাক্সী সহকারী পরিচালক ত্রিনিদাদ এর সহকারী হিসাবে সে দেখছে এই পাগল বৈজ্ঞানিক সারাদিন ল্যাব এ ফাইল কেমিকাল এর স্তুপ এর মধ্যে বসে থাকে । তার কোনো খাওয়া নাই বিশ্রাম নাই ।
নীরার খুব মায়া হতে থাকে ইচ্ছে হয় অপুরূপ সুদর্শন পাগল বৈজ্ঞানিক কে গিয়ে হাতে তুলে খাইয়ে দেয় ।
সে কাছে এসে জিজ্ঞাসা করে
জনাব খাদ্য কি উপাদেয় হয়নি ?
আপনি কেন এখন ও ভক্ষণ করিতেছেননা ?
ত্রিনিদাদ ডুবে ছিল এটম হিলিয়াম এর ক্ষুদ্রাতি কনা র মূল্যবান প্রয়োগে কি করা যায় । সেই চিন্তায় কিভাবে হিলিয়াম বা হিলিয়াম এর কতটুকু ব্যবহার পর ও পৃথিবীকে মানবিক কোনো আবিষ্কার এর কাছাকাছি নেওয়া যায় ধ্বংস না করে । যেসব লাইফ থ্রিয়েটেনিং ডিজিস ব্লাড ক্যান্সার এইডস এর জার্ম এই ধংসাত্মক শক্তিশালী জার্ম গুলিকে সঙ্গে মাইক্রো মিলিয়ন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হিলিয়াম এর কোনায় যদি ধ্বংশ করে দেওয়া যায় তবে অদূর ভবিষতে মানুষের ক্যান্সার সারানো র জন্য কেমোথেরাপি লাগবেনা , তারা খুব সহজে ছোট অপারেশন এর মাধ্যমে নিজে কে কিউর করতে পারবে । চিকিত্সা বিজ্ঞানে এক নুতুন দিগন্তের সূচনা হবে ।সে গবেষণায় দিনরাত নাওয়া খাওয়া ভুলে পড়ে আছে এমনকি ক্ষিধা তেষ্টা সে কিছু বোধ করছেনা ।
প্রথমে কিছুক্ষণ অভিভূতের মত তাকিয়ে থাকলো এই মানবিক নারী রোবট টির দিকে সে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো ।
আরে আজব তো এ দেখি ব্লাশ করছে রহস্য কি সে কৌতুক এর চোখে তাকিয়ে থাকলো ।
তারপর হেসে ফেলল হায় রোবট ও ট্রাই করছে মানুষ হতে আমরা মানুষ কোথায় যাব ? আমাদেরকে তাহলে ঈশ্বর এর অবস্থায় যেতে হবে ।
ত্রিনিদাদ এর হাসিতে নীরা অপ্রস্তুত হয়ে গেল
বিব্রত হয়ে বলল আমি কি কিছু ভুল বলেছি ।
নীরার চোখে আবার সেই সোনালী নীল্ আলো দেখা গেল যা একজন পুরুষ তার প্রেমিকার চোখে সবসময় দেখে ।
স্ট্রেঞ্জ তো ত্রিনিদাদ মনে মনে হাসে . কোনো সহপাঠি আমার প্রেমে পড়ে নাই কখনো এই রোবট তো মনে হচ্ছে প্রেমিকা নারীর মত ।
সে তাড়াতাড়ি প্লেট হাতে নিয়ে একচামচ খেল এবং বলল হেসে
ইহা অতি উপাদেয় খাদ্য হইয়াছে বলে সে নিজে হেসে ফেলল জোরে ।
নীরা কিছু বুঝতে পারলনা ত্রিনিদাদ এর হাসিতে সে মন খারাপ করে বারান্দায় এসে দাড়ালো ।
সত্যি খাওয়ার গুলি আসলে উপাদেয় যদি রোবট এত মজার খাওয়ার রান্না করে আমার আর বউ এর দরকার কি হাসতে হাসতে ভাবলো না রোবট এর কি মেয়েলি মানবিক বডি থাকবে ?দেখতে হবে এই মেয়েটির বডি কিরকম সত্যি কি আমাদের মেয়েদের মত না অন্যরকম ? এই ধারণা আসা মাত্র সে লজ্জা পেল ।
কি সব ভাবছে পাগল এর মতো ।পরপর কয়েক রাত না ঘুম হওয়াতে তার মনে হয় পিসি ক্রাশ করছে সে রোবটকে নিয়ে প্রেমের স্বপ্ন দেখছে ।
দাড়াতে গিয়ে সামনে আয়নায় চোখ পড়ে গেল । না দেখতে শুনতে সেত ভালো ই বিভিন্ন এঙ্গেল এ দেখতে লাগলো নিজেকে তারপর হেসে ফেলল ।
গ্রামাফোনে জোরে গান ছেড়ে দিল
মোরে ভাবনারে কে হওয়ায় মাতাল
দুলে মন দুলে অকারণ হর্ষে ।
সে ও হেড়ে গলায় গাওয়ার চেষ্টা করলো তার নয়েস হোক নিরা ছুট এ এলো বারান্দা থেকে
কি হইয়াছে আপনার আপনি ঠিক আছেন তো ?
হা আমি এত ঠিক কোনদিন ছিলামনা
মোর ভাবনারে কি হওয়ায় মাতাল
কাছে এসে বলে এই তোমার নাম কি আমার মাথায় একটা টোকা দাও তো দেখো আমার পিসি ঠিক আছে নাকি ?মনে হচ্ছে ছোটো খাটো ক্রাশ হয়েছে।
নীরা কিছু বুজতে পারলনা এই মানুষটির হটাৎ এই অহেতুক ইমোশন এর কারণ কি ? মাঝে মাঝে তার জানতে ইচ্ছে হয় কেন মানুষ এত অকারণে হাসে অকারণে কাদে ।
সে বিহবলের মত তাকিয়ে রইলো চমত্কার সুদর্শন পুরুষটির দিকে । তার ও নিজেকে একসময়ে মানবী মনে হতে লাগলো ।
==============================================================================================================================================
মোর বিনা উঠে কোন সুরে বাজে
অভিনব চঞ্চল ছন্দে ছন্দে
গানের সুমধুর সুরে ত্রিনিদাদ এর ঘুম ভেঙ্গে গেল
আহা গো কে গায় গো
এত সুন্দর করে
আশেপাশে তাকিয়ে শিল্পী কে খুঁজে পেলনা ত্রিনিদাদ
ওহ গ্রামাফোনে বাজছে শিল্পীর নামটা দেখি সে অবশ্যই তার আবিস্কার শিল্পীর নাম উত্সর্গ করবে
গ্রামাফোন এর কাছে রেকর্ড খুজতে গিয়ে দেখতে গিয়ে বন্ধ গ্রামাফোন
তবে কে গাচ্ছে ?
নীরা ? আশ্চর্য্য
গানের শব্দ অনুসরণ করতে করতে ত্রিনিদাদ পৌছল ল্যাব এর পিছনে র খোলা প্যাসেজ এ
যা দেখল তাতে ত্রিনিদাদ এর নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার জোগাড় হলো ।
ঠিক যেন কোনো সিনেমার দৃশ্য
নীরা পরে আছে অপূর্ব এক নীল্ রঙের একটা রোব জাতীয় ড্রেস
দোলনাতে দোল খেতে খেতে অপুরূপ মহিমায় সে গান গাচ্ছে
মোর বিনা উঠে কোন সুরে বাজে
অভিনব চঞ্চল ছন্দে ছন্দে
মোর বিনা উঠে কোন সুরে বাজে
অভিনব চঞ্চল ছন্দে ছন্দে
সে ডিসিশন এ আসল আজকে সারাদিন এই অপুরূপ এর সাথে সময় কাটাবে ল্যাব এ ঢুকবেনা
কি দরকার ল্যাব এ কঠিন বিজ্ঞান সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করার ?
কি সহজে মেয়েরা পুরুষ কে তার দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত করে ফেলে তার মোহনীয় রমনীয় সৌন্দর্য্যে অবাক হয়ে ভাবে ত্রিনিদাদ ।
ত্রিনিদাদ কাছে এসে অন্তরঙ্গ ভাবে দোলনায় নীরার পাশে বসে পড়ল এবং তা করলো জীবনে প্রথম বার এর মত গভীর আবেগ এ কোনো মেয়ের মস্তিস্ক তার বুকে স্থাপন করলো । এরপর জিজ্ঞাসা করলো
নীরা আমার বুকে মাথা রেখে তোমার কি মনে হচ্ছে ?
আপনি অনেক আবেগতাড়িত কিন্তু কেন? বললে ও নীরার চোখে আবার সেই সোনালী আলোর ঝিলিক দেখতে পেল ।
ত্রিনিদাদ জীবনে প্রথম বার এর মত কোনো মেয়েকে তার কাপড় এর আবরণ সরিয়ে দেখতে চাইল এবং দেখল এবং তীব্র আবেগ বোধ করলো সম্পূর্ণ রূপে মানবীয় এই শরীর এবং এই যন্ত্র মানবী টির প্রতি
সেটা সে সম্ভবত না করলে ই ভালো করত তাহলে অন্তত সে আরো কিছু দিন যেমন বেশি বাচত তেমনি পৃথিবীর মানুষকে দিতে পারত উপহার এক যুগান্তকারী আবিষ্কার।
কিন্তু তা আর হলনা প্রচন্ড শব্দে বিস্ফোরিত হলো ত্রিনিদাদ এর ল্যাব ।
সারা ল্যাব এ আগুন ধরে গেল খুব বড় একটা আগুনের গোল্লা এসে আঘাত করলো ত্রিনিদাদ এর বুকে ।যে বুকে কিছু ক্ষন আগে নীরা মাথা রেখে শুয়ে ছিল সঙ্গে সঙ্গে ত্রিনিদাদ এর সারাশরীরে আগুন ধরে গেল
কযেক সেকেন্ড এ সে একশ পার্সেন্ট বার্ন হয়ে গেল ।
শেষবারের মত তার প্রিযমানবী র দিকে তাকাতে তাকাতে প্রবল যন্ত্রনায় মৃত্যু বরণ করলো।
বিজ্ঞান এর অবদান যেমন বলে শেষ করা যায়না তেমনি বিধ্বংসী ভূমিকা কিছু কম নহে তা আমরা উপলব্ধি করতে পারি হিরোশিমা নাগাসাকি র দিকে তাকালে ।
আমার এ পর্ব টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এ জাপান এর হিরোশিমা নাগাসাকি তে পারমানবিক বোমার বিস্ফোরণে যাদের মৃত্যু হয়েছিল তাদের উদ্দেশ্যে ।
———————————————————————————————————— ——————————————
গ্যালাক্সি এর আপল অন্রইদ এ সকাল থেকে রাত অবধি ইমার্জেন্সি লাইট টি জ্বলছে আর নিভছে
প্রায় দশ হাজার নিরাপত্তা কর্মী এসে জায়গা টাকে বড় ফানেল এর কভার এ সিল করে আলাদা করে দিল যাতে হিলিয়াম এর বিষাক্ত প্রভাব এ এই গ্যালাক্সি এবং পৃথিবীতে আর কোনো বড় মানবেতর বিপর্যয় না হয় ।
দুর্ঘটনার খবরে পাগলের মত ছুটে আসলেন এথেনা ত্রিনিদাদ এর পোড়া অঙ্গার দেহ দেখে পাগলের মত চিত্কার করে উঠলো ।
হায় আমার ত্রিনিদাদ এভাবে আমাদের ছেড়ে কিছুতে যেতে পারনা অপ্রকৃস্থিতের মত মাথা নাড়াচ্ছে আর এক কথা বারবার বলছে সে কিছুতে বিশ্বাস করতে তার এই প্রাণ প্রিয় ভাইটির সাথে আট ঘন্টা আগে কথা হয়েছে সে ছিল খুব প্রানোচ্ছল হাসি খুশি তার নুতুন আবিস্কার নিয়ে সে ছিল অনেক উত্তেজিত ।
এর মধ্যে সে বোন্ এর সাথে খুনসুটি ও করলো কিছু কিছু ক্ষন ।
এই আপা অমিত প্রেমে পড়ে গেছি এক বিশ্ব সুন্দরীর পটার ফাদার কে নিয়ে চলে এস সম্ভব হলে এক্ষনি বিয়ে করব ।
কে রে এথেনা উত্তেজিত কোথায় থাকে ?
এই মুহুর্তে আমার কোলে বসে আছে এখন আমি ওকে নিয়ে বিজি থাকব ।
তোমার সাথে পরে কথা হবে বাই বলে ফোন কেটে দিল ।
নীরার চুলের গন্ধ শুকতে শুকতে নীরার নারী দেহের নির্ঝাস নিতে নিতে বিস্ফোরণের আগুনে ত্রিনিদাদ এর মৃত্যু আমাদের সবার ই জানা ।
এথেনা র সৎ ভাই ছিল ত্রিনিদাদ তাতে ভালবাসতে কোনো অসুবিধা হয়নি
দুজনের বাবা এক মা আলাদা ।
জেরমিক্স সান্তনা দেওয়া র চেষ্টা করছে এথেনাকে
জেরমিক্স এই ল্যাব সাত নং প্রকোষ্ঠের সপ্তম তরুণ বিজ্ঞানী
তার কাজ হচ্ছে ক্লোন ও রোবট নিয়ে
ইরা এবং নীরা এই দুই রোবট তৈরিতে এথেনার সাথে তার প্রচেষ্টা ও ছিল সীমাহীন ।
হটাৎ তার মাথায় বিদ্যূত চমকের মত এই আইডিয়া খেলে গেল
তাইত আমাদের সর্বাধুনিক ক্লোন এ কেন ত্রিনিদাদ এর ব্রেন এবং হার্ট অন্য কারো থেকে নিয়ে দেখা যাক আমার প্রানপ্রিয় বন্ধু কে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় কিনা ।
দীর্ঘ পনর ঘন্টা পরে তার মুখে হাসি ফুটল ।
।—————————————————————————————————————-
আজ ২৮ september ৪০৮০ সাল বিজ্ঞানের ইতিহাসে আবার সংযোজিত হয়েছে এক নুতুন অধ্যায় এর টানা নয়মাস জেরমিক্স ও এথেনা র অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এ মানবের মস্তিস্ক এবং হার্ট এর সংযোজনে এ ক্লোন টি যখন ল্যাব থেকে বের সবার উদ্দেশ্যে হাই বলে হাসলো সবাই আনন্দে উল্লাস করে উঠলো ত্রিনিদাদ কে যারা চিনত সবার ই মনে হলো আমাদের ত্রিনিদাদ আমাদের কাছে ফিরে ফিরে এসেছে ।
আনন্দে এথেনার চোখে পানি এসে গেল
ত্রিনিদাদ ভাই আমার বলে ছুটে যেতে গেল সদ্য প্রাণ পাওয়া ক্লোন টির দিকে
জেরমিক্স হাত বাড়িয়ে বাধা দিয়ে তাকে বসালো হাতে কফি দিয়ে বলল
মহামান্য এথেনা এ সুধু ই ত্রিনিদাদ এর শারীরিক অবয়ব ব্যক্তিত্য চিন্তা চেতনা সম্পূর্ণভাবে একজন ক্লোন এর তার মানুষের মত ভাবার মত চিপস টা এখনো সংযোজন করা হয়নি সম্রাজ্ঞী ।
তোমাকে ধন্যবাদ জেরমিক্স এক অসাধ্য সাধন করেছ তুমি। আমার মাথা অবনত করে তোমাকে সন্মান প্রদর্শন করছি বলে এথেনা মাথা নত করলো জেরমিক্স এর সামনে ।
ছি ছি তা করবেন না অযাচিত সন্মান প্রদর্শন করবেন না। যদি বলেন আপনি কিছু কম কষ্ট করেন নি দিনরাত আমার সাথে থাকা প্রেরণা দেওয়া বলা যায় আপনাকে ভালোবেসে এ কাজ করেছি আমি এথেনা আবেগ এর স্বরে বলে জেরমিক্স।
ঠিক একই সময়ে এই মহাকাশের আরেক মাতৃসদন ল্যাব এ জন্ম নিল এক মানব শিশু এক নুতুন প্রাণ এর সে নীরা আর ত্রিনিদাদ এর পুত্রসন্তান ।
শিশু টি জন্মের পর একটু পিটপিট করে তাকালো প্রথমে তারপর হাত মুষ্টিবদ্ধ করে চিত্কার করে জানালো তার প্রথম প্রতিবাদ একজন মানব সন্তান হিসাবে
তার অভিযোগ কেন তাকে মায়ের নিরাপদ প্রকোষ্ঠ থেকে এই বিপদজনক পৃথিবী তে আনা হলো ?
তার পক্ষে কল্পনা করা সম্ভব নয় এই প্রকৃতির রহস্য বিধাতার রহস্য
তাকে আনতে গিয়ে প্রকৃতিতে সংঘঠিত হয়েছে কত ধংশ যজ্ঞ ।
তার ভ্রুণ যখন মায়ের প্রকোষ্ঠে ঢুকছিল একই সঙ্গে তাকে জন্ম দেওয়া পিতা ত্রিনিদাদ এর প্রাণ পাখি
চলে যাচ্ছিল পরজগতের দিকে।
নার্স রোবট টি এসে নীরার কোলে তুলে দিল তার সন্তানটিকে
অতি মনোহর হয়েছে দেখতে আপনার সন্তানটি বলল নার্স টি আনন্দের গলায় ।
নীরার মনে কোনো আনন্দ হচ্ছিলনা সে শুন্য সিলিং এর তাকিয়ে ভাবতে লাগলো ।
হায় আমার ত্রিনিদাদ তুমি কোথায় ?
অপরদিকে ত্রিনিদাদ এর ক্লোন টি রহস্যময় কারণে উঠে বসলো এবং নিয়তির অমোঘ আকর্ষণে রওয়ানা হলো তার মানবীর মাতৃসদন রুম এ।
তাকে নিয়ে আসছিল এথেনা ও জেরমিক্স কেননা ত্রিনিদাদ এর মৃত্যুর সময় তার শেষ যোগাযোগ ছিল নীরা ।
নীরা ত্রিনিদাদ এর হেটে আসার আওয়াজ শুনছে হৃদ্স্পন্ধন শুনছে নীরা উত্তেজনায় বিছানায় উঠে বসলো ।
সেই সময়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো এথেনা জেরমিক্স ত্রিনিদাদ
নীরা কাওকে দেখছে না সুধু ত্রিনিদাদ কে
ত্রিনিদাদ ত্রিনিদাদ তুমি এসেছ ?
———————————————————————————————————————————————————————————–
ইরা ল্ল্যাব এর সপ্তম প্রকোষ্ঠ তরুণ বিজ্ঞানী জেরমিক্স এর রুম এ ঢুকতে গিয়ে থমকে দাড়ায়
জেরমিক্স হাত পা ছাড়িয়ে অচেতনের মত ঘুমাচ্ছে ।
তার মাথা চেয়ার থেকে ঝুলে আছে হাতে ধরা আছে পেন্টোপ ছোট্ট একটা পেন এর মত দেখতে একটা ডিভাইস যার মধ্যে প্রতিদিন ই তার শেষের অংশ ষ্টোর করে রাখে ব্যাক আপ হিসাবে এবং এটা সে পরের দিন সে মেগা ৫০০ inch এর বিশাল প্রজেক্টর কম্পিউটার এ ধারণ করে ।
ইরা জেরমিক্স এর জন্য কফি বানিয়ে নিয়ে এসেছিল সে একই সঙ্গে এথেনা ও জেরমিক্স দুইজনের সহকারী হিসাবে কাজ করে ।
এই দুই টি কম্পিউটার তার সম্প্রতি বানানো খুব সহায়ক ডিভাইস হিসাবে বিবেচিত।
ইরার দক্ষ ও নির্ভুল কাজের জন্য সে এথেনা ও জেরমিক্স এর দুজনের পছন্দের রোবট ।
জেরমিক্স কে ঘুমাতে দেখে সে সন্তর্পনে বের হয়ে যেতে নিচ্ছিলো কি মনে করে সে আবার ফিরে এলো
জেরমিক্স যে চেয়ার টা তে ঘুমাচ্ছে সেটা একধরনের চেয়ার কাম বেড ।
চেয়ার এর নিচে বাটন ঘোরাতে ঘোরাতে এটা কে বেড এর শেপ এ আনলো ।
জেরমিক্স একেবারে অচেতন এর মত ই ঘুমাচ্ছে হাতের পেন্টোপ টা সে এমন ভাবে ধরে আছে যেন কাউকে সে কিছু বুঝাচ্ছে ।
ইরা খুব সন্তর্পনে এটা জেরমিক্স এর হাত থেকে নিতে সে খুব শক্ত করে ধরে রাখল পেন্টোপ তা যেন সারা পৃথিবীর বিনিময়ে সে এটা হাত থেকে ছাড়বেনা ।
ইরা অগত্যা পেন্টোপ ছাড়া উঠতে যাবে এদিকে ফিরে জেরমিক্স তাকে বিকট ভাবে আকড়ে ধরল ।
জেরমিক্স এর প্রবল পুরুষ দেহের শক্তিশালী টান এ ইরা ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলনা আপন দেহের সে হুমড়ি খেয়ে পড়ল জেরমিক্স এর বুকে ।
জেরমিক্স খুব নিশ্চিন্ত ভাবে শিশু যেমন ভাবে মায়ের বুকে মুখ ঢুকিয়ে সেভাবে ইরা র বুকে মুখ রেখে আবার ঘুমাতে শুরু নিশ্চিন্ত মনে ।
ইরা র অস্বস্তির সীমা রইলো না সে কি করবে বুঝে উঠতে পারছেনা পুরা জিনিস টা হচ্ছে জেরমিক্স এর ঘুমের ঘোরে তার নিজের ই অজান্তে ।
যে কেউ দেখলে তারা এক বিছানায় পরস্পরকে জড়িয়ে ঘুমাচ্ছে ।
দুইবার উঠার চেষ্টা করে ইরা ব্যর্থ হলো আর কিছু করার নাই ।
জেরমিক্স এর ঘুম ভাঙ্গাতে হবে তাকে এই রুম থেকে বের হতে হবে এথেনা ম্যাম কে কফি দিয়ে আসতে হবে ।
সে ঠেলে জেরমিক্স এর বন্ধন থেকে নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করতে যাবে তখনি জেরমিক্স উঠে বসলো ।
ইরা তুমি এখানে আমার বিছানায় জেরমিক্স অভিভূতের গলায় বলল ।
স্যার আপনি ঘুমের মধ্যে ইরা তার কথা শেষ করতে পারলনা লজ্জায় ।
জেরমিক্স লজ্জা পেয়ে গেল সে বুঝলো কি হয়েছে ।
সে উঠে ইরা কে উঠতে সাহায্য করলো তারপর লজ্জার ভঙ্গিতে বলল।
সত্যি আমি অনেক টায়ার্ড ছিলাম একেবারে মৃত মানুষের মত ঘুমিয়েছি ।
তুমি কিছু মনে কর নি তো ? বলল জেরমিক্স ভদ্র গলায়
পুরা গ্যালাক্সি তে সে তার ভদ্রতা আর ব্যবহার এর জন্য সবার প্রিয় পাত্র ।
ইরা অস্বস্তি ভরে মাথা নাড়ল ।
সে মনে করেনি বললে মিথ্যে বলা হবে বেশ কিছুক্ষণ লাগলো তার স্বাভাবিক হতে
সে বুঝতে পারছেনা তার সারা শরীর এভাবে কাপছে কেন ? তার মনে হচ্ছে এই কাজ জেরমিক্স যদি আবার তার সাথে করে তার খারাপ লাগবেনা বরং ভালো লাগবে ।
গ্যালাক্সি এপল এনরয়েদ মহাকাশ যান এর অমরাবতী নীরা এখন সম্পূর্ণরূপে সপে দিয়েছে নিজেকে বিজ্ঞান সাধনার কাজে। ত্রিনিদাদ যে কাজ শেষ করতে পারেনি হিলিয়াম এর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কনার কার্যকরী প্রয়োগ তা নিয়ে এখন সে কাজ শুরু করে দিয়েছে। তার ছেলে ত্রিনিদ থাকে খালামনি ইরা র হেফাজতে।তার মাথা থেকে সম্পূর্ণ রূপে তিরোহিত হয়েছে ত্রিনিদাদ এবং তার প্রেম। এমনকি সে মাঝে মাঝে তার পুত্র সন্তান টিকে ও ভুলে যায় গবেষণায় মগ্ন থাকতে থাকতে।
ইরা এসে তাকে লাঞ্চ করার জন্য কয়েকবার ডাকার পর ও তার চৈতন্য আসেনা। সে ডুবে থাকে দিনরাত ত্রিনিদাদ কাজ শেষ করার লক্ষে। এটা তার জন্য এখন জীবনে র চেয়ে বেশি দরকারী হয়ে পড়েছে।
মাঝে মাঝে ত্রিনিদাদ এর ক্লোন টি এসে পাশে দাড়ায় নীরার কাজের অগ্রগতি লক্ষ্য করে।
মাঝে মাঝে সত্যিকার ই আক্ষরিক অর্থে অভিভূত হয়ে পড়ে এই মানবীর কাজে র দক্ষতা দেখে। সে জানেনা যে এই মানবী টি যান্ত্রিক বা তার কিছু অংশ তার ই মত।
আমি সত্যি অবাক হয়ে যাই মিস নীরা তুমি কিছু জায়গায় আমাকে অতিক্রম করে যাচ্ছ। তোমার কাজের দক্ষতা , বিজ্ঞানের খুটিনাটি জিনিস লক্ষ্য করা ,লং টাইম গবেষনাগারে কাজ করা সত্যি অভূতপূর্ব। আমি সত্যি মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি তোমার কাজের স্পিরিট দেখে। বলল ক্লোন ত্রিনিদাদ।
ধন্যবাদ নীরা সুধু আবেগহীন গলায় এটা বলল। সে এমনকি এই ক্লোনটির মুখের দিকে ও তাকায় না কেন না এ তাকে ত্রিনিদাদ এর কথা মনে করিয়ে দেয়।
ইরা ত্রিনিদ কে নিয়ে ঢুকলো ল্যাব। ঢুকতে গিয়ে জেরমিক্স এর সাথে ধাক্কা খেয়ে প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়তে গেল।
তার হাতের সব কাগজ পত্র মাটিতে ছিটিয়ে পড়ল। জেরমিক্স সব কুড়িয়ে ইরা র হাতে দিয়ে বলল
ব্যাপার কি ইরা তুমি আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানে সংঘর্ষ হচ্ছে তুমি জানো আমি সবসময় অনেক ভদ্রতায় চলি কৌতুকের স্বরে বলল জেরমিক্স ।
সেটা জানে ইরা এবং এই কারণে জেরমিক্স পুরা মহাকাশ যান এ সবার খুব পছন্দের মানুষ। কিন্তু যতই পছন্দের বা ভদ্র মানুষ ই হোক না কেন সেদিনের পর থেকে ইরা জেরমিক্স কে এড়িয়ে চলছে প্রানপ্রনে। জেরমিক্স যে রুম এ কাজ করে তার ধার কাছে ও ইরা থাকেনা তার নিজের নিরাপত্তার জন্য।
ইরার নিশ্চয়ই চোখে মুখে ভাবে অস্বাভাবিক পরিবর্তন হয়েছে সে নিজেকে আয়নায় না দেখে ও বুঝতে পারছে।
কেননা জেরমিক্স যখন জিজ্ঞাসা করলো তুমি ঠিক আছত ?তোমাকে এরকম অস্বাভাবিক দেখাচ্ছে কেন
জেরমিক্স এর পক্ষে কল্পনা করা সম্ভব না কেন ইরাকে এত অস্বাভাবিক দেখাচ্ছে।
জেরমিক্স বলছে ভালো হয়েছে তোমার সাথে দেখা হওয়াতে ইরা , এথেনা তোমাকে আমাকে একসঙ্গে একটা জরুরি কাজের দায়িত্ব দিবে বলছে।
ইরা কিছু না বলে জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে রইলো।
ঐযে আমাদের নিরাপত্তা কর্মী রোবট গুলোর ব্যাপারে ওরা নাকি অনেক হুমকির মত হয়ে দাড়িয়েছে পৃথিবীর মানুষদের। এথেনা বুঝতে পারছেনা এগুলোকে ধ্বংশ করে দিবে নাকি এদের প্রোগ্রামিং চেঞ্জ করবে বা আদৌ কি তা সম্ভব ?তুমি কি মনে কর ইরা ?
জেরমিক্স কি বলছে ইরা আসলে কিছু ই শুনছেনা জেরমিক্স এর স্বরে ইরা ভিতরে তোলপাড় চলতে লাগলো। কোনো কথা না বলে সে মুখ নিচু করে মেঝের দিকে তাকিয়ে রইলো।
—————————————————————————————————————–
মহাকাশ যান অপপলে এন্রয়েদ এর ভাগ্যাকাশে আবার নুতুন এক দুর্যোগের সূচনা হতে পারে। মনুষ্যকুল থেকে শক্তি চলে যেতে পারে অপরাজিত যান্ত্রিক শক্তির কাছে। কয়দিন ধরে এ ভবিষ্যতবানী করে যাচ্ছেন বৃদ্ধ ফাদার পটার। তার কাজ হচ্ছে সৌর মন্ডলী গ্রহ নক্ষত্র দেখিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলা যেমন তেমনি তিনি মাঝে মাঝে আনন্দের সাথে আরেকটি কাজ করেন বিবাহে ইচ্ছুক তরুণ ছেলে মেয়েদের বিয়ে পরিয়ে দেন। অবশ্য এই যানে এই মুহুর্তে বিয়ে করার উপযোগী কোনো তরুণ তরুণী নাই। বা থাকলে তাদের এখন বিয়ে করার সময় নাই। তারা বৃহত্তর পৃথিবীর জন্য মানবিক গবেষনার কাজে সারাক্ষণ নিয়োজিত থাকেন। প্রেম বিয়ে ভালবাসা এসব আবেগিক ব্যাপার তাদের কাছে বিলাসিতা বাকোনোএকটাউদ্ভটব্যাপার এর মত।
সেই পটার আঙ্কেল বারবার বলতেছে বিপদ বিপদ এথেনা তোমরা যুদ্দের প্রস্তুতি নিয়ে রাখো। এথেনা আর জেরমিক্স মুখ চাওয়া চাওয়ি করে হাসে। পরপর দুইটা শক তার নিজের বোন্ এর মৃত্যু তারপর ত্রিনিদাদ এর মৃত্যু আঙ্কেল একটু কুকু হয়ে গেছে।
ইরা কফি এনে রাখল সবার জন্য। চলে যেতে এথেনা আটকালো তাকে , ইরা এখন থেকে আমার চেয়ার এ তুমি কাজ করবে জেরমিক্স এর সাথে। জেরমিক্স তোমাকে সব বুঝিয়ে বলবে বলে এথেনা পটার ফাদার সহ বের হয়ে গেল।
ল্যাব এ এখন সুধু ইরা আর জেরমিক্স। যেটা ইরা কখনো চায়না। সে বিব্রত বোধ করতে শুরু করলো।
একইসময়ে এই যান এর আরেকটি রুদ্দধার প্রকোষ্ঠে গোপনে এক জরুরি বৈঠক হচ্ছে। সব নিরাপত্তা রক্ষী রোবট দের বৈঠক। মানুষ যেমন এদের কে আর সহ্য করতে পারছেনা তেমনি এই রোবট গুলো মানুষকে মনে করছে এক হিংসুটে বেয়াদব জাতি।
নিরাপত্তাকর্মী রোবট দের ভাইস এডমিরাল জেড আয়াবর এসেছেন সবার জরুরি কল এর আহবানে। তিনি এসেছেন সব রক্ষী কর্মী দের বেশ চঞ্চলতা যেন কে কার আগে তার কাছে মানুষ সম্পর্কে কমপ্লেন করবে।
আপনারা সবাই আসন গ্রহণ করুন প্লিস একে একে সবার অভিযোগ আমি শুনব এবং অতপর ভেবে ডিসিশন নিব যে কি করা যায়।
প্রথমে এখানে এই যান নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরা সেলেজ প্রথমে একটা লিখিত বক্তব্য তার হাতে দিলেন এবং তিনি নিজে সেখান থেকে পড়তে শুরু করে দিলেন।
মহামান্য জেড মানুষের অন্যায় আর পাশবিক আচরণে হার মেনে আমরা আপনার দারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি। তার বক্তব্যে এর মধ্যে একজন দেখালো মহামান্য জেড দেখুন একজন মানুষ আমার কি করেছে ? পা তুলে দেখালো তার পা একদিকে টেপ খেয়ে গেছে। আমি এখন খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলি।
আরেকজন দেখালো তার একটা চোখ ডেবে গিয়েছে একজন মানুষ এর সাথে মারামারি করতে। সেই মানুষ নাকি কোনো কারণ ছাড়া তার উপর চড়াও হয়ে আক্রমন করেছে।
তুমি কি কিছু ই করনি সেই মানুষটা কি পাগল ?যে তোমাকে আক্রমন করেছে ?
আমি কেন তাদের স্বামী স্ত্রীর বেড রুম এ ঢুকে তাদের কে প্রেম করতে বাধা দিয়েছি এটা তার রাগের কারণ।
মানুষ গুলা অনেক পিকিউলার ফানি অযথা কথা বলে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট করে , অকারণে সারাক্ষণ হাসতে থাকবে ,নারী পুরুষ সারাক্ষণ পরস্পরকে ধরে বসে থাকে। কোনো কাজ নাই , দেশের জন্য ভালবাসা নাই ,মহাকাশ এর উন্নতির জন্য কোনো পদক্ষেপ নাই , এ এক উদ্ভট জাতি।
আমরা এদের আন্ডার এ আর থাকবনা মহামান্য জেড একজন তরুণ রক্ষী প্লীহা নাম টেবিল চপেটাঘাত করে এ কথা বলল।
রিলাক্স প্লীহা বলে উঠলেন জেড নিয়মানুযায়ী আমরা কখন মানুষের বিপক্ষে যেতে পারিনা এটা রীতি বিরুদ্ধ। আমাদের বানানো হয়েছে মানুষের নিরাপত্তার জন্য আমরা তাদের নিরাপত্তার হুমকি হতে পারিনা। দরকার পড়লে আমরা মানুষের জীবন রক্ষার্থে নিজের ধংশ করে ফেলতে হবে এইভাবে আমাদের সিস্টেম করা হয়েছে।
আমি অত্যন্ত দুখিত তোমাদের কে বিকল্প কিছু ভাবতে হবে। মানুষকে শাস্তি আমরা দিতে পারিনা। মানুষের শাস্তি দিবে মানুষের মধ্যে যে জাজ আছে তারা আর পাক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। আমার এই পর্যায়ে যাইনি। মানুষ যেখানে সৃষ্টি করেছে আমাদেরকে সেখানে আমরা কিভাবে এত অবিশ্বস্ত হব। এটা নৈতিকতা বিরোধী। এটা আমরা কিছুতে করতে পারিনা প্লীহা।
প্লীহা ভিতরে ভিতরে বেশ রেগে থাকলো। কিন্তু মহামান্য জেড এর বিপক্ষে কারো কথা বলার কোনো সাহস নাই।
মিটিং শেষ হয়ে গেল মহামান্য জেড চলে গেলেন তার নিজের কর্মস্থল এ। প্লীহা এবং তার কিছু অনুরাগী নিরাপত্তা কর্মী আছে যারা জেড এর ডিসিশন কে ভালো চোখে নিতে পারেনি। সবাই চলে গেলে ও তারা বসে থাকলো।
দুজন আছে জমজ ভাই এপেক এবং মেপেক তারা লাফাতে শুরু করলো মানুষের মত আমি ওখানে আর কাজ করবনা। মানুষ খুব হিংস্র প্রাণী। প্লীহা আমাদের কিছু করতে হবে এভাবে আমরা নিজেদেরকে মানুষের কাছে তুলে দিতে পারিনা।
অনেকক্ষণ চিন্তা করে প্লীহা কোনো কুল কিনারা খুঁজে পেলনা।
শেষ পর্যন্ত তার চোখে মুখে খুশির আভাস দেখা এই চিন্তা মাথায় আসতে।
আস্তে আস্তে শেয়ার করলো তার সব বন্ধুদের সাথে। এটা কিন্তু খুব বিপদজনক তুমি এটা কি বলছ আমরা কিছুতে মহামান্য জেডকে আঘাত করতে পারিনা প্লীহা সুহা বলে একটা মেয়ে রোবট বলল ,তিনি আমাদের অভিভাবক এর মত।
তাহলে আর কি মানুষের অমানসিক নির্যাতন সহ্য করতে চাও কর তোমরা। আমি আর এখানে নাই হয় আমি নিজেকে ধংশ করব নাহলে ওই মানুষগুলোকে ধংশ করব
সবাই চিন্তাযুক্ত হয়ে বসে রইলো ,কি যে তারা করবে কিছু ই বুঝতে পারছেনা।
————————————————————————————————————————————————————————————-
জেড আয়াবর সপ্ন দেখছেন। ছোট ছোট অতি কদাকায় কিছু প্রাণী তার দিকে ছুটে আসছে। তিনি ও ছুটছেন ভীষন গতিতে। হটাত কিছু একটার সাথে বাড়ি খেয়ে পড়ে গেলেন বালির সমুদ্রে। এরপর ডুবে যেতে লাগলেন বালির সমুদ্রে। তিনি বাচাও বাচাও বলছেন মনে হচ্ছে আসে পাশে কেও নাই তাকে বাচানোর মত। এই অবস্থায় তিনি ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠলেন। তার দীর্ঘদিনের বডি এলার্ট নেস তাকে সতর্ক করতে চাচ্ছে কিছু একটা হতে চাচ্ছে কোনো খারাপ কিছু। কিন্তু বুঝতে পারছেননা কি সেটা।
ঘুম থেকে উঠে দেখলেন তিনি এই ঠান্ডার মধ্যে ঘেমে গেছেন ।কি ব্যাপার এসি কি কাজ করছেনা ঠিক মত জানালার কার্টেন সরাতে দেখতে পেলেন অসংখ্য নিরাপত্তা কর্মী তার দিকে অগ্নেয়াস্র তাক করে আছে।
ব্যাপার কি ?সবাই এখানে কেন ?
সবার মুখে মাস্ক। একজন বলল মহামান্য জেড আপনার সাথে আমাদের কোনো শত্রুতা নাই সুধু আপনি কিছুদিন নজরবন্দী হয়ে থাকবেন। আপনি একমাস এই ঘর থেকে কথাও নড়তে পারবেননা।
কন্ঠস্বর চিনতে পারলেন তিনি প্লীহা।
প্লীহা তুমি আমার ছেলের মত এরকম কাজ করতে যেওনা এটা অন্যায়। আমরা আমাদের পালনকারী মানুষের সঙ্গে অকৃতজ্ঞতা করতে পারিনা। এই অন্যায় কাজ করার আগে একবার তুমি ভাব অনুনয়ের স্বরে বললেন জেড।
উত্তেজনায় প্লীহা এসে জেড এর মাথায় বাড়ি দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে ফেলল।
সরি মহামান্য জেড এছাড়া আমার কোনো উপায় ছিলনা। আমি আগে মানুষের বাচ্চা শাস্তি দিয়ে নেই এরপর আপনি আমার কোর্ট মার্শাল করুন মাথা পেতে নিব বলল প্লীহা আবেগের স্বরে।
মহামান্য জেড কে আঘাত করে তারা সবাই কিছুটা মনমরা হয়ে আছে। কিন্তু তাদের পক্ষে আর মানুষের আন্ডার এ কাজ করা ও সম্ভব না।
কাজ করতে করতে এথেনা আজকে ল্যাব এ ঘুমিয়ে পড়েছে। অনেকদিন পরে সে সপ্ন দেখছে এডবার্গ তার প্রিয় এডবার্গ কে। যেন সে এসেছে হাত ইশারা করে ডাকছে। এই অবস্থায় তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। তার মন টা খারাপ হয়ে গেল এই সুন্দর স্বপ্ন টা ভেঙ্গে গেল বলে।
তাদের বিয়ের অ্যালবাম টা খুলে বসলো ছবি দেখতে দেখতে গান ছেড়ে দিল গ্রামাফোনে।
ছোট্ট একটা ভালবাসা
এইত শুধু চায় গো সবে
ছোট্ট একটা ভালবাসা
এটাই যেন পায় গো সবে।
—————————-
মনটা কোথায় উড়ে বেড়ায়
পায় না কোনো ঠাই
……………………………….
কফি র কাপ হাতে নিয়ে জানালার পর্দা সরাতে লাফ দিয়ে পিছনে সরে আসল ভয়ে। তার ঘরে চারিদিকে সব মুখোশে ঢাকা অস্রধারী।
তোমরা কারা ? আর দ্বিতীয় কথা বলার কোনো সুযোগ পেলনা। একজনের তার অস্রের সেল থেকে চেতনা নাশক গ্যাস নিক্ষেপ করলো। এথেনা লুটিয়ে মাটিতে পড়ে গেল।
এভাবে এই যান্ত্রিক রোবট গুলি একে একে প্রধান অপারেশান রুম এর কন্ট্রোল নিল তারপর জেরমিক্স একে একে পুরা গবেষনাগার শেষে পুরা মহাকাশযান আপেল এন্রয়েদ দখল নিয়ে নিল বিনা আয়াসে সবাই কিছু বুঝে উঠার আগে।
নিরা ইরা দুজনের ঘুমের মধ্যে বন্দী হয়ে গেছে তারা সেটা জনাতে ও পারলনা। ছোট শিশু ত্রিনিদ একবার হামাগুড়ি দিয়ে এসে একজনের পা ধরে দাড়ানোর চেষ্টা করলো।
প্লীহা এসে শিশুটিকে কোলে নিয়ে মায়ের কাছে শুইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলো। তখনি নীরার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
প্রথমে সে ভয়ে চিত্কার দিতে গেল পরে সে ডিসিশন পরিবর্তন করে এদেরকে চিনার চেষ্টা করলো।
————————————————————————————————————————————————————————————-
প্রায় একসপ্তাহ হয়ে গেল এই সব যান্ত্রিক নিরাপত্তাকর্মী র হাতে বন্দী হওয়ার পর এখন পর্যন্ত তাদের সবার জীবন একইরকম ই আছে কোনধরনের পরিবর্তন হয়নি। এই নিরাপত্তাকর্মীরা শুধু তাদের অগ্নেয়াস্র হাতে ঘুরে বেড়ায়। কারো দিকে কখনো সেই অস্র তাক করেনা বা কাকেও কোনো ধরনের নির্যাতন করছেনা। সবাই স্বাধীনভাবে যে যার কাজ করছে। নিরা, ইরা, জেরমিক্স, এথেনা তারা কোনো ভয় ভীতির সম্মুখীন তো হচ্ছেনা বরং মনে হচ্ছে এরা আরো স্পেশাল ভাবে মানুষের টেক কেয়ার করছে।
আসলে এরা তো আমাদের হাতে প্রোগ্রামিং জেরমিক্স। আমরাতো মানুষের ক্ষতি করতে পারে এভাবে তাদের প্রোগ্রাম করিনি। বলছে এথেনা।
আমি তো এখন আগের চেয়ে আরো নিরাপদ বোধ করছি এথেনা আপনি কি বলেন। আমি খেতে গেলে একজন আমার টেবিল এর সামনে দাড়িয়ে যায় খাওয়ার বাড়িয়ে দেয় মায়ের মত। নিজেকে বন্দী মনে হচ্ছেনা বরং মনে হচ্ছে অনেক আদর যত্নে আছি জেরমিক্স হেসে বলে।
এখন এখান থেকে কৌশলে আমাদেরকে ওদেরকে ওদের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে হবে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি যাই হোক এই রোবট গুলিকে অকেজো করে ফেলতে হবে। এরা কোনভাবে কখনো কখনো আমাদের সুন্দর শান্তিপূর্ণ জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাড়াচ্ছে।
এদেরকে একেবারে অকেজো করার কথা না ভেবে নুতুন করে প্রোগ্রামিং করা যায়না মহামান্য এথেনা এতক্ষণে বলল ইরা।
ঠিক বলছ ইরা আমি একইভাবে ভাবছি বলল জেরমিক্স।
সেটাতে প্রবলেম আছে জেরমিক্স বলল এথেনা। ওরা এখনো আমাদের ক্ষতি না করলেও আমাদের কে কিন্তু ওরা বন্দু মনে করছেনা। আমাদের কোনো কোথায় ওরা কিন্তু রাজি হবেনা। ওদেরকে বুঝিয়ে ল্যাব এ নিয়ে যে প্রোগ্রামিং করবে তারা আমাদের সে সুযোগ দিবেনা। আমরা তাদের ভালোর জন্য কিছু করব এটা বললে তাদের বিশ্বাস হবেনা। ওরা ভাবছে সম্ভবত মানুষ হিংস্র তাদের যে কোনো সময় ক্ষতি করবে। তারা আমাদের ক্ষতি করছেনা এটা ঠিক তবে নিজেদের নিরাপত্তায় রাখতে সবধরনের আয়োজন তারা করে রেখেছে।
নীরা চুপচাপ এককোনে বসে আছে। তার শিশুপুত্র টি চারিদিকে হামাগুড়ি দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে সবার মনোযোগ ধরে রাখছে।একপর্যায়ে সে গিয়ে এথেনার চেয়ার এর কাছে আসল চেয়ার এর হাতল ধরে দাড়ালো তারপরে হেসে বলল ছোট দুই ফোকলা দাত বের করে
হাউ ডি
এথেনা প্রথমে অবাক পরে জোরে হেসে উঠলো এবং সবাই জোরে হেসে উঠলো হা হা করে।
এইসময় প্লীহা এসেছিল তার দরকারী মেমরি খাদ্য ষ্টোর করতে সে কিছুটা অবসন্ন বা ক্ষুধার্ত বোধ করায়। ত্রিনিদ গিয়ে তার অগ্নেয়াস্র ধরে দাড়িয়ে পড়ল তার দিকে হাসি মুখে ফোকলা দাতে আবার বলল হাউ ডি ?
এবার প্লীহা ও যান্ত্রিক ভয়েস এ হেসে ফেলল সে শিশু টিকে কোলে করে এনে নীরার কাছে এনে দিয়ে তার যান্ত্রিক এবং কড়া স্বরে বলল
ম্যাম তুমি প্রোপার কেয়ার করছনা তোমার বেবী র। এরকম অবহেলা দেখলে আমরা তাকে আমাদের কাছে নিয়ে যেতে বাধ্য হব।
নীরা তাড়াতাড়ি এসে ছেলেকে কোলে তুলে নিল অনুতাপের স্বরে বলল
অত্যন্ত দুখিত আমি আর এরকম হবেনা।
সবার দিকে তাকিয়ে প্লীহা একবার জিজ্ঞাসা করলো তোমরা সবাই ভালো আছ তো ?দেখো তোমরা সবাই যে যার মত কাজ কর। আমরা তোমাদের কোনো ক্ষতি করবনা। ভেবে দেখলাম এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। মহামান্য আয়াবরকে আমরা এখানে আনছি কিছুক্ষণের মধ্যে। সবাই আমরা একসাথে বসে কিছুক্ষণ কথা বলব তারপর আমরা তোমাদের এখান থেকে চলে যাব অন্য কোনো গ্রহে যেখানে আমরা সার্ভাইব করতে পারি।তোমাদের অসুবিধা করার জন্য আমরা দুখিত।
সবাই খুশি হয়ে গেল। নিরা ইরা দুজনে মুগ্ধ হয়ে প্লীহাকে তার সৎ নির্ভেজাল সাহসী নীতিনিষ্ঠ রোবটিক নীতিমালা অনুসরণ করতে দেখে।
ত্রিনিদাদ এর ক্লোন টি এসে তার সাথে হাত মিলালো।
তুমি একজন ভালো নিরাপত্তা কর্মী মানুষ নিশ্চয় তার ভুলের জন্য অনুতপ্ত হবে তোমার কাছে তাইনা নীরা নীরার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করে।
নীরা তার কথার জবাব না দিয়ে প্লীহাকে বলল ধন্যবাদ। আমি ও তাই মনে করি মানুষ তোমাদের কে তোমাদের সততা কর্তব্য নিষ্ঠাকে অবশ্যই মূল্যায়ন করবে।
আমি ও তাই মনে করি সে আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকে নীরার দিকে।
———————————————————————————————————————————————————————
ত্রিনিদ এখন অনেক বেশি ভক্ত হয়ে গিয়েছে এই যন্ত্রমানব নিরাপত্তাকর্মী প্লীহার। প্লীহা কে দেখলে সে হাউ ডি বলে ফলো করা শুরু করে। প্লীহা হেসে দেয় তার যান্ত্রিক ভয়েস এ। এই মানব শিশু টিকে তার নিজের ও মানব হতে ইচ্ছে করে।
ম্যাম তোমার তো দেখছি ছেলেকে দেওয়ার মত সময় নাই, তোমার ছেলে ও আমাকে লাইক করছে আর আমার বেশ ভালো লাগছে তো আমাকে দিয়ে দাও। আমি তাকে প্রোপার নলেজ এ বড় করব শিউর। বলল সে হেসে।
তুমি নিলে আপত্তি কি বলল নীরা হেসে তোমার মত টেক কেয়ার আমি ও তো করতে পারিনা।
তোমাদের গ্রহ কি ঠিক হয়েছে প্লীহা আন্তরিকভাবে ভাবে জিজ্ঞাসা করে নীরা। ত্রিনিদাদ এর মৃত্যুর পর এই প্রথম কারো সাথে সহজ স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছে।
ভাবছি ইউরেনাস এর বামে আরেকটা নুতুন গ্রহ র সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ওটাও হতে পারে বা বুধ এ যেতে পারি। তবে সবাই মিলে যাওয়ার আগে আমি আর মহামান্য আয়াবর দেখে এসব এই গ্রহের সবকিছু আমাদের বডি টেম্পারেচার এর সাথে এডজাস্ট হবে কিনা বা মাধ্যাকর্ষণ শক্তি র বলয় কিরকম সব দেখে শুনে আসতে হবে। ততদিন পর্যন্ত তোমাদের সাথে থাকব ম্যাম তোমরা যদি এলাও কর।
এলাও করার কি আছে এই মহাকাশ যান এখন তোমাদের প্লীহা। আমি ও তোমাদের সঙ্গে চলে যেতে চাই। বলল নীরা আব্দারের সুরে।
বল কি ওই গ্রহের আবহাওয়া তোমার শরীর এক্সেপ্ট করবেনা। বলল প্লীহা বুঝানোর ভঙ্গিতে
আমি তোমাদের মতই যান্ত্রিক। এতক্ষণে নীরা আসল কথা বলল প্লীহাকে।
বল কি তুমি এত মানবিক এত সুন্দর প্লীহা বলল মুঘ্ধতার সুরে।
নীরা খুশিতে লজ্জায় মাথা নত করে।
না আমি কি সুন্দর মানুষ বেশি সুন্দর দেখনা মিস এথেনা কি সুন্দর বলল সে লজ্জা মাখা গলায়।
সবার চেয়ে তুমি বেশি সুন্দর মিস নীরা। তুমি না বললে আমি তো তোমাকে মানুষ মনে করছিলাম।
প্লীহার চোখ চকচক করছে খুশিতে এই অপূর্ব মানবী তাদের মতই একজন যন্ত্রমানবী। এটা ভাবা যায় এত সুন্দর। আর এই শিশুটি কি অপূর্ব।
————————————————————————————————————-
শেষ পর্যন্ত যা অনির্বার্য ছিল তাই ঘটল। মানুষের নিয়তি তাদেরকে চুড়ান্ত সংঘর্ষের দিকে নিয়ে গিয়েছে। মানবকূল ও যান্ত্রিককূল পরস্পর পরস্পরের ভক্ত হওয়া স্বত্বেও পরস্পরের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতা থাকা স্বত্বেও যুদ্বটা এড়ানো গেলনা।
গ্যালাক্সী অপল এনরয়েড এ সাজ সাজ রব উত্তেজনা ।আজকে জেড আয়াবর আসছেন সম্রাজ্ঞী এথেনার অতিথী হয়ে।পারস্পরিক ভূল ত্রূটি সংশোধন করে নিতে।জেড আয়াবর এসেছেন।তিনি এথেনার বাবার সময়ে তৈরী প্রথম নিরাপত্তা কর্মী রোবট। পরে সময় পার হতে হতে এক সময় তিনি নিরিপত্তাকর্মীদের ইনচার্জ হয়েছেন।সকল কর্মীদের তিনি আপন সন্তানের মতই ভালবাসেন।কর্মীরা ও তাকে বাবার মতই ভালবাসত এই ঘটনা ছাড়া।
ছোট ত্রিনিদ এখন সারাক্ষন মা আর খালামনিকে ফেলে প্লীহা আংকেলকে অনুসরন করে।প্লীহা ও প্রতিদিন ই যদি এই শিশুটির সাথে না কাটায় তার যেন দিনটা কাটতে চায়না। বলতে গেলে নীরার সন্তানকে সে নীরার চেয়ে বেশী টেক কেয়ার করছে।নীরাকে দেখলে তার এক ধরনের মানবিক আবেগ জেগে উঠে। সে বিষ্ময়ে তাকিয়ে থাকে এখন নীরার দিকে এ তাদের মতে যন্ত্রে গড়া অথচ মানুষের মত অপূর্ব মেয়েলী গড়ন।ত্রিনিদ কে নীরার কোলে দিতে গিয়ে তার হাতের সাথে লেগে গেল প্লীহার হাত।চমকে উঠল প্লীহা তাদের মত যান্ত্রিক ধাতব হাত না নীরার।কি সুন্দর নরম মেয়েলী চিকন আঙ্গুল। তার চোখ ঠোট শারীরিক গড়ন মানুষের চেয়ে বেশী সুন্দর।নীরা প্লীহার দৃষ্টির সামনে মাঝে মাঝে বিব্রত হয়ে পড়ে। যদিও প্লীহাকে সে বেশ পছন্দ করে।
ত্রিনিদাদ এর ক্লোনটি এসে মাঝে মাঝে মজা করার চেষ্টা করে তাদের সাথে। প্লীহার দৃষ্টির সামনে হাত নেড়ে দুজনকে বাস্তবে আনার চেষ্টা করে।
সবসময় একটা ইডিয়টিক কান্ড নীরা কড়া কথায় অফ করার চেষ্টা করে ত্র্রিনিদাদ এর ক্লোনটিকে।
আমি কোথায় ইডিয়টিক কান্ড করলাম তোমরা কাজ ফাকি দিয়ে সারাক্ষন কি গুজগুজ কর কে জানে। অনেকটা সে মানুষের মতই হিংসার আর কুটনামীর ভঙ্গিতে যেন কথা যেন কথা বলল।
পিছন থেকে এথেনা আর জেরমিক্স এদের কথাবার্তা আর কান্ডকারখানায় মুখ চাওয়াচিওয়ী করে হাসে।
ত্রিনিদাদ এর কথায় লজ্জা পেয়ে সচেতন হয়ে প্লীহা লজ্জা পেয়ে বাহিরে চলে আসে।
জেরমিক্স এসে ত্রিনিদাদ এর কাধ চাপড়ে কৌতুকের সুরে বলে মানুষের সাথে থাকতে থাকতে মানুষের খারাপ দিক গুলি শিখে যাচ্ছ বন্ধু।
এবার ত্রিনিদাদ ও লজ্জা পেয়ে গেল।
সরি নীরা বলল সে।
চারিপাশ্বে আনন্দের আর সম্প্রীতির পরিবেশ বিরাজ করছিল।এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গেল।এথেনা পুরা গ্যালাক্সী জেড আয়াবরকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখালেন।
কিন্তু বিপদ আসল হঠাৎ করে অন্যদিক থেকে। এথেনার পরামর্শক দপ্তর কিছুতে রোবট গুলিকে ছেড়ে দিতে রাজী নয়। তারা রোবটগুলিকে ভীষন ভয় পেতে শুরু করল বিশেষ করে এবারের আক্রমনের পরে উপদেষ্টা মহল গাবড়ে গিয়েছেন অনেক বেশী। তারা নিজ দায়িত্বে করলেন যে বিপদজনক কাজ তার জন্য প্রস্তুত ছিলনা গ্যালাক্সী অপলে এনরয়েড এর কোন বাসিন্দা। নিরাপত্তাকর্মী রোবটদের বাসস্থানের অংশে ছড়িয়ে দিলেন সেই প্রানঘাতী গ্যাস যা টলারেট করার মত করে এই রোবট গুলির বডিকে করা হয়নি।
শেষ মূহূর্তে তারাও চাচ্ছিল সরিয়ে নিতে ।কিন্তু তা সম্ভব গ্যাস থেকে বিস্ফোরন এর মত হল। প্রায় দশ হাজার এর মত নিরাপত্তা কর্মী রোবট স্পটে গলে মেঝের সাথে মিশে গেল।
জোরে সাইরেন এর আওয়াজ এ সবাই যার যার রুম থেকে ছুটে বেরিয়ে এল কিন্তু কোনদিকে যে তারা যাবে তা তারা বুঝতে পারছেনা।চারিদিকে আগুন পোড়া যন্ত্র আর পোড়া মানুষের গন্ধ।
প্লীহার কোলে তখনও ত্রিনিদ ।খুব দঃখ ভারাক্রান্ত মনে বলল এথেনা নীরা জেরমিক্স ইরা তোমরা এত অন্যায় কিভাবে করলে? আমরা তো চলে যাচ্ছিলাম তোমাদেরকে ভাল জীবন দেওয়ার জন্য।
নীরা ইরা দুইজনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে প্লীহা আমরা কখনও এরকম করতে পারিনা আমরা তোমাদের মত। মানুষের মত বিশ্বাসঘাতক আমরা না বলল দুজনে খুব ঘৃনা নিয়ে এথেনা ও জেরমিক্স এর দিকে তাকিয়ে।
এথেনা এবং জেরমিক্স এর অবস্থা তখন খুবই শোচনীয়। তারা চেষ্টা করছে যে করে হোক এই রোবটগুলিকে ধংসের হাত থেকে বাচাতে।
শুধু তারা এটা বলতে পারল অ্যকসিডেন্টলী গ্যাস লিক করে এ দূর্ঘটনা। তাদের কথা নীরা ইরা অথবা প্লীহার কানে গেলনা ।রোবটদের পোরশনে সম্পূর্ন আগুন ধরে গেল।প্লীহা র একহাতে একটা আগুনের গোলা এসে পড়ায় সে ছুড়ে মারল ত্রিনিদকে নীরার দিকে । সেফটি বক্সে কোন ধরনের প্যারাসূট ও খুজে পাচ্ছেনা ।
জেরমিক্স এথেনার দিকে প্যারাসূট ছুড়ে মারলে এথেনা এসে নীরাকে পরতে সাহায্য করল। প্লীহার এক হাত আর এক পা গলে গিয়েছে এর মধ্যে সে নীরার কোলের সাথে ত্রিনিদকে বেধে দিয়ে প্যারাসুট লাগাল।নীরা ইরা পাগলের মত কানছে।কিছুতে সবাইকে ফেলে এখান থেকে যাবেনা।
নীরা তুমি ইউরেনাস এ যাও ।আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি কোন একদিন যদি এই টাইম বলয়ে তোমার কাছে না যেতে পারি আমি অন্য আরেক টাইম বলয়ে ফিরে আসব তোমার কাছে ত্রিনিদ এর কাছে। তোমার কাছে এটা আমার প্রতিজ্ঞা আমার নীরা।
ইরা নীরা ত্রিনিদ তিনজনে জীবনের প্রত্যাশায় যখন আকাশে শূন্যে ঝুলে আছে একই সময় প্লীহার যান্ত্রিক শরীর টি গলতে গলতে যানের মেঝেতে মিশতে শুরু করেছে। এথেনা জেরমিক্স এর সারা শরীরে আগুন ধরে গেল। তারা দুইজন চাইলে প্যারাসূট এ লাফিয়ে পরে বাচতে পারত।কিন্ত তারা এই অকৃতজ্ঞতা আর অসন্মানের জীবনের চেয়ে মরে যাওয়া টাকে শ্রেয় মনে করেছে।তাদের এই যান্ত্রিক বন্ধুদের কাছে বেইমান সাজার চেয়ে মরে যাওয়াটকে শ্রেয় মনে করেছে।
মরার সময় যনত্রনাকাতর অবস্থায় হাসিমুখে জেরমিক্স এর উক্তি এথেনাকে
একটাই দুঃখ মিস এথেনা ইরাকে কোনদিনও বলিনি আমি তাকে মনে মনে চাইতাম।সে বেচারী মনে করছে তাকে ঘুমের ঘোরে জড়িয়ে ধরেছিলাম।আসলে এটা ইচ্ছাকৃত ছিল।
বল কি জেরমিক্স তুমি এত কালপ্রিট ছিলে এথেনাও হাসছে এবং হাসতে হাসতে দুইজনে মৃত্যূবরন করল।
পরিশিষ্ট
ইরা নীরা আর তার শিশুপুত্র এসে নামল ইউরেনাস এর মাটিতে।দুর থেকে একজনকে দেখা যাচ্ছে কাগজ দিয়ে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করছে। কাছে যাওয়া মাত্র লোকটি বলল
স্বাগতম তোমাদেরকে ইউরেনাসে।
চমকে গেল তারা আগন্তককে দেখে।
ত্রিনিদাদ এখানে ত্রিনিদাদ ।
সমাপ্ত।
৮৩৩ বার পড়া হয়েছে
চমৎকার সমাপ্তি
অনেক ভাল লাগা।
ধন্যবাদ কাশেম ভাই মন্তব্যের জন্য।ভাল থাকবেন।
চমৎকার ছবি
ধন্যবাদ।
গল্পের প্রচ্ছদ চমৎকার । ভাষা সাবলীল । কাহিনী মনো মুগ্ধকর । তবে সময় অভাবে শেষ করতে পারিনি ।
কিছুক্ষণ পড়ে এসে বাকি টা পড়ব আপু — ভাল থাকবেন ।
মন্ত্তব্য মনমুগ্ধকর ।অসুবিধা নাই।পরে অবশ্য পড়তে হবে।এত বড় গল্প একসঙ্গে পড়তে পারেননি বলে অভিযোগ নাই।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।।ভাল থাকবেন ।
খুভ ভাল লেগেছে গল্পটি । শুভ কামনা । ভাল থাকুন ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।ভাল থাকবেন।শুভ কামনা রইল।
অবশিষ্ট গল্প পড়ে গেলাম আরজু —– আসলে কল্প কাহিনী আমার খুব প্রিয় । নিজেও গল্প লিখি ; এর
মধ্যে দু একটি কল্প কাহিনী আছে — । হয়ত খুব ভাল হয়নি পাছে পাঠক বিরক্ত হয় এই ভয়ে ব্লগে দিতে
সাহস পাই না । আপনি খুব ভাল লিখেছেন । অসাধারন হয়েছে —— । ধন্যবাদ ।
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।অবশ্য আপনি লেখা ব্লগে দিবেন।আমি পড়ব।আমার ধারনা সবাই পড়বে।আপনার লেখার ধরন ব্যাতিক্রমী এবং নিঃসন্দেহে সুন্দর। ব্যাতিক্রমী রচনা যারা করতে পারে তারা ভাল বিজ্ঞান কাহিনী লিখতে পারবে।সাহস করে দিয়ে ফেলুন।আমাদের সম্পাদক ভাই অনেক ভাল কল্প্পকাহিনী লিখেন ।ওনার কাছে থেকে টিপস পেতে পারেন।
আপনার উজ্জল সাহিত্যিক জীবন কামনা করছি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর রুপকার হিসাবে।ভাল থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে — কী অসাধারন ভাবে ভাবে উৎসাহ দিলেন ! মনে অনেক জোর পেলাম । ভাল থাকবেন ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন ।
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী দেখলেই আমার ভয় করে সবসময় ! কিন্তু তোমার অমরাবতী অতোটা খটমটে হয়নি দেখে খানিকটা স্বস্তি নিয়েই পড়ছি !
সহজ করে কঠিন কথাগুলো লিখার জন্য ধন্যবাদ ।
সহজ করে সুন্দর প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ ।ভাল থাক।