নীতিমালার পরিবর্তন চাই
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1266বার পড়া হয়েছে।
প্রথমে আমি আরিফুর রহমান, আমির ভাই এবং মিন্টু ভাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমি সম্পাদক সাহেবের নিকট আমার কিছু অভিযোগ পেশ করছি। গত দীর্ঘ একমাস যাবত আমি চলন্তিকার সাথে ছিলাম। দীর্ঘ এক মাসে আমি চেষ্টা করেছি চলন্তিকাকে কিছু দিতে। কতটুকু দিয়েছি তা আমি জানি না। দীর্ঘ এক মাসে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমি অনেকগুলো নীতিমালা বিরোধী কাজ- সম্পাদক ও অন্য ব্লগারদেরকে করতে দেখেছি। যা আমাকে অবাক করেছে। নিম্নে আমার অভিযোগগুলো পেশ করছি।
১. কথা ছিল প্রতি মাসের শেষ দিন সেরা প্রদায়কের পুরষ্কার ঘোষণা করা হবে কিন্তু গতকাল দেখলাম তার উল্টাটা। একদিন বাকী থাকতেই পুরষ্কার ঘোষণা করা হলো কেন?
২. রাজনৈতিক লেখা নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এখানে একাধিক রাজনৈতিক লেখা আমি লক্ষ্য করেছি। গতকাল ‘‘এ দল বিদল’ নামে একটি রাজনৈতিক লেখা প্রকাশ হয়েছে। এ লেখাটি রিমুভ করা হয়নি বরং যারা এ লেখায় যারা মন্তব্য করেছে তাদের মন্তব্য রিমুভ করা হয়েছে কেন?
৩. সর্তকতা ছিল বাংলার পরিবর্তে ইংরেজিতে মন্তব্য করলে ৫ পয়েন্ট কাটা যাবে কিন্তু আমি কোথাও ইংরেজিতে মন্তব্য না করা সত্ত্বেও গতকাল আমার প্রায় ২৫০ পয়েন্ট কর্তন করা হয়েছে কেন?। যার মধ্যে আমি কথা আর কাজের কোন মিল খুঁজে পেলাম না।
৪. প্রথম পাতায় একই লেখকের একাধিক লেখা থাকতে পারবে না মর্মে ঘোষণা থাকলেও অনেক লেখক একাধিক লেখা লিখছেন কিন্তু সম্পাদক সাহেব মাঝে মাঝে তা দেখছেন না কেন?
৫. কোন কারণ দর্শানো ছাড়া আমার অনেক পয়েন্ট কর্তন করা হলো কিন্তু এ হোসাইন মিন্টু ভাইয়ের কোন পয়েন্ট কর্তন করা হলো না কেন? যদি এটি একই পোষ্টে একাধিক মন্তব্যের কারণে হয়ে থাকে তাহলে এটা কি?
বি:দ্র: এ ধরনের দ্বৈত নীতি পরিহার করুন অথবা নীতিমালার পরিবর্তন করুন ।
১,৪০৮ বার পড়া হয়েছে
একাধিক মন্তব্যের স্ক্রিনশটটা দেখলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে মিন্টু ভাই তার পোস্টের কমেন্টগুলোর রিপ্লাই দিচ্ছেন। কেউ কমেন্ট করলে তার রিপ্লাই অবশ্যই দেওয়া উচিত। তবে মিন্টু ভাই কার কমেন্টের রিপ্লাই দিচ্ছেন তার নাম উল্লেখ করে দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হত।
আমিও তো এমনই কমেন্টগুলোর রিপ্লাই দিয়েছিলাম। তবে দু একটাতে একাধিক মন্তব্যও হয়েছিল সেগুলো থেকে ই কাটতে পারতেন। তবে আগের কথা নিয়ে ভেবে লাভ নেই এখন আমি আর প্রতিযোগীতায় নেই। চেষ্টা করব নিয়মিত পোষ্ট লিখে যেতে।
“তবে আগের কথা নিয়ে ভেবে লাভ নেই এখন আমি আর প্রতিযোগীতায় নেই। চেষ্টা করব নিয়মিত পোষ্ট লিখে যেতে।”
আপনার এই সিদ্ধান্তটাকে স্বাগত জানাই।
কাউসার ভাই, গতকাল শুধু আপনার না, অনেকেরই পয়েন্ট কাটা গেছে। আপনার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে আপনি ৭৩ টি মন্তব্য করেছেন। যা ছিল ৪৭ টি লেখাতে। এই মন্তব্যগুলো অধিকাংশই ছিল একই রকম। ফলে সেগুলো ফিল্টার সিস্টেমে মুছে গেছে। এটা অবিশ্বাস্য যে এত দ্রুত এত মন্তব্য হতে পারে। আপনার মনে হয়েছে যে শুধু আপনারই পয়েন্ট কাটা গেছে, সেটা ভুল। আর আমাদের নিয়ম অনুযায়ী ২৫ তারিখের পর যে কোন দিন পুরুস্কার ঘোষণার কথা।
ব্লগে লেখাগুলোতে কেউই এক পাতাতে ২টা পোস্ট দিতে পারবে না। কয়েকদিন আগে নতুন একজন লেখক দিয়েছিলেন যাকে সতর্ক করা হয়েছিল।
আমাদের সব লেখা / মন্তব্য পড়া সম্ভব না, তার পরও আমরা চেস্টা করছি রাজনৈতিক লেখার ক্ষেত্রে খরগ হতে। যদি দেখেন যে সেরকম লেখার ব্যাপারে আমরা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছি না তখন মেইল করে দিবেন। মেইলের উত্তর আমরা খুব দ্রুত দেই। যারা আমাদের মেইল করেন তারা বিষয়টা জানেন। মিন্টু ভাইরও পয়েন্ট কাটা গেছে। আমির ভাই, আরিফ ভাই সবারই কাটা গেছে। আমার জানা মতে এ দল বি দল লেখা মুছে দেওয়া হয়েছিল।
পরিশেষে আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনি চলন্তিকাতে নিয়মিত লিখেন আর আমি আপনার দুঃসাহসী শাহীন এর একজন গুণমুগ্ধ পাঠক।
ধন্যবাদ সম্পাদক সাহেব নীতির পরিবর্তন করায়। আপনার নতুন এই নীতি সাদরে গ্রহণ করছি।
পয়েন্ট কাটার পদ্ধতিটা মাসের শেষ দিন না হয়ে যখনই অযৌক্তিক মন্তব্য বা একই ধরনের মন্তব্য বার বার করা হবে তখনই যাতে ফিল্টার সিস্টেমে মুছে ফেলা হয়। তাহলে মাস শেষে লেখকরা এ ধরনের পোস্ট দিবে না। আমরা গত মাসেও এ ধরনের কাজ করতে দেখছি।
প্রিয় সম্পাদক সাহেব আপনি আমার একটি লেখায় মন্তব্যের ঘরে বলেছিলেন এখন থেকে মাসের শেষ দিন পুরষ্কার ঘোষণা করা হবে কিন্তু গতকাল দেখলাম তার উল্টোটা। পুরষ্কার ঘোষণার পর সকল পয়েন্ট মুছে দেয়া হলেও এ মাসের সর্বোচ্চ মন্তব্যের অপশন মুছে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে গত মাসেও আপনার সাথে আমার কথা হয়েছে। একই দিনে সবগুলো অপশন মুছে দিলে ভাল হয়। প্রতি মাসের শেষে এ ধরণের সমস্যা যাতে আর না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। ধন্যবাদ।
প্রিয় সম্পাদক সাহেব কাউছার ভাইয়ের লেখায় বলছেন। ”আর আমাদের নিয়ম অনুযায়ী ২৫ তারিখের পর যে কোন দিন পুরুস্কার ঘোষণার কথা।”
০১/০৭/২০১৩ তারিখে আমির হোসেন ভাই ‘‘চলন্তিকার মান উন্নয়নে আমার কিছু প্রস্তাব ’’ শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশ করে তাতে ঐ লেখক সম্পাদ সাহেবকে ১৭টি প্রশ্ন করে তার মধ্যে ১৪ নং ১৭ নং দুইটি প্রশ্ন ও উত্তর পাঠকের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরলাম।
১৪.মাসিক পুরষ্কার গুলো মাসের শেষদিন ঘোষণা করলে ভাল হয়। আর বার্ষিক পুরষ্কারগুলো বৎসরের শেষ দিন ঘোষণা করলে ভাল।
উত্তরে সম্পাদক সাহেব বলেছিলেন- ১৪. একমত।
১৭.২৭ জুন একবার সবার পয়েন্ট ০ করলেন এখন আবার আজ সবার পয়েণ্ট ০ কেন? যথাযথ জবাব চাই। এমন নীতি পরিহার না করলে অচিরেই এ বগ্ল ছেড়ে অনেকেই চলে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। পয়েন্ট ০ করার জন্য নির্দিষ্ট একটি দিন চাই।
উত্তরে সম্পাদক সাহেব বলেছিলেন-
১৭. এখন থেকে মাসের শেষ দিন পয়েন্ট শূন্য করে প্রদায়ক দের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এইবারের জুন আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।
প্রিয় সম্পাদক সাহেব এবারও কি দুঃখ প্রকাশ করবেন! ব্যাপারটা কেমন হলো না।
কাউছার ভাইয়ের পোস্ট ও আমির ভাইয়ের পোস্ট থেকে এ কথা প্রমাণিত হয় যে পুরষ্কার ঘোষণার নিয়মটা পরিবর্তন করা হয়েছে কিন্তু এ মাসেও তা প্রয়োগ করা হয়নি। আশা করি আগামী মাস থেকে মাসের শেষ দিন রাত দশটার পর তা কার্যকর করা হবে। এবং একই দিনে পয়েন্ট ও মন্তব্য শুন্য করা হবে তাহলে কারো মাঝে কোন দ্বন্ধ থাকবে না।
আমার মনে হয় ২৫ থেকে ৩০, ৩১ না হয়ে যদি মাসের শেষ দিন ঘোষনা করা হয় তাহলে কারো কোন দ্বন্দ্ব থাকবে বলে আমি মনে করি না। যেমন- যেসব মাস ৩০ দিনের সেসব মাসের ৩০ তারিখ এবং যেসব মাস ৩১ দিনের সেসব মাসের ৩১ তারিখে ফলাফল ঘোষনা করলে ভালো হয়। আশা করি আপনি তা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সম্পাদক মহোদয়কে বিষয় গুলো গুরুত্তসহকারে ভেবে দেখার অনুরোধ করছি ।
আমি ভেবেছিলাম সয়ংক্রিয় কোন ব্যবস্থা আছে পয়েন্ট আবার শূন্য হয়ে যাওয়ার। তাই ৩০ তারিখে নতুন ভাবে শুরু হওয়াটাকে স্বাভাবিক ভেবেছিলাম। এটা যদি সম্পাদকের এখতিয়ার হয় তাহলে তাতো মাসের শেষ দিনেই করা যেতে পারে। যদি ২৭ বা ৩০ তারিখ করা যায় তাহলে যে মাস ৩১ দিনে সে মাসে ৩১ তারিখ করা যাবে না কেন? এ বিষয়টি অবশ্যই সংশোধিত হবে।
আমাদের চলন্তিকার প্রতি আস্থা স্থাপন করাও দরকার।
আর এটাও মনে রাখা দরকার কেউ-ই আমরা পয়েন্টের হিসাব নিকাশের জন্য চলন্তিকায় লিখছি না। গতকাল অনেকে এই কথা স্বীকারও করেছেন। তাহলে পয়েন্ট নিয়ে এত মাথা ঘামানোরও কোন প্রয়োজন নেই। পয়েন্ট থাকবে পয়েন্টের জায়গায়। আমার সাহিত্য চর্চা এতে কেন ব্যহত হবে।
আসুন চলন্তিকাকে সকল কাজে গঠনমূলক মন্তব্য করে সাহায্য করি। চলন্তিকা থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েতো কোন লাভ নেই। আবার চিরদিনের জন্য কেবল চলন্তিকাতে থাকার ব্যাপারে কঠোর হওয়ারও কোন মানে নেই। যেখানে আমার সাহিত্যচর্চা প্রেরণা পাবে সেখানেই হবে সত্যিকারের সাহিত্যিকদের বিচরণ।
সকলকে ধন্যবাদ।
আহমেদ ফয়েজ ভাই আপনি সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ।
যাই হোক,সমস্যা মিটে গেছে এটাই আনন্দের।
চলন্তিকার নীতিমালাকে খারাপ মনে হলনা ।