পুনে (ইন্ডিয়া)…… ভ্রমন (৫ম পর্ব-আঁগা খাঁ প্যালেস)
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1233বার পড়া হয়েছে।
এরপর আমরা রওয়ানা হই আঁগা খা প্যালেসের দিকে ……….. সেখানে ঘুরে দেখার সময় ছিল মাত্র ২০ মিনিট তাড়াহুড়া করে ছবি তেমন উঠাতে পারিনি ।
১। ভিতরে ঢুকেই একটা ক্লিক…….
২। ভিতরকার আরেকটা ছবি । বটগাছ………..
৩। প্রাসাদে ঢুকার গেইটে এমন সুন্দর ফুলই ফুটেছিল
৪। প্রাসাদের ভিতর ঢুকতেছি…….
ভারতের পুনের আঁগা খাঁ প্যালেস ভারতের সুলতান মুহাম্মদ শাহ আঁগা খান তৃতীয় দ্বারা নির্মিত হয়েছিল ১৮৯২ সালে । ভারতের ইতিহাসে এই প্রাসাদটি একটি বৃহত্তম দর্শনীয় স্থান হিসাবে পরিচিত ।
৫। প্যালেস পরিচিতি স্তম্ভ
৬। প্যালেস পরিচিতি স্তম্ভ
৭। আগাঁ খাঁ প্যালেস ভারতের বিষ্ময়কর ও রাজকীয় প্রাদান হিসাবে বিবেচিত । এই প্রাসাদ ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে ঘনিষ্টভাবে যাদের সাথে জড়িত তারা হলেন মহাত্মা গান্ধী, তার স্ত্রী কাস্তুরবা গান্ধী, তার সচিব মহাদেব দেশাই এবং সারোজিনি নাইডু । এখানেই কস্তুরবা গান্ধি আর মহাদেব দেশাই মারা যান । ২০০৩ সালে এই স্থানটিকে অর্থাৎ আঁগা খাঁ প্যালেসকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভ স্থান হিসাবে ঘোষণা করা হয় ।
কস্তুরবা গান্ধির মুর্তি……
৮। দেয়ালে টানানো স্মৃর্তি সম্পর্কিত ওয়ালম্যাট……….
৯। ভিতরের আরেকটি গেইট…….. সবুজে সবুজ হয়ে আছে চারদিক
১০। ঐতিহাসিকভাবে, প্রাসাদের মহান তাৎপর্য হয় মহাত্মা গান্ধী, তার স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধী ও তার সচিব মহাদেব দেশাই ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রবর্তন অনুসরণ করেন বলে তারা ৯ আগস্ট ১৯৪২ হতে ৬ মে ১৯৪৪ পর্যন্ত এই প্রাসাদে বন্দি ছিলেন । কস্তুরবা গান্ধী ও মহাদেব দেশাই প্রাসাদে বন্দিদশা অবস্থায় মারা যান এবং ওইখানে অবস্থিত তাদের সমাধি আছে । মূলা নদীর কাছাকাছি একই কমপ্লেক্সে মহাত্মা গান্ধী ও কস্তুরবা গান্ধী তাদের স্মৃতিসৌধগুলো অবস্থিত ।
মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি…..
১০। মহাত্মা গান্ধী একটা বাচ্চাকে কুলে তোলে নিচ্ছেন……
১১। দেয়ালে আঁকা যুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ণ…….
১২। উনি আমাদেরকে প্রাসাদ সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছেন……..
১৩। ১৯৬৯ সালে আঁগা খান চতুর্থ শ্রদ্ধার গান্ধী ও তার স্মৃতি চিহ্ন এবং দর্শনীয় স্থান হিসাবে ভারতীয় ব্যক্তিদের দান করেন এই্ আঁগা খান প্যালেসটি । এই প্রাসাদেই মহাত্মা গান্ধীর অস্থি/ছাই রাখা হয়েছে । প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি ১৯৭৪ সালে পরিদর্শন করেন এবং সেখানে গান্ধী স্মারক ঘর এর সেটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি বছর INR200000 (মার্কিন $৩,১০০)এর বরাদ্দ রাখেন এবং এর পরিমাণ ১৯৯০ সাল পর্যন্ত INR1 মিলিয়ন (মার্কিন $ ১৫,০০০) বরাদ্দ ছিল । এর পর বেশ কয়েক বছর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ফান্ডের টাকা বন্ধ থাকায় এখানকার স্মৃতিস্তম্ভগুলো অবহেলিত হয় । স্মৃতিস্তম্ভগুলো অবহেলার কারণে খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে পুনে রেল স্টেশনের কাছে একটি প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় এবং এখানে মহাত্মা গান্ধীর একটি মুর্তি প্রতিষ্ঠিত হয় ।
কার মূর্তি সঠিক বলতে পারছি না । আগেই বলেছি সময় অল্প ছিল যার কারণে সময় ধরে কিচুই ভালভোবে দেখতে পারছিলাম না …..
১৪। আরেকটা স্মৃতি স্তম্ভ
১৫।
১৬। ডানেরটা মনে হয় আগা খা………এর ছবি
১৭। দেয়ালে পাথরে আঁকা মহাত্মা গান্ধী ও তার সহযোগীরা ..
১৮। মহাত্মা গান্ধীজির পড়নের কাপড় চোপড়…
১৯। আগা খা প্যালেস
২০। বৃষ্ঠি হচ্ছিল তখন আমরা একটা ছাদের নিচে দাড়াই সেখান থেকে একটা ক্লিক
২১। প্যালেস এক ধারে এই সুন্দর স্মৃতি বিজরিত বাড়িটি । এর ভিতর যাইনি আমরা
২২। প্যালেসের আরেকটি ছবি
২৩। আরেকটি গেইট । যেখান দিয়ে দেখা যাবে মহাত্মা গান্ধির ছাই স্তম্ভ শ্যাওলায় স্থান নিয়েছে সবর্তই । কেমন জানি পুরাতন পুরাতন ঘ্রানে চারদিক মাতিয়ে রেখেছে ।
২৪। সর্বত্র ই শ্যাওলা কেমন জানি পুরাতন পুরাতম গন্ধ
২৫। মহাত্মা গান্ধির ছাই সমাধি……..
২৬। কস্তুরবা গান্ধি ও মহাদেব দেশাইয়ের ছাই ভষ্ম এখানে সমাধি করা হয় । মহাত্মা গান্ধীর সমাধি
২৭। একটি লাইট স্ট্যান্ড ।
২৮। বের আসতেছি আমরা সবাই……….
আজ এখানেই শেষ আগামী পর্বে থাকবে পাবর্তী পাহাড়……… দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে আল্লাহ হাফেজ …… আজ
https://secure.flickr.com/photos/chhobi-chhobi/
ফ্লিকার পেইজে বড় করে দেখতে চাইলে
১,২৭২ বার পড়া হয়েছে
ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হলাম।
ধন্যবাদ
চমত্কার ছবি সম্বলিত ভ্রমন কাহিনী টি পড়ে ভালো লাগলো
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া ….
আমার তো ভ্রমণের ইচ্ছে করছে ।
ছবিগুলো চমত্কার হয়েছে ।
হবেই তো পাকা হাতে তোলা ।
ভ্রমন করেন ভাইয়া । ছেলেদের োত কোন বাধা নেই
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
কত কি দেখার
মুগ্ধ হলাম
ধন্যবাদ আপনাকে দাদা