ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো ?????
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 372বার পড়া হয়েছে।
পূর্ব প্রকাশের পরে
রুবিনা হটাত করে এক হটকারী কাজ করে বসলো তার বাবা,পরিবার,সমাজ সব কিছু কে উপেক্ষা করে। সে এমন না যে তার বাবাকে কেয়ার করেনা বা তার পরিবার,সমাজ এর আইন কানুন এর প্রতি সে শ্রদ্বাশীল না তাও নয়। বরং সে অন্য মেয়ে দের চেয়ে বাবাকে আরো বেশি ভালবাসে ,সে আরো বেশি সংবেদনশীল মেয়ে ,বলা যায় তার বাবা তার যতনা অভিভাবক সে তার চেয়ে আরো বড় অভিভাবক বাবার। তার তিন বছর বয়সে মা মারা যান। এই বাবা ছিল একেধারে মা এবং বাবা। সেও ছিল বাবার পৃথিবী। রাজীব ছিল তার একমাত্র বন্ধু ,প্রেমিক,মেন্টর সব কিছু ই। তাহলে তার মধ্যে কি কাজ করছিল এ ঘটনার পিছনে? বাবা আর রাজীব এর অহেতুক পুশ ,সন্দেহ অবিশ্বাস তাকে এই কাজে ইন্ধন যুগিয়েছে ?অথবা কোনো মানবিক কারণে কি সাহায্য করতে গিয়ে এই কাজ করেছে ? তার বাবা ভাবতে ভাবতে শয্যা নিয়েছেন।
রুবিনা তাদের ই আশ্রিত দীনহীন রহিম কে কোর্ট ম্যারেজ করে ঘরে ফিরেছে আজ দুপুরে।
বাবাকে সালাম কর রহিম তাকে নির্দেশ করলো রুবিনা।
সরি বাবা আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি আমি জানি কিন্তু আমি তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য এটা করিনি ,আমার কোনো উপায় ছিলনা ,আমার মন,স্পিরিট আমাকে যা নির্দেশ করেছে ,তাই করেছি। তুমি সুধু আমার মাথায় হাত রেখে একটু আদর করে দাও বাবা, মনে কোনো কষ্ট রেখোনা বাবা বলল কাতর গলায়।
বাবা আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে আমার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যাব যদি তুমি অনুমতি দাও।
ওর বাড়ি কোথায় ? বস্তি ? বাবা হাহাকার এর মত জিজ্ঞাসা করে।
হা বাবা সবার ভাগ্য কি তোমার মত ভালো? টাকা পয়সা ব্যান্ক ব্যালান্স।
আমার ভাগ্য কোথায় ভালো ?তোর্ মা চলে গেল আমাকে ফেলে এখন তুই ও আমাকে ফেলে চলে যাচ্ছিস ,বলে বাবা ডুকরে কেদে উঠলো।
মা ঠিক আছে আমি তোর্ সব কিছু মেনে নিচ্ছি ,তোকে দোয়া ও করছি তুই সুধু এখানে থাক। ওখানে গিয়ে তুই কিভাবে থাকবি। ওর তো কিছু ই নাই। বাবা অস্থির হয়ে বলল।
কিছু একটা করতে হবে, দেখি কি করা যায় বাবা। মার কিছু গহনা আছে আমার কাছে। ওগুলি ব্যান্ক এ রেখে কিছু টাকা নিয়ে ওকে একটা ছোট একটা রেস্টুরেন্ট খুলে দিব আমি ওদের এখান এ বস্তির সবাইকে পড়ালিখা শিখাবো বলল সে আগ্রহ আর উদ্দীপনার সাথে।
সে তো খুব ভালো পদক্ষেপ মা। এটা তুই আমার এখান থেকে করবি মা ,আমি রহিম কে বসুন্ধরা তে একটা ইলেকট্রনিক্স এর দোকান এর পজেসন নিয়ে দিব রে মা বললেন বাবা আজমল চৌধুরী অনুনয়ের গলায়।
না বাবা আমাদের ভাগ্য আমাদের কে চেঞ্জ করতে দাও। আগে অন্তত চেষ্টা করি। যদি কিছু করতে না পারি তখন তোমার কাছে আসব বাবা। তুমি বাবা তোমার কাছে না তো কার কাছে আসব।
বাবা বুজলো তার মেয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তার ডিসিশন থেকে সরানো যাবেনা। একেবারে মায়ের মেয়ে হয়েছে। ওনার মনে পরছে। তখন মাত্র ওনাদের বিয়ে হয়েছে। সুরমা তার নিজের মায়ের উপরে কোনো কারণে মনে কষ্ট পেয়েছে সম্ভবত এবং সেইদিন রাতে দুইটায় তাকে নিয়ে ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে আসতে হয়েছে। আজমল চৌধুরী র শ্বাশুড়ি অর্থাৎ সুরমা র মা বারবার আকুল হয়ে বলছেন তুই আমাকে ভুল বুজিস না মা এভাবে জামাই নিয়ে এত রাতে ঘরের বাহির হোসনা। সেই যে তারা বের হয়ে আসছিল এর পরে তার শ্বাশুড়ির সঙ্গে দেখা হয়েছিল ঠিক তিন বছর ছয় মাস পরে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল এর মাতৃসদন রুম এ রুবিনার জন্মের পরে।
তার শ্বাশুড়ি তার হাতে রুবিনার জন্য আনা গোল্ড এর চুড়ি টা দিয়ে বলল সুরমা এটা নিলোনা ,তুমি বাবা নাতনির হাতে পরিয়ে দিও।
যেতে যেতে ফিরে দাড়িয়ে তিনি বললেন “বাবা আমার মেয়ে জেদী হলে ও অনেক ভালো ,তুমি ওর খেয়াল রেখো। সেই মায়ের মেয়ে রুবিনা। দির্গনিশ্বাস ফেলে ভাবলেন।
বাবার পিড়াপিড়িতে আজকে রাত টা রুবিনা এই বাড়িতে থাকবে বলে ঠিক করলো।
রাত এগারো টা। আজকে রুবিনার বাসর রাত। অনেকক্ষণ রহিম কে খোজা খুজি করার পর তাকে পাওয়া সার্ভেন্টস এর দের রুম ছেলে জামালকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে।
আস্তে আস্তে ধাক্কা দিয়ে রহিম এর ঘুম ভাঙ্গলো ,ইশারা করে বাহিরে আসতে বলল।
রহিম এর কাচা ঘুম ভেঙ্গে যাওয়াতে সে ভ্যাবলার মত তাকিয়ে আছে।
রুবিনা হাত ধরে তাকে নিয়ে আসল তার রুম এ। বেড টা দেখিয়ে ইশারা করে বলল শুতে।
রহিম বিস্মিত হয়ে বলল এটা তো আপা আপনার বিছানা।
এটা এখন তোমার ও বিছানা। এখন আমি কে তোমার বলত হেসে জিজ্ঞাসা করে রুবিনা।
আপনি আপা রহিম অবাক হয়ে বলল।
তুমি এত বোকা নাকি ? তোমার আগে র বিয়ে কিভাবে হয়েছিল বোকা হাসব্যান্ড কে প্রথমে সালাম করলো ,তারপর বুকে মাথা রেখে বলে এখন তোমার আমাকে কি মনে হচ্ছে এর পরে রহিম এর দুই হাত রুবিনা তার গালে স্থাপন করে টুক করে দুই গালে দুই চুমু দিয়ে বলল হেসে
এবার বল আমি তোমার কি?????
রুবিনার মানবিক মেয়েলি স্পর্শে রহিম এর মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার মত অবস্থা হলো। একে তো সে অনেকদিন ধরে নারী সঙ্গ বর্জিত,রুবিনার টাচ তার মৃত স্ত্রীর কথা করিয়ে দিল, স্বাভাবিক পুরুষ এর আবেগ কিছুক্ষণের জন্য সে চঞ্চল হয়ে আকড়ে ধরল আপা কে। পরক্ষণে ভিষণ লজ্জা পেয়ে ছেড়ে দিল।
ওকে আমি বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসি ,তুমি কিছু খেতে চাইলে খাও ,এখানে ব্রেড আর জুস আছে।
রুবিনা বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখে রহিম মেঝে তে শুয়ে আছে।
রুবিনার বুকে জোরে একটা ধাক্কা লাগলো। এত বুঝতে পারছেনা আমি তার ওয়াইফ। সে কি বড় ভুল করে ফেলল।
এদিকে রহিম এর মনে চিন্তার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আপা যে কেন এরকম করছে তার সাথে তার মাথায় আসছেনা।যে আপা কে বড় দেবী হুজুর এর মত শ্র্ধা করে তাকে বউ এর মত স্পর্শ করবে। সে ঘুমের ভান করে পরে রইলো। কালকে জামাল রে নিয়ে তার বস্তি ঘরে চলে যাবে। এই চিন্তা আসা মাত্র তার বস্তির চালা ঘর টি চুম্বকের মত টানতে লাগলো।
(পরবর্তিতে)
৪৬১ বার পড়া হয়েছে
এই অংশটুকুই পড়া হল।বাকি অংশ না পড়লে কোন লিঙ্ক খুঁজে পাব না জানি।ইচ্ছে থাকল সম্পূর্ণ পড়ার। একটা কথা আপনাকে বলতে চাই–নিজের ভেবে বলছি,লেখা তাড়াতাড়ি লিখুন ক্ষতি নেই কিন্তু কয়েকবার নিজে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে সংশোধনও করে যান।দেখবেন লেখার মান অনেক বেড়ে যাবে। এমনিতে লেখার অনেকটাই ভাল লেগেছে,ভাই!
তাপস ভাই আপনি ঠিক বলেছেন।লিখা কয়েকবার পড়লে অনেক ভূল চোখে পড়ে।সেনটেন্স বিল্ডিং বানান ভূল লেখার আরও মডিফিকেশন করা যায়।আসলে সেই সময় আমার নাই।
তবে আপনার পরামর্শ আমি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি।
আপনাকে ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য।
বাহ্, কথা ছিল বিয়েতে দাওয়াত পাবো
এখন দেখি দাওয়াত না খাওয়ানোর জন্য
কোর্ট ম্যারেজ করিয়ে দিোলেন।
দুঃখ পেলাম কিন্তু
অনেক ভাল লাগা ।
দুঃখ পাবেননা প্লিজ । আর এরকম বিয়ে হবেনা। আমার মেয়ে আয়েশা এবং এই উপন্যাসের আরেক নায়িকা আয়েশার বিয়েতে দাওয়াত অবশ্যই পাবেন।
ধন্যবাদ ধৈর্য্য ধরে আমার লিখা পড়ার জন্য।
আয়েশার বিয়ে খাওয়ার আশায় বুক বেঁধে
অপেক্ষায় রইলাম।
না বাবা আমাদের ভাগ্য আমাদের কে চেঞ্জ করতে দাও। আগে অন্তত চেষ্টা করি। যদি কিছু করতে না পারি তখন তোমার কাছে আসব বাবা।……………
ভাল লাগছে……………
সাথেই আছি