ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো????
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1017বার পড়া হয়েছে।
পূর্ব প্রকাশের পর
আশফাক এর নিজের ফিগারের দিকে তাকালে মন খারাপ হয়ে যায়।বিশাল এক ভূড়ি হয়েছে মাত্র আটাশ বছরে।আয়নায় দাড়িয়ে নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে নাহ এই জিওগ্রাফী চেন্জ করতে হবে স্বত্তর । নাহলে কনফিডেন্স চলে যাচ্ছে মন থেকে। যখন তখন কলিগরা এসে তার পেট হাতিয়ে যায় আর জিজ্ঞাসা করে চোখ টিপে হু আশফাক সাহেব কয়মাস ?
আশফাক যদিও তাল মিলিয়ে হাসে প্রতিউত্তর ও করে ভরা মাস মানে শেষের দিকে সময় আগত।
কলিগরা সবাই হেসে পিঠ চাপড়ে চলে যায় এবং অবশ্যই উপদেশ দিতে ভূল করেনা শিঘ্রী জিমে ভর্তি হয়ে যান নাহলে অল্প বয়সে ডায়বেটিস প্রেসার সব অলুক্ষনে রোগ এর সাথে সংসার পাততে হবে।
সবার পীড়াপীড়িতে আর নিলুফার আগ্রহে জিমে ভর্তি হওয়া।অফিস শেষে সরাসরি জিমে চলে আসছে এই কয়েকদিন হল।
তার সামনে একটা মেয়ে ট্রেডমিলে দৌড়াচ্ছে।মেয়েটা হেভী দেখতে যেমন সুন্দর ফিগার ও মারাত্মক।এ কেন এক্সারসাইজ করছে আশফাকের মাথায় আসতেছেনা। ওহ আচ্ছা যাতে সৌন্দর্য অমলীন থাকে সেজন্য সুন্দরীর চেষ্টা।
ব্যায়াম শেষে গাড়ীতে উঠতে যাবে সেই তন্মী ও এসে সামনের গাড়ীতে উঠে বসল। অনেকক্ষন গাড়ী স্টার্ট করার চেষ্টা করে সফলকাম না হওয়াতে গাড়ী থেকে নেমে পিছনের কাবার্ড খুলে দেখছে প্রবলেম টা কি?প্রবলেম পাওয়ার পর কি করবে বুঝতে পারছেনা হতাশ হয়ে এদিক ওদিক তাকাতে গিয়ে একসময়ে আশফাকের সাথে চোখাোখি হল।
বাধ্য হয়ে আশফাককে দরজা খুলে বের হয়ে আসতে হল জিজ্ঞাসা করল কি হয়েছে গাড়ীতে?
ঠিক বুঝতে পারছিনা ষ্টাটার মনে হয় কাজ করছেনা।আপনি গাড়ী বিষয় যদি ভাল বোঝেন যদি একটু কষ্ট করে চেক করে দেখতেন বলল সে অনুনয়ের স্বরে।
তা কি আর সে করবেনা ?সুন্দরী মেয়েদের অনুরোধ কবে কোন পুরুষ অগ্রাহ্য করে।মহাপুরুষরা পর্যন্ত রমনী সুন্দরী রমনীর প্রভাব থেকে দুরে যেতে পারেনা আর আশফাক আমিতো কোন ছার।
মেয়েটির গাড়ীতে ঢুকে চেক করে কিছু বুঝলনা।তারপরে এই ডিসিশনে আসল সম্ভবত তেল শেষ ।চেক করে দেখা যেতে পারে। আশফাকের গাড়ীতে এক্সট্রা তেল আজকে নাই।অগত্যা তাকে বলতে হল আপনি ওয়েট করুন।আমি নিয়ে আসছি সামনে একটা পেট্রল পাম্প আছে।
না না সেকি আমার টা আপনি কিনবেন কেন?চলুন আমিও যাব আপনার সঙ্গে।
দুজনে একসঙ্গে তেল কিনতে এসে চা খেল স্ন্যাকস খেল। দেখা যাচ্ছে মেয়েটা সুন্দরের সাথে বেশ ভদ্র ও।আশফাকের সাথে আসাতে সে তা রিটার্ন করার চেষ্টা করছে অন্যভাবে।আশফাককে কিছুতে বিল দিতে দিলনা।
কিছুক্ষন কোন সুন্দরীর সাথে সময় কাটালে আশফাক তার প্রেমে পড়ে যায়।তার ভাল অধঃপতন হচ্ছে দিনদিন। নীলুফার মত সুন্দরী বউ ফেলে মনটা যে কেন এত উড়ুঊড়ু করে।
সে ভাবে আমি মনে হয় নীলুফার সাথে অসুখী।নাহলে অন্য মেয়ে দেখলে আমি এত গলে যাই কেন?। নাকি এটা আমার চরিত্রের অংশ।বেশীরভাগ ছেলেরা হয়তবা এমনি ।সুন্দর
সুন্দরী মেয়েদের ছেলেরা যদি না দেখে সৌন্দর্য টা বূথা হয়ে গেল না? সৌন্দর্যটা তো অ্যপ্রশিয়েবল হতে হবে।মনে মনে হাসতে হাসতে এসব ভাবছে।
মেয়েটি হেসে ফেলল তার হাসি দেখে।বলছে আপনি দেখি একা একা হাসছেন কি মনে করে।
মেয়েটি এসে তার পাশে বসতে তার ওড়না সরে গেল একটু। আশফাকের চোখটা চলে গেল সেদিকে।মেয়েটি দেখে ও না দেখার ভান করল বা কোন বিব্রত বোধ করলনা। মেয়েরা এসবে অভ্যস্থ সেই বয়সন্ধি থেকে পরিনত বয়সে পৌছা পর্যন্ত পুরুষের দূষ্টির সামনে বড় হতে হয়।
গাড়ীর দরজা আটকে স্টার্ট করতে বিপরীতমুখী এক রিকশায় দৃষ্টি আটকে গেল। নীলুফা তার এক বান্ধবীর সাথে রিকশা করে কোথায় যেন যাচ্ছে।সর্বনাশ।এখন নীলুফাকে বিশ্বাস করানো সম্ভব হবেনা এই মেয়ের সাথে আজকে কথা হয়েছে।
নির্ঘাৎ নীলুফা মেয়েটিকে আশফাকের প্রেমিকা ভাবছে।
আশফাক জোরে জোরে নীলুফা রিক্সা থামাও থামাও বললে ও রিক্সাওয়ালার কানে তা যায়নি বা হয়তবা নীলুফা কি বুঝে ফ্রেন্ডের সামনে হাসবেন্ডকে বিব্রত অবস্থায় ফেলতে চায়নি বলে রিক্সা থামায়নি।
বেচারী নীলুফা কি ভাবছে।আশফাকের তার বউর জন্য মনটা খারাপ হয়ে গেল।
মেয়েটি জিজ্ঞাসা করছে কি ব্যাপার ওই মেয়েটি কে? আশফাকের এখন বিরক্তি লাগছে মেয়েটির কথার জবাব ও দিতে ইচ্ছে হচ্ছেনা তার।সে শুধু একমনে ভেবে যাচ্ছে কোনভাবে ঘটনা এক্সপ্লেঈন করলে নীলুফা বুঝতে পারবে।
(পরবর্তীতে)
১,০৮৮ বার পড়া হয়েছে
ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো???? গুলো পড়তে পড়তে কাহিল। এর পর্ব কতটি হলো জানতে চাই।
ধন্যবাদ আমির ভাই কষ্ট করে আমার লিখা পড়ার জন্য। এটা দ্বিতীয় বই বা পার্ট হবো ।আপনি না চাইলে বা পাঠক না চাইলে লেখা স্টপ করে দিব। কেউ কেউ বলতেছে কন্টিনিউ করতে সেই জন্য করা।
আমির ভাই আপনার কবিতা অনেক আগ্রহ আর ভালবাসা নিয়ে পড়ি। আপনার কোন লিখাই আমি মিস করিনা খেয়াল করে দেখবেন।
আর মন খারাপ করবেননা প্লিজ। আমি মাঝে মাঝে অ্যাগেসিভ কমেন্টস করে ফেলি।এটা আমার বড় দোষ। পরে নিজের কমেন্টস পরে খুব গিল্টি ফিলিংস হয় ।এভাবে মনে হয় বলা উচিত হয়নি। আসলে সবাই তো লিখছি আরেকজনের জন্য মানুষের জন্য সমাজের জন্য।কাজে লেখাগুলো অবশ্যই অ্যাপ্রিশিয়েটেড হওয়া উচিত মনে করি। আমি সরি আপনাকে দুঃখ দিয়ে থাকলে আমার কমেন্টস দিয়ে। আপনার সাথে ও আমি ও একমত শুধু প্রকাশের ভিন্নতার কারনে এই ভূল বোঝাবোঝি। আমি ও তাই মনে করি মেয়েরা মায়ের জাত।পোষাক আশাকে আমাদের অবশ্যই হতে হবে ভদ্র শালীন মার্জিত সমাজের শৃংখলার জন্য । তা ছাড়া আমি নিজে যদি উছৃংখল হই তবে আমার সন্তানকে কি ভাল কিছু শিখাতে পারব।সরি অনেক বড় কমেন্টস হয়ে গেল নিজেকে প্রকাশ করতে গিয়ে।
আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।ভাল থাকবেন সব সময়।
বোন আরজু আমি আসলে আপনাকে উপন্যাসটি শেষ করতে বলিনি। আমি বুঝাতে চেয়েছি কতটা পর্ব হয়েছে উল্লেখ থাকলে ভাল হতো। আমার পড়তে বিরক্ত লাগে না। সারাদিন পড়াশুনার মধ্যেই ব্যস্ত থাকি। অন্যদের কাছে থেকে শিখতে চেষ্টা করি। আমার লেখায় পাঠক তার নিজের মতো করে মন্তব্য করবে এতে আমি কষ্ট পাই না বা রাগ করি না। বরং খুশী হই। পাঠকের মন্তব্যের মাধ্যমে আমার লেখার টুটিগুলো বের হয়ে আসে। আমার কথায় আপনি নিজের প্রোফাইলে নিজের জীবনী লিখছেন। আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। অনেক কিছু জানলাম। বাবা মায়ের দেয়া নাম সবার কাছেই সুন্দর। আপনার পুরো নামটা এখানে প্রকাশ করতে পারেন। আসলে কি সব পাঠকই চায় যার লেখা পড়ছি তার সম্র্পকে জানি। পরিচয় লুকানোর মধ্যে কোন মহত্ব নেই। আমার লেখা নিয়মিত পড়বেন এই আশা করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পড়তে বিরোক্ত লাগেনা বরং ভালই লাগে ।
যতই পড়িব ততই শিখিব শেষ নাহি বিদ্যার
জীবনের লাগি সব কিছু ত্যাগি শিক্ষা করো রোজগার ।
সাথেই আছি ।
মেয়েটি এসে তার পাশে বসতে তার ওড়না সরে গেল একটু। আশফাকের চোখটা চলে গেল সেদিকে।মেয়েটি দেখে ও না দেখার ভান করল বা কোন বিব্রত বোধ করলনা। মেয়েরা এসবে অভ্যস্থ সেই বয়সন্ধি থেকে পরিনত বয়সে পৌছা পর্যন্ত পুরুষের দূষ্টির সামনে বড় হতে হয়।
বাহ্, একটা মজার তথ্য
প্রশ্রয় দেয়া নয় তো?
অনেক ভাল লাগা।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে আমার লিখা পড়া এবং কমেন্টস করার জন্য।হ্যা কাশেম ভাই তথ্য মজার কিন্তু সত্য। অস্বস্তিকর নিসঃন্দেহে আমার জন্য এটার বর্ননা করা।মেয়েরা যেভাবে বড় হয় ছেলেদের লক্ষ করে বা একইভাবে ছেলেরা মেয়েদের যেভাবে দেখে আমি সবকিছুর বাস্তব সম্মত বর্ননা করতে চাচ্ছিলাম।লেখাটা বা বক্তব্য টা কিছুটা অ্যাডাল্ট ধাচের লিখেছি ঘটনা বাড়ানোর জন্য।সমস্যা শুধু নীতিবাক্য লিখে তো উপন্যাস হতে পারেনা। উপন্যাসে মানুষের মনের গোপন অলিগলি জটিলতা সমাজ সংসার এর অন্ধকার দিক এর বর্ননা যদি না আসে লেখাটা গ্রহনযোগ্য হবেনা।
আমি এই লেখাতে আলোকিত জগত এবং অন্ধকার জগৎ দুইজগতকে পাশাপাশি নিয়ে আসব যেটা আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ফেস করি সবসময় ।কিন্তু জয় হবে সবসময় ভালর।
হ্যাঁ , উপন্যাসে সব কিছুই এসে থাকে,
সমাজ আর মানুষকে ব্যাখ্যা করতে
গেলে সবই আসবে , আসাটাই স্বাভাবিক।
আমি শুধু মাজা করলাম।
ভাল থাকুন।