।। ‘মেঘ’ যাবে নানুবাড়ি ।। ( একটি শিশুতোষ গল্প)
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1773বার পড়া হয়েছে।
কিসমত … । পঞ্চগড় জেলার দক্ষিণাঞ্চলে মফস্বলের একটি ছোট্ট রেল স্টেশন । এখানে মেল ট্রেন থামেনা – লোকাল গুলো অধিকাংশ সময় থামার ভান করে , কিম্বা বলা চলে – চলতে চলতে থামে অথবা থামতে থামতে চলে যায় । সব লোকাল পেসেঞ্জার বলে এই অবহেলা ! এই স্টেশনে নেমে সোজা পশ্চিম-উত্তর দিকে বাঁক নিয়ে আঁকা বাঁকা রাস্তা দিয়ে কিলো খানেক গেলে কিংবদন্তি নায়ক অভিনেতা ষাট- সত্তর দশকের বাংলার উত্তম কুমার খ্যাত ‘নায়ক রহমান’ এর সমাধীস্থল যে গ্রামের নাম রসেয়া । রঙ্গ- রসের মানূষ নিয়ে এই জনপদের উত্থান কিনা কে জানে ? যার কারণে গ্রামের নাম রসেয়া । এই রসেয়া থেকে আরো কিলোতিনেক উত্তরে গেলে ‘ঢাংগা-ঢাংগি’ জোড়া দিঘী । মাঝখানে রাস্তা, দুই ধারে দিঘী । কাকচক্ষুর ন্যায় কালো এর জল দেখলে যে কেউ মুগ্ধ না হয়ে পারেনা । এর একটু পূর্ব দিকেই টাংগন শুকনো নদী যা’তে এখন অনেক ধরনের ফসলের আবাদে ভরিয়ে তুলেছে স্থানীয় কৃষকেরা । এই মরা নদীর কিছুটা ভাটিতে রয়েছে রাণীগঞ্জ এস্টেটের শেষ উত্তরসুরী মহারাণী দেবিকারাণী রায় ওরফে বুড়িরাণীর নামে খ্যাত বুড়িরবান যে জলমহালে এলাকার মানূষের সারা বছরের মৎস্য চাহিদা পূরণ হয় । প্রতিবছর চৈত্র-বৈশাখ মাসে এখানে গণমৎস্য শিকারের ( স্থানীয় ভাষায় যাকে ‘বাহো’ বলে যা প্রতিটি হাটবাজারে ঢোলশহরত করে মানূষকে দিন-তারিখ নির্ধারন করে জানানো হয় ) আয়োজন করা হয় । যেখানে দে্শী প্রজাতীর অনেক মাছ বিশেষ করে, শোল, বোয়াল , শিং,মাগুড়, কানাশসহ সব প্রজাতীর মাছ পাওয়া যেতো । এখন সময়ের বিবর্তনে আগের মতো আর মাছ পাওয়া যায়না । এই নিয়ে এলাকাবাসীর আক্ষেপের শেষ নেই । তবে, চোখ জুড়ানো নয়ানাভিরাম এই এলাকাটি যে প্রাকৃতিক শোভা বর্দ্ধন করেছে এ ব্যাপারে কারো সন্দেহ নেই । ‘ঢাংগা-ঢাংগি’ জোড়া দিঘী থেকে পশ্চিমে গেলে মির্জাপুর গ্রাম । উত্তরে পানবাড়া ও দক্ষিণে পাটশিড়ি গ্রাম – ‘মেঘের নানুবাড়ি’ । ‘মেঘ’ এর জন্ম ঢাকাতেই । সে মা’মনির কাছে শুনেছে-সেই ছোট্ট বেলায় তার নানুভাই এর কোলে চড়ে একবার মাত্র নানুবাড়ির গ্রামে গিয়েছিল । কতইবা তার বয়স তখন ? এই দুই- আড়াই হবে । তখনকার সময়ের কথা কি কারো মনে থাকে ? আজ তার বয়স দশ পেড়িয়েছে , সে এখন ক্লাস সিক্সে পড়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে । আজ তার এই এলাকায় এসে প্রাণ জুড়িয়ে যায় । বিশেষ করে , এবার তার সাথে রয়েছে এলাকার কালুয়া মামা তার নানুবাড়ির পরম আত্মীয় । এই মামাটিকে সে ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছে । কিছু দিন পর পর নানু বাড়ি থেকে দেশীয় জাতের মাছ,মুরগী, মালভোগ কলা , পেয়ারা ইত্যাদি নিয়ে আসে যা মামনি ও আব্বুর খুবই প্রিয় । এই জন্য অবশ্য আব্বু বা আম্মু প্রায়ই তাকে বিভিন্ন উপঢৌকন ,টাকা- পয়সা দিয়ে থাকে । আজ ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন থেকে নীলসাগর ট্রেনে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে পাবর্তীপুর জংশনে এসে লোকাল ট্রেনে চড়ে কিসমত স্টেশনে নামে । এখানে কালুয়া মামার সাথে ব্যাটারী চালিত ভ্যানে চড়ে সে যাচ্ছে নানুবাড়ি । মা’মনি ও আব্বুর তো হাতে সময় থাকেনা নানুবাড়ি আসার । তাই গ্রীস্মের ছুটিতে সে কালুয়া মামার সাথেই রওয়ানা হয়েছে নানুবাড়ি । এই এলাকার মাঝখানে রয়েছে বিশাল এলাকা জুড়ে বারো আউিলিয়া মাজার শরীফ । পুরো এলাকা জুড়ে যে মৌজার নাম বারো আউলিয়া ।
আচ্ছা, মেঘ কি এতো সুন্দর গ্রাম কখনো দেখেছে ? হয়তো আগে দেখেছে , কিন্তু সেই স্মৃতি এখন মনে নেই । এই মির্জাপুর ( মির্জাগোষ্ঠীর নামে ) গ্রামের নামের সেই চমকপ্রদ কাহিনী কি ‘মেঘ’ কখনো শুনেছে ? সেই অনেক অনেক দিন মির্জাদের আগমনের আগে এই এলাকায় বসবাস করতো এক ব্রাক্ষ্মণ জমিদার । জমিদারও বুঝি ব্রাক্ষ্মণ হয় ? তখনকার যুগে তার ছিল তের তের জন পত্নী । কারো বয়স চল্লিশ/পঁয়তাল্লিশ তো কারো বয়স বার/তের । আর জমিদার ছিল খুব ভাগ্যবান অন্তত: আয়ুর দিক থেকে । কেননা, প্রজাবৎসল এই ব্রাক্ষ্মণ জমিদার বেঁচেছিল প্রায় পঁচান্নব্বই বছর । কিন্তু পত্নীরা ছিল একেবারে ক্ষণজন্মা । কেউ পঁয়তাল্লিশ বছর আয়ু পার করেছে বলে কারো জানা নেই । একমাত্র শেষ বউ এর বয়স যখন আঠারো পেড়িয়েছে তখন ব্রাক্ষ্মণ জমিদারের ইহলিলা সাঙ্গ হয় । কিন্তু বউটি ছিল সতিস্বাদ্ধি – ব্রাক্ষ্মণ জমিদার স্বামীর অত্যন্ত প্রিয়তমা । সে আগে থেকেই অনুভব করেছিল যে তার প্রাণপ্রিয় স্বামীধন যে কোনদিন টুপ করে মরে যাবে ।বলে রাখা ভাল যে, এই বউটি ছিল এলাকার প্রজাবৎসদের কাছেও খুব জনপ্রিয় ও শ্রদ্ধার পাত্র । তাই ব্রাক্ষ্মণ পরিবারের বউ হিসেবে তাদের কাছ থেকে পেত অনেক উপঢৌকণ এই ধরো সোনাদানা , মনি মানিক্যসহ আরো কতো কী ! আর ব্রাক্ষ্মণ জমিদারের দেয়া সম্পদ যেমন হিরা মুক্তা মানিক্যতো আছেই । তখনকার আদিযুগে সহমরনের যে প্রথা ( যাকে সতিদাহ প্রথা বলে ) তা খুব কঠোরভাবে প্রতিপালন করা হতো । তাই ব্রাক্ষ্মণী বউটি এই সব সোনাদানা -হিরামানিক্যর লোভ সংবরণ করতে না পেরে একটি শক্তমতো নকশীকাঁথা ( স্থানীয় ভাসায় যাকে বলে ‘গোদুলী’) সিলাই করে সেগুলো এর মধ্যে ভরে ফেলে বিছানায় আকড়ে ধরে থাকতো আর অপেক্ষা করতো বুড়ো ব্রাক্ষ্মণের সাথে চিতায় ঝাপ দিয়ে স্বর্গবাসী হওয়ার !!
জমিদার মারা গেলে যথারীতি সুন্দরী ব্রাক্ষ্মনী বউটি সোনাদানা -মনিমানিক্য ভরা নকশীকাঁথাটি তার গায়ে জড়িয়ে সোনা-দানার থেকে জীবনের মায়ায় চিতায় ঝাপ দিতে রাজি না হলেও ঢাকঢোল করতালের শব্দে চিতায় ঝাপ দিয়ে সহমরনে বাধ্য করা হয় । ওই এলাকার প্রজাবৎস্যরা ছিল অতীব ধার্মীক ও সহজ সরল । ‘চিতা ভস্ম ’ কেউ ছুলে মহাপাপ হবে জেনে – সেখানে কেউ হাত দেয়নি । একমাত্র সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোকটিই তাঁদের ‘ চিতাভস্ম ’বড় বস্তায় ভরে নিকটস্থ জমিদারের অতি প্রিয় জায়গা শান বাধানো কাজল পুকুরে নিক্ষেপ করা হয় । সেই থেকে লোকে এই কাজল পুকুরের নাম দেয় ‘সতিপুড়া দিঘী’ ।
ওদিকে অনেক অনেক দিন পর সেই পশ্চিমের ইরান , তুরান , কাবুল দেশ থেকে ঘোড়ার পিঠে চড়ে যে কাবুলিওয়ারা আসতো ( ঠিক রবি ঠাকুরের ’কাবুলিওয়ালা’ গল্পের ছবিতে দাড়িওয়ালা মানূষটির মতো ) এমন কয়েকজন কাবুলিওয়ালা এই এলাকার মানূষকে নানা ধরনের সামগ্রী বাকিতে ( ধার ) দিতো । আগের যুগে উচু ডাংগা এই এলাকাটি সম্পূর্ন প্রকৃতি নির্ভর হওয়ায় আবাদ ফসল হিসেবে একটিমাত্র ফসল মানুষ ঘরে তুলতো সেটি হলো মানাশারা আমন ধান । তাও পঞ্চাশ শতকের জমিতে মাত্র তিন থেকে চার মন । ফলে মানূষ খুব অভাবী ছিল ।এই অভাবী মানূষদের রক্ত শোষন করতো এই কাবুলীওয়ালারা ! কিভাবে সেটাই বলছি । পণ্য-সামগ্রীর পাশাপাশি এই সব অভাবী ও সহজ-সরল মানূষদের চাহিদা মতো দিতো টাকা ধার । তারা ছিল অতীব চালাক ও ধুর্ত প্রকৃতির । যে টাকা ধার হিসেবে দিত , তা সুদে- আসলে বছর শেষে দ্বিগুণ/তিনগুণ ওসুল করে নিত । কেউ টাকা দিতে না পারলে তার গোয়াল থেকে গরু-ছাগল , খোয়ার থেকে হাঁস – মুরগী যা হাতের কাছে পেত তাই নিয়ে চলে যেত । একবার হয়েছে কি, চার-পাঁচজন কাবুলীওয়ালা রাতযাপনের জন্য একজনের বাড়ির কাচারী ঘরে থাকে । তখনকার যুগে মানূষ প্রাকৃতিক কর্ম সারতো বনে-জংগলে কিম্বা বাঁশতলায় । যথারীতি ভোর বেলায় একজন কাবুলীওয়ালা বাঁশতলায় প্রাকৃতিক কর্ম সেরে পানি খরচের জন্য ‘সতিপুরা দিঘী’তে নামে । পানি খরচ করার জন্য যেই বামহাত পানিতে নামিয়েছে , খট করে শক্ত মতোন কি যেন তার নখে লাগে । নখ- আংগুলে টান দিতেই তো তার ‘চক্ষু চড়কগাছ’ ! একি একেবারে জ্যান্ত সোনা-দানা, মনি মুক্তা হাতের নাগালে ! আবারো হাত ডুবিয়ে দেখে- আবারো ‘চক্ষু চড়কগাছ’ !
…. একি ! জ্যান্ত হিরা, মুক্তো, মনি- জহরত ! এ’তো দিঘী নয় এতো মনি মানিক্যের জ্যান্ত খনি ! হাত ডুবালেই সাতরাজার গচ্ছিত গুপ্ত ধন , তাও আবার পুকুরে নিমজ্জিত ! কাবুলিওয়ালা সদস্যটি চার- পাঁচ বার হাত ডুবিয়েই একবারও ব্যর্থ না হয়েও পুকুরের গভির জলে যেতে সাহস পায়না । কেননা, সে’তো সাঁতারের ‘স’ও জানেনা । তাই আশ পাশ তাকিয়ে দেখে কেউ বিষয়টি দেখে ফেললো কি না । না , এতো ভোর বেলা এই অলস কিম্বা তাদের চোখে ভিরু বঙ্গাল দেশের মানূষ তো দুরের কথা, কাক – পক্ষীও টের পায়নি । সুতরাং যে গুলো হাতে পেয়েছে তা তার পায়জামার ফিতের ঘরে ভরে ভালভাবে কোমরে ফিতে বেঁধে এক দৌড় দিয়ে চলে যায় কাচারী ঘড়ে । দেখে তখনও তার বন্ধুরা জেগে উঠেনি – ফোসঁ ফোঁস করে ঘুমুচ্ছে । বঙ্গাল দেশে এসে আলসের জাত বঙ্গাল হয়ে গেছো তোমরাও ! এদের মধ্যে যে বন্ধুটি তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত তাকে আস্তে করে ডেকে তোলে আড়ালে নিয়ে গিয়ে বিষয়টি জানায় । তার বন্ধুটি শুনে চোখ কপালে তোলে । সে চিন্তা করে এ যা বলছে তা কি ঠিক না স্বপ্ন ? তাই তাকে নিয়ে আবারো পুকুরে যায় । এবার হাত দিতেই আবারও মনি মুক্তা ! কিন্তু পরিমাণে মাত্র একটিই । কিন্তু গভীর জলে যাওয়ার সাহস পায়না । দু’ জনে পুকুর থেকে উঠে এসে চিন্তা করতে থাকে – কি করা যায় ! এই বাঙ্গালকা বাচ্চাদের বিষয়টা জানালে তাদের কোন লাভ হবেনা । তাই তারা ঠিক করে , প্রথমে বিষয়টি একেবারে গোপণ রাখা । এই দু’জন ছাড়া কাক-পক্ষীও যেন না জানে । আজই তারা রওয়ানা দেবে ইরান মুল্লুকে । দু’ জনেই কাচারী ঘড়ের দিকে রওয়ানা দেয় আর চিন্তা করতে থাকে কি করা যায় ? ততক্ষনে ভোরের আভা কেটে গিয়ে সকাল হওয়া শুরু করেছে । সোজা উত্তরে তাকাতেই দুরে দেখা যায় সবে মাত্র কাঞ্চন জঙ্ঘার চুড়ায় রোদ লাগতে শুরু করেছে । এই কাঞ্চন জঙ্ঘার ধার দিয়েইতো তাদের ঘোড়া নিয়ে দৌড়াতে হবে আপন দেশে পাড়ি দিতে । না হলেতো দিকভাল ঠিক থাকবেনা ।
একটা শেওড়া গাছের নিচে ঝোপের আড়ালে দু’জনে শলাপরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয় – প্রথমত , তাদের তিন বন্ধুকে বলতে হবে এই স্থান আজই দ্রুত ত্যাগ করার জন্য । এজন্য তাদের বলতে হবে যে ,- ভোর বেলা দুইজন প্রাকৃতিক কর্ম সারতে গিয়ে দেখে এক বঙ্গালকা বেটি প্রাকৃতিক কর্ম সারছে । এটা দেখার অপরাধে সে চিৎকার দিয়ে বাড়ীর দিকে দৌড় মেরেছে । বঙ্গালরাতো বহুত শয়তান আছে । তারা আগ-পিছ না ভেবেই লাঠি নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হবে- এটা নিশ্চিৎ । এর আগেই বুদ্ধির কাজ হবে এখান থেকে কেটে পড়া । দ্বিতীয়ত: , আমাদের মির্জা গোত্রের যারা এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করার মানসিকতা থাকবে শুধুমাত্র তাদের পরিজন নিয়েই আগামী মাসেই এখানে আসার পরিকল্পনা করবে । হাটতে হাটতে চলে আসে কাচারী ঘরে । এসেই ডেকে তোলে বাকি তিন বন্ধুকে এবং তাগাদা দেয় । কারণ দেখিয়ে তাড়া তাড়ি এই এলাকা ত্যাগ করার । তাদের বলে – যে তারা বাড়ির মালিককে বলার জন্য কিছুক্ষণ থেকে এই এলাকা ত্যাগ করবে । তিন বন্ধু উঠেই তাদের ঘোড়া নিয়ে দৌড় দেয় । না হলে বাঙ্গালীর লাঠির ঘা পিঠে পড়ার অভিজ্ঞতা তাদের কম নেই । এই বঙ্গালকা বাচ্চারা এমনিতে খুব সহজ সরল । কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ এধরনের ঘটনায় তারা কেউ রেহাই পায়নি । তখন একটাই পথ – এদের মোড়লদের কাছে হাতপা ধরে ক্ষমা চাওয়া । ক্ষমা পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু লাঠির ঘা’টা থাকে ফাও । যেটার মাফ নেই । তাই যতো তাড়াতাড়ি পারা যায় এই এলাকা থেকে কেটে পড়া ভালো ।মেঘ যাচ্ছে নানুবাড়ি ব্যাটারীচালিত পংখীরাজে চড়ে আর ভাবে …….সেও মনে হয় কাঞ্চনজঙ্ঘার পাশ দিয়ে ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে চলেছে আফগান-ইরান মুল্লুকে । মূহুর্তের মধ্যে তার সেই ধ্যান ভাংগে যখন কালুয়া মামা তাগিদ দেয় তার নানুবাড়ির দরজায় কড়া নেড়ে ।
=====================
১,৭৪৯ বার পড়া হয়েছে
গল্পটি শেষ হলো কিনা বুঝতে পারলাম না । শুভ কামনা ।
ধন্যবাদ ভাই , মন্তব্য করার জন্য । তবে ছোটগল্পতো ! সেই রবীঠাকুরের কথায় যাকে বলে শেষ হয়েও হলোনা শেষ !! শুভকামনা নিরন্তর আপনার জন্য ।
ভাল
ধন্যবাদ দীপঙ্করদা । ভাল থাকবেন ।
ভাল লাগল গল্পটি
ভাল লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু । ভাল থাকবেন , এই কামানাই নিরন্তর ।