Today 23 Nov 2024
banner
নোটিশ
ব্লগিং করুন আর জিতে নিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রিটার্ন বিমান টিকেট! প্রত্যেক প্রদায়কই এটি জিতে নিতে পারেন। আরও আছে সম্মানী ও ক্রেস্ট!
banner

আপনি বস হিসেবে কেমন? ৬ টি ইস্যু

লিখেছেন: ড. মাহফুজ পারভেজ: | তারিখ: ৩০/০৪/২০১৫

এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1370বার পড়া হয়েছে।

কর্মীর ও ম্যানেজমেন্টের মধ্যে সমন্বয় সাধনেই সফলতাই প্রকৃত টিম লিডার বা বসের কাজ। প্রথমেই মনে রাখতে হবে, জন্ম নিয়েই কেউ বস হয়ে যান না, প্রতিষ্ঠান তাদেরকে বস হিসেবে তৈরি করে নেয়। পেশাজীবনে ব্যাপক সাফল্যের পর বলাই যায় আপনি একজন আদর্শ বস এবং টিম লিডার। মূলত যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করে তাদের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের নেতৃত্বগুণের ওপর। তবে কাউন্সিলার মিশেল ম্যাককোয়াড এর মতে, এদের মধ্যেও খারাপ বসের সন্ধান মেলে। সফলতা আনার পরও বিশেষজ্ঞের বিচারে অনেক কারণে একজনকে আদর্শ বস হিসেবে ধরে নেওয়া যায় না। এখানে দেখে নিন ৬টি লক্ষণ যার মাধ্যমে বোঝা যাবে একজন বাজে বসের বৈশিষ্ট্য।

3

১. কর্মীকে ভয়মুক্ত রাখতে ব্যর্থ: আপনি যদি বস হিসেবে কর্মীকে বিভিন্ন ভয় থেকে মুক্ত রাখতে না পারেন বা তার ভালো কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হন তাহলে বস হিসেবে সফল নন। কোন ধরনের ভয়-ভীতি বা মানসিক চাপে থাকার ফলে হাতে থাকা কাজটি নিয়ে আপনার কর্মী অমনোযোগী হয়ে পড়েন।

অন্যদিকে কর্মীরা তাঁদের ‘ভয়ংকর’ বসের কারণে কর্মক্ষেত্রে অখুশি থাকেন আর এর প্রভাব পড়ে তাঁদের স্বাস্থ্য ও কর্মস্পৃহায়। কর্মক্ষেত্রে অসন্তুষ্টির কারণে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশির ভাগ কর্মীই তাঁদের কর্মস্পৃহাও হারিয়ে ফেলেন। ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রডাক্টিভিটি কমে যায়।

শিল্প ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নিয়ে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে শিল্প-মনোবিজ্ঞান পরামর্শক রালফ ইভান্স বলেন, যেসব বস অকারণে সব সময় চিৎকার-চেঁচামেচি করেন; তাঁদের সামনে তটস্থ থাকেন কর্মীরা। এ অবস্থাটি তাঁদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে।

প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে প্রকাশিত গবেষণাটিতে এই মনোবিজ্ঞানী জানিয়েছেন, অফিসে পা রাখা মাত্রই যদি বস বকাঝকা শুরু করেন, তাহলে কর্মীর মনোবল ভেঙে যায়। কর্মীর মনে একটি বিদ্রোহী ভাবের সৃষ্টি হয়। মনে মনে তিনি বসের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে পাল্টা যুক্তি সাজাতে থাকেন। কর্মস্পৃহা কমে যাওয়ায় কাজটি করতে বেশি সময় লাগে। কর্মীর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিষ্ঠানও।

২. ঘন ঘন সিদ্ধান্তি বদল :  ঘন ঘন সিদ্ধান্ত বদল করলে নেগেটিভ পারিবেশ তৈরি হয়। কোনো বসের অধীনে যারা কাজ করেন তাদের যদি ঘনঘন পাল্টাতে হয় তবে বসকে ভালো বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। আপনার অধীনে যদি এমনটি হয়, তবে এর যাবতীয় দোশ আপনাকেই নিতে হবে। এসব ঘটনার অর্থ হলো, অধীনস্তদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ভালো নয়। কাজেই একজন বস হিসেবে আপনি দেখুন কোন কর্মী আপনার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি দিন ধরে কাজ করছেন। যারা চলে যেতে চান তাদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। তাদের অভিযোগ জানা দরকার।

৩. আপনি অভিযোগ শোনেন : অফিসের কর্মীদের অভিযোগ শোনার জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। অফিসের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনেক সময় এসব অভিযোগ এইচআর বিভাগে জানাতে হয়। কিন্তু আপনি যদি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সবার অভিযোগ শুনতে যান, তবে সেখানে নানা সমস্যার উদয় হতে পারে। আধুনিক যুগে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ বেশ খোলামেলা এবং সরল প্রকৃতির। এর মধ্যে একজন বস হিসেবে আপনার আলাদাভাবে কারো অভিযোগ শোনার তাগাদা কেনো রয়েছে তা একটি প্রশ্ন হতে পারে।

4

৪. অধীনস্তরা আপনাকে এড়িয়ে চলেন : অফিসে যখন কর্মীরা আপনাকে এড়িয়ে চলছেন, তখন বুঝতে হবে আপনার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারছেন না কর্মীরা। নিজের বিষয়ে এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আপনার। সবার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। কর্মীদের সঙ্গে আপনার অঙ্গভঙ্গি বা কথা বলা ইত্যাদিতে সমস্যা থাকতে পারে। পাশাপাশি কর্মীদের চাওয়া-পাওয়া না বুঝলে আপনাকে এড়িয়ে চলবেন কর্মীরা।

৫. কর্মীদের বোঝেন না আমরা : আপনি কী আপনার কর্মীদের বুঝতে পারেন? বন্ধু বা আপনজনদের যেভাবে বুঝতে পারেন, তাদের চাওয়া-পাওয়া আপনার বুঝতে হবে। নেতা হিসেবে বিভাগের কর্মীরা কী করছেন বা কী চাইছেন তা বোঝা আপনার দায়িত্ব। অর্থাৎ সবার সঙ্গে বোঝাপড়ার সম্পর্ক থাকতে হবে। এই অনুভূতি গড়ে তুলতে না পারলে আপনার সঙ্গে কর্মীদের ব্যাপক দূরত্ব তৈরি হবে।

৬. আপনি কঠোর পরিশ্রম করেন : একটি প্রবাদ রয়েছে, যদি একজন ম্যানেজার সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করেন তবে তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন না। বরং তিনি স্মার্টভাবে কাজ করেন। কিন্তু একজন দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে যদি আপনি কঠোর পরিশ্রম করেন, তবে বুঝতে হবে আপনি স্মার্টভাবে কাজ করতে পারছেন না। কর্মীদের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করেন প্রধানরা। তবে তাদের কাজের ধরন ভিন্ন। প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণের জন্য তিনি কাজ করেন। কিন্তু প্রতিদিনের বিভাগীয় কাজে ব্যস্ত থাকেন না তিনি। কিন্তু কর্মীদের মতোই একই কাজে যদি ব্যস্ত থাকেন, তবে আপনাকে ভালো বস বলা যায় না। আপনি ভুল পদ্ধতিতে কাজ করছেন।

১,৩৫০ বার পড়া হয়েছে

লেখক সম্পর্কে জানুন |
অধ্যাপক, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সর্বমোট পোস্ট: ২০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ০ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৩-০৯-২৯ ১১:০৬:২৭ মিনিটে
banner

৫ টি মন্তব্য

  1. এই মেঘ এই রোদ্দুর মন্তব্যে বলেছেন:

    এটা যদি আপনার লেখা না হয় তবে এর সূত্র উল্লেখ করে দিন

  2. টি. আই. সরকার (তৌহিদ) মন্তব্যে বলেছেন:

    লিখাটা সুন্দর ! কিন্তু লিখাটা কি সত্যিই আপনার ! যদি তাই হয় তবে শুভেচ্ছা নিন ! আর তা না হলে অবশ্যই এর সূত্রটা উল্লেখ করে দিন !
    লিখা যার-ই হোক শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।

  3. সবুজ আহমেদ কক্স মন্তব্যে বলেছেন:

    দারুন উপকারী পোষ্ট
    ভালো ভাবনার প্রকাশ
    শুভ কামনা রইল

  4. সবুজ আহমেদ কক্স মন্তব্যে বলেছেন:

    বেশ ভালো
    উপকারী পোষ্ট
    শুভেচ্ছা রইল

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন.

go_top