আব্বা মানে ফাদার?
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1158বার পড়া হয়েছে।
আব্বা মানে ফাদার?
সকালেই মেইল চেক করতে গিয়ে জানলাম।
আগামিকাল ঢাকায় আসছেন কোম্পানীর নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত ভাইস প্রসিডেন্ট মিঃ ওয়াই এইচ পার্ক।
প্রথমে ট্রাভেল এজেন্সির ম্যানেজারকে বললাম।
বাংলাদেশ বিমানে ঢাকা চট্রগ্রামের একটা টিকেট এর ব্যাবস্থা করার জন্য।
হেড অফিসে জানতে চাইলাম।মি।পার্ক কতদিন বাংলাদেশে থাকবেন?
ওনার জন্য আলাদা কোন রুম লাগবে কিনা বা ওনার বিশেষ কোন চাহিদা?
সকাল সাড়ে দশটায় উনি চট্রগ্রাম বিমানবন্দরে পৌছাঁলেন।
আমার সাথে পরিচয় হলো।দুজন একসাথে অফিসে আসলাম।
আজ ভাইস প্রেসিডেন্ট মি। পার্কের সাথে প্রথম অফিস মিটিং।
বাংলাদেশ অফিসের খুটিনাটি একদিনেই সব জেনে নিতে চাইলো।
আর সবশেষে বলল একটা অনুরোধ উনি বাংলা ভাষা শিখতে আগ্রহী।
উনাকে অফিসের কাজের ফাকেঁ বাংলা ভাষা শিখাতে হবে।
কথা দিলাম যতদুর সম্ভব আমরা উনাকে সহায়তা করবো।
একদিন দু দিন যায় উনি একটা দুটা করে শ খানেক বাংলা শব্দ শিখলো।
দু একটা বাক্যে পুরোপরি বলতে শিখেছে।
তোমার নাম কি?
তুমি কেমন আছো?
তোমার কাজ কি?
বসে আছো কেন?
আমি, তুমি, ভাত এভাবে
ভালবাসি।
মেয়েদের সবাইকে বলতে শুরু করলো আমি ভালবাসি।
শুভ সকাল।ধন্যবাদ।ভালো থেকো।
আর কয়েকজন শ্রমিকের নাম উনি শিখে নিল।
সপ্তাহ খানিক হয়েছে।পার্ক সাহেব এখন শ্রমিকদের সরাসরি কথা বলতে চেষ্টা করে।
প্যাকিং সেকশনের প্রধান এর সাথে এখন ওর খুব ভাব।
সময় পেলে ওর সাথে কথা বলে।
এরিমধ্যে আমরা আমাদের বিভিন্ন কাজে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছি।
খুব ঝামেলায় আজকের মধ্যে কন্টেইনার দিতে না পারলে সব জ্যাকেট গুলো বিমানে পাঠাতে হবে।
এটা নিয়ে উনার সাথে আলোচনা হলো।
উনি এই বিষয়ে প্যাকিং সেকশনের প্রধান এর কথা বলতে চাইলো।
আমি বললাম ঠিক আছে আমি ব্যাপারটা দেখছি।
এরি ফাকেঁ আমি প্রোডাকশন ম্যানেজারের সাথে কথা বলছিলাম।
হঠাৎ শুনলাম মি. পার্ক অফিসের দরজায় খুব জোরে বলছে
আব্বা এদিকে এসো, আব্বাতাড়াতাড়ি অফিসে আসো।
আমি দৌড়ে অফিসে আসলাম ওকে বললাম।
কি ব্যাপার তুমি কাকে ডাকছো?
কে তোমার ফাদার?
উত্তরে উনি যা বললেন প্যাকিং সেকশনের প্রধানকে ডাকছেন।
প্যাকিং সেকশনের প্রধান ওকে বলেছে ওর নাম আব্বা?
তাই উনি ওকে মানে
আব্বাকে ডাকছে?
ঘটনাটা বুঝতে আমার দেরী হলোনা।
ওকে বুঝিয়ে বললাম সরি।
ও তোমার সাথে দুষ্টুমি করেছে।
তখন ওহাসতে হাসতে বলল।
কি বল আব্বা মানে ফাদার?
আমিতো আজ চারদিন ধরে্ ওকে আব্বা্ বলে ডাকছি।
(ঘটনাটা বাস্তব আজ হতে ১৯ বৎসর আগের আমার জীবনের ডাইরী থেকে)
১,১২৭ বার পড়া হয়েছে
বেশ মজার গল্প পড়লাম । কিন্তু বিদেশী ভাল মনের মানুষটাকে বাঙ্গালী টাউট প্রতারিত করেছে শুনে খারাপ লাগল । শুভ কামনা ।
হাহাহ
দারুণ লাগলো । লেখাও সুন্দর হয়েছে…
বেশ মজার ব্যাপার।শুভকামনা প্রিয় ……….
ধন্যবাদ আহমেদ রব্বানী ভাই।
কিন্তু বিদেশী ভাল মনের মানুষটাকে বাঙ্গালী টাউট প্রতারিত করেছে শুনে খারাপ লাগল । শুভ কামনা ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই এস এম আব্দুর রহমান । ওর শাস্থি হয়েছিলো কোম্পানীর নিয়ম অনুযায়ী।
দারুণ লাগলো । লেখাও সুন্দর হয়েছে…
অনেক অনেক ধন্যবাদ।শুভেচ্ছা অবিরত।
হা হা হা দারুন মজা তো
নাইস
;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;
;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;
ভালো লাগলো পড়ে ‘
থাকলো শুভ কামনা
শুভ সন্ধ্যা