আমার ক্ষমা চাওয়ার দৈনতা ও জাতির তরতর অর্থনীতি ।
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1636বার পড়া হয়েছে।
ব্যস্ততার কারনে বন্ধু এমরানের বিয়েতে উপস্হিত হতে না পারায় বন্ধু রফিকের দ্বারস্থ হলাম নববধূর রূপ সৌন্দর্য সম্বন্ধে যৎকিঞ্চিত ধারনা নিতে । বন্ধু রফিক যা বলল তাতে আমি একপ্রকার আবেগায়িত । কেননা সত্যের প্রতি তার বিলক্ষন চিন্তাভাবনা সচরাচর আমি প্রত্যক্ষ করি না । কিন্তু এই এক জায়গায় রফিকের সত্যানুসন্ধান আমাকে অনেক সত্যের মুখেই ফেলে দিল । রফিকের সাদামাটা জবাব ছিল গোসল না করালে বলা যাবে না । আমি ভিতরের ব্যাপারটা বুঝলাম । মাল মসল্লার ভীরে সত্যিকার বর্নন তার পক্ষে অসম্ভব ছিল ।
জগতে মাল মসল্লার একখানা উপকারিতা আছে বটে । এমনিতে’তো আর শহর ছেড়ে গ্রামের চিপাচাপায় সৌন্দর্য বিপনন বিতান ঢুকে যায় নাই । মানুষ খায়, মানুষকে খাওয়ানো যায় । সুতরাং ব্যবসার প্রসার হচ্ছে । নারী পুরুষ অধিকতর সুন্দর হয়ে উঠছে । বড়ই আনন্দের বিষয় । শুধু আনন্দেই সৌন্দর্য চর্চার শ্রাদ্ধ শেষ নয়, সাথে সাথে অর্থনীতির চাকাও তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে । নারীর কর্মসংস্হান হচ্ছে ।
নানান সেবার নানান মূল্য । নানান তরিকায় নানান উপস্হাপন সত্যি ঈর্ষনীয় । চুল ধরিলে বাঁধিলে কাঁটিলে , খাড়া কিংবা ত্যাড়া , লাল কিংবা বেগুনী যাহাই করুন অর্থনীতির চাকা কিন্তু ঘুরছে । ভ্রূু তুলিবেন, ধরিবেন সাইজ বেসাইজ যাহাই করুন আপনি কিন্তু অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন । গাল গলায় যতই মসল্লা মাখছেন জাতি কিন্তু ততই আপনার কাছে কৃতজ্ঞ হচ্ছে ।
মাঝে মাঝে নিজেকে বড় বেশী অকৃতজ্ঞ মনে হয় । জাতির এমন অর্থনীতির পেছনে আমার ভূমিকা একেবারে শূন্য । সচেতন না হোক অসচেতন নাগরিক হিসেবেও’তো জাতির প্রতি একটা শ্রদ্ধাবোধ আমার থাকা উচিত । কিন্তু যেই’না শ্রদ্ধাবোধ উথলিয়ে উঠতে চায় তখন’ই মনে হয় জাতির অর্থনীতি যথাতথা আমার অর্থনীতির’তো দফারফা । তবে মানুষ যে জাতির অর্থনীতির এমন অহরহ সেবা দিয়ে যাচ্ছে তাদের অর্থনীতির কি খবর । নিশ্চয়ই ব্যক্তিবিশেষে অর্থনতি একেবারে টইটুম্বুর । বাহ অতি চমৎকার আর্থিক সামাজিক ব্যবস্হায় আমরা পৌঁছে গেছি ভেবেই মনটা পুলকিত হয়ে উঠল । কিন্তু পুলকিত ভাবটা বেশীক্ষন ধরে রাখতে পারলাম না । এত তরতর অর্থনীতির মধ্যেও নাকি জাতীয় আয়কর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না । গলদটা কোথায় ! টাকা আসে কোথা থেকে, যায় কোথায় !
কিছু কিছু ছেলে মেয়ে দেখলে নিজের অজান্তেই বলে ফেলি ট্যালকম পাউডার । এজন্য জাতির কাছে আমার ক্ষমা চাওয়ার একটা আবশ্যকতা আছে বটে । কেননা ফুলে উঠে অর্থনীতিতে ভূমিকা নেই এটা রাষ্ট্র ক্ষমা করলেও জাতির সূর্য সন্তানদের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ রাষ্ট্র কিছুতেই ক্ষমা করবে না । অবশ্য আমার ক্ষমা চাওয়ার দৈনতাও কম নয় ।
……..নিঃশব্দ নাগরিক ।
১,৬১৪ বার পড়া হয়েছে
“””নানান সেবার নানান মূল্য । নানান তরিকায় নানান উপস্হাপন সত্যি ঈর্ষনীয় । চুল ধরিলে বাঁধিলে কাঁটিলে , খাড়া কিংবা ত্যাড়া , লাল কিংবা বেগুনী যাহাই করুন অর্থনীতির চাকা কিন্তু ঘুরছে । ভ্রূু তুলিবেন, ধরিবেন সাইজ বেসাইজ যাহাই করুন আপনি কিন্তু অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন । গাল গলায় যতই মসল্লা মাখছেন জাতি কিন্তু ততই আপনার কাছে কৃতজ্ঞ হচ্ছে ।”””
ভালো লাগলো আপনার লেখা।
শুভেচ্ছা নেবেন…
ভাললাগার জন্য ধন্যবাদ ।
বেশ
কিছু জানা গেল
ধন্যবাদ ।