Today 23 Nov 2024
banner
নোটিশ
ব্লগিং করুন আর জিতে নিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রিটার্ন বিমান টিকেট! প্রত্যেক প্রদায়কই এটি জিতে নিতে পারেন। আরও আছে সম্মানী ও ক্রেস্ট!
banner

আমার ভালবাসার পানীয় /অমৃত পানীয় চা

লিখেছেন: আরজু মূন জারিন | তারিখ: ১৪/১২/২০১৩

এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1560বার পড়া হয়েছে।

আহ শীতের সকালের এক কাপ চা

================

রাত জাগরনের ক্লান্তি মুছে যায়। আমার কাছের মানুষরা মজা করে আমার সাথে।বলে আমাকে দেখলে নাকি তখন মনে হয় আমি কি একটা অমৃত নেয়ামত খাচ্ছি। চা খাওয়ার সময় অটোমেটিক্যালী আমার চোখ বন্ধ হয়ে যায় আমি তখন কোন একটা সুখকর মূহৃর্ত বা কিছু একটা লিখা নিয়ে ভাবছি। যারা লিখে বা লিখতে চায় বা কবি সাহিত্যিকদের সাথে চা এর একটা গাঢ় সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়।চা ক্রিয়েটিভ থিন্ক করতে সাহায্য করে যুক্তিকে সংঘঠিত করতে সাহায্য করে নার্ভকে অ্যালার্ট রাখে।

আর নেয়ামত বা অমৃত এর কথা যদি বলি এরকম অসংখ্য নেয়ামত অমৃত আসলে চারিপাশে ছড়ানো ছিটানো থাকে আনন্দের উপকরন হিসাবে। কিছু না কিছু আনন্দের উপকরন সবসময় আমাদের চারিপাশে সাজিয়ে রেখেছেন আমাদের পালনকারী আমাদের অবসরের রিক্রিয়েশন হিসেবে। হতাশা গ্রস্থ মনের কারনে সবসময় খেয়াল করিনা ।সবসময় আল্লাহ র সাথে অভিযোগ আমাদর ।এটা নাই সেটা নাই।অথচ পজিটিভ মন নিয়ে খুজে দেখলে চারিপশে আমাদের অসংখ্য আনন্দের উপকরন অসংখ্য নেয়ামত এর মুখোমুখী সবসময় হচ্ছি।

আমার সব ভাই বোন বন্ধু বান্ধবী ঠান্ডার এই সকালে সবার জন্য এটা যে যার মত করে তাদের জীবনে ছোট ছোট ব্লেসিংকে চিনে নিতে পারে এবং পভুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে।

=======================================================================================

কবি সাহত্যিক লেখকদের কপাল কি পোড়া?

কালকে থেকে অনেক চেষ্টা স্বত্বেও এক কাপ ভাল চা খেতে পারলাম না। কালকে সাতবার চায়ের পাতিলটা পোড়ালাম।বার বার ক্লিন করে বসিয়ে আবার ফুড়িয়ে ফেলি।কফি মেকার এর পট ষ্ট্যান্ডে বসানোর বদলে বসিয়ে দিয়েছি ওভেনে একদিন।সারাঘরে ভাঙ্গা কাচের টুকরা যেমন ভরে গেল তার এক টুকরা বিধে গেল হাতে। ভাগ্যিস আল্লাহ আমার ত্রানকর্তা বাচিয়েছেন সেই দিন আমায়।আল্লাহ বুঝেছেন আমি ছাড়া এই অবুঝ জাতির কোন ভরসা নাই।(লোল)

বাংলার আকাশে আজ দূর্যোগের ঘনঘটা
কে দিবে আশা কে দিবে ভরসা।
(সিরাজদ্দৌলা সিনেমার ডায়লগ)

সিরাজদ্দৌলা বেচে নাই।বেচে আছি আমি এক পোড়া কপালী পোড়া চা খাওয়া সাহিত্যিক।অবশ্য পোড়া চাকে এখন স্বাভাবিক স্বাদের মনে হল।মানুষ হিসাবে আমাদের অ্যাডাপ্টিবিলিটি অসাধারন।আমরা যখন যেই অবস্হায় থাকি বা থাকতে বাধ্য হই তখন এটাকে আমার জীবন অস্তিত্ব মনে হয়। বস্তির সেই ছেলেটা তিনদিন কিছু খায়নি সে ডাস্টবিন থেকে পাউরুটির টুকরা তুলে খাবে তুমি আমি যতই নাক সিটকাই না কেন?

আমি মেনে নিয়েছি ভাগ্য আমার পোড়া চা তরকারী। অচিরে আমাদের জনসাধারন ও মেনে নিবে অসুস্হ বার্ন ইউনিট থেকে বের হয়ে আসা এই দেশ নেতা জাতি।কষ্ট দূর্ভাগ্য পেইনে আমরা অভ্যস্হ ।বরং ভাল কিছু হজম করতে কস্ট হয়। কানাডার ভেজালহীন খাওয়ায় আমার স্টমাক ফ্লু হয়ে যায় কিন্ত আমার দেশের ভেজাল তেলের ভাজাপোড়াতে কখন ও কিছু হোতনা।

যাই হোক  আমার নিজের কপালে পোড়া চার ভাগ্য  হলেও আমি আমার সহ সাহিত্যিকদের জন্য স্বাভাবিক স্বাদের চা এবং স্বাভাবিক উজ্জল সুন্দর সাহিত্যিক জীবন কামনা করছি।

সবাইকে অনেক ভালবাসা ।

১,৬১৪ বার পড়া হয়েছে

লেখক সম্পর্কে জানুন |
নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে বললে সবসময় বিব্রত বোধ করি। ঠিক কতটুকু বললে শোভন হবে তা বুঝতে পারিনা । আমার স্বভাব চরিত্র নিয়ে বলা যায়। আমি খুব আশাবাদী একজন মানুষ জীবন, সমাজ পরিবার সম্পর্কে। কখনো হাল ছেড়ে দেইনা। কোনো কাজ শুরু করলে শত বাধা বিঘ্ন আসলেও তা থেকে বিচ্যুত হইনা। ফলাফল পসিটিভ অথবা নেগেটিভ যাই হোক শেষ পর্যন্ত কোন কাজ এ টিকে থাকি। জীবন দর্শন" যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ " লিখালিখির মূল উদ্দেশ্যে অন্যকে ভাল জীবনের সন্ধান পেতে সাহায্য করা। মানুষ যেন ভাবে তার জীবন সম্পর্কে ,তার কতটুকু করনীয় , সমাজ পরিবারে তার দায়বদ্ধতা নিয়ে। মানুষের মনে তৈরী করতে চাই সচেতনার বোধ ,মূল্যবোধ আধ্যাতিকতার বোধ। লিখালিখি দিয়ে সমাজে বিপ্লব ঘটাতে চাই। আমি লিখি এ যেমন এখন আমার কাছে অবাস্তব ,আপনজনের কাছে ও তাই। দুবছর হলো লিখালিখি করছি। মূলত জব ছেড়ে যখন ঘরে বসতে বাধ্য হলাম তখন সময় কাটানোর উপকরণ হিসাবে লিখালিখি শুরু। তবে আজ লিখালিখি মনের প্রানের আত্মার খোরাকের মত হয়ে গিয়েছে। নিজে ভালবাসি যেমন লিখতে তেমনি অন্যের লিখা পড়ি সমান ভালবাসায়। শিক্ষাগত যোগ্যতা :রসায়নে স্নাতকোত্তর। বাসস্থান :টরন্টো ,কানাডা।
সর্বমোট পোস্ট: ২২৯ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ৩৬৮৩ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৩-০৯-০৫ ০১:২০:৩৫ মিনিটে
banner

১৪ টি মন্তব্য

  1. আযহা সুলতান মন্তব্যে বলেছেন:

    পানাহারের মধ্যে চা একপ্রকারের অমৃতই বটে…..যদিওবা চার বিশেষ কোন গুণ নেই…তবু চা সবার কাছে প্রিয়….

  2. আরজু মন্তব্যে বলেছেন:

    ধন্যবাদ আযহা চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

  3. এম, এ, কাশেম মন্তব্যে বলেছেন:

    ঠান্ডা লেগেছে
    তাই এক কাপ রং চা + আদা +লেবু+লং+এলাচি সহকারে চাইলাম
    খাইলাম একটা ভেংচী
    কি আর করা , চুপ করে রইলাম
    কিছুক্ষণ পর দেখলাম সামনে এক কাপ রং চা এনে হাজির………….

    বুঝলাম রং চা চাইলে পাওয়া যায়
    সাথে ধমকও
    Just like buy one
    Get one free.

    কপাল পোঁড়া আর কাকে বলে।

  4. আরজু মন্তব্যে বলেছেন:

    ভেংচী তো খাবেন।চাইলেন রং চা সে কত খুশী আাশান্বিত হৃদয়ের দোলা নিয়ে আসল।সে কাব্য রসে মনে করেছে কাব্য রসটা বুঝি প্রেমের রস মনে করেছিল।
    এর চেয়ে ইজি ব্যাপার বা টেকনোলজি হল আপনি ঘরে কিছুক্ষন ঝিম মেরে পড়ে থাকতেন প্রথমে বলতেন গলা ব্যাথা করছে ভীষন কি করি বলতো।দেখতেন সব রঙের চা চলে আসত।লাল চা আদা চা লেবু অরেন্জ চা।মেয়েদের সাইকোলজি বুঝতে হবে।সহানুভূতি আনানোর চেষ্টা করবেন।

    ঠান্ডা কফ দূরীকরনে আমার নিজস্ব রেমেডী দেখেন তো কাজ করে কিনা?এটা আমার খুব ভাল কাজ করে।আমি কখন কফ মেডিসিন খাইনা।কেননা দেখেছি এলকোহল থাকে বেশী কফ মেডিসিনে।

    এই হারবাল রেমেডি ফলো করে দেখতে পারেন।

    ছোট চায়ের চামচে সমান পরিমান লেবুর রস ও হানি মিশিয়ে দিনে তিনবার ঔষধের মত খাবেন।লেবু ভিটামিন সি সবসময় বেশী বেশী খাবেন।আদাকূচী খাবেন (এটা তো মনে হয় জানেন)তাছাড়া লেবু চা আদা চা লং এলাচ দারচিনি সবই টনসিলের জন্য ভাল।

    তো বিনে পয়সায় কাউন্সিলিং রেমেডী দিয়ে দিলাম।এখন যান মিসেস কাশেমের কাছে মাফলার পেচিয়ে বসে থাকুন আর গলা খাকড়ী করতে অতি স্বত্তর সবধরনের চা সহ কালার বা রং ও চলে আসবে জীবনে।

    ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

  5. এস এম আব্দুর রহমান মন্তব্যে বলেছেন:

    মাঝে মাঝে চা জিনিসটা সত্যিই ভাল লাগে । তবে কোন জিনিসই নেশা হিসেবে গ্রহন করা আমার মতে ভাল না । শুভ কামনা । ভাল থাকুন ।

  6. আরজু মন্তব্যে বলেছেন:

    হ্যা আপনি ঠিক বলেছেন।আমার লেখা পড়ে আপনি সম্ভবত ভাবছেন আমার চায়ের প্রতি অ্যাডিকশান তীব্র।আসলে তা না ।চা বা কোন জিনিসের জন্য তীব্র চহিদা নাই।ধন্যবাদ রহমান ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।

  7. এই মেঘ এই রোদ্দুর মন্তব্যে বলেছেন:

    চা না খাইলে বাঁচি না… আর আমরা সিলেটিরা চা না খেলে চলে না। লেখা ভাল লাগল।

    • আরজু মন্তব্যে বলেছেন:

      আপনি সিলেটের নাকি?আমার সিংহভাগ আত্মীয় তো সিলেটের।তো আপনি আমার আত্মীয়ের পড়শী হয়ে গেলেন।ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্টসের জন্য।

  8. আহসান হাবীব সুমন মন্তব্যে বলেছেন:

    যারা লিখে বা লিখতে চায় বা কবি সাহিত্যিকদের সাথে চা এর একটা গাঢ় সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়।চা ক্রিয়েটিভ থিন্ক করতে সাহায্য করে যুক্তিকে সংঘঠিত করতে সাহায্য করে নার্ভকে অ্যালার্ট রাখে।
    বাহ , ভালো পরামর্শ ! চেষ্টা করে দেখবো আজ থেকে কিছুদিন ।

  9. সাঈদ চৌধুরী মন্তব্যে বলেছেন:

    হুমায়ুন আহমেদের একটি স্মরনীয় বাণী থেকে বলছি- দুধ ছাড়া চা আর কাজল ছাড়া নারী…
    আমারও দুধ ছাড়া চাকে খুবই এতিম মনে হয় । চা এর কথা মনে পড়ে তখনই যখন সে আমার পাশে থাকে । সারা দিনের সবচেয়ে সুন্দর সময় পরিবারের কয়েকজনে একসাথে চা খাওয়ার সময়টুকুই ।ভালোতো লেগেছেই একেবারে মনের মতই । ধণ্যবাদ সুন্দর করে মনের কথাগুলো লিখার জন্য ।

    • আরজু মন্তব্যে বলেছেন:

      আমার তো তাই। অনেক রটি খায়।আমি ভাবতে পারিনা কিভাবে খায়।দুধ ছাড়া চা আসলে টেষ্টলেস মনে হয়। মাঝে মাঝে ঠান্ডাতে আদা চা লং চা খেতে বাধ্য হই যদিও একেবারে পছন্দ না।তবে স্বাস্থ্যসম্বত চা হচ্ছে লিকার চা।বা গ্রীন টি কিন্তু আমি এসব খেতে পারিনা।

      ধন্যবাদ সাঈদ ভাই আপনার বক্তব্য শেয়ার করার জন্য।ভাল থাকবেন কেমন।

  10. শাহ্‌ আলম শেখ শান্ত মন্তব্যে বলেছেন:

    যারা লিখে বা লিখতে চায়
    বা কবি সাহিত্যিকদের সাথে চা এর একটা গাঢ়
    সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়।চা ক্রিয়েটিভ থিন্ক
    করতে সাহায্য করে যুক্তিকে সংঘঠিত
    করতে সাহায্য করে নার্ভকে অ্যালার্ট রাখে।

    ইয়েস , আমি জানি ।
    আপু বেশ হয়েছে লেখাটি ।

  11. আরজু মন্তব্যে বলেছেন:

    ধন্যবাদ শান্ত ।তুমি ও তাহলে আমার মত চা পানে পারদর্শী?

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন.

go_top