আমার ভালবাসার পানীয় /অমৃত পানীয় চা
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1560বার পড়া হয়েছে।
আহ শীতের সকালের এক কাপ চা
================
রাত জাগরনের ক্লান্তি মুছে যায়। আমার কাছের মানুষরা মজা করে আমার সাথে।বলে আমাকে দেখলে নাকি তখন মনে হয় আমি কি একটা অমৃত নেয়ামত খাচ্ছি। চা খাওয়ার সময় অটোমেটিক্যালী আমার চোখ বন্ধ হয়ে যায় আমি তখন কোন একটা সুখকর মূহৃর্ত বা কিছু একটা লিখা নিয়ে ভাবছি। যারা লিখে বা লিখতে চায় বা কবি সাহিত্যিকদের সাথে চা এর একটা গাঢ় সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়।চা ক্রিয়েটিভ থিন্ক করতে সাহায্য করে যুক্তিকে সংঘঠিত করতে সাহায্য করে নার্ভকে অ্যালার্ট রাখে।
আর নেয়ামত বা অমৃত এর কথা যদি বলি এরকম অসংখ্য নেয়ামত অমৃত আসলে চারিপাশে ছড়ানো ছিটানো থাকে আনন্দের উপকরন হিসাবে। কিছু না কিছু আনন্দের উপকরন সবসময় আমাদের চারিপাশে সাজিয়ে রেখেছেন আমাদের পালনকারী আমাদের অবসরের রিক্রিয়েশন হিসেবে। হতাশা গ্রস্থ মনের কারনে সবসময় খেয়াল করিনা ।সবসময় আল্লাহ র সাথে অভিযোগ আমাদর ।এটা নাই সেটা নাই।অথচ পজিটিভ মন নিয়ে খুজে দেখলে চারিপশে আমাদের অসংখ্য আনন্দের উপকরন অসংখ্য নেয়ামত এর মুখোমুখী সবসময় হচ্ছি।
আমার সব ভাই বোন বন্ধু বান্ধবী ঠান্ডার এই সকালে সবার জন্য এটা যে যার মত করে তাদের জীবনে ছোট ছোট ব্লেসিংকে চিনে নিতে পারে এবং পভুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে।
=======================================================================================
কবি সাহত্যিক লেখকদের কপাল কি পোড়া?
কালকে থেকে অনেক চেষ্টা স্বত্বেও এক কাপ ভাল চা খেতে পারলাম না। কালকে সাতবার চায়ের পাতিলটা পোড়ালাম।বার বার ক্লিন করে বসিয়ে আবার ফুড়িয়ে ফেলি।কফি মেকার এর পট ষ্ট্যান্ডে বসানোর বদলে বসিয়ে দিয়েছি ওভেনে একদিন।সারাঘরে ভাঙ্গা কাচের টুকরা যেমন ভরে গেল তার এক টুকরা বিধে গেল হাতে। ভাগ্যিস আল্লাহ আমার ত্রানকর্তা বাচিয়েছেন সেই দিন আমায়।আল্লাহ বুঝেছেন আমি ছাড়া এই অবুঝ জাতির কোন ভরসা নাই।(লোল)
বাংলার আকাশে আজ দূর্যোগের ঘনঘটা
কে দিবে আশা কে দিবে ভরসা।
(সিরাজদ্দৌলা সিনেমার ডায়লগ)
সিরাজদ্দৌলা বেচে নাই।বেচে আছি আমি এক পোড়া কপালী পোড়া চা খাওয়া সাহিত্যিক।অবশ্য পোড়া চাকে এখন স্বাভাবিক স্বাদের মনে হল।মানুষ হিসাবে আমাদের অ্যাডাপ্টিবিলিটি অসাধারন।আমরা যখন যেই অবস্হায় থাকি বা থাকতে বাধ্য হই তখন এটাকে আমার জীবন অস্তিত্ব মনে হয়। বস্তির সেই ছেলেটা তিনদিন কিছু খায়নি সে ডাস্টবিন থেকে পাউরুটির টুকরা তুলে খাবে তুমি আমি যতই নাক সিটকাই না কেন?
আমি মেনে নিয়েছি ভাগ্য আমার পোড়া চা তরকারী। অচিরে আমাদের জনসাধারন ও মেনে নিবে অসুস্হ বার্ন ইউনিট থেকে বের হয়ে আসা এই দেশ নেতা জাতি।কষ্ট দূর্ভাগ্য পেইনে আমরা অভ্যস্হ ।বরং ভাল কিছু হজম করতে কস্ট হয়। কানাডার ভেজালহীন খাওয়ায় আমার স্টমাক ফ্লু হয়ে যায় কিন্ত আমার দেশের ভেজাল তেলের ভাজাপোড়াতে কখন ও কিছু হোতনা।
যাই হোক আমার নিজের কপালে পোড়া চার ভাগ্য হলেও আমি আমার সহ সাহিত্যিকদের জন্য স্বাভাবিক স্বাদের চা এবং স্বাভাবিক উজ্জল সুন্দর সাহিত্যিক জীবন কামনা করছি।
সবাইকে অনেক ভালবাসা ।
১,৬১৪ বার পড়া হয়েছে
পানাহারের মধ্যে চা একপ্রকারের অমৃতই বটে…..যদিওবা চার বিশেষ কোন গুণ নেই…তবু চা সবার কাছে প্রিয়….
ধন্যবাদ আযহা চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
ঠান্ডা লেগেছে
তাই এক কাপ রং চা + আদা +লেবু+লং+এলাচি সহকারে চাইলাম
খাইলাম একটা ভেংচী
কি আর করা , চুপ করে রইলাম
কিছুক্ষণ পর দেখলাম সামনে এক কাপ রং চা এনে হাজির………….
বুঝলাম রং চা চাইলে পাওয়া যায়
সাথে ধমকও
Just like buy one
Get one free.
কপাল পোঁড়া আর কাকে বলে।
ভেংচী তো খাবেন।চাইলেন রং চা সে কত খুশী আাশান্বিত হৃদয়ের দোলা নিয়ে আসল।সে কাব্য রসে মনে করেছে কাব্য রসটা বুঝি প্রেমের রস মনে করেছিল।
এর চেয়ে ইজি ব্যাপার বা টেকনোলজি হল আপনি ঘরে কিছুক্ষন ঝিম মেরে পড়ে থাকতেন প্রথমে বলতেন গলা ব্যাথা করছে ভীষন কি করি বলতো।দেখতেন সব রঙের চা চলে আসত।লাল চা আদা চা লেবু অরেন্জ চা।মেয়েদের সাইকোলজি বুঝতে হবে।সহানুভূতি আনানোর চেষ্টা করবেন।
ঠান্ডা কফ দূরীকরনে আমার নিজস্ব রেমেডী দেখেন তো কাজ করে কিনা?এটা আমার খুব ভাল কাজ করে।আমি কখন কফ মেডিসিন খাইনা।কেননা দেখেছি এলকোহল থাকে বেশী কফ মেডিসিনে।
এই হারবাল রেমেডি ফলো করে দেখতে পারেন।
ছোট চায়ের চামচে সমান পরিমান লেবুর রস ও হানি মিশিয়ে দিনে তিনবার ঔষধের মত খাবেন।লেবু ভিটামিন সি সবসময় বেশী বেশী খাবেন।আদাকূচী খাবেন (এটা তো মনে হয় জানেন)তাছাড়া লেবু চা আদা চা লং এলাচ দারচিনি সবই টনসিলের জন্য ভাল।
তো বিনে পয়সায় কাউন্সিলিং রেমেডী দিয়ে দিলাম।এখন যান মিসেস কাশেমের কাছে মাফলার পেচিয়ে বসে থাকুন আর গলা খাকড়ী করতে অতি স্বত্তর সবধরনের চা সহ কালার বা রং ও চলে আসবে জীবনে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মাঝে মাঝে চা জিনিসটা সত্যিই ভাল লাগে । তবে কোন জিনিসই নেশা হিসেবে গ্রহন করা আমার মতে ভাল না । শুভ কামনা । ভাল থাকুন ।
হ্যা আপনি ঠিক বলেছেন।আমার লেখা পড়ে আপনি সম্ভবত ভাবছেন আমার চায়ের প্রতি অ্যাডিকশান তীব্র।আসলে তা না ।চা বা কোন জিনিসের জন্য তীব্র চহিদা নাই।ধন্যবাদ রহমান ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
চা না খাইলে বাঁচি না… আর আমরা সিলেটিরা চা না খেলে চলে না। লেখা ভাল লাগল।
আপনি সিলেটের নাকি?আমার সিংহভাগ আত্মীয় তো সিলেটের।তো আপনি আমার আত্মীয়ের পড়শী হয়ে গেলেন।ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্টসের জন্য।
যারা লিখে বা লিখতে চায় বা কবি সাহিত্যিকদের সাথে চা এর একটা গাঢ় সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়।চা ক্রিয়েটিভ থিন্ক করতে সাহায্য করে যুক্তিকে সংঘঠিত করতে সাহায্য করে নার্ভকে অ্যালার্ট রাখে।
বাহ , ভালো পরামর্শ ! চেষ্টা করে দেখবো আজ থেকে কিছুদিন ।
কেন এখন চায়ে অভ্যস্ত না?তাহলে এত সুন্দর লেখাগুলি বের হচ্ছে কিভাবে?ধন্যবাদ আহসান হাবীব কমেন্টসের জন্য।
হুমায়ুন আহমেদের একটি স্মরনীয় বাণী থেকে বলছি- দুধ ছাড়া চা আর কাজল ছাড়া নারী…
আমারও দুধ ছাড়া চাকে খুবই এতিম মনে হয় । চা এর কথা মনে পড়ে তখনই যখন সে আমার পাশে থাকে । সারা দিনের সবচেয়ে সুন্দর সময় পরিবারের কয়েকজনে একসাথে চা খাওয়ার সময়টুকুই ।ভালোতো লেগেছেই একেবারে মনের মতই । ধণ্যবাদ সুন্দর করে মনের কথাগুলো লিখার জন্য ।
আমার তো তাই। অনেক রটি খায়।আমি ভাবতে পারিনা কিভাবে খায়।দুধ ছাড়া চা আসলে টেষ্টলেস মনে হয়। মাঝে মাঝে ঠান্ডাতে আদা চা লং চা খেতে বাধ্য হই যদিও একেবারে পছন্দ না।তবে স্বাস্থ্যসম্বত চা হচ্ছে লিকার চা।বা গ্রীন টি কিন্তু আমি এসব খেতে পারিনা।
ধন্যবাদ সাঈদ ভাই আপনার বক্তব্য শেয়ার করার জন্য।ভাল থাকবেন কেমন।
যারা লিখে বা লিখতে চায়
বা কবি সাহিত্যিকদের সাথে চা এর একটা গাঢ়
সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়।চা ক্রিয়েটিভ থিন্ক
করতে সাহায্য করে যুক্তিকে সংঘঠিত
করতে সাহায্য করে নার্ভকে অ্যালার্ট রাখে।
ইয়েস , আমি জানি ।
আপু বেশ হয়েছে লেখাটি ।
ধন্যবাদ শান্ত ।তুমি ও তাহলে আমার মত চা পানে পারদর্শী?