আমি ফেসবুকে অপেক্ষায় থাকলাম………….
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1522বার পড়া হয়েছে।
যত কথাই বলেন এই বঙ্গদেশে ফেসবুকের এক ভয়াবহ আবশ্যকতা আছে । নিন্দুকেরা নিন্দা করলেও এর অনিন্দ উপকারিতা মানব মাত্র অস্বীকার করার দ্বিমাত্র উপায় নেই । আবার কারো ফেসবুক, বন্ধুসংখ্যা হাজার বা লাখখানেক হলেও বাঁকা চেখে দেখার দিন শেষ । একান্ত মূর্খ আর জগত মাতৃকার ভূমি সম্বন্ধে অজ্ঞের কাছেই শুধুমাত্র তা সম্ভব । আমি মুর্খ বটে, জগত অন্ধ না । তবে নিত্য সামর্থ্যের টানাটানিতে থাকি । সামর্থ্যের কিছু একটা দফারফা করতে পারলে গুলা পাঁচেক কম্পিউটার কিনে ফেলতাম । তারপর ইন্টারনেটের লাইন দিয়ে সমস্ত পরিবারকে বসিয়ে দিতাম ফেসবুক সভ্যতায়, এমনকি সখ্যতাও । সম্ভব হলে আমার এক বৎসর তিন মাস বয়সী ছেলেকেও ধরিয়ে দিতাম মাউস । আধুনিক ছেলে । সভ্যতার সাথে সাক্ষাৎ হোক আর না হোক ফেসবুকের সাথে সাক্ষাতের বিকল্প নেই । অন্তঃত এই ভবদেশে নয় । আর বাঁশ কাঁচা থাকতেই নোয়াতে হয় ।
আমার মনে হয় এই পর্যন্ত যদি আপনার ধৈর্য্য থেকেই থাকে, আর চক্ষুকে নিদ্রা বঞ্চিত করে এই অপাপ পড়েই থাকেন তাহলে আমার মাথার তার আর এন্টেনা নিয়ে আপনার সন্দেহ ঘোরতোর পর্যায়ে পৌঁছেছে । আমি পুরো মাত্রায় কোনকিছুই অস্বীকার করি না । তাই আমার স্বীকার্য পৃথিবীতে একটু উঁকিঝুকি দেওয়ার ঝুঁকি আপনি নিতেই পারেন ।
জ্ঞান-বিদ্যা যে হারে ফেসবুকে চলে এসেছে তাতে আমার মতিভ্রম শুধুই ভ্রম নয় । ডাক্তার হতে গেলে আজকাল পড়াশোনা করতে হয় এই ভ্রান্ত ধারটাই পাল্টে দিয়েছে ফেসবুক । আরে বাবা দিনের পর দিন কষ্ট করে গাধা খাটুনি খেটে লেখাপড়া করার মতো বোকামি যদি এই আধুনিক সভ্যতায়ও কেউ করে থাকে তার দায়িত্বও’তো আর রাষ্ট্র নিবে না । রাষ্ট্র ফেসবুক ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে । সেই সাথে ডাক্তার তকমা লাগানোর যাবতীয় আয়োজনও সেরে রেখেছে । কচি মনের বালক বালিকারা তা না বুঝে আন্দোলন করলে দোষ কার ! প্রযুক্তির ব্যবহারে নিজেকে পিছিয়ে রাখবে আর ডাক্তার হওয়ার খায়েস রাখবে এমন দ্বিচারন নিয়ে আর যাই হোক বড় হওয়া যায় না । এইসব বিদ্যা আর পুস্তক ছেড়ে বাবাকে বলো টাকা যোগাতে, আর নিজে চোখ রাখো ফেসবুকে । তোমার উন্নতি কেউ ঠেকাতে পারবে না । ডিজিটাল যুগে এইসব এনালগ চিন্তা চেতনা দিয়ে কিছু হয় না, হবেও না ।
আমার এক কাজিন সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিবে । তাকে আমি আমার সু-পরামর্শ(!) দিয়ে দিয়েছি । এবং আশ্বস্ত করেছি আমিও যথাসম্ভব ফেসবুকে সময় দিব । যেহেতু আর্থিক দৌরাত্বে দিনাতিপাত করছি তাই প্রযুক্তিই ভরসা । এই ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি । যদি কেউ (অনেকেও হলেও আপওি নেই) প্রশ্নপত্র (উওরসহ হলে ভাল হয়) পেয়ে থাকেন তবে দয়া করে অধমের ওয়ালে ট্যাগ করে দিবেন । অধম চিরকৃতজ্ঞ থাকবো । মনে রাখবেন জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর । আর আপনি আশরাফুল মাখলুকাত ।
আমি রাত্রি যাপন করে ফেসবুক খুলে বসে থাকব । আপনি (আপনারা) কষ্ট করে শুধুমাত্র প্রশ্নপত্রখানা ট্যাগ করুন ।
…………….নিঃশব্দ নাগরিক ।
১,৫০৬ বার পড়া হয়েছে
সুন্দর লিখেছেন। আসলেই উচ্ছনে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অলস মস্তিস্কে শুধু বসে বসে না পড়ে পাশ করা।