একটি পেশার আর্তনাদ ও ডাকাত মহোদয়ের প্রতি আর্জি ।
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1488বার পড়া হয়েছে।
এক ভয়ংকর নিরাপওায় দিনাতিপাত করছি । সাথে সাথে জাগতিক সকল ক্লান্তি নিয়ে বসে আছি । ফলাফল দেহকে বিলিয়ে দিচ্ছি ডাকাতির চাপাতিতে । আর মনকে আবদ্ধ করছি ব্যক্তিগত সকল ব্যস্ততার ঘেরটোপে । আমার নিস্তার নেই । না দেহে । না মনে ।
কিছুদিন আগে বাপ-দাদার প্রদও জানের উপর রাষ্ট্রীয় কু’নজরের আশংকা করেছিলাম । আমার স্বজাতির কিছু মানব সন্তানের উপর রাষ্ট্রীয় কু’নজর আদিষ্ট হলেও এ যাত্রায় আমি রক্ষে পেয়ে গেছি । আমার স্বজাতির জন্য শুভকামনা রইল । আশাকরি সৃষ্টিকর্তার দয়ায় সহিসালামতে বাপ-দাদা প্রদও জান নিয়ে সকলে প্রিয়জনের কাছে ফিরতে পারবে ।
পৃথিবীতে ব্যাংকিং পেশার মতো নিরীহ পেশা দ্বিতীয়টি আছে কিনা আমার সন্দেহ । বিশেষত বেসরকারী ব্যাংক । অবশ্য আমার এ দায় দাবীর উপর অনেকেরই আপওি থাকতে পারে । আমি তা অগ্রাহ্য করছি না । কিন্তু নিজের উপর যে সংবেদনশীলতা ক্রিয়া করে তাতে কারো আপওিই অকাতরে ফেলে দেওয়ার মতো নয় । না আমার । না অন্য কারো ।
কিছুদিন আগে আশুলিয়ায় ব্যাংকে ডাকাতি হলো । এবং হালি দু’য়েক জানের উপর যমদূতের নেকনজর পরায় জনসংখ্যার ভারসাম্য ক্রিয়ায় একটা গতি পেল । সাথে সাথে রাষ্ট্রীয় ক্রমবর্ধমান আইন শৃঙ্খলার একখানা লাইভ অনুষ্ঠান অন্ধ জাতির সামনে মঞ্চস্হ হলো । কিন্তু বিকারহীন জাতির মধ্যে এর কোন ক্রিয়া কাজ করেছে কিনা তাতে বেমালুম সন্দেহ থেকে গেল । অবশ্য তার আগে আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে আমরা মনুষ্য জাতির মধ্যে পড়ি কিনা । কেননা এই নিয়ে বেশ বড় একটা আশংকাই পেলাম আমার এক সহকর্মীর কাছ থেকে । আশংকাটি আমার মনেও ধরেছে বেশ । সহকর্মীর মতে, কোন রাজনীতিবিদ এভাবে মারা গেলে রাস্তাঘাটে ভাংচুর হতো । এমনকি দু’একটা হরতালও হতে পারতো । কোন সাংবাদিক হলে ইলেকট্রনিক আর প্রিন্ট মিডিয়ায় মাতম চলতো দিনের পর দিন । যদি কোন পুলিশ হতো তবে এতক্ষনে গুলাকয়েক ক্রসফায়ার হয়ে যেত । কোন আইনজীবি হলে আদালত পাড়া হতো সরগরম । এমনকি যদি কোন গার্মেন্টস কর্মী হতো তবে রাস্তাঘাটে ভাংচুর আর আন্দোলন চলতো সমানতালে । আর আমরা সহকর্মীর মৃত্যুতে সমবেদনা বা প্রতিক্রিয়া জানাতেও সর্তক থাকি । পাছে কর্তৃপক্ষের চক্ষুশূল হই । বাস্তবে ঘটনা তাই ।
বড় অদ্ভূত এক পেশা । হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হবে রাষ্ট্রীয় অথবা অভ্যন্তরীন হোমরাচোমরাদের কলকাঠিতে । আর জেল জরিমানা আমার । কারন সাইন সিল ছাপ্পর আমার । ওনারা টাকা ঋন নিয়ে ফেরত দিবেন না । রাষ্ট্র কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হয়ে এসি রুমে বসে অট্রহাসি হাসবেন আর আমি আমার স্ত্রী-সন্তানকে সৃষ্টিকর্তার হিল্যায় রেখে গিয়ে কারাগারের রুটি গিলবো ।
মাঝে মাঝে বড্ড হাসি পায় । যখন দেখি একশত দুই কোটি টাকার শিক্ষাবৃওি দেয় কোন ব্যাংক । আবার তারাই ক্রম উর্ধ্বগতির বাজারে বেতনকে নামিয়ে আনেন ঠিক অর্ধেকে । যখন দেখি দানে খয়রাতে পত্রিকার পাতায় অমুক তমুক ব্যাংকের নাম । তখন জোর করেও হাসি থামিয়ে রাখা সম্ভব হয় না । কেননা এদেরই কর্মকর্তা-কর্মচারী অর্থের অভাবে রোগেশোকে নিভৃতে জল ফেলেন ।
বানিজ্য । সবই বানিজ্য । শুধুমাত্র আমার পিতৃ প্রদও জানটা ছাড়া । এই জানটার প্রতিও যদি ডাকাত মহোদয়ের কু’নজর পড়ে তবে আর রক্ষে কোথায় । অবশ্য সকল বিসর্জন দিয়েই আজকের সকল আয়োজনের অপেক্ষায় আছি । অপেক্ষায় আছি ডাকাতের চাপাতি অথবা আইন আদালত কারাগারের । ডাকাত মহোদয়ের প্রতি আর্জি যদি এসেই পড় তবে জানটা নিয়েই রক্ষে দিও । নতুবা নিজ কর্তৃপক্ষ, পুলিশ, আইন আদালতের ধকল আমার মতো দুর্বল চিওের মানুষের পক্ষে সামলানো ভয়ানক কঠিন । সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন । মরহুমার আও্বা শান্তি পাক ।
………………নিঃশব্দ নাগরিক ।
১,৪৬৯ বার পড়া হয়েছে
আপনার লেখাগুলো আমার মনের কথা
কি আর বলব
তদন্ত করে ত জঙ্গি বই পায়
আজিব
অনেক সুন্দর অনুভূতির প্রকাশের সাথে ফুটে উঠেছে অসহায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের হৃদয়ের কথা ।
লিখা খুব ভালো লাগলো । শুভ কামনা রইলো ।
কবি টি আই সরকারের সাথে সহমত
দারুন ভাবনার প্রকাশ
সুন্দর লিখা