গল্পিতাঃ বনলতারা বদলায়
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1483বার পড়া হয়েছে।
এপয়েন্টমেন্ট করা ছিলো আগে থেকেই। একটা চাপা উত্তেজনা ভেতরে আমার। অবশেষে দেখা হচ্ছে। বেশ পরিপাটি হয়ে বেরিয়ে পড়ি অনেক আগেই। পৌঁছে যাই সময়ের ঢের আগে। প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট আগে । কলিংবেল চাপি দুরুদুরু বুকে। দরজা খুলে দেয় কাজের মেয়েটি। বসতে দেয়া হয় আমাকে বাইরের রুমে। এসি চলছিলো। তবু একটু ঘামছি যেনো। কেনো ? জানা নেই।
চা আসে। সাথে মিষ্টি । অস্বস্তি নিয়ে আমি চায়ে চুমুক দিই শুধু। বারবার ভেতরের দরজার দিকে তাকাতে থাকি । এই বুঝি এলো সে। কিন্তু না। বেঁধে দেয়া সময়ের এক মিনিট আগেও সে এলো না। ঠিক কাটাকাটায় সময়ে তার আবির্ভাব হলো। আমার স্বপ্নের মানুষটি আমার সামনে। আমি চোখ তুলে তাকাতে পারছিলাম না।
বনলতা সেন দৃঢ়পায়ে এগিয়ে এলো– যেনো ভয় নেই কোনো, অকুণ্ঠচিত্তে বললো আমায়, “অই ছোকরা, তুমি নাকি কবি?” বনলতা সেনের সামনে নিজেকে সত্যিই অকিঞ্চিৎকর এক বালক মনে হচ্ছিলো নিজেকে। আমি ভিরমি খেয়ে যাই। মাথার ভেতরে সাজিয়ে রাখা কবিতা অকস্মাৎ যাই ভুলে। মনে করতে পারিনা কোনোদিন কবি ছিলাম আমি। ধমকে উঠে বনলতা সেন, ” কী ভেবেছো? পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে জানতে চাইবো– এতোদিন কোথায় ছিলেন?”
সামনে আমি অকূল পাথার ছাড়া কিছু দেখতে পাইনা। বনলতারা বদলায়!!
মাথার কাছে রাখা স্মার্টফোনে তখন ক্রমাগত অ্যালার্ম বেজে চলছে।
(গল্পিতা= গল্প+কবিতা)
ছবিঃ ইন্টারনেট
১,৪৫৮ বার পড়া হয়েছে
অপূর্ব লাগলো আপনার সাজানো গুছানো গল্প, ধন্যবাদ , ভালো থাকুন।
আন্তরিক ধন্যবাদ সহিদ ভাই…
অপূর্ব
খুব ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা।
অনেক ধন্যবাদ দাদা…
ভালোবাসা রইলো…
ভালো বলেছেন । অনেক ছোট একটা গল্প । টপিক আর উপস্থাপনা দুটোই চমৎকার হয়েছে ।
আন্তরিক ধন্যবাদ দাদা