গোলাপ কাব্য সাঈদুল আরেফীন
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1330বার পড়া হয়েছে।
গোলাপ কাব্য
সাঈদুল আরেফীন
গোলাপের রঙ দ্যাখেছো ,কী অদ্ভূৎ
লাল কালো শাদা জীবনের এক মায়াবী ছন্দ
দোল খেয়ে যায় তোমার অশরীরী কাব্যে
যখন উঠোনে নিকোনো ধানে তুমি আমাকে
ছুঁয়ে দিয়েছো। মনে হতো জীবনের অন্যরকম
গোলাপী রঙ আমি পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে পড়ে
কী তোমার সেই কাব্য কথা। কানে আমার এখনো বাজে
সেই মায়াভরা গ্রামের
প্রচ্ছন্ন সুর। যা উঁকি দেয় আমাকে, হঠাৎ হঠাৎ এসে
আজো অজান্তে ডাকে আমায়। আর তখনই তুমি
যেনো আমার হৃদপিন্ডে ভর করে ঢেলে দাও
জীবন অনুভূতির নিটোল এক পরশ। করে দাও
আমাকে একাকার। আমার মাংসপেশীতে পৌঁছে তখন এক
ভিন্ন মাদকতা, যেনো আবার সেই গোলাপের রঙ
আমি খুজে পাই,লাল কালো শাদা গোলাপী হরেক
রকমের গোলাপময়তা ঘিরে ধরে আমায়। ভেসে বেড়ায়
গোলাপের নানা রঙ নানা উন্সাদনায়। গোলাপের রঙ
এ এক বড়ো বিস্ময় অদ্ভূত মায়া ছড়ায় তোমাতে
আমাতে। বাহারী গোলাপ কী সত্যিই চিরন্তন স্পপ্নে
আবিষ্ঠ থাকে,সে তো গোলাপই জানে
কেবল গোলাপের রঙে সুরের যে ইন্দ্রজাল পেতেছিলাম,
সে তো জীবনেরই মহাকাব্য হয়েছে তোমার দেহমনে
ছড়ানো ঘ্রাণে। জীববৈচিত্রে প্রাণ ছড়িয়ে উঠোনে নিকোনো
ধানের সেই কাব্যকথায় হয়ে ওঠে
গোলাপ রঙের জীবন্ত এক ক্যানভাস।
১,২৮৫ বার পড়া হয়েছে
সাঈদুল আরেফীন ১৯৬৮ সালের ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরীর কোরবানীগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস বাঁশখালি উপজেলার জলদি গ্রামের নেয়াজর পাড়ায়। পিতার নাম মুহাম্মদ ফৌজুল কবীর এবং মায়ের নাম মরহুমা মোসলেমা খাতুন। আশির দশকের মধ্যভাগ থেকেই সরকারি মহসিন কলেজে পড়াকালীন সময় সাঈদুল আরেফীন সাহিত্য চর্চায় নিবেদিত হন। সেই থেকে কবিতা ,গল্প,প্রবন্ধ,নিয়ে নিরন্তর কলম চালান তিনি। আশির দশকের শেষভাগে সংবাদপত্রে যোগ দেন। চট্টগ্রাম প্রতিবেদক হিসেবে সাপ্তাহিক চিত্রালী,সাপ্তাহিক স্বদেশ খবর,সন্দীপ সহ বিভিন্ন সময়ে অধুনালুপ্ত সমতা অপরূপ বাংলার প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। মূলত সংবাদপত্রে হাতে খড়ি হয় দৈনিক পূর্বতারাতে ক্ষুদে রিপোর্টার হিসেবে সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে পড়াকালীন সময়ে। বর্তমানে তিনি রাজনীতি,শিক্ষা,সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিশু অধিকার ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রবন্ধ কলাম এবং লিখে চলেছেন নিয়মিতভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও লিটলম্যাগ গুলোতে। চট্টগ্রাম বেতারে নিয়মিত আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণামূলক স্বরচিত প্রবন্ধ ও কথিকা পাঠ ছাড়াও মাঝে মাঝে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে থাকেন। সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন ছোটবেলা থেকেই। তারই ধারাবাহিকতায় দশ বছরের পরিক্রমায় অনুপম নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত থেকে মানবসেবা শিক্ষা , সাহিত্য ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার একটি উজ্জ্বল সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আশির দশকেই। এখন যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামক একটি বেসরকারি উন্নয়নমূলক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনারারী ম্যানেজমেন্ট এডভাইজার হিসেবে কর্মরত থেকে প্রশিক্ষণ,উন্নয়ন নানা গবেষণাধর্মী কাজে জড়িত আছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বোর্ড সদস্য হিসেবে জড়িত থেকে শিক্ষার প্রসারেও কাজ করে চলেছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম নগরীর লামাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এছাড়া সাহিত্য ও সংস্কতি বিষয়ক পত্রিকা ঐতিহ্যের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি স্ত্রী ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। “মনে পড়ে জলকদর” তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ। এ গ্রন্থের মধ্য দিয়েই তিনি আমাদের জানান দিয়েছেন লেখালেখির মাঝখানে বিরতি দিলেও তিনি হারিয়ে যাননি। ইদানিং পত্র পত্রিকায় আবারো সক্রিয় হয়েছেন। এতে বেছে নেয়া তাঁর কবিতাগুলোর অধিকাংশই দৈনিক পূর্বকোণ,আজাদী ,মঞ্চ,সুপ্রভাত বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন লিটল ম্যাগে প্রকাশিত কবিতার সংকলন। আমাদের কাব্যভুবনে তাঁর আগমনকে স্বাগত জানাই। তাঁর কবিতা আশাকরি পাঠকের মন ছুঁয়ে যাবে। অচিরেই তাঁর শিশুতোষ প্রবন্ধ ও উন্নয়ন গবেষণামূলক দুটি প্রবন্ধের বই বেরোবে।
সর্বমোট পোস্ট: ২৬ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১৫৫ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৪-০৬-১২ ১৩:৫৫:৪১ মিনিটে
লাল কালো শাদা জীবনের এক মায়াবী ছন্দ
দোল খেয়ে যায় তোমার অশরীরী কাব্যে
যখন উঠোনে নিকোনো ধানে তুমি আমাকে
ছুঁয়ে দিয়েছো। মনে হতো জীবনের অন্যরকম ভালো লাগলো কবিতা।
আমার শুভকামনা জানবেন। সবসময়।
অভিনন্দন।শুভেচ্ছা। আপনার শুভকামনা ,কবিতায় ভালোলাগা সত্যিই আমি বিমুগ্ধ। লেখালেখির উৎসাহ অনেক বাড়িয়ে দেয় আপনাদের শুভ কামনায়। ধন্যবাদ কবি আরজু মুন।
লাল কালো শাদা জীবনের এক মায়াবী ছন্দ
শাদা ? কি সাদা হবে ?
নানা রংয়ের গোলাপ আর গোলাপের গোলাপী রং এর প্রাপ্তি অন্য রকম ভাবনার প্রকাশ।
আপনার লেখনীতে সুন্দর ভাবনার প্রকাশ পেয়েছে।
ধন্যবাদ।
কবিতার কথা বলার দিক বেকে গেছে প্রকৃতই হতে জীবনের পথে, কক্ষনো আবার প্রিয় মানুষটাকে ছুয়ে গেছে । ভাল লেগেছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কবি গোলাম মওলা আকাশ।
গোলাপের রঙে জীবন রাঙানোর কবিতা। সুন্দর , বেশ ভাল।
রোদের ছায়া আপনার মন্তব্য আমাকে প্রাণিত করলো বরাবরের মতো। শুভেচ্ছা
খুব সুন্দর অনুভূতি
গোলাপের রঙ্গে জীবন রাঙ্গুক
ভাল থাকুন শুভকামনা
এই মেঘ এই রোদ্দুর আপনার পরিশীলিত মন্তব্য বরাবরই ভালোলাগার মতো। আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম ভালোভাবেই । ধন্যবাদ