চলন্তিকা, তুমি যেন সকলের বন্ধু।
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1453বার পড়া হয়েছে।
প্রিয় চলন্তিকা, তোমাকে না লিখে আর পারছিনা। তুমি কী শুনবে মনের কথা? আমাদের ভালবাসার কথা।আমি, আমার প্রিয় বন্ধুরা তোমায় কত্তো ভালবাসি। দেখনা কত নিখুত গভীর প্রেম! ভাবনার জগতে তুমি এক শিরোমনি।তুমি দেখছ, তুমি নিজকে কীভাবে ঠাঁই করে নিলে আমাদের মাঝে? কী অবিশ্বাস্য যৌবনের রঙিন ছোঁয়া তোমার সাড়া শরীর জুড়ে।কী অদ্ভূত দেখতো? তোমার প্রিয় মানুষগুলোও তোমাকে কত আপন করে নিয়েছে! তোমাকে নিয়ে এখন ভীষণ ঈর্ষা হচ্ছে। ঈর্ষা হবেনা কেন? কত বন্ধু তোমার!
ওহে প্রিয়, তুমি বরাবরই ছিলে বড্ড বেশি সচেতন।কোনো কৈফিয়ত দেওয়ার সুযোগ তুমি দাও নি। কিন্তু ইদানিং তুমি বড্ড বেশি অসচেতন।কেমন যেন খাপছাড়া। সেই যে তুমি কৈফিয়ত দিয়ে চলে গেলে।আর দেখা করলে না। তুমি কী জানতে না আমি, আমার বন্ধুরা কী চাই? আমার খুব ইচ্ছে করে ল্যাপটপ খুলে তোমার মুখুমুখি বসে থাকি।মনের ভিতরটায় সারাক্ষনই চিন চিন করে, তোমাকে কাছে পাওয়ার জন্যে। কিন্তু মনে হয় তুমি যেন থেকেও নেই।যতবারই তোমার মুখুমুখি বসি, কেমন যেন হাহাকার।
তুমি তো জানই ।ব্লগ মানেই আলোচনা, সমালোচনা। ব্লগ মানেই আড্ডা। ব্লগ মানেই লেখার পোস্টমর্টেম।একজন লিখবেন অন্যজন বিশ্লেষণ করবেন।ভাল মন্দ বিচার করবেন।
তাইতো বন্ধুরা সবাই উদ্বিগ্ন।মনের কথাগুলো বলবার আশায় সবাই কেমন যেন পাগল। সবাই খুঁজছে তোমাকে।
কেউ প্রশ্ন করছে বাড়ির মালিক কই? কেউ জবাব দিচ্ছে বাড়ির মালিক নেই। কেউ বলছে ধৈর্য্য ধরুন। কেউ বলছেন চিন্তার কথা।কেউ বলছেন ভালো নেই, তবু ভালো আছি। বাড়ি আছে, বাড়িতে মালিক নেই। গাড়ি আছে; ইঞ্জিন নেই। কেউ বা লিখছেন ছড়া।অচেনা ছড়া চেনা সুরে। সুরে সুরে মালিককেও খুঁজছে।
প্রিয় চলন্তিকা, দেখতো, অচেনা মানুষগুলো বড্ড বেশি চেনা মনে হয় কিনা? কেমন যেন কত আপন। নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বুঝি এমনই হয়! আসলে এই সবই তো ভালবাসা। তোমার প্রতি বন্ধুদের ভালবাসা। ভালোলাগা। কী এক মোহ তুমি সৃষ্টি করে রেখেছ! রাগ করোনা বন্ধু। প্লীজ…….
আমরা জানি তুমি রঙিন মোড়কে অচিরেই আসছ আমাদের মাঝে। সেই অপেক্ষায় তো আমরা আছি।
প্রিয় বন্ধু কাশেম ভাই ছড়ায় ছড়ায় বলেছেন।
ধৈর্য্য ধরুন-
বাড়ির মালিক ঘরের ভিতর
কাজ করছে নাকি কারিগর!
বাহ চমত্কার ছড়া।ধন্যবাদ কাশেম ভাই। আমরা কিন্তু আসলে সেই অপেক্ষায় আছি। যাক ,ধৈর্যের বাঁধ আর ভাঙবেনা।
কিন্তু ওই দিকে চিন্তার কথা বলে মহা চিন্তায় ফেলে দিলেন মালেক জোমাদ্দার ভাই।না ভাই, বাড়ির মালিক সুস্থ্যই আছেন।আমরা তাঁর সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি। আর আরজু মুন তো বাড়ির মালিককে খুঁজতে গিয়ে ছড়ায় ছড়ায় ভরিয়ে দিচ্ছেন।
প্রিয় চলন্তিকা, তোমাকে ভাবতে গেলেই যেন সবকিছু ছবির মত ভেসে উঠে। তুমি হয়ে উঠছ ভালবাসার এক বিমূর্ত প্রতীক। যেই ছবিই একদিন জীবনানন্দ দাশকে পথ দেখিয়েছিল অন্ধকারে। চারদিকে সমুদ্র সফেনের ভেতরও খুঁজে পেয়েছেন তিনি শান্তির পরশ। আমিও স্বপ্নে হারিয়ে যাই নিজেরই অজান্তে।খুঁজে বেড়াই তোমাকে।মুখোমুখি বসে থাকি। বলনা তুমি ‘এতদিন কোথায় ছিলে?’
শেষ করব এখানেই।বন্ধু, ভালো থেকো তুমি।তোমার জন্য রইলো আমার, আমাদের প্রাণঢালা সর্ব শ্রেষ্ঠ ভালবাসা।এক দিনের জন্যে নয়, সর্বসময়ের জন্যে।
তুমি হয়ে উঠ সকলের বন্ধু।
১,৪৮২ বার পড়া হয়েছে
অনেক ভাল লাগল।
আপনি যেন ভালোই বলেছেন ভালই লিখেছেন
চলন্তিকা ….তুমি যেন সকলের বন্ধু
সত্যি মনে হয়
…………………