টানা পাঁচদিন আকাশে ভাসবে সৌর-বিমান
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1625বার পড়া হয়েছে।
পাঁচ দিন, পাঁচ রাত নীল আকাশে একটানা ভাসবে এক উড়োজাহাজ। কিন্তু অবাক কাণ্ড, সেই উড়োজাহাজে থাকবে না কোনো গ্যাসোলিন কিংবা জীবাশ্ম জ্বালানি। শুধু সৌরশক্তির ওপর ভর করে এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশ পাড়ি দেবে সোলার ইমপালস নামে এই বিমান। সিএনএন জানিয়েছে এ খবর।
পথ কম নয়, প্রায় আট হাজার কিলোমিটার। পাঁচ দিনে পাড়ি দিতে হবে এই পথ। যাত্রা শুরু হবে চীনের নানজিং থেকে, সমাপ্তি ঘটবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে। মানব ইতিহাসে সৌরচালিত বিমানের এটিই সবচেয়ে দীর্ঘতম যাত্রা। এই দুঃসাহসিক যাত্রায় একাই অংশ নিচ্ছেন সুইস পাইলট আদ্রে বোর্শবার্গ। তাঁর মতে, সেই মুহূর্তগুলো হবে ‘মোমেন্ট অব ট্রুথ’।
যাত্রা শুরু হয়ে গেছে গতকাল রোববার। অবশ্য প্রথমে একটু আবহাওয়ার হ্যাপা সামলাতে হয়েছে। এর আগে দুনিয়ার অনেকখানি অংশ উড়াল দিয়ে এসেছে সোলার ইমপালস। মূলত পুরো পৃথিবী ভ্রমণের অংশ হিসেবে এ দূরত্ব পার করবে সৌরযানটি।
প্রাথমিকভাবে পাঁচ দিনের পরিকল্পনা থাকলেও আবহাওয়ার কারণে হয়তো ষষ্ঠ দিনে গিয়ে ঠেকতে পারে এই অভিযান। ১৩০ ঘণ্টার এই বিশাল অভিযান নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত ৬২ বছরের দুঃসাহসিক পাইলট বোর্শবার্গ। ক্ষণে ক্ষণে তাঁর টুইট থেকে সে ব্যাপারটা বেশ ভালো বোঝা যাচ্ছে।
অবশ্য সোলার ইমপালসের ককপিটে বসা তাঁর জন্য নতুন কিছু নয়। আবুধাবি থেকে ওমান পর্যন্ত সোলার ইমপালসকে উড়িয়েছেন তিনিই। এই যাত্রাকে তিনি বলেছেন, ‘ফ্লাইট অব মাই লাইফ।’
তবে পাইলটের কাজটি মোটেই সহজ নয়। এই ১৩০ ঘণ্টার লম্বা সময় তাঁকে কাটাতে হবে ৩ দশমিক ৮ বর্গমিটারের ককপিটে। এই ককপিটের সিটই তাঁর জন্য বিছানা কিংবা প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ার স্থান! পাঁচ দিনের যাত্রায় অটোপাইলট মোড চালু করে ঘুমানোর সুযোগও পাবেন তিনি। তবে লম্বা ঘুম নয়, মিনিট বিশেকের জন্য নির্ধারিত এই ঘুম। এই কাজের জন্য অবশ্য তাঁকে এবং আরেক সোলার ইমপালস পাইলট বার্টার্ড পিকার্ডকে নিতে হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ, শিখতে হয়েছে ইয়োগা।
বোর্শবার্গের জন্য পর্যাপ্ত খাবারের মজুদ থাকছে সোলার ইমপালসে। সঙ্গে থাকছে নিরাপত্তার জন্য প্যারাস্যুট এবং আনুষঙ্গিক সবকিছু। আবহাওয়া নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে, কারণ সৌরশক্তিতে চলা এই বিমানের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করবে আবহাওয়ার ওপরে।
দিনের বেলায় সূর্যের আলোতে বিমানের ব্যাটারি চার্জ হতে থাকবে। এ সময় সৌরবিমানটি মাটি থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার পর্যন্ত উঁচুতে চলে যাবে। রাতের বেলায় ভেসে চলতে থাকবে এটি। পরদিন সকাল হতে হতে বাকি থাকবে ৫ থেকে ১০ শতাংশ চার্জ। আবার চার্জ করার জন্য তাই খুঁজতে হবে মেঘমুক্ত আকাশ। তবে সবাই বেশ আশাবাদী। মোনাকোর একটি পর্যবেক্ষণকেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক তদারক করা হবে, জানানো হবে আপডেট।
এই বিশ্বভ্রমণের একটি উদ্দেশ্য রয়েছে সোলার ইমপালস কর্তৃপক্ষের। পৃথিবীব্যাপী গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং সৌরশক্তি ব্যবহারে সবাইকে সচেতন করতেই এই মহাযজ্ঞের আয়োজন। বোর্শবার্গ এবং পিকার্ডের হাত ধরে সোলার ইমপালস দুনিয়াজুড়ে সে বার্তাই দিয়ে চলছে।
তথ্যসূত্রঃ http://www.now-bd.com/2015/06/01/407556.htm
১,৫৯৮ বার পড়া হয়েছে
পড়ে ভাল লাগলো সুন্দর লিখনী
সুন্দর ভাবনা আপনার
অনেক ধন্যবাদ।
প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিন।
সুন্দর খবর
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
প্রীতিময় শুভেচ্ছা জানবেন।
খুব সুন্দর তথ্য ! আমি যে সাতদিন আকাশে থাকতে চাই ! 😛 তাহলে পাঁচদিন পর কি হবে ?
চমৎকার তথ্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
তাহলে আপনাকে ‘ক্লউড ইম্পালসনে’র সাহায্য নিতে হবে।
আপনার চাহিদা সংশ্লিষ্ট ‘এ্যরোনট’দের জানিয়ে দিন, তাঁরাই ব্যবস্থা করবেন।
শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানবেন কবি।
সুন্দর খবর
শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।