ডায়েরীতে একটি কবিতার অপমৃত্যু
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1333বার পড়া হয়েছে।
কবিতার ভূমিষ্ট (২০ মার্চ,১৪ইং)
শুভ্র চাদরে আজ রাতে রক্তস্রাব ঘটলো
আমার কলমের। বিষক্রিয়ায় আপাদমস্তক
লালচে মাটি খুঁড়ে বেরিয়ে পড়লো জাতক
এক কবিতা।তীব্র নেশায় ঘুঙুর সরালো
অস্পষ্ট রাত। আরক্তিম আঁচরে যে কবিতা
শোভা পেলো আমার নিতান্ত ডায়েরীতে-
নাম দিলাম “প্রেমের মুদ্রাস্ফীতি,,ছুঁয়ে নিলো সভ্যতার অংকিত স্বাধিনতা,
চোখ ফুটলো নরম শরীরের স্তন অব্দি,
নেকড়ে শাবক হতে থাকলো ক্রিয়াশীল শিশু;
নবজাতক শিশুর মতোন ঘনিষ্ট আত্নায়
মানুষ দেখবে তাদের প্রতিবিম্ব।
শুভ্র কচি,দশ বারো শ্লোকের আঁষ্টে কবিতার
নিরেট আয়ুর ভূমিষ্ট হলো।
কবিতার দাফন (২৩ সেপ্টেম্বর,১৪ইং)
অতঃপর মনপুত হলোনা বলে
ডায়েরীতে লাল কালির ক্রোস চিহ্ন দিয়ে
মেরে ফেল্লাম আগলে ধরে সিক্রেটলি;
তার শাণিত চিৎকার নতুন প্রজন্মকে
ইঙ্গিত ঢেলে দিয়ে বল্লঃ
” অহেতুক কিছুই সৃষ্টি হয়না,আমকে সৃষ্টি
করা হয়েছে,মেরেও ফেলা হলো,,
যার নরম শরীর স্থান পেলোনা
সূর্যাস্তের সন্নিকটে-একটি দিবসের তলে,
একজন পাঠকও ছুঁতে পারলোনা আর্দ্রময়
কবিতার দৈনন্দিন বেড়ে ওঠা নিক্কন শরীর,
অথচ তারও অধিকার ছিলো মানুষের
মুখে মুখে ছিপ ছিপে উচ্চারন হয়ে বেঁচে থাকা।
আমি এক হন্তারক কবি। নিষ্পাপ এক সৃষ্টিকে
জখম করে কল্পনায় থুইয়ে গেলাম অনাদরে।
আর হয়তো প্রেমের মুদ্রাস্ফীতি জাগ্রত হবেনা
কলমের ঠোঁটে,আঙ্গুল জুরে অথবা
কালের প্রবাহে ডকুমেন্টারি আবর্তে।
অথচ মডিফাই করে তাকে আবিস্কার করার
কথা ছিলো নতুন আঙ্গিকে নতুন ভঙ্গিতে…।
১,৩০০ বার পড়া হয়েছে
জন্মঃ
প্রকৃত নাম সরকার শহিদুর রহমান।
ছদ্ম নাম দ্বীপ সরকার। জন্ম ১৯৮১ইং, ১লা মার্চ। মুসলিম পরিবারে। বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন গয়নাকুড়ি গ্রামে। পিতা,মৃত হাবিবুর রহমান। দশ/বারো বৎসরে পিতাকে হারাই। মাতা মোছাঃ আছিয়া বেওয়া। চার ভাই। পাঁচ বোন। ভাইদের মধ্যে ৩য়।
শিক্ষাঃ
গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শিক্ষায় হাতে খড়ি। তারপর ওখান থেকে একই এলাকার দাড়িগাছা
দারুসসালাম দাখিল মাদ্রাসায় ৩য় শ্রেণীতে ভর্তি করে দেয়া হয় । এখানেই শিক্ষার মুল ধারা শুরু। ৪র্থ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বরাবরই ক্লাস ফার্স্ট এবং গোটা স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বার অর্জন করি। দিন রাত সমান করে পড়ার টান ছিলো। পড়া থেকে উঠিনি কোন সময়।স্কুল থেকে এসেই বই হাতে।শতবার ডেকে ডেকে ভাত খাওয়ানো। সেজন্য অনেকের বকা খেয়েছি। মাগরিব থেকে ফজর পর্যন্ত একটানা রাত জেগে পড়েছি। এরকম কত রাত কাটিয়েছি বইয়ের ওপরে তার গননা করা মুশকিল।
তকে খেলাধুলার প্রতি কোন আকর্ষন ছিলোনা এখনো নেই। স্কুলের সকল ছাত্র ছাত্রী,শিক্ষক,এলাকার সকলেই মেধাবি ছাত্র ভাবতো, এবং সম্মান করতো। একবার ৯৯% ভোট পেয়ে এজিএস নির্বাচিত হয়েছিলাম। এদিকে গান গজল হামদ নাত গাইতাম, কবিতা লিখতাম বলে সকলে শিল্পী এবং কবি বলে ডাকতো। গান গেয়ে মন জয় করতাম সকলের । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে দিয়ে গান,হামদ নাত গেয়ে নিতো স্যারেরা। ৬ষ্ট/ ৭ম শ্রেণী থেকে কবিতা, গান, গজল রচনা করে অনুষ্ঠানে বলতাম। এখান থেকেই ১৯৯৫ ইং সালে ১ম বিভাগে দাখিল ( মেট্রিক) পাশ করি। আশানুরুপ রেজাল্ট হয়নি বলে স্কুলের শিক্ষকগন মন ভিজাতে পারেনি। আরো বড় স্বপ্ন ছিলো তাদের।
প্রতি বৎসরে আমাকে চারটি করে পুরস্কার দিতো। ক্লাসের প্রথম,সমগ্র স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর, গান গাওয়া, রেগুলার স্কুলের জন্য।
এর পর নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজ থেকে ১৯৮৭ইং সালে জেনারেল সেকশনে ৩য় বিভাগে এইচ এস সি পাশ করি। কিন্ত কাঙ্খিত ফলাফল না হওয়ায় চলমান স্বপ্নের ছন্দপতন ঘটলো। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমে গেলো। তারপর সংসারে কিছুটা অর্থের দ্বৈন্যতা দেখা দিলো সংসারের ঝামেলা মাথা নিয়ে গাইবান্ধা জেলার কামদিয়া নুরুল হক ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হই এবং ১৯৯৯ইং সালে এখান থেকে ২য় বিভাগে গ্রাজুয়েশন সম্পুন্ন করি। এর পর আর পড়াশোনার দিকে যেতে পারিনি। অদম্য সাহস এবং মেধা থাকার পরেও অর্থ দ্বৈন্যতা আর সামনের দিকে এগুতে দেয়নি।
তার পর ২০০১ ইং সালে একই গ্রামের তহমিনা খাতুনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই । বর্তমানে এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়ে,শান্তা মারিয়া শানু এবং ছেলে, মেশকাত।
সাহিত্যে আগমনঃ
ছোটবেলা থেকে একটু একটু করে লিখলেও তা বড়সড়ো করে রুপ নেয় বগুড়া লেখক চক্রের সাথে যোগ দিয়ে।
মুলত এখানেই অনেকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে এবং স্থানীয় পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখা বের হতে থাকে।
এসময় " কুয়াশা" নামে এক লিটিল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছিলাম। কবিতার ফোল্ডারও বের করেছিলাম দুটি।
এর পর ধীরে ধীরে ব্লগ ফেসবুক,অনলাইন অনেক সাইটে পদচারনা।
অভিজ্ঞতাঃ
গ্রাজুয়েশন শেষ করে ২০০৫ ইং সালে একটি বেসরকারী সংস্থায় মনিটরিং এবং অডিট অফিসার পদে চাকুরিতে যোগদান করি। এখানে প্রায় আট বৎসর চাকুরি করার পর শারিরিক অসুস্থতার কারনে আর চাকুরিতে যেতে পারিনি। এই দীর্ঘ আট বৎসর চাকুরির চাপে সাহিত্য থেকে দুরে ছিলাম। কিন্ত সয়নে স্বপনে জাগরনে তিলে তিলে কবিতাকে ভালবেসেছি এবং মাথা থেকে তাড়িয়ে দিতে পারিনি একেবারে। প্রকট ইচ্ছা শক্তি
আমাকে দীর্ঘ আট বৎসর পর হলেও কবিতার কাছে নিয়ে এসেছে।
চাকুরির সুবাদে দেশের প্রায় ৬০টি জেলাসহ অনেক থানা,গ্রাম,ঐতিহাসিক স্থান,পর্যটন এলাকা ভ্রমন করার সুযোগ হয়েছে।
সর্বমোট পোস্ট: ১৪৮ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ৩৭১ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৪-০৯-৩০ ১৫:১৩:৩৮ মিনিটে
Visit
দ্বীপ সরকার Website.
খুব সুন্দর অভিব্যক্তি, দারুন হয়েছে, ধন্যবাদ ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাষাগুলো পছন্দ হল না কেন জ্জানি
তবে কবিতা ভাল্ল হহয়েছে
দারুন
ভালো লাগলো লিখা
নাইস