তীব্র গরমে নানা রোগ বালাই শিশুদের যত্ন নেয়ার পরামর্শ
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1552বার পড়া হয়েছে।
তীব্র তাপদাহ এবং আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে নানা রকম রোগব্যাধি ক্রমশ বাড়ছে। ঘরে ঘরে জ্বর,সর্দি-কাশি,ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে লোকজন। তবে কম বয়সী শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বয়স্কদের ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে প্রয়োজন হলো সচেতন হয়ে খাবার গ্রহণ করা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও টাটকা খাবার খাওয়া, বেশি করে পানি পান করা এবং সময় মত খাবার খাওয়া। বাইরের, বিশেষ করে রাস্তাঘাটের খোলা খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, নানা ধরনের রোগ বালাই প্রতিরোধ করার ক্ষমতা শিশুদের অপেক্ষাকৃত কম। তাই আবহাওয়ার পরিবর্তন ও তীব্র গরমে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ, টাটকা খাবার, পারিবারিক খাবার খাওয়ানো দরকার। বাজারের কৃত্রিম শিশু খাদ্য তাদের না খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর গ্রীষ্ম মৌসুমের এই সময়ে নানা বয়সী মানুষ ও শিশু নানা রোগে আক্রান্ত হয়।। এ সময় বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া, জন্ডিস, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ নানা ধরনের রোগ বালাই হয়। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ আবু তৈয়ব আজাদীকে বলেন, এ মৌসুমে নানা বয়সী মানুষ মৌসুমী রোগে আক্রান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে সবাইকে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। সব সময় প্রয়োজন মত লবণ ও চিনি দিয়ে পানি পান এবং ওরস্যালাইনের পানি পান করতে হবে। সবার মনে রাখতে হবে শরীরে যেন পানি শূন্যতা না হয়। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এখনো মৌসুমী রোগ বেশি আকারে দেখা যায়নি। এখনো জেনারেল হাসপাতালে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়নি। তবে শিশুরা তুলনামূলক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে শিশুদের একটু বেশি যত্ন নিতে হবে। গরম মৌসুমে শিশুদের ডায়রিয়া, ব্যাকটরিয়ায় আক্রান্ত হওয়া, কোষ্টকাটিন্য, জ্বর, খিঁচুনি, বমি, জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য ওয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন এই ওয়ার্ডে ৩০ থেকে ৪০ জন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। এ ওয়ার্ডের শয্যার চেয়ে রোগী বেশি থাকছে প্রতিদিন। গতকাল বুধবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য ওয়ার্ডে দেখা যায়, এখানে আন্ত্রিক রোগে (উদারাময়) আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে বেশি। চমেক হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য ওয়ার্ডের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী আজাদীকে বলেন, এই মৌসুমী রোগ থেকে শিশুদের বাঁচাতে হলে তাদেরকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। খাওয়াতে হবে টাটকা খাবার। শিশুদের বাজারের কৃত্রিম শিশু খাদ্য না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে এই শিশু বিশেষজ্ঞ বলেন, ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশুদেরকে চা চামচে করে খিচুরি ও পারিবারিক প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াতে হবে। তাদেরকে বাজারের কৃত্রিম শিশু খাদ্য খাওয়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই, পারিবারিক খাবারই যথেষ্ট। পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৪ ও সর্বনিন্ম ছিল ২৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গত মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৮ ও সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গত সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ও সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ শাহজাহান আলম আজাদীকে বলেন, গ্রীষ্মকালের স্বাভাবিক নিয়মের গরম এখন পড়া শুরু হয়েছে। এপ্রিল ও মে মাস জুড়ে এ গরম থাকবে। তবে সামনে তামপাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
১,৫২৮ বার পড়া হয়েছে
nice
বেশ ভালো ………………………………………………………………………..
ভালো ভাবনার প্রয়াস
সুন্দর ভাবনার প্রয়াস
স্বচেতনতামুলক পোস্ট।
ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা জানবেন
যত্ন ! শিশুদের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন । আর এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা সত্যিই প্রশংসনীয় ! শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানবেন ।