তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিবরে
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1225বার পড়া হয়েছে।
কালকে প্রবল তুষারপাত (ওয়েদার ফোরকাষ্ট এ বলা)
সবাই যার যার ব্যাকপ্যাকে প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে পূর্ন কর। কালকে অবশ্যই পরতে হবে হেভী বুট গ্লাভস হ্যাট স্কার্ফ। স্নোর এই দেশে যাদের এখনও গাড়ী নাই (অবশ্য তা নিয়ে আমার হা হুতাশ ও নাই) দুই পা বা হন্টন যাদের ভরসা এ সতর্কবানী আসলে তাদের জন্য। আমার মত কিছু গরীব জনগোষ্টীর জন্য।নিউ ইমিগ্র্যান্ট দের জন্য। প্রথমে ঠান্ডার ভয়াবহতা কল্পনা করাটা তাদের জন্য কিছুটা দূরহ বটে।
এ ব্যাপরে আমার নিজের প্রথম বৎসরের কানাডায় স্নোর কবলে পড়ে যে মারাত্নক দশা হয়েছে তার কথা বলি। সেদিন টিভি নিউসে ছিল কোল্ড অ্যলার্ট।এক সানডে স্নো ইভিনিং। কাজে গিয়েছি।তাড়াহুড়ায় গ্লাভস ছাড়া বের হয়েছি। নীচে এসে আবার দৌড়ে বাসায় যাব সেই সময় ও নাই।সানডে বাস সার্ভিস থাকে উইক এন্ড মুডে।সানডে তে ম্যাক্সিম্যাম জায়গার বাস আধাঘন্টা পরে আসে যেখানে অন্যদিন একই বাস প্রতি পাচ মিনিট পরে আসে। সুতরাং আমার শিডিউল বাসটা যদি কোন কারনে মিস হয়ে যায় তবে ট্যাক্সি কল করা না হয় কাজে লেট হওয়া।কাজে পাচ মিনিট লেট লাঞ্চ এ বাড়তি সময় নেওয়া সব কিছু নেগেটিভ ভাবে দেখা হয়।এমপ্লয়ী রেটিং ডাউন হয়ে যায়।প্রতিমসে এমপ্লয়ী অফ দি মানথ হয় ।কাজে কেউ লেট হতে চায়না। বা যে অড লেবার জব করে প্রতিদিনের কাজে ১০০ থেকে ১২০ ডলার পায় তার জন্য ৪০ /৫০ ডলার ট্যাক্সি রেন্ট করে কাজে যাওয়ার বোকামী করতে চায়না।তাহলে সেদিনের কাজের কোন ও অর্থ ই হয়না।অবশ্য আমি সবসময় এই বোকামী গুলি করতাম বা এখন ও করি। এইজন্য আমি সবসময় মাইনাস আমার জীবনে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে। মনে হয়না এই জীবনে কোন সফলতার দরজায় এসে পৌছতে পারব।
যাক যেটা বলছিলাম সেই ভয়াবহ স্নোর বিকালে বাসের জন্য ওয়েট করতে হয়েছিল প্রায় পয়ত্রিশ মিনিট যেটা কানাডার রেকর্ডের মত।এখানে সাধারনত সব নির্ধারিত সময়ে পৌছানো সিস্টেম।বাস স্টপে যদি লেখা থাকে ৮:২৫ এ বাস আসবে এক্সাক্ট সেইসময়ে ।একমিনিট ও এদিক সেদিক হবেনা।সেইদিন এত হেভী স্নো হচ্ছিল ।রাস্তা ক্লিন করার সাথে সাথে আবার স্নোতে ফুল হয়ে যাচ্ছিল। সানডের ইভিনিং আশেপাশর দোকান বন্ধ।ট্যাক্সি ও কল করতে পারছিলামনা ।বাস স্টপে পয়ত্রিশ মিনিট দাড়িয়ে বাসায় যখন আসলাম শু খুলে যখন আমার ফুট দেখলাম আমি চিৎকার দিয়ে বসে পড়লাম
পায়ের রক্তে শূ ভিতরে ভিজে গেছিল আর হাত ছিল জ্যাকেট এর পকেটে।হাতের আঙ্গুলের ভাজে ভাজে চামড়া ফেটে রক্ত বের হচ্ছিল। ওই ঘটনা থেকে ভূগৃছিলাম দুই মাস।কিছুদিন হাতে কিছু ধরতে পারিনি পা হয় গেছিল ফ্রোজেন এর মত।সিভিয়ার টনসিল ইনফেকশান হয়ে গিয়েছিল।
আমি বলতে চাচ্ছিলাম বা ক্রিয়েট করতে চাচ্ছিলাম আ্যাওয়ারনেস কিভাবে বিপর্যয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে বা কিভাবে বিপর্যয়ের মোকাবেলা করতে হবে হতে পারে সামাজিক রাজনীতিক অথবা পারিবারিক ভাবে।ঠিকমত বলতে পারলমনা তা।তবে আমার এই আত্নবিশ্বাস আছে আমার নিজের প্রতি যেমন সামাজিক রাজনীতিকভাবে আমি দেখেছি আমরা বাঙালী যে কোন দূর্যোগ মোকাবিলা করি অনেক সাহসের সাথে।আমরা কখন ও মনোবল হারিয়ে ফেলিনা।এই আমাদের স্পিরিট।
সবশেষে আপেল মাহমুদের সুরে গাওয়া এই বিখ্যাত গানটি গাচ্ছি দেশ মাতৃকা জাতি আমাদের জনগনের উদ্দেশ্যে।
তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিবরে
আমরা সবাই নবীন মাঝি হাল ধরেছি শক্ত করে রে।
কজন এর জায়গায় পরিবর্তন করে লিখেছি সবাই।
(গীতিকার যেন কিছু মনে না করেন।)
১,৩১১ বার পড়া হয়েছে
পায়ের রক্তে শূ ভিতরে ভিজে গেছিল আর হাত ছিল জ্যাকেট এর পকেটে।হাতের আঙ্গুলের ভাজে ভাজে চামড়া ফেটে রক্ত বের হচ্ছিল। ওই ঘটনা থেকে ভূগৃছিলাম দুই মাস।কিছুদিন হাতে কিছু ধরতে পারিনি পা হয় গেছিল ফ্রোজেন এর মত।সিভিয়ার টনসিল ইনফেকশান হয়ে গিয়েছিল
…কষ্ট লাগল…..ওখানে এতই বরফ পড়ে কি!
হ্যা তীব্র ঠান্ডার দেশ কানাডা ।তবে এটা হয়েছিল আমার ফুলিশনেস এর জন্য।প্রপার ড্রেস থাকলে ঠান্ডার সাথে ফাইট দেওয়া যায়।
ধন্যবাদ আযহা তোমার কমেন্টসের জন্য।
ও বাব্বা কি ভয়ানক অবস্থা। আল্লাহ যেন আপনাদের নিরাপদে রাখেন,
ধন্যবাদ ছবি আল্লাহ্ আপনাকে ও যেন সহি সালামতে রাখেন।
ঐ মহা বিপদাগ্নে আপু আমার মনে হয় গান না ধরে আল্লাহর কালাম পাঠ করবেন আমার এটাই প্রত্যাশা ।
আপনার কঠিন বিপদাগ্ন শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ শান্ত পরমর্শের জন্য।গান কি তখন গেয়েছি নাকি? তখন মরার মত অবস্থা আমার।া গান গাচ্ছি এখন দেশের এই দূর্দিনে সবাইকে সাহস দেওয়ার জন্য।
আচ্ছা
কোনদিন হয়তো কানাডা যাওয়াই হবে না । তবু কানাডায় চলার জন্য ভাল দিক নির্দেশনা পাওয়া গেল । শুভ কামনা । ভাল থাকুন ।
বলা যায়না কোন একদিন আমার পাশের বাসার নেইবার রহমান ভাই।আসতে যদি চান তবে অবশ্যই আসবেন।
এখন থেকে সাবধান থাকবেন
আপনার তো জানার কথা
উত্তর আমেরিকায় 3W এর বিশ্বাস নাই:
W= Wife ( যখন তখন যে কারো সাথে চলে যেতে পারে)
W= Work ( যে কোন সময় ফায়ার হতে পারে)
W= Weather ( যে কোন সময় আভাওয়া পরিবর্তন হতে পারে)
ভাল থাকুন।
আপনি ও ভাল থাকুন সুন্দর মন্তব্য করতে থাকুন।
“শু খুলে যখন আমার ফুট দেখলাম আমি চিৎকার দিয়ে বসে পড়লাম”
চিৎকার দেয়ার মতোই অবস্থা।
“সামাজিক রাজনীতিকভাবে আমি দেখেছি আমরা বাঙালী যে কোন দূর্যোগ মোকাবিলা করি অনেক সাহসের সাথে।আমরা কখন ও মনোবল হারিয়ে ফেলিনা।এই আমাদের স্পিরিট।”
সবাস বাঙালী।
ধন্যবাদ আপনি ও সাবাস বাঙালী সাবাস গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা।অসাধারন আনকমন নাম আপনার।
নিজেরা স্বর্গে আছি মনে হচ্ছে তোমার বর্নণা শুনে । অথচ আশ্চর্য এত সুন্দর একটি দেশের বাসিন্দা হয়েও আমরা কিনা প্রতিমুহুর্তে নানান রকমের অভিযোগ করে চলেছি । সৃষ্টি করে চলেছি নিজেরাই নিজেদের জন্য একের পর এক হাস্যকর সমস্যা !
তোমার সুস্হ ও নিরাপদ জীবন কামনা করছি ।
ধন্যবাদ সুমন চমৎকার মন্তব্যের জন্য।তোমার ও সুস্হ ও নিরাপদ জীবন কামনা করছি ।
আপনার কিছু অভিজ্ঞতা জানতে পেরে খুব থ্রিল অনুভব করলাম ! ভাল ভাবে থাকবেন ; এই দোয়া করি ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।ভাল ভাবে থাকবেন আপনিও এই দোয়া করি ।
তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিবরে
তোমার সাথে আমায় নিতে ভুল করো নারে…..
আপনাকে সেই প্রথম থেকে আমার নাওয়ে রেখে দিয়েছি।কাশেম ভাই এর মত ভাল মানুষ পূর্ণ্যবান মানুষ আমার যানে থাকলে নিরাপদ বোধ করব।বিপদের সময় সবার জন্য দোয়া করবে।
কাশেম ভাই আপনার বড় একটা কোয়ালিটি আছে।কি জানেন? সেই প্রথমথেকে দেখছি আপনি একজন যে সবসময় প্রত্যেক লেখক লেখিকার লেখায় ভাল প্রেরনাদায়ক কমেন্টস করেন।কখন ও দেখিনি আপনাকে কার ও ভূল ধরতে বা নেগেটিভ কমেন্টস করতে।এটা গ্রেট থিংস।আল্লাহ নিঃসন্দেহে একদিন আপনকে বড় কোন কবি করবেন।(বড় কবি হয়ে গেছেন অলরেডী)আর ও বড় হবেন।বিনয় ভালবাসায় উদারতায় মানুষ আরও উপরে যায়।
অনেক বড় কমেন্টস করে ফেললাম।কষ্ট করে একটু পড়ে নিবেন আর কি করা।ধন্যবাদ অসংখ্য।