দি ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী – আর্নেস্ট হেমিংওয়ে – ২০
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1681বার পড়া হয়েছে।
বাংলা রূপান্তর © হামিদ
‘যতক্ষণ মাছটা এভাবে চলতে থাকবে ততক্ষণ আমার কিছুই করার নেই। মাছটিরও কিছু করার নেই আমাকে নিয়ে’ – ভাবছে বুড়ো। কাঁধ থেকে সোজা পানিতে নেমে যাওয়া দড়িটাকে বুড়োর কাছে মনে হচ্ছিল সমুদ্রের বুকে জ্বলজ্বলে একটি আলোক রেখা।
নৌকার পাশে দাঁড়িয়ে পেশাব করে নিল বুড়ো। তারপর আকাশের তারা দেখে বুঝতে চেষ্টা করল কোন দিকে যাচ্ছে নৌকাটা। এখন ওরা বেশ মন্থর গতিতে এগোচ্ছে। হাভানা বন্দরের আলোক রেখা এখন অনেকটা ম্রিয়মাণ। বুড়ো বুঝতে পারছে স্রোত ওদেরকে পূর্ব দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
‘হাভানা বন্দরের আলোক রশ্মিটুকু যখন আর দেখা যাবে না তখন মনে করতে হবে আমরা আরও অনেক পূবে সরে এসেছি। আর মাছটা যদি এই গতিতেই এগোতে থাকে তাহলে আরও কয়েক ঘন্টা হাভানার লালচে আলো দেখা যেতে পারে’ – ভাবছে বুড়ো।
এর মধ্যে বুড়োর মাথায় আবার বেসবল ঢুকল। ‘আজ বেসবলের গ্রান্ড লিগে কে জিতল কেজানে! সঙ্গে একটা রেডিও থাকলে বেশ হতো। মাছ ধরাটা তখন অনেক জমজমাট হতো’ – এসব ভাবতে ভাবতে বুড়ো আবার মাছের চিন্তায় ফিরে এলো।
‘এখন একটাই চিন্তা কর। যে কাজ করছ সে কাজের চিন্তা কর। বোকার মত কিছু করা চলবে না। ছোঁড়াটা এখন থাকলে ভাল হতো। আমাকে সাহায্যও করত আবার সমুদ্রের এসব দৃশ্যও দেখতে পেত’ – উচ্চ স্বরেই কথাগুলো বলল বুড়ো।
‘এই বুড়ো বয়সে কেউ এমন একা থাকে নাকি? কিন্তু এছাড়া তো তোমার উপায়ও নেই। আর নষ্ট হবার আগেই টুনা মাছটাকে সাবাড় করতে হবে। যে করেই হোক শরীরের শক্তি তো ধরে রাখতে হবে। সেজন্য ভোরে তোমাকে কিছু না কিছু খেতেই হবে’ – বুড়ে যেন নিজেকেই নিজে শাসন করছে।
এই রাতে দু’টো শুশুক নৌকার কাছটায় চলে এলো। ওদের হুটোপুটি আর নাকে মুখে পানি ছিটানোর শব্দ শুনতে পাচ্ছে বুড়ো। পানি ছিটানোর শব্দ শুনেই সে নারী আর পুরুষ শুশুকের পার্থক্য বুঝতে পারে। নারী শুশুকের শব্দ চাপা নিঃশ্বাসের শব্দের মতো লাগে।
‘এরা আছে মৌজে। জীবনকে আনন্দ আহ্লাদে ভরে রাখে। নিজেদের মধ্যে বেশ ভালবাসাবাসী আছে। উরুক্কু মাছগুলোর মতো এরাও আমাদের বন্ধু’ – ভাবে বুড়ো।
১,৬৫১ বার পড়া হয়েছে
শুভেচ্ছা —— ।।
শুভেচ্ছা —— ।।
পূর্বের পর্বের মতই ভাল লাগল ।ভাল থাকুন ।
শুভেচ্ছা —— ।।
ভাল লাগা জানবেন প্রিয় হামিদ ভাই।
+++++
শুভেচ্ছা —— ।।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
শুভেচ্ছা —— ।।
পরে পডব
দি ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী – আর্নেস্ট হেমিংওয়ে – ২০ পড়লাম।
পড়তে পড়তে বুড়োর মতোন আপনারও মাছগুলোর সাথে খুব ভালো সম্পর্ক হয়েছে।
হামিদ ভাই কেমন আছেন ? কয়েকদিন ধরে আপনাকে ব্লগে দেখা যাচ্ছেনা।
ভালো থাকুন। বেশী বেশী লিখুন।