নবাবি শহর লখনউ ( শেষ পর্ব )
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 2071বার পড়া হয়েছে।
এবার আমাদের গন্তব্য গোমতী নগর। যত সামনে যাচ্ছি রাস্তাঘাট তত পরিষ্কার আর চওড়া পাচ্ছি। লখনউ শহর কলকাতা আর ঢাকার মতই দু ভাগে বিভক্ত । নতুন আর পুরাতন লখনউ। স্বভাবতই নতুন লখনউ অনেক পরিকল্পিত । পথেই গাড়ি থামিয়ে দেখে নিলাম মন্দির।
খুব ছিমছাম আর পরিছন্ন ।মানুষজন নেই বললেই চলে।এরপর সোজা চললাম গোমতী নগর এর দিকে । এটা উত্তর প্রদেশের মুখ্য মন্ত্রী মায়াবতি আধুনিক উপ শহর তৈরি করেছেন। নদীর তীরে গোমতী পার্ক আর মিউজিয়াম এ হাজির হলাম। এই স্থাপনা দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম।অনেকটা মালায়শিয়ার পুত্রাজায়ার আদলে তৈরি। উঁচু উঁচু স্তম্ভ আর হাতির ভাস্কর্যের ছড়াছড়ি ।
ওখানে আগত লোকজনের সাথে আলাপ করে জানলাম যে উত্তর প্রদেশের মুখ্য মন্ত্রি মায়াবতির নির্বাচনী প্রতীক হাতি আর তাই এখানে হাতির এত কদর। তবে স্থাপনাটা সত্যি দেখার মত। অনেকক্ষণ বসে বসে দেখলাম মানুষজনের আনাগোনা আর শ্রমিকদের ধোয়া মোছা ।
এরপর এখানেই যে বাবা আম্বেদকর মিউজিয়াম আছে তার ভিতরে গেলাম।
ভিতরটাও বেশ বড় । ভিতরে মায়াবতি আর আম্বেদকরের আবক্ষ মূর্তি ।
এছাড়াও অই অঞ্চলের জীবন যাত্রা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভাস্কর্যের মাধ্যমে ।
হঠাত মনে হল আমাদের তো আজকেই রওয়ানা হতে হবে তাই তাড়াতাড়িবের হয়ে চলে গেলাম টুন্ডা/টুন্ডে কাবাব এ। সারা লখনৌ এ এর সুনাম ।
আর তাছাড়া ততক্ষনে পেটের ভিতর ইদুর দৌড় শুরু হয়ে গেছে। খাওয়া শেষে মিস্টি পান মুখে দিয়ে হোটেল আর সেখান থেকে ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ নিয়ে সোজা স্টেশন এ। আকাল তাখত এ আমাদের টিকেট আগেই কাটা ছিল। পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে লখনৌ হয়ে কোলকাতা যায় এই ট্রেন । রাত আটটা পনেরোর ট্রেন প্রায় তিন ঘন্টা লেট করে এগারোটায় আসলো । ততক্ষণে ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি । এই ট্রেন এ ভ্রমণ আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় এক ঘটনা। টক ঝাল আর একটু মিস্টি। সে গল্প না হয় আর একদিন বলব । আবার সুদীর্ঘ ২৬/২৭ ঘন্টার যাত্রা শেষে কোলকাতায় ফিরলাম। লেট করার কারনে অন্যদের চলার সময় থেমে থেমে আসতে হয়েছে তাই সময় লেগেছে বেশি ।
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে সস্তায় মনে হয় ভারতে ভ্রমন করা যায় । বাস ট্রেন প্লেন সব পথেই ভ্রমণ করা যায় ।তাই সময় পেলে ঘুরে আসতেই পারেন এই সুন্দর শহর লখনৌ এ। তবে আমাদের মত এত অল্প সময় না নিয়ে হাতে একটু বেশি সময় নিয়ে যাওয়াই উত্তম ।
২,০২৫ বার পড়া হয়েছে
খুব ভাল লাগল আপি। ঘুরতে ইচ্ছা হয় অনেক
ধন্যবাদ ,ইচ্ছেটা বজায় রাখবেন আর সময় ও সুযোগ পেলে বেড়িয়ে পরবেন 🙂
আপু, আপনার উপস্থাপনাগুলি বরাবরি খুব ভাল,
তবে, বানানগুলি একটু রিভাইস করবেন তাহলে আরও ভাল হবে।
একটু যদি নির্দিষ্ট করে বলতেন কোন কোন বানান গুলো তাহলে সংশোধন করতে পারতাম
খুব ভাল লাগল
ধন্যবাদ 😀 ভাল থাকবেন