Today 23 Nov 2024
banner
নোটিশ
ব্লগিং করুন আর জিতে নিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রিটার্ন বিমান টিকেট! প্রত্যেক প্রদায়কই এটি জিতে নিতে পারেন। আরও আছে সম্মানী ও ক্রেস্ট!
banner

পূথি প্ৰথা বিলুপ্ত প্ৰায়

লিখেছেন: ঘাস ফড়িং | তারিখ: ২১/০৯/২০১৪

এই লেখাটি ইতিমধ্যে 4954বার পড়া হয়েছে।

শোন শোন বন্ধুগন রে শোন দিয়ে মন,
কমলা সুন্দরীর কথা করিযে বর্ণন।
আরে শোন শোন বন্ধুগন রে শোন দিয়ে মন
কমলা সুন্দরীর কথা করিযে বর্ণন।
হিরন নগরের মেয়ে কমলা সুন্দর্‌
গুনের কথা কি কহীব রিইপ ছিল তার ভারি।
আরে হিরন নগরে ছিল এক রাজকুমার,
কমলা সুন্দরীর সনে দিয়া হইলো তার।
লাল নীল সবুজ পরীর দিঘী দিয়ে বাড়ি,
পালকি চইড়া যাইতে ছিল নিজের বাপের বাড়ি।
ঐ দিঘীরো জল দেইখা কইন্যার বড় তৃষ্টা পায়,
পালকী টা থামাইয়া কইন্যা জলে নাইমা যায়।
দিঘীর জলে কইন্যা যখন লাগালো রাঙা পায়,
জড়াইলো কি অঙ্কুরিতে বুঝতে পারলো না।
আরে চুলের মত অইনা বাধন যখন খুলতে চায়,
চিড়তে গেলে যায় না চেরা হইলো একি দায়।
কাটতে আইলো কামার-কুমার কুড়াল খুন্তা লইয়া,
একে একে চইলা গেলো সবাই বিফল হইয়া।
আরে এমন কইরা তিনমাস তিনদিন গেলো যে কাটিয়া,
কমলারো ঘুম ভাঙিলো কান্দিয়া কান্দিয়া।
স্বপনে দেখিলো সে আরেক রাজকুমার,
জলের তলে বাস করে সে জলে রাজ্য তার।
কমলারি আশেক হইয়া চুলে দিল টান,
কমলাও পাগল হইলো বিধির দিধান।
মা-বা, স্বামী, কন্যা কান্দিয়া আসিলো,
কমলা ডুবিলো জলে ফিরে না আসিলো।

এইভাবেই পুথি পড়ে হাজাৱ বছৱ ধৱে উপন্যাসেৱ বুড়ু মুকবুলেৱ বাড়ি সহ মাঝি বাড়িৱ সকলকে বিনোদন দিত কেউ একজন। আজ এই পূথি প্ৰথা আমাদেৱ গ্ৰামীন সমাজ থেকে বিলুপ্ত প্ৰায়। হ্যাঁ বিলুপ্ত হওয়াৱ ই কথা। কাৱন তথ্য প্ৰযুক্তিৱ উন্নয়নেৱ ফলে এসব ঐতিহ্য নিপাত হয়ে যাচ্ছে কালেৱ স্ৰোতে।

৪,৮১৩ বার পড়া হয়েছে

লেখক সম্পর্কে জানুন |
I'm one of between you and he.
সর্বমোট পোস্ট: ১১৯ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ৯৬৭ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৪-০৮-২৮ ১৩:১৯:৫৬ মিনিটে
banner

১১ টি মন্তব্য

  1. কামাল উদ্দিন মন্তব্যে বলেছেন:

    ভালো লাগলো ছন্দে ছন্দে আমাদের ঐতিহ্যকে স্বরণ করায়, শুভেচ্ছা ফড়িং :coffee:

  2. কামাল উদ্দিন মন্তব্যে বলেছেন:

    মন্তব্যে ছবি দেওয়ার নিয়মটা কি জানেন ভাই? নাকি এই ব্লগে মন্তব্যের মাঝে ছবি দেওয়া যায় না ????

  3. এম, এ, কাশেম মন্তব্যে বলেছেন:

    Its a nice post ,

    Thank you for post.

  4. সাঈদুল আরেফীন মন্তব্যে বলেছেন:

    পুঁথি আমাদের সভ্যতার বাহন। সেই পুঁথিকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিলেন ঘাসফড়িং। অবশ্যই ধন্যবাদযোগ্য ।

  5. ঘাস ফড়িং মন্তব্যে বলেছেন:

    মন্তব্য প্ৰকাশে আপনাদেৱ ও অসংখ ধন্যবাদ

  6. দীপঙ্কর বেরা মন্তব্যে বলেছেন:

    Sundar Bhavnar sundar lekha
    bhalo laglo

  7. ঘাস ফড়িং মন্তব্যে বলেছেন:

    অনেক অনেক কৃপা ৱইলো

  8. এই মেঘ এই রোদ্দুর মন্তব্যে বলেছেন:

    একটা বড় পুঁথি বই আমাদের বাড়িতে দেখতাম। অনেকদিন পর মনএ করাইয়া দিলা। ফোন করে খবর নিতে হবে। ধন্যবাদ তোমাকে।

  9. ঘাস ফড়িং মন্তব্যে বলেছেন:

    শোভেচ্ছা ৱইলো, কেমন আছেন আপা?

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন.

go_top