পেশাগত জীবনে ১২ ভুল পিছিয়ে রাখে নারীদের
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1467বার পড়া হয়েছে।
পেশাগত জীবনে বেশ সংগ্রাম করে যাচ্ছেন নারীরা। বেস্টসেলার বই ‘ইওর নেক্সট বোল্ড মুভ ফর ওম্যান’-এর লেখক এবং ভিশন কোয়েস্ট কনসালটিংয়ের সিইও ওয়েন্ডি ক্যাপল্যান্ড বলেন, নারীরা এখন পেশাক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছেন। বহু পরিবারে নারীরাই সংসারটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। তার পরও প্রাতিষ্ঠানিক দিক থেকে কর্মী হিসেবে নারীদের গ্রহণযোগ্যতা এখনো আশানুরূপ নয়। এর পেছনে কর্মক্ষেত্রে নারীদের নানা ভুলের দায় তুলে ধরেন তিনি। জানান, এসব ভুলের কারণে আরো পিছিয়ে পড়ছেন নারীরা। এমনই ১২টি ভুলের কথা জেনে নিন যা তাঁদের পেশাজীবনে এগোতে দিচ্ছে না।
১. কথা বলতে অপারগতা
অনেক নারীই প্রয়োজনীয় কথা বলতে অপারগ। যেন কেউ তাঁদের বেশি বকতে মানা করে দিয়েছেন। তাঁদের নরম ও কোমল বক্তব্য অনেক সময়ই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় না। তাই কণ্ঠে ও আচরণে জোর থাকতে হবে, বলেন ওয়েন্ডি।
২. অমায়িক আচরণের বিড়ম্বনা
অমায়িক আচরণ প্রায়ই নারীদের নিচে নামিয়ে দেয়। নারীদের ভয়েস মেইল মেসেজ শুরুই হয় এভাবে, ‘আমি দুঃখিত যে আপনার কলটি ধরতে পারছি না’। কথা ও কাজে ঘনঘন ‘সরি’ বলা বা ক্ষমা চাওয়া পেশাদারিত্বের নমুনা নয়।
৩. মানসিকতা
আবার সব কাজে অনুমতি চেয়ে নেওয়ার মানসিকতা নারীদের মাঝেই বেশি থাকে। নিজের কর্তৃত্ব এবং ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও প্রতি পদক্ষেপে অন্যের অনুমোদন সব সময় প্রয়োজন পড়ে না। বিষয়টি ব্যক্তিত্বের দুর্বলতা বৈকি।
৪. নেতিবাচক স্বভাব
নতুন দায়িত্ব নেওয়ার আগে নিজেকে ওই কাজে দক্ষ করে তোলা এবং দক্ষ হয়ে ওঠার অপেক্ষায় থাকা নারীদের একটি নেতিবাচক স্বভাব। তাঁরা নতুন দায়ভার নিতে ভয় পান। এর সম্পর্কে আরো শিখে-পড়ে তবেই তা করতে চান।
৫. সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক
কর্মক্ষেত্র সব সময় প্রতিযোগিতামূলক। কিন্তু নারীদের মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক আচরণ বেশি প্রকাশ পায়। সহকর্মীদের সঙ্গে সদ্ভাব রাখতে হবে। তাই বলে প্রতিযোগিতা না থাকলে এগিয়ে যাবেন কিভাবে?
৬. সীমাবদ্ধতা
নিজের পেশার সঙ্গে স্বামী বা সঙ্গীর পেশার তুলনা করার বিষয়টি বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বামীর উপার্জনের চেয়ে নিজের বেশি উপার্জনের সুযোগ অনেক নারীই এড়িয়ে যান। অথচ নিজের যোগ্যতায় সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা কারোরই থাকা উচিত নয়।
৭. নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকা
পেশাজীবনে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকা নারীদের বড় ভুলের একটি। চাকরি করে বেতন তোলাই তাঁর মুখ্য উদ্দেশ্য বলে গণ্য হয়। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া সব পেশাদারের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
৮. অনাগ্রহ
বর্তমান অবস্থার এক ধাপ উন্নতিই নারীদের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে থাকে। এর বাইরে নিজেরা চিন্তা করতে মোটেও আগ্রহী নন তাঁরা। এটি তাঁদের পিছিয়ে থাকার আরেকটি কারণ।
৯. ব্যক্তিত্ব
অফিস সংস্কৃতিতে নিজের ব্যক্তিত্বের জানান দিতে অস্পষ্ট থাকেন নারীরা। সবার চারপাশে দেয়াল রয়েছে যা পেরিয়ে কেউ এপাশে আসতে পারেন না। তেমনই নিজের দেয়ালটি পরিষ্কার করে দিন।
১০. ব্যক্তিগত বিষয়
পেশার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়টি জড়ায় নারীরা। বিয়ে-সংসার ইত্যাদি বিষয়ে পেশাজীবনকে ইতিবাচকভাবে ভাবেন না তাঁরা। এতে করে অযাচিত বাধা এমনিতেই তৈরি হয়ে যায়।
১১. নারীসুলভ আচরণ
ছোটখাটো বিষয়ে অতিমনোযোগ দেওয়া বা সামান্য বিষয় নিয়ে পড়ে থাকা সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। এটাকে নারীসুলভ আচরণ বলা যায়। এই স্বভাবের কারণে তাঁরা পরের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে পিছিয়ে পড়েন।
১২. ব্র্যান্ড ইমেজ
প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড ইমেজ থাকে। নারীরা কর্মজীবনে তা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন। আত্মোপলব্ধির জন্যও পারসোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। এটিই পেশাজীবনে আপনার আসল পরিচয়।
-বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে
১,৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
পড়ে বেশ ভালো লাগলো
সুন্দর ভাবনার প্রয়াস
দারুন ভাবনার লিখা
পড়ে ভালো লাগলো
খুব সুন্দর সুন্দর জিনি তুলে ধরেছেন । এটা আমাদের সমাজকে অনেক উপকৃত করবে ।
খুব সুন্দর আলোচনা তুলে ধরেছেন ।
ভাল লাগলো ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।