প্লাস্টিক বা টিনের খাবার স্বাস্হ্যের জন্য ক্ষতিকর
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1288বার পড়া হয়েছে।
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে প্লাষ্টিক বা টিনে যেসব খাবার থাকে ,সেগুলোতে রাসায়নিক পদার্থ বিপিএ-র মাত্রা খুব বেশী । এর কারণে গর্ভপাত যেমন হতে পারে ,তেমনি নারীরা বন্ধ্যাত্বের শিকারও হতে পারেন । ক্যালিফোর্নিয়ার বায়োকেমিস্ট এবং এমেরিকান সোসাইটি ফর রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিন এসআরএম এর সভাপতি ড’ লিন্ডা গিউসিস জানান, টিনজাত খাদ্যে রাসায়নিক পদার্থ বা বিপিএ থাকার কারণে স্বাস্হের যে সব সমাস্যা হতে পারে ,সেগুলি প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট কাজ এখনও হয়নি ।তবে যেটুকু কাজ হয়েছে ,তাতে বলা যায় যে.বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিপিএ গর্ভধারণ ও স্বাস্হের ক্ষতি করে থাকে ।গত মাসে এএসআরএম প্রাকৃতিক রাসায়নিক পদার্থ এবং গর্ভবতী নারীদের উপর এর প্রভাব নিয়ে কাজ করেন ।লিন্ডা গিউডিস জানান, টিনজাত খাদ্যে রাসায়নিক বা বিপিএ থাকার কারণে গর্ভধারণ এবং স্বাস্হ্যের ক্ষতি করে থাকে । বিসফেনল এ এর সংক্ষিপ্ত রূপ বিপিএ ।এটি এমন একটি প্রাকৃতিক রাসায়নিক পদার্থ যা হরমোনকে প্রভাবিত করে ।পরীক্ষায় দেখা গেছে,প্রত্যেকের প্রস্রাবেই এই বিপিএ রয়েছে । গত কয়েক বছরে শিশুদের দুধের বোতল এবং পানীয়ের বোতল থেকে বিপিএ সরিয়ে ফেলা হয়েছে ।তবে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন বলেছে যে , অন্যান্ন টিনজাত খাদ্যে এখনও এটি রয়ে গেছে ।
ফাস্টফুড থেকে সাবধান
ফাস্টফুড খেলে জীবন হয়ে যেতে পারে দুর্বিসহ,পিত্সা ,বার্গার,কোকাকোলা চিপস- সবকিছু নিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে যাওয়া ,এটা অনেক বাচ্ছা এবং কিশোর-কিশোরীর যেন নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। কিন্তু এর পরিণামের কথা কি ভেবে দেখেছেন মা-বাবারা । নিয়মিত ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে শিশুদের ফুলের মতো সুন্দর জীবন আগামিতে হয়ে যেতে পারে দুর্বিষহ ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে গর্ভপাত হয় ডিম্বানু এবং ক্রমোজামের কারণে
স্ট্যেনফোর্ড বিশ্ববিদ্যালিয়ের রিপ্রোডাক্টিভ ডঃ রুথ লাথি জানিয়েছেন ,ইদুরের উপর করা পরীক্ষায় দেখা গেছে যে বিপিএ এর প্রভাবে গর্ভপাতের সম্ভবনা বেড়ে যায় ।লাথি এবং আরও কয়েকজন গবেষক ১১৫ জন গর্ভবতী নারীর উপর পরীক্ষা চালিয়েছেন ,যারা অল্প কয়েকদিনের গর্ভবতী । এসব নারীদের জীবনে দীর্ঘদিন বন্ধ্যান্ত ও গর্ভপাতের ঘটনা ছিল । পরে এদের মধ্যে ৬৮ জনের গর্ভপাত হয়ে যায় এবং ৪৭ জন সুস্হ শিশুর জন্ম দেন । কিন্তু গবেষণাটি স্বল্প সংখ্যক মানুষের উপর করায় গবেষকরা এখনই এর সত্যতা সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ।লাথি জানান এমনও হতে পারে , যে নারিদের রক্তে বিপিএর মাত্রা বেশি ছিল ,আরও অন্য কোনো সমাস্যা থাকতে পারে যার জন্য গর্ভপাত হয়েছে ।এই গবেষণাটির উদ্দেশ্য হল নারীদের জানানো যাতে তারা বিপিএ সম্পকে সচেতন হন ।বিপিএ এর মাত্রা কমাতে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে । প্লাস্টিকের বাসনে খাবার গরম না করা কেননা তাপের কারণে প্লাস্টিক থেকে বিপিএ নিঃসৃত হয় । জলের বোতল সূর্য্যের আলোতে না রাখা ।টিনের খাবার কম খাওয়া ।লাথি এও জানান যে বিপিএ থেকে পুরোপুরি দুরে থাকা আজকের বিশ্বে আর সম্ভব নয় ।
১,৩৩৭ বার পড়া হয়েছে
প্লাষ্টিক বা টিনের খাবার
স্বস্হ্যের জন্য ক্ষতিকর
স্বাস্থ্যের হবে বুঝি ,
শরীর ও স্বাস্থ্যের সচেতনতা প্রত্যেকের থাকা উচিত–তারই ওপর লেখা নিবন্ধটি স্বাস্থ্য বিষয়ক সুন্দর একটি লেখা।ধন্যবাদ জানাই লেখককে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক সুন্দর লেখা।
ধন্যবাদ লেখককে।
ধন্যবাদ রায় ও আরজু ভাইকে
খুবই সচেতনতামূলক পোষ্ট । খাবার প্যাকেট জাতের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্লাষ্টিক বাদ দিতে হবে । প্লাষ্টিক থেকেই বেশী দূষন ছড়ায় । ধণ্যবাদ লেখককে সুন্দর বিষয় অবতারনা করার জন্য ।
কিন্তু প্লাস্টিকের বক্সেই তো খাবার এনে অফিসে খাই
সুন্দর পোষ্ট অনেক ধন্যবাদ
সচেতনমূলক পোষ্ট।
জেনে ভাল লাগল
সচেতনমুলক দারুন লিখা
শুভ কামনা