পড়ায় যত বিড়ম্বনা
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1438বার পড়া হয়েছে।
আমরা ছাত্রছাত্রীর দল অপ্রয়োজনীয় কাজ অনেক উৎসাহ নিয়ে সম্পাদন করি কিন্তু যদি পিতামাতা পড়তে বলে কিংবা শিক্ষনীয় কোন কাজে মন দিতে বলে তখন তাতে আমাদের উৎসাহ তো নেই ই বরং আমরা তাতে বিরক্তবোধ করি। একটা সময় চিল যখন সৃজনশীল ছিলনা, তথ্য প্রযুক্তির আশির্বাদে গড়া ফেসবুক ছিলনা তখন আমাদের বড়রা অন্যসব ফালতু কাজ ফেলে পড়ায় মন দিত আর রাত যেগে পুরু বইয়ের পাতা মুখস্ত করতো। অতঃপর পরীক্ষার হলে তাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতো এবং শিক্ষক মশাই সঠিক মেধার যাচাই করে ফলাফল প্রকাশ করতেন। কিন্তু এখন সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতিগত বেড়িয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্য থেকে মুখস্থের প্রথাটা দিন দিন তলিয়ে যাচ্ছে। একজন ছাত্র হিসেবে আমি বলতে পারি, “দিনের পুরুটা সময় যখন অপ্রয়োজনীয় কাজে মাথা দেই তখন খুব মাথায় খাটায় তাতে। কেবল আমি না, আমার মত অনেকেই এমন। কিন্তু সন্ধায় যখন পড়ার টেবিলে বসি তখন বই হাতে নিলে মনে হয় আমি সব পারি। যেই বইটা খুলি পাতা উল্টালে মনে মনে ভাবি এসব তো আমার জানা আছে, পরীক্ষার হলে ঠিকই লিখতে পারবো। আর একটা বিষয় হচ্ছে ধরুন, মাথায় চিন্তা আসে। আজ পড়বো না। কেমন কেমন যানি লাগছে। কাল ঠিকই পড়বো। কাল যখন আসে তখন ঐ দিন টা আবার আগামীকাল হয়ে যায়। প্রতিদিন একই শ্রুতলিপি পাঠ। এটা কিন্তু শিক্ষার্জনের একটা বড় অন্তরায়। আমরা যখন পড়ার টেবিলে বসি তখন ফোন টা হাতে নিয়ে অনলাইনে ডুকে পরি আর তা আমাদের জন্য উপকারের চেয়ে অভিশাপ বেশী বলে আমি মনে করি।
পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর কথা চিন্তা করা যাক। জাপানের ছেলে মেয়েরা কিন্তু আমাদের মত অলস না। আর তাই হয়তো তারা শিক্ষার দিকদিয়ে এতটা এগিয়ে আছে। তারা তাদের সময়টকে দাম দিতে শিখেছে। কিন্তু আমরা আছি কবল কাজ করা ছারাই ফলাফল লাভের আশায়। আমাদের দেশের শিক্ষার্থী রা পরীক্ষার হলে বসেও ফেসবুকে ইস্টেটাস দেয়, “প্রশ্ন এতো কঠিন ক্যারে? আমি কিছু পারিনা ক্যান?” অথচ বহিরাবিশ্বের শিক্ষার্থী রা হলে ফোন তো বড় কথা কোন প্রকার যোগাযোগ ও করতে পারেনা। আমাদের উচিত এসব শিক্ষা ব্যাবস্থা পরিবর্তন করা। আর পরিবর্তন কেবল আমরাই অর্থাৎ সরকার কিংবা শিক্ষাবোর্ড নয় বরং আমরাই পারবো শিক্ষাকে শ্রদ্ধার সহীত নতুন রুপ দিতে। সৃজনশীলতার ফলে আমরাই নিজেরা যেমন করে উদ্দিপক পড়েই তার মর্মকথা নিজের মনের মত করে উত্তরের সহীত প্রকাশ করি ঠিক তেমনি শিক্ষা ব্যাবস্থায় ও আমরা নতুন মাত্রা যোগ করতে পারি। প্রবন্ধ লিখলে পাতা ফুড়িয়ে যাবে কিন্তু শব্দ ফুড়াবে না। সুতরাং পরিশেষে এটা বলে যপনিকা টানলাম যে, শিক্ষায় অলসতা নয় বরং নিয়মিত চর্চাই পারে আমাদের মেধার উন্নতি সাধন করতে বোর্ড কিংবা সরকার নয়।
১,৪১৫ বার পড়া হয়েছে
দারুন ভালোই লিখেছেন ………..ভালো লাগলো
ভাল লাগল
আপনার লেখাটা ভালো হয়েছে । বাস্তব সম্মত লিখা । শুভেচ্ছা রইলো ।