বই আলোচনাঃ ভয়ংকর ভুতুড়ে
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1670বার পড়া হয়েছে।
বইয়ের নামঃ ভয়ংকর ভুতুড়ে
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর, ১৯৪৮ – ১৯ জুলাই, ২০১২)
কাহিনী সারসংক্ষেপঃ আখলাক সাহেব, বায়ান্ন বছর বয়সী একজন মানুষ। পেশা অধ্যাপনা। বিয়ে করেননি। থাকেন কলাবাগানে। বাসায় তিনি ছাড়া মানুষ বলতে কাজের ছেলে মোতালেব। ছোটবোন মিলির বাসা মালিবাগে। সপ্তাহে একদিন সেখানে বেড়াতে যান আখলাক সাহেব যদিও তার হাতের অতি কুখাদ্য এবং বারবার বায়ান্ন বছর বয়সেও ভাইকে বিয়ে করানোর পিড়াপীড়ি ভয়ংকর যন্ত্রণার মতো!
হঠাৎ একদিন আখলাক সাহেবের কাছে একটা ভূত! ভূতের নাম “লেখক ৭৪” ! সেও তার চিরকুমার থাকতে চাও অথচ তার আত্মীয় স্বজন তাকে বিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে এক ফাজিল ভূত মেয়ের সাথে,যার নাম “ফা ৪০”! এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে তার আখলাক সাহেবের সাহায্য দরকার ! এখান থেকেই কাহিনী শুরু।
ভূতের নিয়মিত যাতায়াতে এবং বিভিন্ন ঘটনায় একসময় তার আশেপাশের সবাই ভাবতে শুরু করে তিনি পাগল হয়ে যাচ্ছেন! ঘটনা সাইক্রিয়াটিস্ট পর্যন্ত গড়ায় …………….
শেষ হয় বায়ান্ন বছর বয়সী আখলাক সাহেবের বিয়ে এবং সময় অতিক্রমের সাথে সাথে একটা মেয়ে জন্মানোর মধ্য দিয়ে। যার ভিতরে তিনি দেখতে পান সেই “ফা ৪০” এর ছায়া!
বই সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত মতামতঃ
সাইক্রিয়াটিস্ট আখলাক সাহেবকে একটা ধাঁধা দিয়েছিলেন যার উত্তর আখলাক সাহেব বলতে পারেননি। অর্থাৎ তিনি জানতেন না। সেটা ভূতকে ধরতে বলা হয়েছিলো। উদ্দেশ্য ভূত বলতে কিছু নেই,পুরোটাই তার মস্তিষ্ক প্রসূত!
ভূত কিন্তু উত্তরটা জানতো! কিন্তু শেষপর্যন্ত ব্যাপারটা নিয়ে আর সাইক্রিয়াটিস্টের কাছে যাওয়ার ঘটনা আসেনি। আসলে বোধহয় ভালো হতো!!
“ভয়ংকর ভুতুড়ে” মূলত বাচ্চাদের জন্য লেখা! তবে বড়রাও পড়তে পারেন! বাচ্চাদের বই পড়ার মধ্যে একধরণের নির্মল আনন্দ পাওয়া যায়!!
১,৬৩৫ বার পড়া হয়েছে
অনেকদিন আগে পড়েছিলাম …
কাহিনীও অনেকটা ভুলে গিয়েছিলাম …
রিভিউ ভালো লাগলো …
🙂 🙂 বইটা মজার।
huymaon. sir ar likhara khub majar. tobe apbar boi alochonata khub shundar hoichee. congratulation apa. valo thakun .
Thanks,ভাইয়া। ভালো থাকুন সবসময়!
বেশ ভালো লাগলো ….ভাল ভাবনা
যদি নতুন লিখিয়েদের বই নিয়ে আলোচনা হলে
আরো ভাল লাগতো
শুভ কামনায়
শুভ সকাল
শুভ সকাল! 🙂
ইচ্ছে আছে নতুনদের বইও রিভিউ করার। সামনে করবো ইনশাল্লাহ!
ধন্যবাদ আপি। কিনতে হবে বইটি
আলোচনায় ভাল হল – বেশ কিছু জানতে পারলাম।
কবিকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা –
এতো মজার মজার বই পড়েন ! আর আমি পড়ার সময়ই করে উঠতে পারি না !
যাই হোক, পড়ে মাঝে-মধ্যে এমন শেয়ার করলে মন্দ হবে না ।
শুভ কামনা আপু ।
কত বইযে পড়ার বাকি
সময় কখন পাবো আর