বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৫ ইং : খেলা রিভিউ – বাংলাদেশ Vs নিউজিল্যান্ড গ্রুপ পর্যায়ের খেলা
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1442বার পড়া হয়েছে।
১৩ জনের নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে কি পারবে ১১ জনের বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, ভাবছেন ১৩ জনের নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল কিভাবে ? ১১ জন + রুবেল হোসেনের বলে ক্লিন LBW হয়ে ওয়ান ডে তে দ্বিতীয় ইনিংস খেলা Martin Guptil + Guptil এর Clean Lbw ( যা পরবর্তী Replay তে বলটি মিডল স্ট্যাম্পে হিট করতে দেখে ধারাভাষ্যকর দুঃখ প্রকাশ করলেন, জোরালো আবেদন হয়েছিল, আমি খালি চোখে বুঝতে পারলাম LBW হয়েছে, সন্দেহ থাকলে ফিল্ড আম্পায়ার থার্ড আম্পায়ার বা টিভি Replay দেখতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করলেন না, কেন করবেন তিনি তো নিউজিল্যান্ড দলের ১৩ নম্বর খেলোয়াড়, কিন্তু বাংলাদেশ কেন রিভিউ চাইল না বুঝতে পারলাম না, এই স্ট্যাটাস লিখতে লিখতে Guptil তার ওয়ান ডে ক্রিকেটের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রান করে ফেললো, Guptili এর কারনে যদি বাংলাদেশ হেরে যায় তবে নিউজিল্যান্ডের সেই জয় হয়ে থাকবে ১১ জনের বিরুদ্ধে ১৩ জনের এক কলঙ্কজনক জয়) না দেয়া আম্পায়ার ।
ইন্ডিয়ার কয়েকটি চ্যানেল দেখলাম দুই কোয়াটার ফাইন্যালিস্টের টানটান উত্তেজনাপূর্ণ খেলা না দেখিয়ে দুই বাদ পড়া ইংল্যান্ড ও দুর্বল আফগানিস্থানের ম্যাচ দেখাচ্ছে, আহ ইন্ডিয়ানরা কতো উদার, তারা পরাজিত দুর্বলদের পাশে দাড়ায় তাদের খারাপ সময়েও ( পুরনো ইন্ডিয়ান হীনমন্যতা, বাকি বিশ্বের আমন্ত্রনে যেখানে বিশ্বময় খেলছে বাংলাদেশ শুধু তোমরা প্রতিবেশী বাংলাদেশকে তোমাদের দেশে খেলতে ডাকো না, বাংলাদেশের খেলা দেখাও না, ভাবো বাংলাদেশের উঠে আসায়, তার প্রচার প্রসারে আবার তোমাদের কোন ভূমিকা না রয়ে যায়, কি খেলার মাঠ, কি সাহিত্যের আসর, সব এক, lol )
– ক্রিকেট পাগল বাঙ্গালী
১,৩৯৫ বার পড়া হয়েছে
প্রথম পাতায় দুটি লেখা দেয়া চলন্তিকার নিয়ম বিরুদ্ধ কিন্তু এই পোষ্টটি দেরী করলে তার উপযোগিতা হারাবে তাই দিতে হল বলে দুঃখিত ।
Guptil এর উইকেটটার কারনেই হেরে গেল বাংলাদেশ, কিউয়িদের ঘরের মাঠে ওদের সাথে সমানে সমানে লড়াই, এতোটা তো অস্ট্রেলিয়া বা শ্রীলঙ্কাও পারেনি, অবশ্য একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে, সামনে সেই (!) উদার ইন্ডিয়াকে পাওয়া গেছে, আমাদের তো ওদের কাছে হারানোর কিছু নেই, হারলেও সেটি এই ম্যাচের মত যেন সম্মানজনক হয়, আর বাংলাদেশ যে মানের ক্রিকেট খেলছে এই বিশকাপে তা যে কোন দলের ঘুম হারাম করে দেবার জন্য যথেষ্ট, জয় পরাজয় নিয়ে ভাবনা নয়, শুধু নিজেদের সেরা খেলাটা যেন খেলতে পারে বাংলাদেশ এটাই চাওয়া । ভারতের কাছে বাংলাদেশের কিছু হারানোর না থাকলেও বাংলাদেশের কাছে ভারতের অনেক কিছু আছে হারানোর, ফিরে আসুক ২০০৭ সালের সেই ক্যারিবীয় রাত, বাংলার ক্রিকেট খুঁজে পাক নতুন পথের দিক, শুভ কামনা রইল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য ।
হেরেও হারেনি বাংলাদেশ । কারণ…
এই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে কোন দলের সর্বোচ্চ স্কোর (২৮৮ রান) বাংলাদেশের । এই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অল আউটের স্বাদ না পাওয়া একমাত্র দেশ বাংলাদেশ । নিউজিল্যান্ডকে সবচেয়ে বেশি ওভার খরচ করে ম্যাচ জিততে হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষেই (৪৮.৫ ওভার)! এই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান (মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ) বাংলাদেশের । বাংলাদেশের (নিকট অতীতের) তিন ব্যাটিং স্তম্ভ সাকিব, তামিম কিংবা মুশফিকের বড় কোন অবদান ছাড়াই বাংলাদেশ করেছে ২৮৮ !
এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ পেসার মাশরাফির অবদান ছাড়াই নিউজিল্যান্ডকে বেশ ভুগিয়েছে বাংলাদেশ ! এগুলো সবই তো ম্যাচের ইতিবাচক দিক !
প্রয়োজন শুধু সামনের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের এমন ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখা ! আর সেটা ধরে রাখতে পারলে ২০০৭ ফিরে আসতে পারে এমসিজিতেও !