ভারতীয় সিরিয়াল গ্রাস করেছে বাংলাদেশের নারী সমাজ ( পর্ব-২)
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1555বার পড়া হয়েছে।
এর অনেক মন্দ দিক সমাজে বিস্তার ঘটছে। নারীরা অনেক ইঁচরে পাকা হচ্ছে। কুটনীতি শিখে তা স্বামী,শ্বশুর শ্বাশুরির সাথে প্রয়োগ করছে। আমরা পুরুষ তাই ওদের নিকট অপোক্ত, অচালাক, অপ্রেমিক, অবুদ্ধি। এমন ভাবে কুটবুদ্ধিগুলো সমাজের সহজ সরল নারীদের মনে জেঁকে বসছে তা থেকে তারা নিজেরাই বিপথগামী হচ্ছে। ভিন্ন সংস্কৃতিতে বিশ্বাস স্থাপন করছে আর দেশীয় শিক্ষা সংস্কৃতি,কৃষ্টি,কালচার থেকে দিন দিন দুরে সরে যাচ্ছে। স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েরাও ভারতীয় সংস্কৃতিতে ডুবছে। তাদের আদর্শের সঙ্গে নিজেদের মিলাতে চাচ্ছে । নিজেদের পোশাক আশাক,চলা ফেরা,ভাষার ব্যবহার,সব কিছুতেই ভারতের অনুসরন করছে। ফলে অনেক রক্তের বদৌলতে পাওয়া দেশীয় শিক্ষা,সংস্কৃতি নারীরা অগ্রাহ্যই শুধু করছেনা রীতিমত তা আত্নাহুতি দিতে চলেছে। যার নগদ প্রমান ঈদুল ফিতর/২০১৪ইং সময় মহিলাদের ঘৃন্য ঘটনার অবতারণ হয়েছে। আমাদের সকলের জানা কতজন “পাখি জামা”র জন্য আত্নহত্যা করেছে। অনেকেই ঈদের আনন্দে যোগ পর্যন্ত দেয়নি। এর আগের বারে ২০১৩ ইং এর ঈদুল ফিতরে ” ঝিলিক” জামা মেয়েদের মাথা খেয়েছিল। সেবারেও পত্র পত্রিকায় এরকম ঘটনা পড়েছিলাম। স্ত্রী ও অল্প বয়সী মেয়েরাও বেশ অকালে পাকছে।
তবে পুরুষের সংখ্যার পার্সেন্টেজ উল্লেখযোগ্য নয়।
ওইসব সিরিজে খুব কমন একটা চরিত্র থাকে। যা প্রত্যেক সিরিয়ালে মিল পাওয়া যায়। আর তা হলো পরিবারে কেউ একজন কুটনৈতিক চরিত্রে থাকবে। যার মুল অভিনয় শুধু একজনের সঙ্গে অন্য জনের লাগানো, গীবত করা,গোপন তথ্য অন্যজনকে বলে শত্রুতা পাকিয়ে দেয়া। ওইসব চরিত্র দেখে দেখে বর্তমান সমাজে মহিলারা স্বাধিনতার নামে মুলতঃ স্বেচ্ছাচারিতা করছে এবং ভারতীয় চরিত্র এদেশে পাকা পোক্ত করছে । আবার সঙ্গিত বাংলায় নায়িকারা যেভাবে অর্ধালুঙ্গ শরীরে নৃত্য প্রদর্শন করে থাকে তাতে অবশিষ্ট তেমন কিছুই থাকেনা। এই চ্যানেলটা অল্প বয়সী মেয়েদের মাথা খেয়েছে। তাদের অনেক প্রিয় টিভি এটা। বেশ ফুর্তিতে পড়াশোনা বাদ রেখে অর্ধালুঙ্গ শরীর দেখে মাতিয়ে থাকে। ভেতরে ভেতরে নায়ক জিৎ ও দেব কে স্বপ্ন দেখে।
সবচে পরিতাপের কথা হলো বাংলাদেশে দুই ঈদে পরিচালক প্রযোজকরা যে শ্রম আর মেধা মিশিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা তৈরি করেন সেগুলোও মেয়েরা দেখে না। তাদের নাকি মন কাড়ে না। আর দিনে যে সংবাদ গুলো পরিবেশিত হয় সেগুলোতো দেখেইনা। একেবারেই সংবাদন ও টকশো এবং বাংলাদেশীয় টিভি বিমুখ এক সমাজ । তারাই এদেশের সহজ সরল নারী সমাজ। তবে তারা আর সহজ সরল নেই।
ঘরে পুরুষ মানুষ ঢুকলে তার পর টিভি পরিবর্তন হয়। তাও আবার কিছুক্ষন ঝগড়া করার পর। তার মানে টিভি গুলো সারাদিন মহিলাদের দখলে থাকে। এতে তাদের রুচিবোধ ক্রমাগত ভিন্নমুখী হচ্ছে ।
কিছু দিন আগে ভারতীয় কয়েকটি টিভি বন্ধ করার সরকারি উদ্যোগের কথা শুনেছিলাম। কিন্ত কালে ভদ্রে তা হালে পানি পায়নি। আবার পুনরায় হাইকোর্ট থেকে স্টার জলসা,জিবাংলা এবং স্টার প্লাস এই তিনটি টিভির সম্প্রচার কেন বন্ধ করা হবেনা মর্মে যে রুল জারি করেছিল তারও খবর জনগনের আড়ালেই রয়ে গেছে।
এবিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। অভিভাবকদেরও ঘুম ভাঙতে হবে ভাঙ্গাতে হবে। সচেতন হতে হবে আরো। এক্ষুনি যদি নিয়ন্ত্রন করা না যায়া তো আমাদেরই অমঙ্গল হবে। সরকারের দায়িত্ব নিতে হবে এর একটা কিছু করার। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সচেতনতা মূলক কার্যক্রম হাতে নেয়া প্রয়োজন। নচেৎ আমাদের কচি মেয়েরা বিপথগামী হবে,মহিলারা কুবুদ্ধি শিখে নিজেদের ধ্বংশ ডেকে আনবে এবং বাংলাদেশের টিভিগুলো অদুর ভবিষ্যতে অকেজো হয়ে পড়বে।
————————————
১,৫২১ বার পড়া হয়েছে
জন্মঃ
প্রকৃত নাম সরকার শহিদুর রহমান।
ছদ্ম নাম দ্বীপ সরকার। জন্ম ১৯৮১ইং, ১লা মার্চ। মুসলিম পরিবারে। বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন গয়নাকুড়ি গ্রামে। পিতা,মৃত হাবিবুর রহমান। দশ/বারো বৎসরে পিতাকে হারাই। মাতা মোছাঃ আছিয়া বেওয়া। চার ভাই। পাঁচ বোন। ভাইদের মধ্যে ৩য়।
শিক্ষাঃ
গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শিক্ষায় হাতে খড়ি। তারপর ওখান থেকে একই এলাকার দাড়িগাছা
দারুসসালাম দাখিল মাদ্রাসায় ৩য় শ্রেণীতে ভর্তি করে দেয়া হয় । এখানেই শিক্ষার মুল ধারা শুরু। ৪র্থ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বরাবরই ক্লাস ফার্স্ট এবং গোটা স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বার অর্জন করি। দিন রাত সমান করে পড়ার টান ছিলো। পড়া থেকে উঠিনি কোন সময়।স্কুল থেকে এসেই বই হাতে।শতবার ডেকে ডেকে ভাত খাওয়ানো। সেজন্য অনেকের বকা খেয়েছি। মাগরিব থেকে ফজর পর্যন্ত একটানা রাত জেগে পড়েছি। এরকম কত রাত কাটিয়েছি বইয়ের ওপরে তার গননা করা মুশকিল।
তকে খেলাধুলার প্রতি কোন আকর্ষন ছিলোনা এখনো নেই। স্কুলের সকল ছাত্র ছাত্রী,শিক্ষক,এলাকার সকলেই মেধাবি ছাত্র ভাবতো, এবং সম্মান করতো। একবার ৯৯% ভোট পেয়ে এজিএস নির্বাচিত হয়েছিলাম। এদিকে গান গজল হামদ নাত গাইতাম, কবিতা লিখতাম বলে সকলে শিল্পী এবং কবি বলে ডাকতো। গান গেয়ে মন জয় করতাম সকলের । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে দিয়ে গান,হামদ নাত গেয়ে নিতো স্যারেরা। ৬ষ্ট/ ৭ম শ্রেণী থেকে কবিতা, গান, গজল রচনা করে অনুষ্ঠানে বলতাম। এখান থেকেই ১৯৯৫ ইং সালে ১ম বিভাগে দাখিল ( মেট্রিক) পাশ করি। আশানুরুপ রেজাল্ট হয়নি বলে স্কুলের শিক্ষকগন মন ভিজাতে পারেনি। আরো বড় স্বপ্ন ছিলো তাদের।
প্রতি বৎসরে আমাকে চারটি করে পুরস্কার দিতো। ক্লাসের প্রথম,সমগ্র স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর, গান গাওয়া, রেগুলার স্কুলের জন্য।
এর পর নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজ থেকে ১৯৮৭ইং সালে জেনারেল সেকশনে ৩য় বিভাগে এইচ এস সি পাশ করি। কিন্ত কাঙ্খিত ফলাফল না হওয়ায় চলমান স্বপ্নের ছন্দপতন ঘটলো। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমে গেলো। তারপর সংসারে কিছুটা অর্থের দ্বৈন্যতা দেখা দিলো সংসারের ঝামেলা মাথা নিয়ে গাইবান্ধা জেলার কামদিয়া নুরুল হক ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হই এবং ১৯৯৯ইং সালে এখান থেকে ২য় বিভাগে গ্রাজুয়েশন সম্পুন্ন করি। এর পর আর পড়াশোনার দিকে যেতে পারিনি। অদম্য সাহস এবং মেধা থাকার পরেও অর্থ দ্বৈন্যতা আর সামনের দিকে এগুতে দেয়নি।
তার পর ২০০১ ইং সালে একই গ্রামের তহমিনা খাতুনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই । বর্তমানে এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়ে,শান্তা মারিয়া শানু এবং ছেলে, মেশকাত।
সাহিত্যে আগমনঃ
ছোটবেলা থেকে একটু একটু করে লিখলেও তা বড়সড়ো করে রুপ নেয় বগুড়া লেখক চক্রের সাথে যোগ দিয়ে।
মুলত এখানেই অনেকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে এবং স্থানীয় পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখা বের হতে থাকে।
এসময় " কুয়াশা" নামে এক লিটিল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছিলাম। কবিতার ফোল্ডারও বের করেছিলাম দুটি।
এর পর ধীরে ধীরে ব্লগ ফেসবুক,অনলাইন অনেক সাইটে পদচারনা।
অভিজ্ঞতাঃ
গ্রাজুয়েশন শেষ করে ২০০৫ ইং সালে একটি বেসরকারী সংস্থায় মনিটরিং এবং অডিট অফিসার পদে চাকুরিতে যোগদান করি। এখানে প্রায় আট বৎসর চাকুরি করার পর শারিরিক অসুস্থতার কারনে আর চাকুরিতে যেতে পারিনি। এই দীর্ঘ আট বৎসর চাকুরির চাপে সাহিত্য থেকে দুরে ছিলাম। কিন্ত সয়নে স্বপনে জাগরনে তিলে তিলে কবিতাকে ভালবেসেছি এবং মাথা থেকে তাড়িয়ে দিতে পারিনি একেবারে। প্রকট ইচ্ছা শক্তি
আমাকে দীর্ঘ আট বৎসর পর হলেও কবিতার কাছে নিয়ে এসেছে।
চাকুরির সুবাদে দেশের প্রায় ৬০টি জেলাসহ অনেক থানা,গ্রাম,ঐতিহাসিক স্থান,পর্যটন এলাকা ভ্রমন করার সুযোগ হয়েছে।
সর্বমোট পোস্ট: ১৪৮ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ৩৭১ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৪-০৯-৩০ ১৫:১৩:৩৮ মিনিটে
Visit
দ্বীপ সরকার Website.
আমরা যারা দর্শক, অনেকেই ভালো মন্দ মিশ্রণ থেকে ভালো নিতে জানিনা, তাই ভালো মন্দ মিশ্রিত ভারতীয় সিরিয়াল আমি বলবো আমাদের জন্য ন্যায়।
ভারতীয় সিরিয়াল গ্রাস করেছে বাংলাদেশের নারী সমাজ কথাটা কোন কোন ক্ষেত্রে সঠিক। ভারতীয় সিরিয়াল এক চাটিয়া একই কাহীনি বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়।
আপনাদেক ধন্যবাদ
যাদের নিজস্ব বোধ বিবেচনা নেই।। তারাই সিরিয়লের মত চলতে চায় নিজেকে সেভাবে উপস্থাপন করতে চায়। এটা নিতান্তই মুর্খতার পরিচয়। এর মধ্যে সব নারীদের ফেলা ঠিক না।
পুরুষদের চিন্তাভাবনা কেমনে বউকে নিচে ফেলে রাখা যায়। জাস্ট জেলাস।
বক্তব্য একপেশে