ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো???
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1122বার পড়া হয়েছে।
পূর্ব প্রকাশের পর
দীনহীন দরিদ্র রহিম পুনরায় রুবিনাদের বাসায় আশ্রয় পেল।রহিমের সাথে তার মা ও ছেলে জামাল ও এই বড় ঘরে আশ্রয় পেল।রহিম আগের মত রুবিনাদের বাগান দেখাশোনা করতে লাগল।পিছনে ছোট একটা পুকুরের মত করে তাতে মাছের পোনা ছাড়া শুরু করল।
ছোট জামাল আনন্দে তালি দেওয়া শুরু করল।
বাবা আমি মাছ ধরূম বলে সে বায়না শুরু করল।
ভিতরের ঘর থেকে রহিম রুবিনার বাবার বড়শি নিয়ে এল আর জামালের জন্য ছোট একটা লাঠি দিয়ে বড়শি বানিয়ে দিল।বাবা ছেলে দুইজনে দুইটা ছাতা মাটিতে গেড়ে তার নিচে বসল। দুইজনের সানগ্লাস বের করে চোখে দিল।
রুবিনা রাজীব পিছনের বাগান দেখতে এসে বাপ ছেলেকে দেখে হেসে ফেলল।
গাধাগুলার কান্ড দেখ রাজীব হাসতে থাকে।
কি রহিম মিঞা কোন বড় মাছ পাইছনি? সে ইচ্ছে করে রহিমের সাথে তার গ্রামের অ্যাকসেন্টে কথা বলে।যদিও রহিম চেষ্টা করছে এখন শু্দ্ধ কথা বলার।
এই বাসায় উঠার আগে রুবিনা আর রহিমার পাকাপকিভাবে কোর্ট থেকে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে।আপাত দৃষ্টিতে সব স্বাভাবিক মনে হচ্ছে।রুবিনাকে দেখে মনে হচ্ছে রাজীবের প্রতি হারানো প্রেম তার ফিরে এসেছে।দুইজনে প্রতিদিন একসঙ্গে বাহিরে যাচ্ছে শপিং করছে।তাদের বিয়ের ডেট পাকা হয়েছে পরের মাসের সাত তারিখ।
আজকে তারা অনেক শপিং করেছে।তবে আজকে শপিং কিছু জিনিস যেটা বাড়তি কিনেছে সেটা নিয়ে রাজীবের সাথে এক পশলা তর্কাতর্কি হয়ে গিয়েছে।
রহিম আর জামালের জন্য একই ডিজাইনের সূট আর শেরওয়ানী কিনেছে।যেই শেরওয়ানী রুবিনার কাসিন ব্রাদার আর রাজীবের ভাইরা পরবে।
রাজীবের মুখ রাগে লাল হয়ে গেল।
আমার ভাইয়ের জন্য যে শেরওয়ানী কিনছ তা তুমি তোমার কাজের ছেলের জন্য কিনছ।
সঙ্গে সঙ্গে রুবিনা গম্ভীর হয়ে গেল।রাজীবের সঙ্গে আস্তে আস্তে যে প্রীতির বন্ধন পূনর্গঠিত হতে যাচ্ছিল তা রাজীবের কথায় ছুটে যাওয়ার উপক্রম হল।
ও আমার কাজের ছেলে না রাজীব ।ওদেরকে আমি কাজের ছেলের মত দেখিনা।এটা তোমার ভাল করে বোঝা উচিত।
তাহলে কি এখনও ওকে প্রেমিকের মত দেখ।রাগে হিংসায় তার মুখ দিয়ে বাজে কথা বেরিয়ে আসল।
এবার রুবিনা সত্যিকারের রেগে গেল।
আমি আর কোন কথা শুনতে চাইনা এই প্রসঙ্গে রাজীব প্লিজ বলে রাজীবকে দ্বিতীয় কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সিড়ি দিয়ে উপরে চলে গেল।
রাজীব ও অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল তার নিজের অসংযমের জন্য।
বিকাল পাচটা।সবার জন্য চা বনিয়ে রহিম ট্রেতে চা সাজিয়ে নিয়ে এসেছে।কোথাও আপাকে খুজে না পেয়ে ছাদে এসে দেখে খুব বিষন্ন ভঙ্গিতে ছাদে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
আপা আপনার চা বলে চা রুবিনার হাতে দিয়ে জিজ্ঞাসা করল
কি হইছে আপা।সে জিজ্ঞাসা করে।
না কিছু না বলে একটু হাসির ভঙ্গি করে।
রাজীব কতক্ষন একা একা বসে ভাবতে লাগল এভাবে রুবিনাকে তার বলা উচিত হয়নি।সেজন্য সরি বলার জন্য রুবিনার খোজে ছাদে এসে দেখে রুবিনা রহিম দুজনের হাসিমুখ এক চায়ের প্লেটে দুজনে হাত রেখে দাড়িয়ে আছে।
অসহ্য মনে মনে সে বলল।এই কাজের ছেলেটাকে তার সহ্য ই হচ্ছেনা।সে আবার সিড়ি দিয়ে নীচে নেমে গেল যেই কাজে এসেছিল সেই কাজ না করে। মাপ না চেয়ে নীচে বাগানে এসে গাল ফুলিয়ে বসে রইল।
(পরবর্তীতে)
১,১৭৯ বার পড়া হয়েছে
ভাল লাগল দিদি
ধন্যবাদ ভাই।তোমার লিখাও আমি মনযোগ দিয়ে পড়ছি।
স্বচ্ছন্দ বর্ননা । ভাল লাগল । ভাল থাকুন ।
ধন্যবাদ রহমান ভাই।আপনি ভাল থাকবেন।
রাজীবের উপর খুব রাগ হচ্ছে ! .. যাক , ভাল লাগছে লিখাটা !
বাহ ভাল তো ।আশা করা যায় প্রিয়জন নিরুপদ্রবে দিন কাটাবে ।যেহেতু আপনি রাজীবের মত ভূল বুঝবেননা আশা করা যায়।
পড়লাম। সঙ্গে আছি থাকব।