Today 23 Nov 2024
banner
নোটিশ
ব্লগিং করুন আর জিতে নিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রিটার্ন বিমান টিকেট! প্রত্যেক প্রদায়কই এটি জিতে নিতে পারেন। আরও আছে সম্মানী ও ক্রেস্ট!
banner

ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো???

লিখেছেন: আরজু মূন জারিন | তারিখ: ০৩/১২/২০১৩

এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1122বার পড়া হয়েছে।

পূর্ব প্রকাশের পর

দীনহীন দরিদ্র রহিম পুনরায় রুবিনাদের বাসায় আশ্রয় পেল।রহিমের সাথে তার মা ও ছেলে জামাল ও এই বড় ঘরে আশ্রয় পেল।রহিম আগের মত রুবিনাদের বাগান দেখাশোনা করতে লাগল।পিছনে ছোট একটা পুকুরের মত করে তাতে মাছের পোনা ছাড়া শুরু করল।

ছোট জামাল আনন্দে তালি দেওয়া শুরু করল।

বাবা আমি মাছ ধরূম বলে সে বায়না শুরু করল।

ভিতরের ঘর থেকে রহিম রুবিনার বাবার বড়শি নিয়ে এল আর জামালের জন্য ছোট একটা লাঠি দিয়ে বড়শি বানিয়ে দিল।বাবা ছেলে দুইজনে দুইটা ছাতা মাটিতে গেড়ে তার নিচে বসল। দুইজনের সানগ্লাস বের করে চোখে দিল।

রুবিনা রাজীব পিছনের বাগান দেখতে এসে বাপ ছেলেকে দেখে হেসে ফেলল।

গাধাগুলার কান্ড দেখ রাজীব হাসতে থাকে।

কি রহিম মিঞা কোন বড় মাছ পাইছনি? সে ইচ্ছে করে রহিমের সাথে তার গ্রামের অ্যাকসেন্টে কথা বলে।যদিও রহিম চেষ্টা করছে এখন শু্দ্ধ কথা বলার।

এই বাসায় উঠার আগে রুবিনা আর রহিমার পাকাপকিভাবে কোর্ট থেকে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে।আপাত দৃষ্টিতে সব স্বাভাবিক মনে হচ্ছে।রুবিনাকে দেখে মনে হচ্ছে রাজীবের প্রতি হারানো প্রেম তার ফিরে এসেছে।দুইজনে প্রতিদিন একসঙ্গে বাহিরে যাচ্ছে শপিং করছে।তাদের বিয়ের ডেট পাকা হয়েছে পরের মাসের সাত তারিখ।

আজকে তারা অনেক শপিং করেছে।তবে আজকে শপিং কিছু জিনিস যেটা বাড়তি কিনেছে সেটা নিয়ে রাজীবের সাথে এক পশলা তর্কাতর্কি হয়ে গিয়েছে।

রহিম আর জামালের জন্য একই ডিজাইনের সূট আর শেরওয়ানী কিনেছে।যেই শেরওয়ানী রুবিনার কাসিন ব্রাদার আর রাজীবের ভাইরা পরবে।

রাজীবের মুখ রাগে লাল হয়ে গেল।

আমার ভাইয়ের জন্য যে শেরওয়ানী কিনছ তা তুমি তোমার কাজের ছেলের জন্য কিনছ।

সঙ্গে সঙ্গে রুবিনা গম্ভীর হয়ে গেল।রাজীবের সঙ্গে আস্তে আস্তে যে প্রীতির বন্ধন পূনর্গঠিত হতে যাচ্ছিল তা রাজীবের কথায় ছুটে যাওয়ার উপক্রম হল।

ও আমার কাজের ছেলে না রাজীব ।ওদেরকে আমি কাজের ছেলের মত দেখিনা।এটা তোমার ভাল করে বোঝা উচিত।

তাহলে কি এখনও ওকে প্রেমিকের মত দেখ।রাগে হিংসায় তার মুখ দিয়ে বাজে কথা বেরিয়ে আসল।

এবার রুবিনা সত্যিকারের রেগে গেল।

আমি আর কোন কথা শুনতে চাইনা এই প্রসঙ্গে রাজীব প্লিজ বলে রাজীবকে দ্বিতীয় কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সিড়ি দিয়ে উপরে চলে গেল।

রাজীব ও অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল তার নিজের অসংযমের জন্য।

বিকাল পাচটা।সবার জন্য চা বনিয়ে রহিম ট্রেতে চা সাজিয়ে নিয়ে এসেছে।কোথাও আপাকে খুজে না পেয়ে ছাদে এসে দেখে খুব বিষন্ন ভঙ্গিতে ছাদে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।

আপা আপনার চা বলে চা রুবিনার হাতে দিয়ে জিজ্ঞাসা করল

কি হইছে আপা।সে জিজ্ঞাসা করে।

না কিছু না বলে একটু হাসির ভঙ্গি করে।

রাজীব কতক্ষন একা একা বসে ভাবতে লাগল এভাবে রুবিনাকে তার বলা উচিত হয়নি।সেজন্য সরি বলার জন্য রুবিনার খোজে ছাদে এসে দেখে রুবিনা রহিম দুজনের হাসিমুখ এক চায়ের প্লেটে দুজনে হাত রেখে দাড়িয়ে আছে।

অসহ্য মনে মনে সে বলল।এই কাজের ছেলেটাকে তার সহ্য ই হচ্ছেনা।সে আবার সিড়ি দিয়ে নীচে নেমে গেল যেই কাজে এসেছিল সেই কাজ না করে। মাপ না চেয়ে নীচে বাগানে এসে গাল ফুলিয়ে বসে রইল।

(পরবর্তীতে)

১,১৭৯ বার পড়া হয়েছে

লেখক সম্পর্কে জানুন |
নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে বললে সবসময় বিব্রত বোধ করি। ঠিক কতটুকু বললে শোভন হবে তা বুঝতে পারিনা । আমার স্বভাব চরিত্র নিয়ে বলা যায়। আমি খুব আশাবাদী একজন মানুষ জীবন, সমাজ পরিবার সম্পর্কে। কখনো হাল ছেড়ে দেইনা। কোনো কাজ শুরু করলে শত বাধা বিঘ্ন আসলেও তা থেকে বিচ্যুত হইনা। ফলাফল পসিটিভ অথবা নেগেটিভ যাই হোক শেষ পর্যন্ত কোন কাজ এ টিকে থাকি। জীবন দর্শন" যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ " লিখালিখির মূল উদ্দেশ্যে অন্যকে ভাল জীবনের সন্ধান পেতে সাহায্য করা। মানুষ যেন ভাবে তার জীবন সম্পর্কে ,তার কতটুকু করনীয় , সমাজ পরিবারে তার দায়বদ্ধতা নিয়ে। মানুষের মনে তৈরী করতে চাই সচেতনার বোধ ,মূল্যবোধ আধ্যাতিকতার বোধ। লিখালিখি দিয়ে সমাজে বিপ্লব ঘটাতে চাই। আমি লিখি এ যেমন এখন আমার কাছে অবাস্তব ,আপনজনের কাছে ও তাই। দুবছর হলো লিখালিখি করছি। মূলত জব ছেড়ে যখন ঘরে বসতে বাধ্য হলাম তখন সময় কাটানোর উপকরণ হিসাবে লিখালিখি শুরু। তবে আজ লিখালিখি মনের প্রানের আত্মার খোরাকের মত হয়ে গিয়েছে। নিজে ভালবাসি যেমন লিখতে তেমনি অন্যের লিখা পড়ি সমান ভালবাসায়। শিক্ষাগত যোগ্যতা :রসায়নে স্নাতকোত্তর। বাসস্থান :টরন্টো ,কানাডা।
সর্বমোট পোস্ট: ২২৯ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ৩৬৮৩ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৩-০৯-০৫ ০১:২০:৩৫ মিনিটে
banner

৭ টি মন্তব্য

  1. রাজিব সরকার মন্তব্যে বলেছেন:

    ভাল লাগল দিদি

  2. আরজু মন্তব্যে বলেছেন:

    ধন্যবাদ ভাই।তোমার লিখাও আমি মনযোগ দিয়ে পড়ছি।

  3. এস এম আব্দুর রহমান মন্তব্যে বলেছেন:

    স্বচ্ছন্দ বর্ননা । ভাল লাগল । ভাল থাকুন ।

  4. আরজু মন্তব্যে বলেছেন:

    ধন্যবাদ রহমান ভাই।আপনি ভাল থাকবেন।

  5. আহসান হাবীব সুমন মন্তব্যে বলেছেন:

    রাজীবের উপর খুব রাগ হচ্ছে ! .. যাক , ভাল লাগছে লিখাটা !

  6. আরজু মন্তব্যে বলেছেন:

    বাহ ভাল তো ।আশা করা যায় প্রিয়জন নিরুপদ্রবে দিন কাটাবে ।যেহেতু আপনি রাজীবের মত ভূল বুঝবেননা আশা করা যায়।

  7. আমির হোসেন মন্তব্যে বলেছেন:

    পড়লাম। সঙ্গে আছি থাকব।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন.

go_top