মুক্তি পেয়েও মুক্ত নই
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1246বার পড়া হয়েছে।
একদা ছিলোনা স্বাধীনতা
বাংলায় কথা বলার,
সালাম, বরকত এনেছিল
সেই অমর অধিকার।
এরপরও শোষিত হয়েছি
অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসায়,
কুড়ি বছর বঞ্চিত রয়েছি
করতে তাদেরই আদায়।
দেয়ালে পিঠ ঠেকলো
রক্তে উত্তেজনা আসলো,
কালো রাত্রির ভয়াল ছোবলে
আন্দোলন মনে দানা বাঁধলো।
২৬ই মার্চ গড়লো মুক্তি
করতে এদেশ পরিষ্কার,
গেরিলা হামলায় ঝাপিয়ে পড়লো
করতে স্বাধীনতার আবিষ্কার।
নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ
হারালো অনেক নিরীহ প্রাণ,
হারালো সতী নারী তার-
সম্ভ্রমসহ তরতাজা জান।
শত নবীন, কিশোর, যুবক
টগবগে রক্ত চোখে বলল
শপথ ভাইয়ের, বোনের, মায়ের
দেশ স্বাধীন হতেই চললো।
তাই হলো, হলো স্বাধীন
এদেশ প্রিয় মাতৃভূমি,
হলো আপন জনম ধরে
এদেশ প্রিয় জন্মভূমি।
তবুও আজ শুনতে পাই
এদেশের নামে বদনাম,
ভারত বলে এদেশ নাকি
তাদেরই এক অকৃত্রিম দান।
তারা যুদ্ধে সহযোগী ছিলো
সত্যি বলতে পুরোপুরি মাঠে নয়,
স্বাধীন হওয়ার প্রাক্কালে
মিত্রবাহিনী পাঠিয়েই করলো কি বিজয়!
অদ্ভুত লাগে সত্যি সত্যিই
এরকম জ্ঞানহীন কথা শুনলে,
জানতে ইচ্ছে হয় এতো আতেল-
হয় কয়টা তার ছিঁড়লে।
কি ভারত, কি পাকি!
একটাও নয় ভালো,
সুযোগ পেলেই নিতে চায়
দেশের আছে যত আলো।
হয়তো দালাল আছে তাদের
কিছু কিছু দেশদ্রোহী,
তারা কি জানেনা
সাধারণ মানুষ কতটা বিদ্রোহী।
পাকিরা চেয়েছিল শোষণ করতে
পারেনি পারবেও না,
আর ভারত সুবিধাভোগী
তারাও পারবে না।
এদেশে ঐক্য প্রয়োজন
নির্বিশেষ সকল জনগণ,
দেশটাকে টিকিয়ে রাখতে
করতে এর উন্নয়ন।
আবারও যুদ্ধ হবে
দেশের নয় সম্মানের,
আদর্শ দেশে পরিনত হবে
উন্নত জাতির অস্তিত্বের।।
১,২১৭ বার পড়া হয়েছে
আরেকটু যত্ন নিয়ে লিখলে লিখাটা আরো চমৎকার হতে পারতো ।
ভালো হয়েছে । চালিয়ে যান…
পাশে তো আছিই ।
আর একটু কাব্যতা হলে ভাল লাগতো আরো
সো ফাইন
থিমটা সুন্দর।
কবিতা বড় হওয়ার চেয়ে জরুরী – তা কতটা সুখপাঠ্য ও কাব্যিক।
হুম ঐক্য দরকার
ভাল লাগল কবিতা