Today 23 Nov 2024
banner
নোটিশ
ব্লগিং করুন আর জিতে নিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রিটার্ন বিমান টিকেট! প্রত্যেক প্রদায়কই এটি জিতে নিতে পারেন। আরও আছে সম্মানী ও ক্রেস্ট!
banner

যানজট: জীবন ও বাস্তবতা

লিখেছেন: আমির ইশতিয়াক | তারিখ: ০৬/০৬/২০১৩

এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1601বার পড়া হয়েছে।

আমাদের দেশে জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই তুলনায় রাস্তাঘাটের তেমন উন্নতি হচ্ছে না। আর এই উন্নতি না হওয়ার পেছনে মূল যে কারণগুলি আমাদের চোখে পড়ে তাহলো দুর্নীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি ও হরতাল অবরোধ। যার ফলে যানজট আমাদের নিত্য সঙ্গী। আর এই যানজটের জন্য প্রতিনিয়ত আমরা শারীরিক ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। শারীরিক ভোগান্তির পাশাপাশি অপচয় করছি মূল্যবান সময়। দীর্ঘক্ষণ যানজটের কবলে পড়ে থাকার ফলে জ্বালানী অপচয় হচ্ছে। যার ফলে যাতায়াত ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে দেশের ক্ষতি হচ্ছে। দীর্ঘ সময় যানজটের ফলে সর্বপরি পরিবেশ দুষণ হচ্ছে।

ফুটপাত তৈরি হয়েছে পথিকদের চলাচলের জন্য। কিন্তু আমাদের দেশের ফুটপাতগুলো দখল করে নিচ্ছে হকাররা। এই ফুটপাতেই হকারদের চায়ের দোকান, হোটেল, ভ্রাম্যমান মোবাইল ফোনের দোকান, জুতার দোকান, কাপড়ের দোকান, বিভিন্ন ম্যাগাজিনের দোকান, পান-সিগারেটের দোকান, কবিরাজি ঔষুধের দোকান, ক্যানভাসারদের মজমা, রাস্তার দুপাশে বড় বড় কোম্পানির স্টিলের বিশেষ সাইনবোর্ড ইত্যাদি যখন ফুটপাত দখল করে নেয়, তখন মানুষ বাধ্য হয়ে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকে। ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এই সব হকারদেরকে উচ্ছেদ করে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ফুটপাতকে পথিকের জন্য উম্মুক্ত রাখতে হবে।

প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। অকালে ঝড়ে পড়ছে অনেক মানুষের জীবন। কোন সড়কে দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত সেখানে লোকজন ভীড় করতে থাকে। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ জনগণ। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। জনসাধারণের ভোগান্তি কমানোর জন্য দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়িটি যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা থেকে সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

ফিটনেস বিহীন ছোট বড় হাজার হাজার গাড়ি রাজধানীর বুকে অবাধে চলছে, যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট কমানোর জন্য পুরানো ও ছোট আকারের গাড়ির সংখ্যা কমাতে হবে। দুতলা বাস সার্ভিস চালু করতে হবে। যত্রতত্র কারপাকিং বন্ধ করতে হবে। মতিঝিল, ধানমন্ডী হকার্স মার্কেট, গাউসিয়া, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, দিলকুশা, নয়াপল্টন এইসব জায়গায় নিত্যদিন কারপাকিং করে রাখছে। এসব কারপাকিং দূর্বিসহ যানজটকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। সিটি করপোরেশন এ সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পারে।

ওভার ব্রীজ তৈরি করা হয়েছে মানুষজন যাতে রাস্তায় এলোপাতাড়ি হাঁটাহাটি না করে। কিন্তু এখন এই ওভার ব্রীজও হকারদের নিয়ন্ত্রণে। ওভার ব্রিজের দুপাশে হকাররা বিভিন্ন দোকান বসিয়ে কেনা বেচা করছে। ভিক্ষুকদের যন্ত্রণায় অনেকে ওভার ব্রিজে উঠতে চায় না ফলে রাস্তা কসিং করে পার হতে হচ্ছে তাদেরকে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এইসব হকার ও ভিক্ষুকদেরকে ওভার ব্রীজ থেকে অন্য জায়গায় বসানোর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন যে দল বিরোধীদলে থাকে তখনই তারা রাস্তা অবরোধ করে মিছিল, মিটিং, পদযাত্রা, মানবপ্রাচীর, মানববন্ধন, রোর্ড মার্চ, লংমার্চ ইত্যাদি কর্মসূচীগুলো পালন করে। ফলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এই জন্য রাজনৈতি দলগুলো বিকল্প কিছু ভাবলে হয়তো যানজট নিরসন সম্ভব হবে।

যানজটের এই করুণ বাস্তব অবস্থাকে আমরা অভ্যাসের দাশ হিসেবে মেনে নিচ্ছি। কারণ এছাড়াতো কোন উপায় নেই। এটা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানছি, এই ঢাকা শহরে জীবনটা অনেক কঠিন। প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। আর কত দিন এভাবে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকব?     

লেখকঃ উপন্যাসিক,ব্লগার

১,৬৯৪ বার পড়া হয়েছে

লেখক সম্পর্কে জানুন |
আমির ইশতিয়াক ১৯৮০ সালের ৩১ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার ধরাভাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা শরীফ হোসেন এবং মা আনোয়ারা বেগম এর বড় সন্তান তিনি। স্ত্রী ইয়াছমিন আমির। এক সন্তান আফরিন সুলতানা আনিকা। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন মায়ের কাছ থেকে। মা-ই তার প্রথম পাঠশালা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করেন মাদ্রাসা থেকে আর শেষ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। তিনি লেখালেখির প্রেরণা পেয়েছেন বই পড়ে। তিনি গল্প লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও সাহিত্যের সবগুলো শাখায় তাঁর বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। তাঁর বেশ কয়েকটি প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো- এ জীবন শুধু তোমার জন্য ও প্রাণের প্রিয়তমা। তাছাড়া বেশ কিছু সম্মিলিত সংকলনেও তাঁর গল্প ছাপা হয়েছে। তিনি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় গল্প, কবিতা, ছড়া ও কলাম লিখে যাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্লগে নিজের লেখা শেয়ার করছেন। তিনি লেখালেখি করে বেশ কয়েটি পুরস্কারও পেয়েছেন। তিনি প্রথমে আমির হোসেন নামে লিখতেন। বর্তমানে আমির ইশতিয়াক নামে লিখছেন। বর্তমানে তিনি নরসিংদীতে ব্যবসা করছেন। তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা একজন সফল লেখক হওয়া।
সর্বমোট পোস্ট: ২৪১ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ৪৭০৯ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৩-০৬-০৫ ০৭:৪৪:৩৯ মিনিটে
Visit আমির ইশতিয়াক Website.
banner

১৭ টি মন্তব্য

  1. তৌহিদ উলল্যাহ শাকিল মন্তব্যে বলেছেন:

    dik nirdeshona o niroson mulok jonohitokor onek sundor ekti poster jonno thanks

  2. আজিম হোসেন আকাশ মন্তব্যে বলেছেন:

    ভাল লাগল। তবে বাংলায় মন্তব্য করাটাই শ্রেয়।

  3. সুমাইয়া বরকতউল্লাহ্ মন্তব্যে বলেছেন:

    Good Writeup. Thanks

  4. আমির হোসেন মন্তব্যে বলেছেন:

    আমার প্রোফাইলে নিজের ছবি আপলোড করার মতো কোন অপশন খুজে পাচ্ছি না। ও ব্লগার বন্ধুদের সহযোগিতা চাচ্ছি।

  5. আরিফুর রহমান মন্তব্যে বলেছেন:

    যানজট আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। যানজটের সাথেই বেঁেচ থাকতে হবে।

  6. শাহরিয়ার সজিব মন্তব্যে বলেছেন:

    যানজট সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে ।

  7. আমির হোসেন মন্তব্যে বলেছেন:

    সবাই মিলে চেষ্টা করতে হবে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

  8. আসমা নজরুল মন্তব্যে বলেছেন:

    যানজটে আমাদের জীবনটা একেবারে নাকাল হয়ে গেছে ভাই।

  9. আমির হোসেন মন্তব্যে বলেছেন:

    ধন্যবাদ

  10. আরজু মন্তব্যে বলেছেন:

    আমির ভাই যনজট নিয়ে আপনার লেখাটা পড়লাম।ভাল লাগল।আামাদের দেশে যানজট টা সামাজিক সমস্যা না ব্যাধি বলব।দুরে কোথায় যেতে চাইলে রাস্তায় তিন চার ঘন্টা নষ্ট হয়ে যায়।

    ধন্যবাদ আপনাকে এই লেখার জন্য।

  11. আমির হোসেন মন্তব্যে বলেছেন:

    অনেকদিন পর নতুন বছরে এসে যানজট নিয়ে লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

  12. এই মেঘ এই রোদ্দুর মন্তব্যে বলেছেন:

    রমজানের দিন অসহ্যকর অবস্থা এখন

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন.

go_top