রহস্যালোকে
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1334বার পড়া হয়েছে।
পৃথিবীর রহস্যালোক আনন্দিত প্রতিভা।
ভেঙ্গে যায় চোখের ঘুম, তাকায় অচেনা ভয়ে
পৃথিবীর হৃদয়ে দ্রোহে হতাশার বাঁচার সভা;
চমকে ভাবে , যুগ চলে গেছে স্বপনে-বিস্ময়ে।
নীরবতা ভেঙ্গে গেছে পৃথিবীর বহুযুগ হলো।
বিলিয়ে দিয়ে দিয়ে জ্বলছে সে হৃদয়ের গভীরে,
তাই ঘুম ভেঙ্গে গেলে হঠাৎ কত হতাশা কালো
আঁকড়ে ধরে।; আলো ফোটে, তবু নিশঙ্গতা নীড়ে।
পাখি নীড় ছেড়ে গেলে যেমন একাকিত্ব তাতে
ছেয়ে থাকে; বহুযুগ হলো একা আমার হৃদয়,
পৃথিবী আজ যে নীড় ছেড়ে একা দিন-রাতে।
ছুটে ক্লান্তি নেই; নিঃশ্ব যে যাযাবর হয়।
যাযাবর ছুটে যায়, সবকিছু দেয় তারে ধরা,
ক্ষণিকেই হারায় ফের; অমাবস্যা রাত আঁধার
যত ধরে রাখে মনে, যত হতাশায় থাকে তারা,
তত হতাশায় যাযাবর বেঁচে হৃদয়ে আমার।
রহস্য ধরা দেয়। বুঝে যাই কি আছে মৃত্যুর
কল্পোলোকে; যে ঈশ্বর আজো ধোঁকাবাজি করে
বেঁচে আছে, হৃদয় তার অসহায়তার ক্রোধের
রুপ বুঝে গেছে বহু আগে চুমিয়ে ব্যর্থতারে।
ব্যর্থতায় মাটির গন্ধ নেশাতুর করে দেয়,
আবেগে আপ্লূত করে রাখে সে ঘ্রানের চুম্বন।
টের পাই মনকে ভুলিয়ে-ভালিয়েও সম্ভন নয়
কৃতিম সুখকে ব্যর্থতাকে ছাপিয়ে ভাবে মন।
তখন আমাকে সেই রহস্যালোকে নিয়ে যায়
পৃথিবীর আনন্দিত সভ্যতা; টের পেয়ে
আমি ব্যর্থতায় ডুবে থাকি রুপের তৃষায়,
হতাশাকে পূজা দিয়ে থাকি কল্পলোকে চেয়ে।
৩১০৫১৪, ঢাকা।
১,৩৮৭ বার পড়া হয়েছে
পুলক দা, আপনাকে আবার আমাদের মাঝে পেয়ে ভাল লাগছে, খুব ভাল লাগছে।
অন্তহীন ভাল লাগা কবি — ।।
ধন্যবাদ দাদা। আমারও ভাল লাগছে। অনেক দিন বাইরে বাইরে ছিলাম। ফিরলাম দুই হলো। আশা করছি এবার কিছুদিন আপনাদের মাঝে থাকতে পারব। অনেক দিন শুধুই লিখছি। এবার পোস্ট করি। দেখি আপনাদের কিছু দেয়া যায় কিনা!!
জসীম দাদাকে ধন্যবাদ।
পাখি নীড় ছেড়ে গেলে যেমন একাকিত্ব তাতে
ছেয়ে থাকে; বহুযুগ হলো একা আমার হৃদয়,
পৃথিবী আজ যে নীড় ছেড়ে একা দিন-রাতে।
ছুটে ক্লান্তি নেই; নিঃশ্ব যে যাযাবর হয়। চমৎকার কথামালা পুলক ভাই।
মালেক দাদা, ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন। শুভকামনা আপনার জন্য।
দাদা আমিও ফিরে এলাম ।
কেমন আছেন ?
খুব ভাল করেছেন, দাদা। ভালই আছি। আপনার কি খবর?
আল্লাহর কৃপায় ভালই আছি ।
বেসম্ভব সুন্দর কোবতে
দূর্দান্ত লিখেছেন কবি।
বেশ সুন্দর –
“আমি ব্যর্থতায় ডুবে থাকি রুপের তৃষায়,
হতাশাকে পূজা দিয়ে থাকি কল্পলোকে চেয়ে”
সুখপাঠ্য কবিতা পড়লাম। শুভেচ্ছা কবিকে।