রায়পুরা উপজেলা
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1426বার পড়া হয়েছে।
রায়পুরা নরসিংদী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা । মেঘনা ,ব্রহ্মপুত্র ও আঁড়িয়াল খা নদনদী বিধৌত এই উপজেলা রাজধানী ঢাকা ও নরসিংদী জেলা সদর থেকে যথাক্রমে ৭৯ কিঃমিঃ ও ৩২ কিঃমিঃ পূর্বদিকে অবস্থিত । এর আয়তন ৩১২.৭৭ বর্গ কিলোমিটার ,জনসংখ্যাঃ ৪,৫৪,৮৬০ ।
অবস্থান(ভৌগোলিক সীমানা )
উত্তরে বেলাবো ও দক্ষিনে ব্রহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর ও বাঞ্চারামপুর উপজেলা পুর্বে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা পশ্চিমে নরসিংদী সদর উপজেলা ও শিবপুর উপজেলা
প্রশাসনিক এলাকা
রায়পুরা উপজেলার প্রসাশনিক কাঠামো
২৪ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা
১১৩ টি মৌজা
২৩৪ টি গ্রাম
পৌরসভার নামঃ রায়পুরা পৌরসভা
২৪টি ইউনিয়নের নামঃ ১। রায়পুরা ২। চান্দেরকান্দি, ৩। অলিপুরা , ৪।উত্তর বাখরনগর,, ৫। মরজাল, ৬। মির্জাপুর , ৭। রাধানগর, ৮। মুছাপুর ৯।মহেশপুর, ১০। বাঁশগাড়ি, ১১। আড়ালিয়া, ১২। পলাশতলী, ১৩। পাড়াতলী, ১৪। আমিরগঞ্জ, ১৫। আদিয়াবাদ, ১৬। চরসুবুদ্ধি, ১৭। হাইরমারা, ১৮। শ্রীনগর, ১৯। ডৌকারচর, ২০।মির্জানগর ২১। চরমুধুয়া, ২২। নিলক্ষা, ২৩। চাঁনপুর। ২৪। মির্জারচর
ইতিহাস
কথিত আছে যে, বৃটিশ শাসন আমলে লর্ড কর্ণওয়ালিশের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা চালু হওয়ার সময় এ অঞ্চল ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা জমিদারের আওতায় আসে। উক্ত জমিদারের কাছ থেকে সিকিমি পত্তন নেন এখানকার রায় উপাধিধারী কিছুসংখ্যক অমাত্য। এদের উল্লেখ্যযোগ্য হলো প্রকাশচন্দ্র রায়, পূর্ণচন্দ্র রায়, মহিমচন্দ্র রায়, ঈশ্বরচন্দ্র রায় এবং আরো অনেকে। এদের নামানুসারে প্রথমে এলাকার নাম হয় “রায়নন্দলালপুর”। পর্যায়ক্রমে এই নাম থেকে রায়পুরা নামের উৎপত্তি হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, পূর্বে এই এলাকা “কালীদহসাগরেরচর” নামে পরিচিত ছিল। পাকিস্তান আমলের প্রথম দিকেও এ অঞ্চল ময়মনসিংহ কালেকটরেটের আওতাভুক্ত ছিল। এ উপজেলাকে নিম্নবর্ণিত প্রধান তিন ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে:
(ক) মধুপুর গড় ভূমি যা উপজেলার প্রায় ২ শতাংশ ভূমি (খ) ব্রক্ষপুত্র পলল ভূমি যা উপজেলার প্রায় ৫৫ শতাংশ ভূমি এবং (গ) মেঘনা পলল ভূমি যা উপজেলার প্রায় ৪৩ শতাংশ ভূমি ।
জনসংখ্যার উপাত্ত
জনসংখ্যাঃ ৪,১৩,৭৬৬
পুরুষঃ ৫১.৫৮ %
নারীঃ ৪৮.৪২ %
শিক্ষা
এখানে শিক্ষার হার ৩৭%। এখানে ১৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আর আছে ৩টি মহাবিশ্ববিদ্যালয় এবং ১টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ। আছে ৩০ টি উচ্চবিদ্যালয়, ৭ টি জুনিয়রউচ্চবিদ্যালয়, ২১ টি মাদ্রাসা । স্বনামধন্য রায়পুরা কলেজটি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত।
স্বাস্হ্য
স্বাস্হ্য সেবাদান কেন্দ্রসমূহঃ
উপজেলা স্থাস্থ্য কেন্দ্র -০১
জন্ম নিয়ন্ত্রন – ০১
ক্লিনিক – ১৪
সেটে লাইট ক্লিনিক– ০২
পশু চিকিৎসা কেন্দ্র – ০১
দাতব্য চিকিৎসালয়– ০১
কৃত্রিম কেন্দ্রঃ –০১
অর্থনীতি
কুটির শিল্প
তাঁত শিল্প এখনও এলাকার উল্লেখযোগ্য শিল্প। আরো রয়েছে বাঁশ দ্বারা তৈরি সামগ্রীর শিল্প, লৌহ শিল্প, মাটির তৈরি সামগ্রীর শিল্প, মহিলা নিয়োজিত সূচী-শিল্প।
এনজিও কার্যকলাপ
ব্রাক, আশা, গ্রামীন ব্যাংক, মৌচাক ও পল্লী সঞ্চয় কর্মসূচী সক্রিয় এনজিওদের মধ্যে অন্যতম।
নদনদী
মেঘনা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, আঁড়িয়াল খা ও কাকন
যোগাযোগ ব্যবস্থা
পাকা সড়কঃ ২৯ কিলোমিটার,
আধা পাকা সড়কঃ ২৩ কিলোমিটার
মাটির সড়কঃ ২৩০ কিলোমিটার
নৌ- পথঃ ২২ নটিকাল মাইল
রেল- পথঃ ২৭ কিলোমিটার
ধর্ম অনুসারী
মুসলমান – ৯২ %
হিন্দু – ৭ %
অন্যান্য – ১%
হাট,বাজার,মেলা
হাট-বাজারের সংখ্যাঃ ৪০
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য পুরাতন রায়পুরা বাজার, শ্রীরামপুর বাজার,তুলাতলী বাজার, রাধাগঞ্জ বাজার, মার্জালী বাজার, হাসনাবাদ বাজার, মনিপুরা বাজার, বাঁশগাড়ী বাজার, হাশিমপুর মৌলবীবাজার বাজার, আলগি বাজার উল্লেখযোগ্য ।
কৃতী ব্যক্তিত্ব
ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ
শামসুর রাহমান, বাংলাদেশের প্রধান কবি
ভাই গিরিশচন্দ্র সেন, কোরআন এর প্রথম অনুবাদক
ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ, প্রখ্যাত সাহিত্যক
ড. সফিউদ্দিন আহমদ, খ্যাতিমান সাহিত্যিক ও গবেষক
ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক , উপাচার্য , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।
প্রধান ফসল
ধান,গম,আলু,সরিষা,চীনা বাদাম,বেগুন,বিভিন্ন ধরনের সবজী । লুপ্ত বা লুপ্ত প্রায় শষ্যাদিঃ মসিনা,কাউন,আউস,আমন ধান,পাট ও আড়হর ডাল
প্রধান ফল সমূহ
কলা , কাঁঠাল ,আম,জাম,পেঁপে,পেয়ারা,কুল,তরমুজ
রপ্তানী-পন্য
পাট , কলা , আলু ও শাক-সবজী
১,৪১৩ বার পড়া হয়েছে
বেশ সুন্দর তথ্য সম্বলিত পোস্ট
লেখককে ধন্যবাদ জানাই
জানলাম
শিক্ষার হার এত কম
তাও এখনকার দিনে।
তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট ভাল লাগল।
জানলাম রায়পুরা উপজেলা
ভাল ভাবনার প্রয়াস
…………………….নাইস
রায়পুর উপজেলা সম্পর্কে বিশাল তথ্যভাণ্ডার ! অনেক জানা গেল ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।