শিরোনামহীন অসমাপ্ততা
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1175বার পড়া হয়েছে।
কবির ভাবনায় আবার সংগ্রাম জেগে উঠবে
স্বাধিকারের মিছিলের তীব্র শ্লোগান
আবার সুর তুলবে বিপ্লবের
এমন তো হওয়ার কথা ছিল না।
ভেবেছিলাম একটা মানচিত্র পেলেই মিলবে সব।
আর কোন হরিদাসির সিঁথির
সিঁদুর শুষে নেবেনা কোন হায়নার জিভ…
বিপ্লবের তাজা রক্তে চিকচিক করবে না আর
শহুরে ধুলোময় পিচগলা রাজপথ।
ভেবেছিলাম যদি একটি মানচিত্র মেলে,
তবে প্রিয়ার কণ্ঠে উল্লাসিত হবে প্রেমের
উদাত্ত আহ্বান। অথচ আজো প্রেমিককে
প্রতিনিয়ত শুনে যেতে হয় ধর্ষিতা দয়িতার
বিবস্ত্র দেহে অজস্র দংশনের আর্তচিৎকার।
কবির কলম স্বাধীনতায় নতুন শব্দ বুনবে,
প্রতিটি কবিতার অক্ষর হবে এক একটি স্বপ্ন-দুর্গ।
কে জানতো! বৈষম্যময় সমাজের ক্রুদ্ধতায়
কবিতার ছন্দ অনাহারে মুখ থুবড়ে মুমূর্ষু
মূল্যবোধের মতো, স্বার্থের কলুষিত পদতলে।
শিরোনামহীন অসমাপ্ততায় স্থবিরতা জমা পরে
শিল্পের প্রতিটি অঙ্গনে। কালো টাকার মতো
জারজ স্বপ্নহীনতায় চির অধরাই থেকে যায় মুক্তি,
কাব্য থেমে যায় তাই শিরোনামহীন অসমাপ্ততায়।
১,১৫৮ বার পড়া হয়েছে
বিভিন্ন ব্লগ কিংবা কয়েকটা সাময়িকীতে কিছু কবিতা বা কিছু প্রবন্ধ ছাড়া কবি হিসেবে তেমন কোন পরিচিতি না থাকলেও কৌশিক আজাদ প্রণয় অনেক ছোট বেলা থেকেই স্কাউট, আবৃত্তি ও বিতর্ক অঙ্গনে বেশ সুপরিচিত। কবির জন্ম ২৬ জুলাই, ১৯৮৭, ঢাকায়। বেড়ে ওঠার শুরুটা মুন্সিগঙ্গে, কৈশোর কেটেছে নিজ জেলা শরীয়তপুরের জাজিরা থানায়। জাজিরা মোহরআলী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, পরে নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত শাস্রে স্নাতক সহ স্নাতকোত্তর শেষে চাকরী জীবন শুরু করেন World University of Bangladesh এ শিক্ষকতার মাধ্যমে, এরপর ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে ষ্ট্যাণ্ডার্ড বাংক লিমিটেড এ যোগদান।২০০৩ সালে কবি অর্জন করেন স্কাউটের সবচেয়ে সম্মানিত পুরষ্কার “ প্রেসিডেন্ট স্কাউট অ্যাওয়ার্ড” । জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অরগানাইযেশনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল প্রায় প্রতিটি আন্দোলনে অগ্রগামী নেতৃত্বে ছিলেন বিতর্ক আন্দোলনের এই নেতা। বাংলাবিতর্কে টেলিভিশন বিতর্ক সহ অন্যান্য জাতীয় পর্যায়ের বিতর্ক অঙ্গনে অর্জন করেছেন অসামান্য সুখ্যাতি ও সম্মাননা।মুক্ত বুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র, শরিয়তপুর থেকে ছোট বেলা থেকেই আবৃত্তির দীক্ষা নিয়ে থাকলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন “ধ্বনি” তে যুক্ত হয়ে কবি আবৃত্তি অঙ্গনে স্থান করে নেন একজন নন্দিত আবৃত্তিকার হিসেবে।ব্যাক্তিগত জীবনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কৃতি বিতার্কিক রেহনুমা তারাননুম কবির সহধর্মিণী। অসাম্রদায়িক বংলাদেশ, স্থিতিশীল সমৃদ্ধ জাতি গঠনের আত্মপ্রত্যয়ে বিভিন্ন প্রগতিশীল আন্দোলনে সব সময়ই কবি অকুণ্ঠভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্নে। কবির প্রকাশিত প্রথম বই 'প্রেম ও দ্রোহের শঙ্খনাদ'।
সর্বমোট পোস্ট: ৬ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ২৩ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৫-০৪-০৬ ১৫:৫৩:২৮ মিনিটে
Visit
কৌশিক আজাদ প্রণয় Website.
সুন্দর কাব্যতায় মুগ্ধ হলেম পড়ে
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
শুভ কামনা রইল
বাস্তবতার সুন্দর চিত্র ফুটে উঠছে আপনার লিখায়…
শুভকামনা কবির জন্য…!
“জারজ স্বপ্নহীনতায় চির অধরাই থেকে যায় মুক্তি,
কাব্য থেমে যায় তাই শিরোনামহীন অসমাপ্ততায়”
অনবদ্য ভাবনা আর চমৎকার প্রকাশের গতিময়তা কবির স্বতন্ত্রটার জ্বলন্ত প্রমাণ।
অনেক ভাল লাগা নিয়ে গেলাম কবি। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানবেন।
দু:খিত কবি – সংশোধনের অপশন নেই।
ওটা হবে – স্বাতন্ত্রতার জ্বলন্ত প্রমাণ…
গভীর বোধের কবিতা । একবার পড়লে অনেক কিছুই বোঝার বাইরে থেকে যায় !
অনেক অনেক শুভেচ্ছা কবিকে অনবদ্য কবিতার জন্য ।