সাংগীতিক মোহনা
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1472বার পড়া হয়েছে।
ঝুম ঝুম বৃষ্টিতে নীলগিরির সবুজ অরণ্য ছন্দে মাতে আর
শৈলপ্রপাতের অবিরাম জলধারা বেয়ে চলে পাহাড়ী উপত্যকায়
সু-উচ্চ শৃংগের পরতে পরতে শাদা শাদা মেঘ বিরামহীন ওড়ে
প্রকৃতিকে আলিংগণ করে। জীবন আর নিসর্গের পটভূমি নূয়ে পড়ে
আঁকা বাঁকা পথে ,ছন্দে ছন্দে আষাঢ়ী গানে কোলাহলে মাতোয়ারা
জলছবির কন্যারা। এ জলছবির অন্যরকম এক সুর বিদ্যমান
চারিদিকে সবুজ লতাগুল্ম পাতার সমাবেশ কী দারুণ অনুভূতির
গড়ে খেলাঘর। যোজন যোজন দূরের নীলিমা আর নিসর্গের
মেলবন্ধন, আছে অর্কেষ্ট্রার সুর কঠিন পাহাড়ের কোল ঘেষে
কদমের সুবিন্যস্ত ছোঁয়াতে পাই অনুপম সুখ। সুখ তো নয়
যেনো খেয়ালী আকাশের ঝিলিমিলি খেলা ,ছুঁতে যাওয়া শাদা মেঘ
নূপুরের নিক্কন শিশুকাল ,তারুণ্যের জয়গান আরো আছে
বিরহ ও আনন্দের সুর রচনা । জীবনধারায় যদি বলি,
মাঝরাত পেরিয়ে ¯িœগ্ধ সকালে বৃষ্টি¯œাত প্রেয়শীর হবে দেখা
জীবনের জলসায় হয়তো কেটে যাবে মেঘ। খেয়ালী প্রকৃতির
রূপ বৈচিত্র্যে রিমঝিম সুরের যদি
বর্ষণ থেমে যায় ,কিম্বা নিসর্গ আর প্রেম রয়ে যায় সুবিন্যস্ত
তখনই আমার জলজোছনায় দেখা হবে
চিরন্তন সাংগীতিক মোহনায় তোমার।
রচনাকাল : ২১ আষাঢ়,১৪২০। ৫ জুলাই ,২০১৩। বেলা ৩.০০টা
১,৫১৫ বার পড়া হয়েছে
সাঈদুল আরেফীন ১৯৬৮ সালের ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরীর কোরবানীগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস বাঁশখালি উপজেলার জলদি গ্রামের নেয়াজর পাড়ায়। পিতার নাম মুহাম্মদ ফৌজুল কবীর এবং মায়ের নাম মরহুমা মোসলেমা খাতুন। আশির দশকের মধ্যভাগ থেকেই সরকারি মহসিন কলেজে পড়াকালীন সময় সাঈদুল আরেফীন সাহিত্য চর্চায় নিবেদিত হন। সেই থেকে কবিতা ,গল্প,প্রবন্ধ,নিয়ে নিরন্তর কলম চালান তিনি। আশির দশকের শেষভাগে সংবাদপত্রে যোগ দেন। চট্টগ্রাম প্রতিবেদক হিসেবে সাপ্তাহিক চিত্রালী,সাপ্তাহিক স্বদেশ খবর,সন্দীপ সহ বিভিন্ন সময়ে অধুনালুপ্ত সমতা অপরূপ বাংলার প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। মূলত সংবাদপত্রে হাতে খড়ি হয় দৈনিক পূর্বতারাতে ক্ষুদে রিপোর্টার হিসেবে সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে পড়াকালীন সময়ে। বর্তমানে তিনি রাজনীতি,শিক্ষা,সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিশু অধিকার ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রবন্ধ কলাম এবং লিখে চলেছেন নিয়মিতভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও লিটলম্যাগ গুলোতে। চট্টগ্রাম বেতারে নিয়মিত আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণামূলক স্বরচিত প্রবন্ধ ও কথিকা পাঠ ছাড়াও মাঝে মাঝে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে থাকেন। সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন ছোটবেলা থেকেই। তারই ধারাবাহিকতায় দশ বছরের পরিক্রমায় অনুপম নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত থেকে মানবসেবা শিক্ষা , সাহিত্য ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার একটি উজ্জ্বল সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আশির দশকেই। এখন যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামক একটি বেসরকারি উন্নয়নমূলক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনারারী ম্যানেজমেন্ট এডভাইজার হিসেবে কর্মরত থেকে প্রশিক্ষণ,উন্নয়ন নানা গবেষণাধর্মী কাজে জড়িত আছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বোর্ড সদস্য হিসেবে জড়িত থেকে শিক্ষার প্রসারেও কাজ করে চলেছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম নগরীর লামাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এছাড়া সাহিত্য ও সংস্কতি বিষয়ক পত্রিকা ঐতিহ্যের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি স্ত্রী ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। “মনে পড়ে জলকদর” তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ। এ গ্রন্থের মধ্য দিয়েই তিনি আমাদের জানান দিয়েছেন লেখালেখির মাঝখানে বিরতি দিলেও তিনি হারিয়ে যাননি। ইদানিং পত্র পত্রিকায় আবারো সক্রিয় হয়েছেন। এতে বেছে নেয়া তাঁর কবিতাগুলোর অধিকাংশই দৈনিক পূর্বকোণ,আজাদী ,মঞ্চ,সুপ্রভাত বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন লিটল ম্যাগে প্রকাশিত কবিতার সংকলন। আমাদের কাব্যভুবনে তাঁর আগমনকে স্বাগত জানাই। তাঁর কবিতা আশাকরি পাঠকের মন ছুঁয়ে যাবে। অচিরেই তাঁর শিশুতোষ প্রবন্ধ ও উন্নয়ন গবেষণামূলক দুটি প্রবন্ধের বই বেরোবে।
সর্বমোট পোস্ট: ২৬ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১৫৫ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৪-০৬-১২ ১৩:৫৫:৪১ মিনিটে
চিরন্তন সাংগীতিক মোহনায় তোমার।
ভাষার অন্য প্রয়োগ । ভাল লাগল
ধন্যবাদ আনাকে।
খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ
ঝুম ঝুম বৃষ্টিতে নীলগিরির সবুজ অরণ্য ছন্দে মাতে আর
শৈলপ্রপাতের অবিরাম জলধারা বেয়ে চলে পাহাড়ী উপত্যকায়
সু-উচ্চ শৃংগের পরতে পরতে শাদা শাদা মেঘ বিরামহীন ওড়ে
প্রকৃতিকে আলিংগণ করে। জীবন আর নিসর্গের পটভূমি নূয়ে পড়ে ++++++++++
সঙ্গীতের মত মনে হল।
আপনার অনুভূতি আমাকে প্রাণিত করলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর কথামালা।
ধন্যবাদ
সাংগীতিক কীরে ভাই বুঝলাম না। সঙ্গীত এর বিশেষণ হলে এটা হবে সাঙ্গিতিক যার ঈ-কার ই-কার হয়ে যাবে। যেমন প্রতিযোগী=প্রতিযোগিতা, শাদা শাদা বলে বাংলায় কোনো শব্দতো নেই ভাই। হবে শাদা শাদা= সাদাসাদা এমন আরো অনেক ভুল।
বাদশা ভাইয়ের কথাগুলো ভেবে দেখবেন
ভাল লাগল
কবি বাদশা ভাইয়ে সাথে সহমত
কিছু বানান দেখে নিন কবি
সো শুভ কামনা রইল