Today 23 Nov 2024
banner
নোটিশ
ব্লগিং করুন আর জিতে নিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রিটার্ন বিমান টিকেট! প্রত্যেক প্রদায়কই এটি জিতে নিতে পারেন। আরও আছে সম্মানী ও ক্রেস্ট!
banner

স্মৃতির পাতা থেকে ( প র্ব –১৭–২ )

লিখেছেন: এস এম আব্দুর রহমান | তারিখ: ২৯/১২/২০১৪

এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1218বার পড়া হয়েছে।

ঘুম ভাংলো একটি স্বপ্ন দেখে । স্বপ্নে দেখি আমি একটি কূপ থেকে পানি তুলছি । সেটা ঠিক কূপ নয় , অনেক নিচ থেকে বড় আকারের কূপ খনন করে নিচ থেকেই ইট দিয়ে বাঁধাই করে তুলে , আমাদের এলাকায় ঐ ধরণের কূপকে ইঁদাড়া বলে । এ রকম একটি কূপ থেকে রশিতে বালতি বেঁধে পানি তুলতে গিয়ে আমি হঠাৎ উক্ত কূপে পরে যাচ্ছিলাম ।একজন লোক থাবা দিয়ে আমার হাত ধরে এক ঝটকায় আমাকে উপরে তুলে ফেললেন । আমি ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠলাম । বিছানায় বসে বসেই স্বপ্নের বিষয়ে অনেক্ষণ ভাবলাম । ভাবতে ভাবতে আমার ধারনা হল যে , আমার বান্দর বন , খাগড়াছড়ি বা রাংগামাটি বদলী হচ্ছে না । ডি, আই , জি, সাহেব হয়তো আমাকে ঐ সকল জেলাতেই বদলী করতে চাচ্ছিলেন । কিন্তু স্টাফ অফিসার সাহেব আমাকে কূপে পরতে পরতে শেষ রক্ষা করেছেন । তখন মনটা একটু হাল্কা হলো । আমি চট্টগ্রাম আসার সময় আমার স্রী একটি ঠিকানা দিয়ে বলেছিল –
“ শোন চিটাগাং শহরে আমার এক চাচাতো খালার বাসা আছে । তুমি হোটেলে না উঠে সেই বাসায় যেও । তারা লোক ভাল । তোমার কোন অসুবিধা হবে না । “ তবু আমি সরাসরি সেখানে না গিয়ে প্রথম হোটেলেই উঠেছি । বিকেলে মনটা একটু হালকা হওয়ায় কিছু মিষ্টি কিনে নিয়ে সেই বাসা খুঁজতে বেরুলাম । বাসা খুঁজে বের করতে খুব একটা কষ্ট হলো না । কারণ ঠিকানাটি ছিল চট্টগ্রাম শহরের সরকারী এল এস ডি গুডাউন এলাকার ভিতর । বাসায় পৌঁছে সবার সাথে পরিচয় হলো । খালু শ্বশুর এবং খালা শাশুড়ীকে ভাল মানুষ বলেই মনে হলো । তাদের চার সন্তান , দুই ছেলে, দুই মেয়ে । সবার বড় মেয়ে , তার ছোট ছেলে , তার ছোট মেয়ে এবং সবার ছোট ছেলে । সে হিসেবে তারা আমার শ্যালক শ্যালিকা । এক দুই ঘন্টার আলাপে তাদেরকে আমার বেশ ভাল লাগলো । তারা চেপে ধরলো আমার লাগেজ কোথায় ? আমার লাগেজ হোটেলে বলতেই বড় ছেলে আমাকে নিয়ে হোটেলে রওয়ানা হলো লাগেজ আনতে । আমরা হোটেলে পৌঁছে এক দিনের বিল চুকিয়ে দিয়ে বড় শ্যালক কালামের সাথে তাদের বাসায় চলে এলাম ।
পর দিন শুক্রবার , ছুটির দিন । দিন্টি ভালই কাটলো । আমার উক্ত খালু শ্বশুরের দুই ছেলে, দুই মেয়ে, আগেই বলেছি । বড় মেয়ে শাহীন । দেখতে শ্যামলা এবং রোগা । তবু কেন যেন দেখতে খারাপ লাগে না । অবশ্য আমাদের গ্রামের সেই প্রেম পাগল ছেলের মতোও হতে পারে । হয়তো শুধু আমার চোখেই ভাল লাগছিল ।যাই হোক সে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ে । তার এখন দুষ্টুমী করার বয়স নেই , প্রেম করার বয়স । সে পড়ার সাথে সাথে একটি প্রাইভেট স্কুলে পড়ায় ।কাজেই এখন তার জীবন সাথী খুঁজে নিজেকে নিবির বন্ধনে আব্দধ করার পায়তারা চলারই কথা । দ্বিতীয় মেয়ে সুমনা । গায়ের রং ফর্সা । তুলনা মূলক ভাবে স্বাস্থ্য একটু বেশী ভাল । বয়স ১২/১৩ বছর । মুখে একটি বিউটি টিথ আছে । ফলে দেখতে বেশ লাগে । কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পনের সন্ধিক্ষণে দৌড়াচ্ছে । নতুনকে জানার বাঁধ ভাংগা উৎছাস এখন তার দেহ ও মনে । বেশীর ভাগ সময় প্যান্ট ও টি শার্ট পরে থাকে । মাথায় নজরুল বাবড়ী । কথায় কথায় হেসে গড়িয়ে পরে । মোটের পর বাধন হাড়া অবস্থা । আমারও তো প্রেম করার বয়স নেই , শুধু রশিকতা করার বয়স । কাজেই বড় শালিকার সাথে প্রেমের সম্পর্ক না গড়ে , ছোট উড়ন্ত পাখীর সাথে রশিকতা করে সময় কাটাতে লাগলাম । সুবিধা হলো এই যে, রশিকতা করার জন্য আদি রসের কোন বাক্য ব্যবহার করলেও কমজোস মেয়েদের মতো সে কিছু মনে করে না । অবশ্য কিছু মনে করার মত বয়স , দেহ, মনের অবস্থা কোনটিই তার ছিল না । সে স্কুল ড্রেসের সাথে হাফ প্যান্ট পরে । আগেই বলেছি তার স্বাস্থ্য প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশী ভাল । অবশ্য এখনও মোটা বলা যায় না । হাফ প্যান্ট পরা অবস্থায় তাকে কাছে ডেকে বললাম –শালিকা তোমার থাইতা তো ময়লা লেগে আছে । এস মুছে দেই । সে পিছানোর পাত্রী নয় । বললো—
“ না , আপনাকে দিয়ে মুছাব না ।“ আমি বললাম –
কেন ? এ বিষয়ে আমার দশ বছরের অভিজ্ঞতা আছে । বিশেষজ্ঞও বলতে পার । কাজেই অভিজ্ঞ লোকের চাহিদা বিশ্বের সব জায়গাতেই আছে । সুমনা বললো –
“ সেটা আমি জানি । তবে নতুনদেরও তো সুযোগ দিতে হবে । “
হ্যা, তা অস্বীকার করার উপায় নেই । তবে আমার মনে হয় কি হাফ প্যান্ট পরা ছেড়ে দাও । কারণ তুমি হাফ প্যান্ট পরে বাইরে বের হলে কত ছেলের যে মাথা নষ্ট হবে , তা এক মাত্র খোদা তা আলাই জানেন । সুমনা বলে —
“ অন্যের মাথা নষ্ট হলে আমার কোন আফসোস নেই । ভয় আপনাকে নিয়ে । এ মাথাটা ঠিক থাকলেই হয় । “ আমি বললাম—বলোকি ? তোমাকে প্রথম যে দিন দেখেছি, সে দিনই তো আমার মাথা শেষ ।, পর দিন দেখি সুমনা, অর্থাৎ আমার সেই শ্যালিকা ফুল প্যান্টের সাথে টি শার্ট পরেছে ।আমি বললাম —-
ও মা, আমার সামনে পা ঢেকেছ কেন ? এ যে আমাকে জবরদস্তি করে সৌন্দর্য উপভোগ থেকে বঞ্চিত করা ।, সুমনা মুচকী হেসে তার বিউটি টিথ বের করে বললো —
“ না , একই বিষয়ে সবার অধিকার সমান । এক জনের জন্য কোন আলাদা ফ্যাসিলিটির ব্যবস্থা করা যাবে না ।“ আমি বললাম ——–চলবে —-

১,১৮৬ বার পড়া হয়েছে

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ৩৩১ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ২৪৮৪ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৩-০৯-০৮ ১৩:৩৯:৪৭ মিনিটে
banner

৫ টি মন্তব্য

  1. আহমেদ রব্বানী মন্তব্যে বলেছেন:

    স্মৃতির পাতা থেকে বেশ লাগল।

  2. এস এম আব্দুর রহমান মন্তব্যে বলেছেন:

    আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুশী হলাম । ভাল থাকুন সতত ।

  3. সহিদুল ইসলাম মন্তব্যে বলেছেন:

    খুব সুন্দর ধারাবাহিক উপস্থাপনার ধারাবাহিকতা , অনেক ভালো লাগলো, ভালো থাকবেন সর্বদা।

  4. এস এম আব্দুর রহমান মন্তব্যে বলেছেন:

    ভাল লিখতে পারিনা । তবু চেষ্টা চালিয়ে যেতে দোষ কি । কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ । ভাল থাকুন ।

  5. এই মেঘ এই রোদ্দুর মন্তব্যে বলেছেন:

    এই পর্বও ভাল লাগল
    মজার ছিল।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন.

go_top