প্রাণের প্রিয়তমা (পর্ব-১)
বসন্তের পড়ন্ত বিকেল। রমনাপার্কের এক পাশে আনমনাভাবে দাঁড়িয়ে আছে সোনিয়া। চোখ দু’টো পার্কের মধ্যে প্রবেশ করতেই দেখতে পেল যুগল প্রেমিক-প্রেমিকারা বসে রোমান্টিক প্রেমালোচনায় মগ্ন। একে অপরকে চুমো দিচ্ছে। কোন যুগল একে অপরকে গলায় জড়িয়ে ধরে কথা বলছে। আবার কোন প্রেমিকা তার প্রেমিকের বুকে মাথা রেখে সুখের স্বপ্ন দেখছে।
পার্কের এসব দৃশ্য দেখার পর সোনিয়া তার চোখ ফিরিয়ে নিল। যেন তার এসব রোমান্টিক দৃশ্য দেখে হিংসা হচ্ছে। বার বার ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করছে তার প্রেমিক পুরুষটিকে। ঈশ! সাকিবটা আজ কোথায় গেল? কিছু বলেও গেল না। সারা শহরের মানুষ এখানে এসে প্রেমালোচনা করছে, অথচ আমি এত কাছে থেকেও তাকে নিয়ে একটি দিনের জন্য পার্কের এই নরম ঘাসের উপর বসতে পারি না। এখানের বৃরাজিকে সাক্ষী রেখে দু’চারটে মধুর আলাপালোচনা করতে পারি না। কতবার বলেছি, সাকিবকে এখানে আসার জন্যে কিন্তু সে এ বায়না ও বায়না দিয়ে আমাকে ভুলিয়ে রেখেছে। কেন যে এমন একটা গর্দভ পুরুষের প্রেমে পড়লাম তার হিসেব মিলাতে পারছি না। সে শুধু সারাক্ষণ তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। অথচ সে বুঝে না তার প্রিয়তমার মন কি চায়। কেন একটি মেয়ে তার সব কিছু ত্যাগ করে একটি ছেলেকে ভালবাসে? আজ বাদুরটা আসুক, ওকে প্রেম করার মজাটা বুঝাব। নীলাকাশের দিকে তাকিয়ে এসব আবোল তাবোল ভাবছে সোনিয়া। আর এদিক দিয়ে মনে মনে একটি খালি রিক্সা খুঁজছে। ব্যস্তময় কোলাহল মুখরতি শহরের গাড়ীগুলো হর্ণ বাজিয়ে অবিরাম তার পাশ কেটে যাচ্ছে তাদের গন্তব্যস্থানে।
সোনিয়ার পরনে একটি আকাশী রঙের শাড়ী। সাথে ম্যাচ করা ব্লাউজ। তার নীচে অন্তবাস। যৌবনে ফুটে উঠা স্তন দু’টো যেন সব বাঁধা ছিন্ন করে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে কিন্তু পারছে না। কমলার কোয়ার মত ঠোঁট দু’টোতে লাল রঙের লিপিস্টিক দিয়েছে। শেষ বিকেলের রোদ লিপিষ্টিক মাখা ঠোঁটে পড়তেই চিক্ চিক্ করে উঠল। ঘন কালো কেশগুলো যেন কোমর ছুঁই ছুঁই। শ্যাম্পু করা চুলগুলো মৃদু বাতাসে দুল খাচ্ছে। চোখে সানগ্লাস। কাধে ব্যানিটি ব্যাগ। পায়ে হাইহিল জুতা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন কোন এক চলচ্চিত্রের সুন্দরী নায়িকা। যেন টগবগে যৌবন তার সারা অঙ্গে ঝলমল করছে। এমন এক অপরূপা সুন্দরী নারীকে কার না দেখতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে উঠতি বয়সের ছেলেদের। পথচারীরা একে একে তার পাশ কেটে যাচ্ছে। আবার কিছু যুবক টাইপের ছোকরা তাকে দেখে সহসা থমকে দাঁড়ায়। হা করে তার দিকে এক নজর তাকায়। তেমনি এক যুবক সহসা তার সামনে দাঁড়িয়ে যায় এবং বোকার মত হা করে দাঁড়িয়ে তার রূপের সুধা পিপাসিত কাকের মত পান করতে থাকে।
সোনিয়া তার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ধমকের সূরে বলে উঠল, এই ছেলে এভাবে কি দেখছ?
সোনিয়ার কথায় ছেলেটি লজ্জায় লাল হয়ে গেল। মুখে কিছু বলতে না পেরে তার পাশ কেটে চলে গেল।
এদিকে একটি খালি রিক্সা সোনিয়ার পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে। সোনিয়া রিক্সা দেখে হাতের ইশারায় থামাল।
এক মধ্য বয়সের কুচকুচে কালো যুবক রিক্সাতে বসা। পরণে একটা ছেঁড়া শার্ট। ময়লা শার্টটি কালো হয়ে গেছে। মনে হয় যেন আজ কয়েক মাস যাবত শার্টটির সাবান ও পানির সাথে মিলন হয়নি। হায়! শুধু পেটের তাড়নায় তাদের মত হাজারো যুবক জীবনের বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রাম করে চলছে। সন্তানের মুখে এক চিলতে হাসি ফোঁটাবার জন্যে আজ তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে।
সোনিয়ার দিকে তাকিয়ে রিক্সাওয়ালা বলল, কৈ যাইবেন আফা?
সোনিয়া বলল, ফার্মগেট।
উঠেন।
সোনিয়া রিক্সায় উঠতেই রিক্সা টুংটাং আওয়াজ করে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে।
সোনিয়া নিজের দুঃখ সহ্য করতে পারলেও পরের দুঃখ সহ্য করতে পারে না। সে সত্যি রূপসী কিন্তু তার মধ্যে রূপের কোন অহংকারের লেশমাত্র নেই। সে গরীবকে ভীষণ ভালোবাসে। তার জানা মতে সে কখনো কোন গরিবকে কষ্ট দেয়নি। কোন দিন সে রিক্সায় উঠার সময় ভাড়া জিজ্ঞেস করে উঠেনি। যা পাওনা তার চেয়ে একটু বেশিই ভাড়া দিয়েছে।
সোনিয়া রিক্সাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করল, এই যে ভাইজান, আপনার নাম কি?
রিক্সাওয়ালা ঘাড় ফিরিয়ে মৃদু হেসে বলল, বাছেদ।
আপনার সন্তান কয় জন?
সন্তান কি আফা?
সন্তান মানে আপনার ছেলে মেয়ে কয়জন?
অ বুজছি আফা। তয় আমার এক পোলা পাঁচ মাইয়া।
একথা শুনেই সোনিয়া ভাবছে, আজ যদি সে শিক্ষা গ্রহণ করতো তাহলে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জানত। তার সংসারে এত সন্তান আসতো না। আর এত অভাব অনটনও হত না। আবার ভাবে তারই বা কি দোষ। সে তোর আর ইচ্ছে করে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থাকেনি। হয়তো তার বাবা গরিব ছিল। অভাবের তাড়নায় তাকে শিক্ষা দিতে পারেনি। আমাদের মত যারা ধনী আছে, তারা যদি গরিবদের সাহায্য করতো তাহলে হয়তোবা তারা শিক্ষার আলো পেতো। এখন তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। দোষ আমাদের। আমরা যদি তাদেরকে সাহায্য করতাম, তাহলে আজ তারা এভাবে জীবন যাপন করতো না। ভিক্ষা, চুরি, বেশ্যাবৃত্তি ও ডাকাতি ছাড়া সব পেশাইতো মহৎ শিক্ষা গ্রহণ করেতো রিক্সা চালাতে পারতো।
সোনিয়ার মত এভাবে যদি আমাদের দেশের সবাই ভাবত তাহলে আমাদের দেশে এত নিরর, অভাব-অনটন থাকত না।
সোনিয়া আবার জিজ্ঞেস করলো, আপনি থাকেন কোথায়?
কল্যাণপুর রেডিও কলোনীতে থাকি।
রিক্সা চালিয়ে সংসার চলেতো?
কোন রহমে দিন চলে যায় আফা। সারা দিন রিক্সা চালিয়ে যা ট্যাহা কামাই করি তা দিয়াই রাইতে বাসায় চাইল কিন্না নিয়া যাই। পরে বউয়ে রাইন্দা পুলা মাইয়াগরে খাওয়ায়। তার পরে আমরা দু’জনে খাই। আবার বেইন্নালার আযান হলেই রিক্সা নিয়ে বের হই। এভাবে দিন চইলা যায়। একটু থেমে বাছেদ আবার বলল, তয় আফা আমরার সুখেই আছি।
বাছেদ কথায় কথায় রিক্সা চালিয়ে যাচ্ছে। সে ঘেমে একাকার হয়ে গেল। তার কপাল বেয়ে ঘাম টপটপ করে পীচ ঢালার পথে পড়ছে। মাঝে মাঝে বাছেদ তার ডান হাতের শাহাদাৎ আঙ্গুলটা দিয়ে বাঁকা করে কপালের ঘাম মুছছে।
রিক্সা শিশু পার্ক হয়ে পিজি হাসপাতালের সামনে আসতেই সোনিয়া দূর থেকে দেখতে পেল একটি যুবক অপর একটি রিক্সায় করে তার বরাবরে আসছে। তার পরনে সবুজ রঙের টি-শার্ট ও সাচকিন কাপড়ের একটি প্যান্ট।
সোনিয়া এখনও চিনতে পারছে না আসলে যুবকটি কে হতে পারে। যত সময় যাচ্ছে ততই রিক্সা দু’টো সামনা সামনি হচ্ছে। একি! এতো দেখা যাচ্ছে সাকিব। কোথা থেকে আসছে? সোনিয়া তার ভালবাসার পুরুষ সাকিবকে দেখে সহসা চমকে উঠলো কিন্তু সেই চমকে উঠা এখানেই সমাপ্ত। মুহূর্তে তার মাথায় অন্য এক চিন্তা এসে গেল। সে সাকিববে প্রেমের শিক্ষা দেয়ার জন্য রিক্সার হুডটি উঠিয়ে নিল এবং বাছেদকে বলল, রিক্সা ঘুরিয়ে পিছনের দিকে যেতে। যেন সে প্রিয়তমকে দেখেও দেখেনি।
সোনিয়ার কথানুযায়ী বাছেদ রিক্সা ঘুরিয়ে পিছন দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রিক্সা জাতীয় যাদুঘরের দিকে যাচ্ছে।
রিক্সাটি যেই ঘুরালো সেই মুহূর্তে সাকিব সোনিয়াকে দেখে ফেলল। সোনিয়াকে অন্য পথে যেতে দেখে সাকিব উচ্চ কন্ঠে ডাকছে, সোনিয়া … সোনিয়া … ।
মনে হচ্ছে সিনেমার কোন নায়ক কোন নায়িকাকে ডাকছে। কিন্তু কে শুনে তার এ আদর মাখা ডাক। তার প্রাণের প্রিয়তমা যে তাকে দেখেও না দেখার ভান করে গাল ফুলিয়ে অন্য পথে চলে যাচ্ছে তা কি সাকিব জানে?
এদিকে সাকিবের রিক্সাটিও ঐ রিক্সার পথানুসরণ করল। দু’টো রিক্সায় দ্রুত বেগে চলছে। মনে হচ্ছে যেন তারা আজ প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কার আগে কে যাবে।
সোনিয়া কিছুক্ষণ পর পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে সাকিব তার পথানুসরণ করছে। সে মনে মনে বলল, এখন কেন এভাবে আমার পিছনে আসছ? আমি যখন কোথাও যেতে বলি তখনতো বায়না ধর।
দু’টো রিক্সা প্রায় কাছাকাছি হয়ে গেল। আবার সাকিব ডাকছে, প্লিজ সোনিয়া দাঁড়াও।
সত্যি চমৎকার দৃশ্য। এ দৃশ্যটা যদি নাটকে বা বাংলা ছায়াছবিতে চিত্রায়ন করা হত তাহলে খুব সুন্দর দেখাত।
এতক্ষণে রিক্সা দু’টি যাদুঘরের গেটের সামনে চলে এল। বলুনতো আর কত প্রিয়তমের সাথে অভিনয় করা যায়। শত হোক তার প্রিয়তম পুরুষতো। তাকে কি আর কষ্ট দেয়া যায়। সোনিয়ার মন নরম হয়ে গেল। সে বাছেদকে ইশারা দিতেই রিক্সা থেমে গেল।
সাকিবের রিক্সাও সামনে গিয়ে থামল। পরে সাকিব রিক্সা থেকে নেমে বলল, কি ব্যাপার সোনিয়া। তুমি আমাকে দেখে এভাবে চলে আসলে কেন?
সোনিয়া বলল, আমি তোমাকে দেখিনি।
মিথ্যে বলছ কেন?
আমি তোমার সাথে মিথ্যে বলতে যাব কেন?
সত্যি যদি না দেখে থাক তাহলে এ পথ দিয়ে কোথায় যাচ্ছ?
সোনিয়া মুখ ঘুরিয়ে রাগের স্বরে বলল, জাহান্নামে।
মানে!
মানে একদম পানির মত সোজা।
তুমি এসব কি আবোল তাবুল বলছ?
আবোল তাবুল নয়, যা সত্যি তাই বলছি।
আমিতো তোমার কথার মাথামণ্ডু কিছুই বুঝতে পারছি না।
বুঝবে কি করে তুমি যে কঁচি খোকা।
আসলে তোমার কি হয়েছে বলতো?
কিছুই হয়নি।
তাহলে এমন করছ কেন?
এবার সোনিয়া তার চোখ থেকে সানগ্লাসটি নামিয়ে হাত উঁচিয়ে বলল, এই তুমি আমাকে এভাবে জেরা করছ কেন? আমি কি কোন আসামী?
তুমি আসামী হতে যাবে কেন? তুমিতো আমার প্রাণের প্রিয়তমা।
সোনিয়া মুখ ভেংচিয়ে বলল, আহ্হারে, তুমি যে আমার প্রাণের প্রিয়তমা। দেখ তোমার কথার ধরণ দেখে মনে হচ্ছে তুমি পুলিশ আর আমি আসামী। তোমার দৃষ্টিতে যদি আসামী না হয়ে থাকি তাহলে এসব বলছ কেন? কি অধিকার আছে তোমার?
ভালোবাসার অধিকার।
ভালোবাসা! কে কাকে ভালোবাসে?
কেন? আমি তোমাকে ভালোবাসি।
বাহ্! সুন্দর কথা শুনালে। তাহলে এই বুঝি তোমার ভালোবাসার নমুনা। আমি সারাদিন তোমাকে খুঁজি আর তুমি টোঁ টোঁ করে ঘুরে বেড়াও। আমার একটু খোঁজও নেওনা। আমি কোথায় যাই, কি করি ইত্যাদি। আচ্ছা বলতো তুমি ভালোবেসে আমাকে কি দিতে পেরেছ? পেরেছ কি কিছু দিতে? কিছুইতো দিতে পার নাই। কেন আজ তোমাকে ভালোবেসে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পার্কের এসব দৃশ্য দেখতে হয়? তুমি কি পারনা আমাকে নিয়ে একদিন পার্কে যেতে? এতটুকু বলে সোনিয়া সাকিবের পানে তাকিয়ে রইল। তার চোখের কোণায় জল যেন ছল ছল করছে।
সাকিব তার দীর্ঘ বক্তব্য শুনে বলল, কিন্তু ….।
রাখ তোমার কিন্তু, সারাজীবন শুধু কিন্তু কিন্তু করে যাবে, পারবে না তুমি আমাকে নিয়ে কিছু করতে।
সাকিব নিরোত্তর।
সোনিয়া আবার বলল, সারাদিন কোথায় ছিলে?
মিরপুর।
কার বাসায়?
এক বন্ধুর বাসায়।
আমার চেয়ে তোমার বন্ধু বড় হয়ে গেছে। যাও তুমি তোমার বন্ধুর কাছে যাও। আমার কাছে এসো না। প্রতিদিন তোমার বাসায় গিয়ে ফেরত আসতে হয়। আচ্ছা বলতো এভাবে কি ভালোবাসা হয়? ভালোবাসার মানুষকে সব সময় কাছে রাখতে হয়। আর তুমি কিনা আমাকে …। সোনিয়া আর কিছু বলতে পারলো না। এখানেই থেমে গেল।
সরি সোনিয়া।
সোনিয়া বিরক্তির স্বরে বলল, সরি! সরি!! সরি!!! আর কত সরি বলবে আমাকে। আজ দুই বছর গত হচ্ছে আমাদের প্রেম। অথচ এমন কোন দিন বাদ নেই যে, তুমি সরি বলনি। তোমার সাথে আমার আর কোন কথা নেই। এখন থেকে তুমি তোমার পথ ধর। একথা বলে সোনিয়া রিক্সাওয়ালাকে ইশারা দিল সামনে যেতে।
সাকিব কাঠগড়ার আসামীর মত দু’হাত করজোর করে বলল, ঠিক আছে বাবা আর এমনটি হবে না। এই মাফ চেয়ে নিলাম। আর যা করার বাসায় গিয়ে করিও। এখন রাস্তায় আমাকে আর লজ্জা দিওনা। আজকের মত আসামীকে মা কর।
সোনিয়ার ভালোবাসার কাছে সাকিব আজ সত্যিই হেরে গেল। এদিকে দু’টো রিক্সাওয়ালা হা করে তাকিয়ে তাদের মান অভিমানের কথোপকথন গিলছে কিন্তু কিছু বলতে পারছে না তারা। এবার সোনিয়ার মনটা প্রিয়তমের জন্য নরম হয়ে গেল।
সোনিয়া সাকিবের হাত ধরে বলল, উঠ।
সাকিব বলল, কোথায় যেতে হবে?
আমাদের বাসায় পৌঁছে দিবে।
ঠিক আছে চল।
সাকিব তার রিক্সার ভাড়া মিটিয়ে সোনিয়ার সাথে তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওযানা হল।
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে রিক্সা ফার্মগেট এসে একটি তিনতলা বিল্ডিংয়ের গেটের সামনে থামলো। এদিকে সন্ধ্যা গনিয়ে এল। শহরের বিভিন্ন অলি গলিতে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে উঠল। সোনিয়া সাকিবকে টা-টা দিয়ে বিদায় করে বাসার দিকে রওয়ানা হল। আর সাকিব কিছুক্ষণের মধ্যে তার বাসায় ফিরল।
চলবে…