প্রাণের প্রিয়তমা(র্পব-১১)
(পূর্বে প্রকাশের পর)
প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি মধুর রাত আসে। আর সেই রাতটির নাম বাসর রাত। বিয়ের পূর্বে যারা যৌন মিলনে লিপ্ত হয়; তাদের জন্যে এ রাত তেমন সুখকর ও রোমান্টিক নয়। তবে যারা সত্যিকার ভাবে যাদের সতীত্বকে বজায় রেখেছে তাদের জন্যে এ রাত হল ফুল শয্যার রাত। তেমনি আজ সাকিব ও সোনিয়ার জীবনে সেই কাংখিত বাসর রাত এসে উপস্থিত হল।
সোনিয়া খাটের মাঝখানে গিয়ে ঘুমটা দিয়ে বসলো। সাকিব বাহির থেকে প্রকৃতির কাজ সেরে রুমে এসে দরজাটি লাগিয়ে দেয়। আস্তে আস্তে সে সোনিয়ার নিকট আসল। ঘুমটা টেনে সে থুতনি ধরে বলল, এভাবে ঘুমটা দিয়ে আছ কেন? মনে হয় আমাকে দেখে লজ্জা পাচ্ছ?
সোনিয়ার তখন মনে পড়ে গেল- বুয়ার সেই যৌবনকালের বাসর রাতের দৃশ্যটি।
কি ভাবছ? কথা বলছ না কেন?
সোনিয়া আমতা আমতা করে বলল, না মানে, ইয়া তুমি কি যেন বলছিলা?
এই তুমি কিন্তু প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে যাচ্ছ।
আচ্ছা বাবা এসব প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে বাতিটা নিভিয়ে দিয়ে আসো।
সাকিব আর কোন কথা না বাড়িয়ে বাতিটা নিভিয়ে তার পাশে এসে তাকে পাজাকোলা করে শুয়ে পড়লো। আশা- আনন্দ- ভয়- সংশয়ের দ্রুত স্পন্দন শুনা যাচ্ছে। দু’জন দু’দিক মুখ করে খানিকক্ষণ চুপ করে শুয়ে রইল। কেউ নড়া চড়া করছে না। কেউ কাউকে স্পর্শও করছে না। এভাবে চলল অনেকক্ষণ।
নীরবতা ভেঙ্গে সাকিব সোনিয়ার গায়ে হাত দিয়ে বলল, সোনিয়া। ঘুমিয়ে গেলে নাকি? এস না একটু গল্প করি।
সোনিয়া হাই তোলার মতো শব্দ করে বলল, বড্ড ঘুম পাচ্ছে, আজ থাক। একথা বলেই চুপ করে রইল। আর জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলতে থাকে। সাকিবকে বুঝাচ্ছে যে তার সত্যিই ঘুম পাচ্ছে। আসলে কি তাই। এমন মধুর রাতে কি ঘুমানো যায়। কিছুক্ষণ পর সাকিব সোনিয়ার একখানা মোলায়েম হাত আলতো ভাবে টেনে তার নিজের বুকের উপর রাখল। পরক্ষণে তার হাতখানাও সোনিয়ার বুকের উপর রাখল। সোনিয়া কোন বাঁধা দিচ্ছে না। দু’জনের হৃদস্পন্দন দ্রুত বাড়তে লাগলো। তারপর একে অপরের গালে চুমো দিল। তারপর। তারপর সেই চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী তারা সুখের স্বর্গে প্রবেশ করলো।
অনেক খুঁজাখুঁজির পরও যখন মনির খান তার মেয়েকে পেলেন না, তখন নিরাশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন- তিনি যেমনি কোন যুবতী মেয়ে দেখলে ছোলা কলা মনে করে ভোগ করেন; তেমনি যেন আজ তার মেয়েকে কেউ কিডনেপ করে ভোগ করছে। এসব দৃশ্য দেখে না… না… বলে চীৎকার দিয়ে উঠলেন।
চলবে…
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-১)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-২)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-৩)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-৪)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-৫)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-৬)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-৭)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-৮)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-৯)পড়ুন।
প্রাণের প্রিয়তমা(পর্ব-১০)পড়ুন।