Today 23 Nov 2024
banner
নোটিশ
ব্লগিং করুন আর জিতে নিন ঢাকা-কক্সবাজার রুটের রিটার্ন বিমান টিকেট! প্রত্যেক প্রদায়কই এটি জিতে নিতে পারেন। আরও আছে সম্মানী ও ক্রেস্ট!
banner

বজ্জাত নারী তুই নদী হ

লিখেছেন: দ্বীপ সরকার | তারিখ: ০৩/১০/২০১৪

এই লেখাটি ইতিমধ্যে 6461বার পড়া হয়েছে।

বজ্জাত নারী তুই নদী হ,
অবলীলায় নেমে যাবো হাঁটুজল
অথবা আপাদমস্তক চুবিয়ে তুলবো তোর চিতায়,
দ্রবীভূত হয়ে কাঠ শরীর পোড়াবে পাপ!

বজ্জাত নারী তুই নদী হ,
গ্ল্যামার জীবনটা ধুয়ে তুলবো তোর লালচে জলে,
পশ্চিমা ঘাটে ভিরাবো স্নায়ু তন্ত্রের খরা ;
যাতে কিনা মরে যেতে চেয়েছিলো
তটিনীর ক্ষয়িষ্ণু বালুচর।

নদী স্রোত! পক্ষপাতদুষ্ট বেহায়া ঢেউ
মানবতাকে আছড়ে ফেলে যৌনাঙ্গের নোনতা জলে;
তুই এমন একটি নদী হ-
বৎসরে একবার নৌকা বাইচ খেলবো –
পরিচিত ন্যাংটা কৈশরে!

৬,৪০৫ বার পড়া হয়েছে

লেখক সম্পর্কে জানুন |
জন্মঃ প্রকৃত নাম সরকার শহিদুর রহমান। ছদ্ম নাম দ্বীপ সরকার। জন্ম ১৯৮১ইং, ১লা মার্চ। মুসলিম পরিবারে। বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন গয়নাকুড়ি গ্রামে। পিতা,মৃত হাবিবুর রহমান। দশ/বারো বৎসরে পিতাকে হারাই।  মাতা মোছাঃ আছিয়া বেওয়া। চার ভাই। পাঁচ বোন। ভাইদের মধ্যে ৩য়। শিক্ষাঃ গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শিক্ষায় হাতে খড়ি। তারপর ওখান থেকে একই এলাকার দাড়িগাছা দারুসসালাম দাখিল মাদ্রাসায় ৩য় শ্রেণীতে ভর্তি করে দেয়া হয় । এখানেই শিক্ষার মুল ধারা শুরু।  ৪র্থ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বরাবরই ক্লাস ফার্স্ট এবং গোটা স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বার অর্জন করি। দিন রাত সমান করে পড়ার টান ছিলো। পড়া থেকে উঠিনি কোন সময়।স্কুল থেকে এসেই বই হাতে।শতবার ডেকে ডেকে ভাত খাওয়ানো। সেজন্য অনেকের বকা খেয়েছি। মাগরিব থেকে ফজর পর্যন্ত একটানা রাত জেগে পড়েছি। এরকম কত রাত কাটিয়েছি বইয়ের ওপরে  তার গননা করা মুশকিল। তকে খেলাধুলার প্রতি কোন আকর্ষন ছিলোনা এখনো নেই। স্কুলের সকল ছাত্র ছাত্রী,শিক্ষক,এলাকার সকলেই মেধাবি ছাত্র ভাবতো, এবং সম্মান করতো। একবার ৯৯% ভোট পেয়ে এজিএস নির্বাচিত  হয়েছিলাম। এদিকে গান গজল হামদ নাত গাইতাম, কবিতা লিখতাম বলে সকলে শিল্পী এবং কবি বলে ডাকতো। গান গেয়ে মন জয় করতাম সকলের । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে দিয়ে গান,হামদ নাত গেয়ে নিতো স্যারেরা। ৬ষ্ট/ ৭ম শ্রেণী থেকে কবিতা, গান, গজল রচনা করে অনুষ্ঠানে বলতাম। এখান থেকেই ১৯৯৫ ইং সালে ১ম বিভাগে দাখিল ( মেট্রিক) পাশ করি। আশানুরুপ রেজাল্ট হয়নি বলে স্কুলের শিক্ষকগন মন ভিজাতে পারেনি। আরো বড় স্বপ্ন ছিলো তাদের। প্রতি বৎসরে আমাকে চারটি করে পুরস্কার দিতো। ক্লাসের প্রথম,সমগ্র স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর, গান গাওয়া, রেগুলার স্কুলের জন্য। এর পর নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজ থেকে ১৯৮৭ইং সালে জেনারেল সেকশনে ৩য় বিভাগে এইচ এস সি পাশ করি। কিন্ত কাঙ্খিত ফলাফল না হওয়ায় চলমান স্বপ্নের ছন্দপতন ঘটলো। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমে গেলো। তারপর সংসারে কিছুটা অর্থের দ্বৈন্যতা দেখা দিলো সংসারের ঝামেলা মাথা নিয়ে গাইবান্ধা জেলার কামদিয়া নুরুল হক ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হই এবং ১৯৯৯ইং সালে এখান থেকে ২য় বিভাগে গ্রাজুয়েশন সম্পুন্ন করি। এর পর আর পড়াশোনার দিকে যেতে পারিনি। অদম্য সাহস এবং মেধা থাকার পরেও অর্থ দ্বৈন্যতা আর সামনের দিকে এগুতে দেয়নি। তার পর ২০০১ ইং সালে একই গ্রামের তহমিনা খাতুনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই । বর্তমানে এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়ে,শান্তা মারিয়া শানু এবং ছেলে, মেশকাত। সাহিত্যে আগমনঃ ছোটবেলা থেকে একটু একটু করে লিখলেও তা বড়সড়ো করে রুপ নেয় বগুড়া লেখক চক্রের সাথে যোগ দিয়ে। মুলত এখানেই অনেকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে এবং স্থানীয় পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখা বের হতে থাকে। এসময় " কুয়াশা" নামে এক লিটিল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছিলাম। কবিতার ফোল্ডারও বের করেছিলাম দুটি। এর পর ধীরে ধীরে ব্লগ ফেসবুক,অনলাইন অনেক সাইটে পদচারনা। অভিজ্ঞতাঃ গ্রাজুয়েশন শেষ করে ২০০৫ ইং সালে একটি বেসরকারী সংস্থায় মনিটরিং এবং অডিট অফিসার পদে চাকুরিতে যোগদান করি। এখানে প্রায় আট বৎসর চাকুরি করার পর শারিরিক অসুস্থতার কারনে আর চাকুরিতে যেতে পারিনি। এই দীর্ঘ আট বৎসর চাকুরির চাপে সাহিত্য থেকে দুরে ছিলাম। কিন্ত সয়নে স্বপনে জাগরনে তিলে তিলে কবিতাকে ভালবেসেছি এবং মাথা থেকে তাড়িয়ে দিতে পারিনি একেবারে। প্রকট ইচ্ছা শক্তি আমাকে দীর্ঘ আট বৎসর পর হলেও কবিতার কাছে নিয়ে এসেছে। চাকুরির সুবাদে দেশের প্রায় ৬০টি জেলাসহ অনেক থানা,গ্রাম,ঐতিহাসিক স্থান,পর্যটন এলাকা ভ্রমন করার সুযোগ হয়েছে।
সর্বমোট পোস্ট: ১৪৮ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ৩৭১ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৪-০৯-৩০ ১৫:১৩:৩৮ মিনিটে
Visit দ্বীপ সরকার Website.
banner

১৪ টি মন্তব্য

  1. আর এন মিলি মন্তব্যে বলেছেন:

    কবিতার নামটা ভাল লাগল না 🙁

  2. দীপঙ্কর বেরা মন্তব্যে বলেছেন:

    Suvechha
    bhalo thakben

  3. সাঈদ চৌধুরী মন্তব্যে বলেছেন:

    বজ্জাত নারী বলতে কি বোঝাতে চাইলেন বুঝলাম না । কবিতার ভাষা অনুযায়ী ওখানে বজ্জাত নারী না বললেও হতো ।

  4. নাজমুল হক পথিক মন্তব্যে বলেছেন:

    লেখা অনেক সুন্দর। শব্দের ব্যবহারও চমৎকার।

  5. ঘাস ফড়িং মন্তব্যে বলেছেন:

    নাৱী বলিয়া অধম নয়
    নাৱীৱ পেটেই সন্তান হয়

  6. ঘাস ফড়িং মন্তব্যে বলেছেন:

    ভাল লিখেছেন

  7. দ্বীপ সরকার মন্তব্যে বলেছেন:

    কবিতায় এরকম শব্দের ব্যবহার অহরহ।
    এর নারীকে ছোট করা হলো কিভাবে।
    পৃথিবীতে অসংখ্য কবিতায় নারীদের বিভিন্ন অঙ্গের কথা অঙ্গ ভঙ্গির বিশ্লেষন করা হয়েছে।
    তাতে কি নারীদের ছোট করা হয়।
    আসুন সকলে উদার মনে সাহিত্য চর্চা করি,কবিতা লিখি।… ধন্যবাদ।

  8. ঘাস ফড়িং মন্তব্যে বলেছেন:

    Kotha gulo shob bujte parlam na

  9. ঘাস ফড়িং মন্তব্যে বলেছেন:

    Asa kori vhalo korben agami te

  10. শ্যাম পুলক মন্তব্যে বলেছেন:

    উদার হতে গিয়ে কিছুটা গালাগালি টাইপের হয়ে গেলো না!!!!

    বজ্জাত নারী!
    এর মানে কি!

    দাদা, কাউকে ছোট করে উদার হওয়া কি যায়? না তেমন কিছু উচিৎ?

    আর শেষে আমার আর কিছুই বলার নাই। কারন সাংসদীয় সাহিত্যের বিরুদ্ধে কিছু বললে সমস্যা হতে পারে।

  11. গোলাম মাওলা আকাশ মন্তব্যে বলেছেন:

    কবিতার নামটা একটু কেমন মেয়েদের চটাতে পারে, সব মিলিয়ে ভাল।

  12. এই মেঘ এই রোদ্দুর মন্তব্যে বলেছেন:

    কি বলব বুঝতে পারছি না
    🙁

  13. সহিদুল ইসলাম মন্তব্যে বলেছেন:

    নারী_ মা, নারী_ বোন, নারী_ বউ।
    নারীর কথা কইতে গেলে, সাবধানে কও।

  14. সবুজ আহমেদ কক্স মন্তব্যে বলেছেন:

    ভাল লাগলো ………………………………………………..ঈদ মোবারক কবি

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন.

go_top