থমকে দাড়ালাম!
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1918বার পড়া হয়েছে।
ভেজা কষ্ট অার ছেঁড়া স্বপ্ন নিয়ে,
সুখের নঙ্গোরহীনা স্বপ্নতরী বাঁইছি-
জীবন নদীর তীর ঘেঁষে একা একা।
স্বপ্নের দেশে দুঃখ ফেরী করে চলছি
যুগের পর যুগ; অার দেখছি চেয়ে-
কত যুগল প্রেমের তরে দিচ্ছে পাড়ি,
সাত সমুদ্র তেরো নদী।
কত যুগল বিরহ-বিচ্ছেদে জীবন ছুড়ছে-
অাস্তাখুড়ে, স্বপ্ন দিচ্ছে কবর।
হঠাৎ জীবনে ফাগুন এলো,
সুখ দানবেরা দুঃখ তাড়ালো,
সুখপরীরা অাকাশে নেচে উঠলো।
বসন্ত সমীরণে বাহারী জুই-চেমেলী
টগর-বকুল সৌরভ ছড়ালো।
সুখের বাতাসে নিজেকে দোলাচ্ছি,
চলছি এগিয়ে অন্তহীন পথে।
কেউ একজন অামায় পিছু ডাকলো!
ফিরে তাকাই; দুঃস্বপ্ন।
ভয় হয় অামার জীবনের পথে
কেউ কাটা ছড়াতে এলো বুঝি।
ছায়ার মতো কেউ একজন চলছে পাশে।
অামি দূর্বার যোদ্ধার মতো দ্রুত পথ চলছি।
কিন্তু না! হলোনা পথ চলা,
মায়ার সুরে ডাকলো অাবার!
অামি পিছু ফিরে তাকাই।
এযে ছায়ামানবী, অামার মেঘবালিকা,
স্বপ্নপ্রেয়সী, অামার বাঁচার ঠিকানা।
দু-হাত বাড়িয়ে অামায় বুকে টেনে নিলো।
সঞ্চিত দুঃখগুলো অভিমানে চলে গেল,
সুখ পাখিদের কলতানে।
দুজনে উড়ছি ভালোবাসার মুক্ত হাওয়ায়,
বাঁচার স্বপ্ন পাশে নিয়ে নির্ভাবনায় পথ চলছি।
স্বপ্নের তুলিতে জীবনের রঙ্গীন ছবি অাঁকছি,
স্বপ্নছবি যখন অাঁকা শেষ তখন হঠাৎ দেখি
পাশে অামার বাঁচার স্বপ্ন নেই, উধাও!
অামি থমকে দাড়ালাম!
দুঃখগুলো কাছে এসে বিদ্রুপ করছে,
প্রতিবাদের সুখশক্তি লোভ পেল অাবার।
কেন চলে গেল অামার ছায়ামানবী?
কেন হারিয়ে গেল বেঁচে থাকার স্বপ্ন?
হাইড্রলিক ব্রেকের মতো দাড়িয়ে গেলাম,
থমকে গেলাম কালের তরে।
অাজও দাড়িয়ে জীবন নদীর তীরে,
ছেঁড়া ফাঁটা স্বপ্নগুলো নিয়ে।
১,৮৮৩ বার পড়া হয়েছে
দুজনে উড়ছি ভালোবাসার মুক্ত হাওয়ায়,
বাঁচার স্বপ্ন পাশে নিয়ে নির্ভাবনায় পথ চলছি।
খুব সুন্দর সবুর ভাই।
আসলে বাঁচার এই স্বপ্নই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে।
ভালো লেগেছে আপনার কবিতা। এত সুন্দর করে কবিতায় জীবনকে উপস্থাপন করেছেন। কবিতার গঠন ও চমৎকার।
দোয়া করবেন অাপনারা যেন লেখালেখির চেষ্টা অব্যহত রাখতে পারি।
ধন্যবাদ-(সহিদুল ভাই, জসিম ভাই)
বিরহের কবিতা বেশ ভাল লাগল। সুন্দর হউক জীবন।
কবি আপনি সুখের নঙ্গোরহীনা স্বপ্নতরী বইতে থাকুন, পাঠকের হৃদয় জয় করতে আপনার কিন্তু থমকে দাঁড়াতে হবে না… চালিয়ে যান। ভালো লেখেন আপনি।
ভালো লাগলো পড়ে খুব খু,,,,ব ই
..
শুভ কামনা
ভাল ভাবনার প্রকাশ