বনলতার কাছে চিঠি
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 1744বার পড়া হয়েছে।
প্রিয় দিদি,
প্রযত্নে, দারুচিনিদ্বীপ
আমার অন্তিম শ্রদ্ধা ও ভালবাসা গ্রহণ করবেন সাথে আমার দেয়া কাঠগোলাপ দুটুও।
জানি ভালই আছেন, যা কল্যানময়।
চিঠি টা হাতে নিয়ে আমার কথা ভাবছেন?
নিশ্চয় ভাবছেন কেমন আছি?
মানবপুরীর পিচাশদের ভিরে অবচেতন ভাবনা চিন্তার মাঝখানে ভালই আছি, যেখানে আপনার দেয়া দুদন্ড শান্তি সেখানে খারাপ থাকাটাই মন্দ।
সামনে আপনার জম্মদিন। তাই দিনের সকল ক্লান্তি অবসানের পর সন্ধার ঘোলাটে আধারে আপনাকে নিয়ে দু চরন লিখতে বসলাম।
জানেন দিদি মাঝে মাঝে আপনাকে দেখতে খুব ইচ্চে করে! সাধারণ মানবী হিসেবে নয়, নয় কোন অভিনাশী কিংবা গদ্ম পদ্মের কাল্পনিক নারী। ঠিক যেমন দেখেছিলেন তিনি
“চুল তার কবেকার বিদিসার অন্ধকার নীশি,
মুখ তার শ্রাবস্তির কারুকার্য”
কিংবা কোন আকস্মিক দেখা নারী রুপে,
” শাড়ি পড়ে সদ্য শিশিরের জল আর ঘাসের উপর লেপ্টে থাকা কুয়াসার উপর হেটে যাওয়া নারীর ভেসে,
কপালে লালটিপ আর হাতে রেশমি কিংবা বেলিবারী চুড়ি” – ঠিক যেনো মাইকেল এঞ্জেলার অঙ্কিত কাল্পনিক নারী।
বলেছিলেন দারুচিনিদ্বীপে দেখা হবে। কই নাতো? আঠারো বসন্ত পার হয়ে গেল, কই অশোকের রাজ্য কিংবা দারুচিনিদ্বীপের ভেতর আপনার তো দেখা মিলেনি। বরং মিছে আশার স্বপ্ন রা হাল ভাঙা নাবিকের মত ডানা ঝাপটায়
ফিরে এসো দিদি। বাস্তত চরিত্রে ফিরে এসো। আপনাকে কবিতা শুনাতে বসে আছে সারে তিন হাজার কবি। কেবল আমি নই,
সুকান্ত কিংবা শক্তি চট্টোপাধ্যায়, যারা ছিলেন হাংরি জেনারেশন মুভমেন্ট এর প্রধান রবি।
আজ এখানেই সমাপ্ত করলাম। বেশী লিখলে বলবেন বক বক করে খাতা নস্ট করি যা ডফের কির্তন। ভাল থাকবেন। জীবন সুখি হউক। মানবপুরীর পিচাশরা আপনাকে মুক্তি দিক। অষ্টপ্রহর হেটে এখন ঘুমাতে যাচ্চি। আবারো বলছি ভাল থাকবেন।
ইতি আপনার আদরের ঘাস ফড়িং, ফড়িং কে পিচ্চি বলে ডাকতেন আপনি তাইনা? আপনার খুব আদরের একটা হিয়ার অষ্টাদশী বালক।
১,৭০৮ বার পড়া হয়েছে
দেখছ তামশা
কল্পনায় কই গেছে অরে বাপস
তোমরা ছেলেরা পারও বটে
লেখা সুন্দর হইছে পিচ্চি
খুব ভালো চিঠির ভাষা,গাঁথুনি।
লেখা ভালো হয়েছে , কিন্তু
এখানে আপনি লিখেছেন
কপালে লালটিপ আর হাতে রেশমি কিংবা বেলিবারী চুড়ি I
এখানে হবে–
বেলোয়ারি চুড়ি,
যার অর্থ হলো, স্ফটিকের মতো পলতোলা কাচের তৈরি চুড়ি।
খুব সুন্দর উপস্থাপনা
খুব ভাল লাগল ।
মন্তব্যের কোন ফিটব্যাক নাই, আমার মনে হয় ভুল দেখিয়ে দিলে আপনি রাগ করেন ।