চোখে চোখে রেখে নদী হয় অরণ্য
অরণ্যের সাপ হয় জলপ্রপাত
তিলক পড়া ঘুঙৃরের নিচে ফুলটা কি বন্য?
বুকের নিচে আমার কি যে অপঘাত।
~
কিঞ্চিত অবশিষ্ট থেকে ডুবে যায় সন্ধ্যা
তখন কে যেনো ডেকে যায় পূবালীতে
এক নারী ; গুনিয়াকুড়ি গ্রামের বন্ধ্যা
আনচান করে মন, পুড়ে খই হই
সর্বমোট মন্তব্য: ৩৭১ টি
নিবন্ধন করেছেন: ২০১৪-০৯-৩০ ১৫:১৩:৩৮ মিনিটে
Visit দ্বীপ সরকার Website.
তুমি যতোটা ক্ষত দেখ পিচ সাঁটা সড়কে
তৃষ্ণার্ত বুক পোড়ে কাঠ খড়ি নরকে
নিস্তবদ্ধ সুনসান হৃদয়, বিষণ্ন ঠোঁট
ও ঠোঁটে উষ্ণতা ভরা নক্ষত্রের নোট;
পিদিমহীন আঁধার,চিলেকোঠার রাত
বিরক্তিকর প্রশ্নে থেমে যায় করাত।
খরচহীন ধ্যান নিয়ে ভ্যালেন্টাইন খুঁজি
ছকে বাঁধা প্রেম! সহজেই যেনো বুঝি।
মিমাংসিত তীরচোখে ভুল তুমি
দাগটানা খাতার
বৈদ্যুতিক খুঁটি বেয়ে নেমে আসা দয়িতার শীত
দরিদ্রদের উঠোনে নামাচ্ছিলো কুয়াশার প্লেন,
আমি দারিদ্রতা ভুলে প্লেট ভর্তি শীতকে
সেঁক দিতে শুরু করি উনুনে।
সিমের মাচানে যে রৌদ্র সাংসারিক হচ্ছিলো
বলে আমি মনে করেছিলাম-
অক্ষরের সমীকরণে তাকে ভাবতেই পারি রোদ্দুরের ট্রেন,
ভাবতেই পারি রক্ষণশীল বুনো নক্ষত্র
গোধূলী নামাচ্ছে বলে
সে
আমার মৃত্যুরা অন্য রকম….
ক্ষত থেকে ক্যান্সার না হয়ে
হয় কবিতার পান্ডুলিপি,
হয় শীতকালীন এ্যলোভেরার ঘ্রাণ,
ওরা যখনই এসে ঘারে বসে
প্রশ্ন তোলে ঈশ্বরের,
তখন আমার চোখে জন্ম নেয় আয়নার বীজ;
সে আয়নায় আমার মৃত্যুরা ভাসে আর ভাসে।
আমার মৃত্যুরা অন্য রকম….
শকুনের পায়ে যখন কিংবদন্তির মহাকাশ
জড়োসড়ো হয়ে আসে
তখন
অতঃপর
গোটা পৃথিবীশুদ্ধ রক্তপাত হলো,
গরু দুম্বার শরীর জেনে গেলো সওয়াব
আত্নশুদ্ধিতে মুখস্থ্য করি ত্যাগ আর তিতিক্ষা।
.
দীঘল ভ্রমণে ফেরেস্তাদের নেমে আসার
শব্দে ঘুম ভাঙ্গে নিরেট আত্নার
উৎসর্গে নামি হাঁটুজল চিন্তায়
একেকটা চাকুতে মেরে ফেলি পশুত্ব
নামক মহার্ঘ।
.
একটা উৎসব চাঁদকে ধরে নিলো মুঠোয়।
.
লেখাঃ১৪/৯/১৬ইং
আমি পাথর হতে চাইলে
তুমি এসে বল্লে হতেই পারো,
অতঃপর আমি পাথর হয়ে গেলাম
নিরেট, নিখাদ দগদগে নীলচে পাথর।
ইদানিং ক্রীমলেপ্টানো ব্রাশে
ক্র্যাশ করে ফেলি পাহাড়
কারন,আমি যে পাথর
অথবা পাথরের মতই।
.
আমার পিটের অপোজিটে
এখন ক্ষয়ে যায় ভিসুভিয়াস
আগুণলেপ্টানো গিরি বলে যাকে,
আমার অন্তরে গিরগিটের পেশাবে জন্মে গাঁজা
চোখ ছুঁয়ে জন্মে
সময় আসে সময়ের গর্ভ থেকে খুঁড়ে খুঁড়ে
এক বাটি ইতিহাসের সওদা নিয়ে
কথা হয়, গল্প হয়,প্রেম হয়,প্রনয় হয়,
অতঃপর খোসা পড়ে রয় শেষে।
সময়গুলো বিলীন হতে থাকে জ্যামিতির কাছে ;
কারন জ্যামিতিও ইদানিং সময় চিনে
সরল রেখায় হাঁটে।
দিনকে দিন মুখস্থ্য করি ন্যানো সেকেন্ডের
গতিবিদ্যা,
কি যে স্টাইলে
বস্তা বস্তা নীল, কষ্টদের মিমাংসিত
অধ্যায়ের চিঠি পড়ে থাকে হলুদ খামে,
কেউ ছুঁয়েও দেখেনি বলে
বিভৎস দেখে ছায়াহীন রোদ,
ওপাশে পুরনো কষ্টের চাকু উন্মুখ থাকে,
কেটেকুটে পার হওয়া চাকু কখনো
আত্নীয় হতে পারেনা।
তবু সহ্যের আলোয় নিজেকে বিকশিত করি।
আমি আকাশ। চারপাশ দুরন্ত নীল।
আর কত বিষ ঢাললে নীলগুলো
কথাটা ওভাবে নিওনা
যে আমি তোমাকে ভুলেই গেছি ;
রাত্রীর ভুলোমনে ঝুলে থাকা ভোর
তবুও দিনকে প্রসব করে
তবুও খুঁড়ে খুঁড়ে আসে দিন
কেবল রাতগুলো দিনের ভিন্নরুপ।
তাই বলে রাত ছাড়া দিন নেই।
.
পাহাড় ছেনে যেভাবে মরুতাপ
লোকালয়ে এসে ধারাপাত শুনোয়
অনুগত হবার,
আসলে কতজনই অনুগত হতে পেরেছে বলো,
ভুলপথে এসে ভিখিরির
নাম কি তোর?
রোয়ানু
কাজ কি বাপু?
ধোয়ানু,
.
যাইবা কই?
উপকূলে,
নদী সাগর
হেলে দুলে।
.
খিদে পেলে
শোয়ানু
গাছ পালা
ক্ষোয়ানু।
.
করলা কি এই?
ধ্বংশলীলা,
টিনের চালে
বজ্রশীলা।
.
কেবা কারা?
দৌড়ে পালা
গোয়াল ঘরে
দিয়ে তালা।
.
লেখাঃ২৪/৫/১৬ইং
আরো একবার দেখা হলে
দ্বীপ সরকার
আরো একবার দেখা হলে
নির্ভুল একটা কিস ছুঁয়ে দেবো কপালে,
তারপর কথার মাখামাখি।
আরো একবার দেখা হলে
এই নয়নাভিরাম সবুজদের বলে দেবো
এটিই আমার মগজের ভেতর গুছিয়ে রাখা ধ্যান,
অতঃপর ব্যাকুল চোখাচোখি।
যতক্ষণ না তুমি বলবে
প্রকৃতি হবে বলে স্তনস্থ্য পর্বত পাল্টে গেছে
এই সব
প্রতি বৈশাখ –
এসে ফের চলে যায়
ঢেকে যায় দুঃখ ফেরত খামে…
খোলস থেকে বেরিয়ে এসেছে
প্রত্যয়ের মুকুট
সাদার ভেতরে লাল-লালের ভেতরে সাদা রঙা।
পিছনে দুঃখ ভোলার স্লোগান
সমূখে দিন বদলের প্লেকার্ড
যেতেই হবে -যদ্দুর পারা যায়
যেখানে গন্তব্য লেখা থাকে।
হালখাতার কার্ড হাতে পেলে
জড়তা ভাঙে সবুজদের,
ভুলে যাবো বলে
শোধবোধ লিখি
শুদ্ধতা
সর্বশেষ ১০টি মন্তব্য