আমি রোদ্দুর হতে চেয়েছিলাম
তুমি বৃষ্টি হয়ে ভেজালে।
আমি সমুদ্র সংগমে যাইনি
আমি যাইনি নদীর কাছে-
আমি শুধু তোমাকেই চেয়েছি।
মেয়ে তুমি আমার হও
আমি ছাড়া তুমি আর কারও নও।
আমি রোদ্দুর হতে চেয়েছিলাম
তুমি বৃষ্টি হয়ে ভেজালে।
আমি সমুদ্র সংগমে যাইনি
আমি যাইনি নদীর কাছে-
আমি শুধু তোমাকেই চেয়েছি।
মেয়ে তুমি আমার হও
আমি ছাড়া তুমি আর কারও নও।
পশুদলও নিজ গোত্রের কাউকে হত্যা করে না।
কিংবা মেতে ওঠে না ধ্বংসের উল্লাসে।
অথচ ওরা পশু, কী মমত্ববোধ ওদের!
আর আমরা,
হিংস্র থেকে হিংস্রতর হয়ে উঠছি দিনদিন।
কিসের টানে এই অধঃপতন আমাদের?
যখন মানুষ বলে দাবী করছি নিজেদের।
একদিন স্বর্গের উদ্যান ছিল এইখানে-
ছিল শান্তির ফোয়ারা এই ভূমিতে।
অথচ
কত রাত সোলেমানী খাবনামা বুকে করে ঘুমিয়েছি,
কত বিনিদ্র রজনী করেছি পার একটি সুন্দরের আশায়।
কত নিশি কেটে গেছে, কত প্রহর আমার!
সে আসবে স্বর্গপুরী হতে
সে আসবে মর্ত্যলোক হতে
সে আসবে পাতালফুঁড়ে!
সোনার কাঠি-রুপোর কাঠি হাতে আসবে সে
আমার স্বপ্নকে সত্যি করতে। আমি অপেক্ষায়
বাংলাদেশের মাটি আমার
সোনার চেয়ে খাঁটি
সবুজ শ্যামল দূর্বা কোমল
যেন শীতল পাটি।
হাজার বছর এই মাটিতে
সোনার ফসল ফলে
নৌকা ভাসায় জলের ছেলে
গহীন সাগরজলে।
আমার দেশের গাঁয়ের চাষা
ওরা মাটির ছেলে
নিত্য প্রাণে জাগায় আশা
স্বপ্ন প্রদ্বীপ জ্বেলে।
এই দেশেরই সালাম বরকত
বুকের রক্ত ঢেলে
মায়ের ভাষা ছিনিয়ে আনে
রক্ত হোলি খেলে।
এই দেশেরই
বিস্তারিত পড়ুনপথের ধারে
ফুল ফুটেছে
কৃষ্ণচূড়া লাল
পলাশ শিমূল
রক্তজবা
বসন্ত সকাল।
কোকিল ডাকে
মধুর সুরে
এমন ফাগুন দিনে
বাউরি বাতাস
যাচ্ছে বয়ে
বাড়ছে দেনা ঋণে।
এসো নবীন
এসো তরুণ
হও আগুয়ান
দিন বদলের
শপথ করি
কে আছো জোয়ান?
পাতা ঝরা
মিঠে কড়া
কালেরও খেয়া
শুধিব ঋণ
আছে যত
বাকি বকেয়া।
শ্বেত কপোত উড়ে যায়, উড়ে যায় বকপক্ষী
ওরা স্বাধীনতার গল্প বলে যায়।
একদিন সাম্যের এক পৃথিবী গড়বে বলে
কৃষাণ-মজুর-তাঁতী-জেলে সব এক কাতারে এসে দাঁড়ায়।
ছাত্র-শিক্ষক-চাকুরে সবাই হাতে হাত রেখে করে শপথ।
শপথের মালা ছিঁড়ে যায়
তবু স্বাধীনতার গল্প থামে না।
এখন সবাই স্বার্থের টানে অন্ধ।
স্বাধীনতার জন্যে যারা
বিস্তারিত পড়ুনচারদিকে গোলাপের স্তুপ; অথচ সুবাস নেই!
চারপাশে ফুলবন, মৌমাছি গুনগুন। ভ্রমর উড়ছে ডালে
ফুলকলিতে ছেয়ে গেছে বনানী। উদ্যানে নৃত্যের তালে
পাখিদের বিচরণ; পাখিদের গান নেই!
থেমে গেছে সুর।
কেটে গেছে তাল!
কোলাহল শূন্য চারিধার, নিথর-নিস্তব্ধ!
শিশুরাও নীরব, চিৎকার-চেঁচামেচি নেই কোনো!
ভয়ে ভীত পশুরাও। ওদের হিংস্রতা হার মেনেছে আজ!
মাঝির
আবার স্বপ্ন বুনি মনের গহীনে
আবার স্বপ্ন আঁকে নয়ন যুগল
দিনে দিনে বহু দেনা বেড়েছে ঋণে
ছাড়িয়ে দেশসীমা মনের ভূগোল।
গভীর নদীর বুকে জেগে ওঠে চর
আশার সে চরে জাগে স্বপ্ন রঙিন
উদ্দাম মনে ফিরে আসে নবভোর
কুয়াশার চাদরে ঘেরা এই দিন।
ঊষার দুয়ারে ঐ রাঙা প্রভাত
সে আলোয়
বাংলা আমার মুখের ভাষা
প্রাণের ভাষা
বাংলা মায়ের কোল
বাংলা আমার প্রথম শেখা
আধোআধো বোল।
এই ভাষাতেই লিখন লিখি
স্বপ্ন দেখি
মনের কথা বলি
এই ভাষাতেই কাঁদাহাসা
নিত্য গলাগলি।
এই ভাষাতে আকুল পরাণ
হৃদয়ের টান
গানের সুরে সুরে
সাম্পানতরী বেয়ে মাঝি
যাচ্ছে অনেকদূরে।
বিস্তারিত পড়ুন
নবিপ্রেমে মন উচাটন দিবাযামী
চাতক আঁখি বিভোর হয়ে রয় পরে।
কুরাইশ বংশ খ্যাত গোত্র হাশেমী
আসিলেন ধরায় দ্বীনের পয়গম্বরে।
জন্ম নিলেন এতিম নবী খোদাপ্রেমী
আব্দুল্লার ঔরসে আমেনার উদরে।
দ্বীনের আলো জ্বললো বাতি, আইয়ামী
জাহেলিয়াত যায় চলে কোন্ সুদূরে!
আল আমিন উপাধি পেলেন আরবে
মিথ্যার বেসাতি যেথা চলে জনে জনে
বিচার-বুদ্ধি,
সবুজের মাঝখানে সূর্যটা লাল
ঊষার বুকে হাসে স্নিগ্ধ সকাল।
মধুমতি ধানসিঁড়ি চলে এঁকেবেঁকে
মুগ্ধ এ দু’নয়ন তাই দেখে দেখে।
যেদিকে তাকাই দেখি ছোট ছোট বাড়ি
সম্মুখপানে গুবাক সারি সারি।
সবুজ ফসলে ভরা অবারিত মাঠ
মেঠোপথ কাদা জল রাস্তাঘাট।
নদীর বুকে ওই সাম্পান নায়
মনের সুখে মাঝি ভাটিয়ালী গায়।
ফসলের মাঠে
আকাশের মতো বিশাল হৃদয় নেই আমার – তবু তোমাকে ধারণ করি
সমূদ্রের মতো গভীর নয় আমার প্রেম- তবু তোমাকে ভলোবাসি।
শীতের কুয়াশা ভোরে একফোঁটা আলো হয়ে রাঙাতে পারব না জীবন
তবে মানবের প্রেম তাতো দিতেই পারি তোমাকে।
এক আকাশ ভালোবাসা
এক সমূদ্র প্রেম কিংবা
তার চেয়ে
সর্বশেষ ১০টি মন্তব্য