গ্রন্থের নামঃ শ্রাবণের আকাশে রংধনু
লেখকঃ খন্দকার মোঃ আকতার উজ জামান সুমন
ধরনঃ কবিতা
প্রচ্ছদশিল্পীঃ রাজিব রায়
প্রকাশকঃ আহসান আল আজাদ
প্রকাশনী সংস্থাঃ বাংলার কবিতা প্রকাশন
দামঃ ১২০/-
বইমেলায় স্টল নংঃ ১১ (লিটল ম্যাগাজিন চত্বর- বাংলার কবিতাপত্র)

কখনো ভাবিনি নিজের কবিতার বই বের হবে । আবার তা যদি

রাত গভীর হয়,
আঁধারে মেঘ ঢেকে রয়।
মিটিমিটি তারার মেলায়,
স্বপ্নেরা কথা কয়।

চোখে তবুও ঘুম আসেনা,
একাকী জেগে রই।
ভাবনার জগৎ জুড়ে-
নিমগ্ন আমি পড়ে রই।

অসময়ে মিস করানো,
তোমার কাছে হয় কি বোধোদয়?
ভালো নেই আমি আজ তাই,
লাগছে সবই খুব যন্ত্রণাময়।

গন্তব্যহীন রাত আমার,
ঘুমহীন চোখে তুমি আলোময়।
ভাবছি তোমায় হৃদয়স্পর্শে,
হারিয়ে

তোমাকে পাওয়ার পর থেকেই-
আমি বদলে গেছি,
আর আমার কবিতারাও গেছে পাল্টে ।

এখন আর অন্য কারও দিকে চোখ যায়না,
কারও সৌন্দর্য্য আমাকে মুগ্ধ করেনা ।
অপলক নয়নে তাকিয়েও থাকিনা,
আবেগের বালুচরে মেতেও থাকিনা ।
বিশ্ব বিখ্যাত নায়িকারাও আমার চোখে পড়েনা,
মোনালিসার হাসিও আজ ভালো লাগেনা ।
শুধু তুমি

হয়তো আছে অঢেল টাকা,
ঘূর্ণায়মান তাই হয়তো-
আপনার ভাগ্যের চাকা।

হয়তো আছে অঢেল সম্পত্তি,
কথায় কথায় তাই হয়তো-
করেই চলেন বিপত্তি।

কারও কথায় মন বাসেনা,
কাউকে তাই ভালো লাগেনা।
অহংকারে আগাগোড়া মোড়ানো-
আপাদমস্তক তাই ভাবের সত্ত্বায় জড়ানো।

অর্থের গন্ধ দিয়েই খ্যাতিমান হোন,
তাই দিয়ে উচ্চাসনে আসীন হোন।
যোগ্যতা থাকুক কিংবা নাইবা থাকুক,
অর্থ

কিসের এতো বড়াই,
কিসের এতো লড়াই।
তুচ্ছ জীবন জলাঞ্জলি,
মিথ্যা সুখের বোঝাই।

ক্ষমতা কিনে অর্থ দিয়ে-
বাহাদুরী দেখায়।
যোগ্য না হয়েও যোগ্য সেজে,
মনের খায়েস মেটায়।

মনটা যে মানেনা কিছু,
ছুটে চলে সুখের পিছু।
প্রাপ্য না হলেও প্রাপ্তি চেয়ে-
অধিকার খুব দেখায়।

এমন সব মানুষগুলোই-
উচ্চাসনে আসীন।
কলকাঠি নাড়ে দেশের,
হোকনা যতোই অর্বাচীন।

হাসিতে হাসিতে ভরে

নীতির কথা বলে যারা,
নীতি-ই ভাঙ্গে তারা।
মিঠা কথায় তেতোর ছড়া,
ভালোই পারে তারা।

মুনাফিকের সকল দর্শনে-
তাদের স্বভাব বাঁধা।
ওয়াদা করেও ওয়াদা ভাঙ্গে,
লাগেই কেবল ধাঁধা।

নুন খেয়ে নুনেই খোঁচা-
দিয়েই যায়

হতচ্ছাড়া এ জীবন ভালোবাসা খুঁজে যায়,
প্রেয়সীর উষ্ণ ঠোঁটের ছোঁয়ায় বারবার হারিয়ে যায়।
আলিঙ্গনের সর্বোচ্চ বন্ধনে কোথাও যেন মিশে যায়,
উষ্ণ বুকের উর্বর ভূমে আগামী প্রজন্মের ফসল ফলায়।

নিরবেতে এঁকে চলে খুনসুটির গল্পমালা,
চোখের ইশারায় আঁকে প্রেম প্রেম ভাবের রাশিমালা।
হাবুডুবু অথৈ শিহরণে নির্লিপ্ত বর্ষার স্রোতধারা,
হয়ে

এভাবেই অনুভূতিগুলো হারিয়ে যেতে থাকে,
ভালো লাগা আর না লাগার অজুহাতে।
এভাবেই অনুভূতিগুলো পরিবর্তিত হতে থাকে,
জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতের নানান অজুহাতে।

ভালোবাসা পাল্টে যায় সময়ের দাবিতে,
ভালোবাসা পাল্টে যায় বাস্তবের পরশে।
শুধু পাল্টায়না মানুষগুলো,
সম্পর্ক ঠিক রেখে সামনে চলে

বহুদিন হলো-
তোমাকে নিয়ে লেখা হয়না কবিতা,
লেখা হয়না কোন গল্প।
কলমের খোঁচায় জর্জরিত হয়না,
ডায়েরির পাতায় স্মৃতিগুচ্ছ।

আজ তাই লেখতে বসলাম-
তোমাকে নিয়েই একটি কবিতা,
যার নামটি এখনো অজানা।
শেষের দুই-এক চরনেই হয়তো,
এর নামটি রয়েছে গাঁথা।

তুমি হয়তো জানোইনা
তোমাকে নিয়েই লেখছি এই কবিতা,
তোমাকেই ভাবছি এ নিশিথে।
খুব করে বড্ড

অনেক সংজ্ঞা বইয়ের পাতায়,
পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠার ছাপায়।
গুনে মানে ছন্দ সাজায়,
গুরুতত্ত্বের বিষয় বোঝায়।

কিছু সংজ্ঞা হাতের মুঠোয়,
জ্ঞান থাকলেই বুঝে সবাই।
কিছু আবার বুঝতে গেলে,
নানান কিছুর হয় যে দোহাই।

কিছু কিছু সংজ্ঞায় ভেজাল,
একেক জনের একেক কথায়।
নানান রকম মতামতে,
উল্টোপাল্টা সংজ্ঞা সাজায়।

কিছু সংজ্ঞা ধর্ম বুঝে,
জাতের ভেদে পরিচয়

একটা গল্প লেখতে যেয়ে বারবার থেমে যাই,
একটা স্মৃতিকে আঁকতে যেয়েও বারবার থেমে যাই।
হয়ে যাই দিক হারিয়ে কোন নিরুদ্দেশ পথিক,
নতুবা বিমর্ষ হয়ে নিরুপায় চিত্তে ছুটে চলি দিগ্বিদিক।

গল্পটি যে লেখতেই হবে আমাকে আমারই জন্য,
স্মৃতিটাকে যে ধরে রাখতেই স্মৃতিচারণ যে অগ্রগণ্য।
না হয় হারাতে

আপন যাকে ভাবে মানুষ,
সে কি আপন হয়?
আপন হওয়ার কথা বলে,
করে কি অভিনয়?

কষ্ট পেলে কষ্ট সে কি,
সত্যি সত্যিই পায়?
কষ্টের ভিতর জব্দ যদি-
হয়ে থাকা নিরুপায়।

ভালো ভালো বলে সে কি,
আসল ভালো চায়?
ভালোর ভিতর স্বার্থ যদি-
নিজের করে পায়।

আপন হয়ে কতো কথাই,
সে যে